আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
আমতলী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জালাল উদ্দিন ফকির, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মো. জহিরুল ইসলাম মামুন ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কবির ফকিরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, জমি দখল, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন অভিযোগ তোলা হয়েছে। আজ রোববার সকালে জেলা পরিষদের ডাকবাংলোর হলরুমে উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. তুহিন মৃধা সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব তুহিন মৃধা বলেন, ‘বহিষ্কৃত সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ জালাল উদ্দিন ফকির, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম মামুন ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কবির উদ্দিন ফকির ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। এলাকায় চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, জমি দখলসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়েছেন তাঁরা। তাঁদের অত্যাচারে উপজেলার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। তাঁরা একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।’
তুহিন মৃধা বলেন, গত ৫ আগস্টের পর জালাল ফকির তাঁর দুই ছেলের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলেন। বাসস্ট্যান্ড দখল, সড়কে চাঁদাবাজিসহ সব অপকর্মে তাঁরা লিপ্ত। রাহাত ফকিরের বিরুদ্ধে ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। কিন্তু জালাল উদ্দিন ফকির তৎকালীন নির্বাচনে এক প্রার্থীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে তাঁর পক্ষে কাজ করেছেন। এ কারণে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু ৫ আগস্টের পর তিনি উপজেলা বিএনপির একটি অংশকে ব্যবহার করে দলকে দ্বিধাবিভক্ত করে রেখেছেন। এই সুযোগে এলাকায় লুটপাট, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ‘জালাল ফকির দলীয় নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন। এসব কর্মকাণ্ড বন্ধ না হলে আমতলীর মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবে না।’ জালাল উদ্দিন ফকির ও তাঁর লোকজনের বিরুদ্ধে তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
এ সময় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মকবুল আহম্মেদ খান বলেন, ‘বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা জালাল উদ্দিন ফকির বিভাজন সৃষ্টি করে দলকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর কারণে আমতলী উপজেলা বিএনপির দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন তালুকদার, কামরুজ্জামান হিরু মৃধা, তরিকুল ইসলাম টারজান, আমিনুল ইসলাম সোহেল তালুকদার, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলাউদ্দিন হাওলাদার, উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি তারিকুল ইসলাম সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক কামাল বিশ্বাস, আমতলী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব মৃধা, চাওড়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সোহেল মোল্লা ও আমিনুল ইসলাম।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আমতলী উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মো. জহিরুল ইসলাম মামুন বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা। যাঁরা সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ এনেছে, তাঁরা হাইব্রিড আওয়ামী লীগ।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) আকন কুদ্দুসুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমতলীর বিষয়ে আমি অবগত আছি। তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আমতলী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জালাল উদ্দিন ফকির, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মো. জহিরুল ইসলাম মামুন ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কবির ফকিরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, জমি দখল, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন অভিযোগ তোলা হয়েছে। আজ রোববার সকালে জেলা পরিষদের ডাকবাংলোর হলরুমে উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. তুহিন মৃধা সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব তুহিন মৃধা বলেন, ‘বহিষ্কৃত সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ জালাল উদ্দিন ফকির, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম মামুন ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কবির উদ্দিন ফকির ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। এলাকায় চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, জমি দখলসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়েছেন তাঁরা। তাঁদের অত্যাচারে উপজেলার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। তাঁরা একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।’
তুহিন মৃধা বলেন, গত ৫ আগস্টের পর জালাল ফকির তাঁর দুই ছেলের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলেন। বাসস্ট্যান্ড দখল, সড়কে চাঁদাবাজিসহ সব অপকর্মে তাঁরা লিপ্ত। রাহাত ফকিরের বিরুদ্ধে ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। কিন্তু জালাল উদ্দিন ফকির তৎকালীন নির্বাচনে এক প্রার্থীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে তাঁর পক্ষে কাজ করেছেন। এ কারণে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু ৫ আগস্টের পর তিনি উপজেলা বিএনপির একটি অংশকে ব্যবহার করে দলকে দ্বিধাবিভক্ত করে রেখেছেন। এই সুযোগে এলাকায় লুটপাট, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ‘জালাল ফকির দলীয় নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন। এসব কর্মকাণ্ড বন্ধ না হলে আমতলীর মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবে না।’ জালাল উদ্দিন ফকির ও তাঁর লোকজনের বিরুদ্ধে তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
এ সময় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মকবুল আহম্মেদ খান বলেন, ‘বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা জালাল উদ্দিন ফকির বিভাজন সৃষ্টি করে দলকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর কারণে আমতলী উপজেলা বিএনপির দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন তালুকদার, কামরুজ্জামান হিরু মৃধা, তরিকুল ইসলাম টারজান, আমিনুল ইসলাম সোহেল তালুকদার, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলাউদ্দিন হাওলাদার, উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি তারিকুল ইসলাম সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক কামাল বিশ্বাস, আমতলী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব মৃধা, চাওড়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সোহেল মোল্লা ও আমিনুল ইসলাম।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আমতলী উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মো. জহিরুল ইসলাম মামুন বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা। যাঁরা সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ এনেছে, তাঁরা হাইব্রিড আওয়ামী লীগ।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) আকন কুদ্দুসুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমতলীর বিষয়ে আমি অবগত আছি। তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পাবনার ঈশ্বরদীর পদ্মা নদী এলাকায় মানুষের জানমাল রক্ষায় কাকন বাহিনীর প্রধানসহ অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্যসচিব মেহেদী হাসান। আজ রোববার দুপুরে উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের পদ্মা নদীর ঘাটে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি এ দাবি জানান তিনি...
৪ মিনিট আগেশেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের নামে বরিশাল বিভাগের পাঁচটি কলেজের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। আজ রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত নোটিশ জারি করেছে বলে জানায় বরিশাল শিক্ষা বোর্ড।
৭ মিনিট আগেজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকসহ ১৯ জন কর্মকর্তাকে অবসর দেওয়া হয়েছে। তাঁদের চাকরিকাল ২৫ বছর হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশোধিত চাকরিবিধি অনুযায়ী এই অবসর দেওয়া হয়।
৪০ মিনিট আগেবিষয়টি নিশ্চিত করে শিক্ষক মাহমুদুল হকের আইনজীবী শামীম আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলখানা থেকে মহানগর দায়রা জজকে জানানো হয়, মাহমুদুল হক খুব অসুস্থ। তারপর আমরা পুনরায় আবেদন করেছিলাম। পরে যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালত-১-এর বিচারক মোছা. মার্জিয়া খাতুন জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।’
১ ঘণ্টা আগে