খান রফিক, বরিশাল

আজ সোমবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিট। জরুরি বিভাগ থেকে বের হয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছিলেন আরএফএলে কর্মরত বাদল। তিনি বলেন, ‘ভাঙা পায়ের প্লাস্টার কাটার জন্য দুই দিন ধরে ঘুরছি। কিন্তু ডাক্তার নাই, তাই বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফলে ফিরে যাচ্ছি।’ রাজাপুরের আ. রহমান মানসিক রোগী। তাঁর মা জানালেন, মানসিক রোগী বহির্বিভাগে দাঁড়িয়ে থেকেও চিকিৎসক পাননি।
আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) এ চিত্র দেখা গেছে। এর কারণ গতকাল রোববার চিকিৎসকের ওপর হামলার অভিযোগে ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। পাশাপাশি সিনিয়র চিকিৎসকেরাও আজ বহির্বিভাগে সেবা না দেওয়ায় শত শত রোগীকে দুর্ভোগে পড়তে হয়।
দুপুরে চিকিৎসকেরা এক সংবাদ সম্মেলনে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা না হলে শাটডাউনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। অপর দিকে স্বাস্থ্য খাতের সংস্কার দাবিতে আজ ফের জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও দিয়ে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা।
সরেজমিনে আজ সকাল সোয়া ৯টায় শেবাচিম হাসপাতালের বহির্বিভাগ ঘুরে দেখা গেছে, চিকিৎসাসেবা বন্ধ। বহির্বিভাগ চিকিৎসক দেখানোর জন্য দীর্ঘ লাইন হলেও টিকিট দিচ্ছে না। জরুরি বিভাগে ভর্তি না করে অনেক রোগীকে ফিরিয়ে দিচ্ছে। এর মধ্যে দেখা গেল তালা ঝোলানো হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনের রাস্তায় জড়ো হয়ে রোগী ও স্বজনেরা সেবা না পেয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন। তাঁরা একপর্যায়ে রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করার চেষ্টা করলে কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা তাঁদের বুঝিয়ে ফের হাসপাতালের ভেতরে নিয়ে আসেন।
জরুরি বিভাগের সামনে পুলিশ ও আনসারদের কাছে অসহায় এক নারী চিকিৎসক না দেখাতে পেড়ে হতাশা প্রকাশ করছিলেন। এ সময় ক্ষুব্ধ এক কর্মচারী ওই নারীকে বলেন, সরকারি চিকিৎসক দেখিয়ে লাভ নেই, ক্লিনিকে যান।
কথা হয় বাবুগঞ্জ থেকে আসা রহিমা বেগম নামের এক বৃদ্ধার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে এসে বসে আছি রিপোর্ট দেখাব। ডাক্তার রুমে আছেন। কিন্তু রোগী দেখবেন না। অন্যের দোষে সাধারণ মানুষ ভুগবে কেন?’
হাসপাতালের তৃতীয় তলায় আন্তবিভাগের শিশু ওয়ার্ডে সকাল সোয়া ১০টায় ঘুরে দেখা গেল চিকিৎসক নেই। একাধিক রোগীর স্বজনেরা জানালেন, গতকাল রোববার রাতে চিকিৎসক আসেননি। আজ সকালেও খবর নেই।
জানা গেছে, স্বাস্থ্য খাত সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের পাল্টাপাল্টি অবস্থানে শেবাচিম হাসপাতালের স্বাস্থসেবা অচল হয়ে পড়েছে।
ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা গত শনিবার বেলা ৩টা থেকে কর্মবিরতিতে। অন্য চিকিৎসকেরা কর্মরত রয়েছেন দাবি করলেও রোগীরা সেবা পাচ্ছেন না।
এদিকে হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্টাফদের ওপর হামলাকারীদের আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়েছে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ সকাল ৮টা থেকে অনির্দিষ্টকালের ক্লাস বর্জন করেছেন মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীরা। আজ মিড লেভেল চিকিৎসক, ইন্টার্ন চিকিৎসক ও মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীরা পৃথক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান।
দুপুর ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলনে মিড লেভেল ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন সৈকত বলেন, ‘আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মহিউদ্দিন রনি ও দুষ্কৃতকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাই। অন্যথায় সর্বস্তরের চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে যাব।’
অপরদিকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী জুবায়ের আল মাহমুদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আন্দোলনের নামে তারা চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফ, মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করছে। রাস্তায় শিক্ষার্থীরা বের হলে গালিগালাজ ও ধাওয়া করা হচ্ছে। এ জন্য আজ থেকে আমরা সব মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থী ক্লাস বর্জন করছি।’
এ ছাড়া আরও এক সংবাদ সম্মেলনে ইন্টার্ন চিকিৎসক মো. নাজমুল হুদা বলেন, ‘কর্মস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে ১৪ আগস্ট কর্মবিরতিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু হাসপাতাল পরিচালকের অনুরোধে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করি। কিন্তু ১৭ আগস্ট আবার আন্দোলনের নামে মেডিসিন বিভাগের ইনডোর মেডিকেল অফিসার দিলীপ রায়ের ওপর অতর্কিত হামলার হয়।
‘এ ঘটনায় উসকানিদাতা ও হামলাকারীদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানাই। এমন পরিস্থিতিতে আমরা গতকাল বেলা ৩টা থেকে কর্মবিরতি শুরু করি।

‘আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা না হলে এর পরপরই হাসপাতালের জরুরি বিভাগসহ সব চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।’
এ প্রসঙ্গে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মশিউল মুনীর বলেন, ‘ছাত্র, চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফরা আমার সঙ্গে কথা বলেছে। তাদের আমি শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছি। পাশাপাশি রোগীরা যেন কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে লক্ষ্যে তাদের অনুরোধ করেছি।’
অন্যদিকে স্বাস্থ্য খাতের সংস্কার দাবিতে আজ দুপুরে দুই ঘণ্টা বরিশাল জেলা প্রশাসক (ডিসি) কার্যালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা।
আন্দোলনরত ছাত্র-জনতা দুপুর ১২টায় নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে যায়। সেখানে গিয়ে সামনের সড়ক অবরোধ করে বেলা ২টা পর্যন্ত বিক্ষোভ করে। আন্দোলনকারী ছাত্রী সেফা জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে সারা দেশের সরকারি হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা দূর, রোগী হয়রানি ও স্বাস্থ্য খাতের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার দাবি জানান। পাশাপাশি আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনার দ্রুত বিচার দাবি করেন। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা তাঁদের আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
এ ব্যাপারে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, হাসপাতালের পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে। হাসপাতাল এলাকা পুলিশি নজরদারির মধ্যে রয়েছে। এ ইস্যু নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে।

আজ সোমবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিট। জরুরি বিভাগ থেকে বের হয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছিলেন আরএফএলে কর্মরত বাদল। তিনি বলেন, ‘ভাঙা পায়ের প্লাস্টার কাটার জন্য দুই দিন ধরে ঘুরছি। কিন্তু ডাক্তার নাই, তাই বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফলে ফিরে যাচ্ছি।’ রাজাপুরের আ. রহমান মানসিক রোগী। তাঁর মা জানালেন, মানসিক রোগী বহির্বিভাগে দাঁড়িয়ে থেকেও চিকিৎসক পাননি।
আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) এ চিত্র দেখা গেছে। এর কারণ গতকাল রোববার চিকিৎসকের ওপর হামলার অভিযোগে ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। পাশাপাশি সিনিয়র চিকিৎসকেরাও আজ বহির্বিভাগে সেবা না দেওয়ায় শত শত রোগীকে দুর্ভোগে পড়তে হয়।
দুপুরে চিকিৎসকেরা এক সংবাদ সম্মেলনে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা না হলে শাটডাউনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। অপর দিকে স্বাস্থ্য খাতের সংস্কার দাবিতে আজ ফের জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও দিয়ে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা।
সরেজমিনে আজ সকাল সোয়া ৯টায় শেবাচিম হাসপাতালের বহির্বিভাগ ঘুরে দেখা গেছে, চিকিৎসাসেবা বন্ধ। বহির্বিভাগ চিকিৎসক দেখানোর জন্য দীর্ঘ লাইন হলেও টিকিট দিচ্ছে না। জরুরি বিভাগে ভর্তি না করে অনেক রোগীকে ফিরিয়ে দিচ্ছে। এর মধ্যে দেখা গেল তালা ঝোলানো হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনের রাস্তায় জড়ো হয়ে রোগী ও স্বজনেরা সেবা না পেয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন। তাঁরা একপর্যায়ে রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করার চেষ্টা করলে কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা তাঁদের বুঝিয়ে ফের হাসপাতালের ভেতরে নিয়ে আসেন।
জরুরি বিভাগের সামনে পুলিশ ও আনসারদের কাছে অসহায় এক নারী চিকিৎসক না দেখাতে পেড়ে হতাশা প্রকাশ করছিলেন। এ সময় ক্ষুব্ধ এক কর্মচারী ওই নারীকে বলেন, সরকারি চিকিৎসক দেখিয়ে লাভ নেই, ক্লিনিকে যান।
কথা হয় বাবুগঞ্জ থেকে আসা রহিমা বেগম নামের এক বৃদ্ধার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে এসে বসে আছি রিপোর্ট দেখাব। ডাক্তার রুমে আছেন। কিন্তু রোগী দেখবেন না। অন্যের দোষে সাধারণ মানুষ ভুগবে কেন?’
হাসপাতালের তৃতীয় তলায় আন্তবিভাগের শিশু ওয়ার্ডে সকাল সোয়া ১০টায় ঘুরে দেখা গেল চিকিৎসক নেই। একাধিক রোগীর স্বজনেরা জানালেন, গতকাল রোববার রাতে চিকিৎসক আসেননি। আজ সকালেও খবর নেই।
জানা গেছে, স্বাস্থ্য খাত সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের পাল্টাপাল্টি অবস্থানে শেবাচিম হাসপাতালের স্বাস্থসেবা অচল হয়ে পড়েছে।
ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা গত শনিবার বেলা ৩টা থেকে কর্মবিরতিতে। অন্য চিকিৎসকেরা কর্মরত রয়েছেন দাবি করলেও রোগীরা সেবা পাচ্ছেন না।
এদিকে হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্টাফদের ওপর হামলাকারীদের আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়েছে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ সকাল ৮টা থেকে অনির্দিষ্টকালের ক্লাস বর্জন করেছেন মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীরা। আজ মিড লেভেল চিকিৎসক, ইন্টার্ন চিকিৎসক ও মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীরা পৃথক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান।
দুপুর ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলনে মিড লেভেল ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন সৈকত বলেন, ‘আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মহিউদ্দিন রনি ও দুষ্কৃতকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাই। অন্যথায় সর্বস্তরের চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে যাব।’
অপরদিকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী জুবায়ের আল মাহমুদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আন্দোলনের নামে তারা চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফ, মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করছে। রাস্তায় শিক্ষার্থীরা বের হলে গালিগালাজ ও ধাওয়া করা হচ্ছে। এ জন্য আজ থেকে আমরা সব মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থী ক্লাস বর্জন করছি।’
এ ছাড়া আরও এক সংবাদ সম্মেলনে ইন্টার্ন চিকিৎসক মো. নাজমুল হুদা বলেন, ‘কর্মস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে ১৪ আগস্ট কর্মবিরতিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু হাসপাতাল পরিচালকের অনুরোধে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করি। কিন্তু ১৭ আগস্ট আবার আন্দোলনের নামে মেডিসিন বিভাগের ইনডোর মেডিকেল অফিসার দিলীপ রায়ের ওপর অতর্কিত হামলার হয়।
‘এ ঘটনায় উসকানিদাতা ও হামলাকারীদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানাই। এমন পরিস্থিতিতে আমরা গতকাল বেলা ৩টা থেকে কর্মবিরতি শুরু করি।

‘আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা না হলে এর পরপরই হাসপাতালের জরুরি বিভাগসহ সব চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।’
এ প্রসঙ্গে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মশিউল মুনীর বলেন, ‘ছাত্র, চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফরা আমার সঙ্গে কথা বলেছে। তাদের আমি শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছি। পাশাপাশি রোগীরা যেন কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে লক্ষ্যে তাদের অনুরোধ করেছি।’
অন্যদিকে স্বাস্থ্য খাতের সংস্কার দাবিতে আজ দুপুরে দুই ঘণ্টা বরিশাল জেলা প্রশাসক (ডিসি) কার্যালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা।
আন্দোলনরত ছাত্র-জনতা দুপুর ১২টায় নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে যায়। সেখানে গিয়ে সামনের সড়ক অবরোধ করে বেলা ২টা পর্যন্ত বিক্ষোভ করে। আন্দোলনকারী ছাত্রী সেফা জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে সারা দেশের সরকারি হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা দূর, রোগী হয়রানি ও স্বাস্থ্য খাতের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার দাবি জানান। পাশাপাশি আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনার দ্রুত বিচার দাবি করেন। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা তাঁদের আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
এ ব্যাপারে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, হাসপাতালের পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে। হাসপাতাল এলাকা পুলিশি নজরদারির মধ্যে রয়েছে। এ ইস্যু নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে।
খান রফিক, বরিশাল

আজ সোমবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিট। জরুরি বিভাগ থেকে বের হয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছিলেন আরএফএলে কর্মরত বাদল। তিনি বলেন, ‘ভাঙা পায়ের প্লাস্টার কাটার জন্য দুই দিন ধরে ঘুরছি। কিন্তু ডাক্তার নাই, তাই বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফলে ফিরে যাচ্ছি।’ রাজাপুরের আ. রহমান মানসিক রোগী। তাঁর মা জানালেন, মানসিক রোগী বহির্বিভাগে দাঁড়িয়ে থেকেও চিকিৎসক পাননি।
আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) এ চিত্র দেখা গেছে। এর কারণ গতকাল রোববার চিকিৎসকের ওপর হামলার অভিযোগে ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। পাশাপাশি সিনিয়র চিকিৎসকেরাও আজ বহির্বিভাগে সেবা না দেওয়ায় শত শত রোগীকে দুর্ভোগে পড়তে হয়।
দুপুরে চিকিৎসকেরা এক সংবাদ সম্মেলনে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা না হলে শাটডাউনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। অপর দিকে স্বাস্থ্য খাতের সংস্কার দাবিতে আজ ফের জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও দিয়ে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা।
সরেজমিনে আজ সকাল সোয়া ৯টায় শেবাচিম হাসপাতালের বহির্বিভাগ ঘুরে দেখা গেছে, চিকিৎসাসেবা বন্ধ। বহির্বিভাগ চিকিৎসক দেখানোর জন্য দীর্ঘ লাইন হলেও টিকিট দিচ্ছে না। জরুরি বিভাগে ভর্তি না করে অনেক রোগীকে ফিরিয়ে দিচ্ছে। এর মধ্যে দেখা গেল তালা ঝোলানো হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনের রাস্তায় জড়ো হয়ে রোগী ও স্বজনেরা সেবা না পেয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন। তাঁরা একপর্যায়ে রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করার চেষ্টা করলে কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা তাঁদের বুঝিয়ে ফের হাসপাতালের ভেতরে নিয়ে আসেন।
জরুরি বিভাগের সামনে পুলিশ ও আনসারদের কাছে অসহায় এক নারী চিকিৎসক না দেখাতে পেড়ে হতাশা প্রকাশ করছিলেন। এ সময় ক্ষুব্ধ এক কর্মচারী ওই নারীকে বলেন, সরকারি চিকিৎসক দেখিয়ে লাভ নেই, ক্লিনিকে যান।
কথা হয় বাবুগঞ্জ থেকে আসা রহিমা বেগম নামের এক বৃদ্ধার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে এসে বসে আছি রিপোর্ট দেখাব। ডাক্তার রুমে আছেন। কিন্তু রোগী দেখবেন না। অন্যের দোষে সাধারণ মানুষ ভুগবে কেন?’
হাসপাতালের তৃতীয় তলায় আন্তবিভাগের শিশু ওয়ার্ডে সকাল সোয়া ১০টায় ঘুরে দেখা গেল চিকিৎসক নেই। একাধিক রোগীর স্বজনেরা জানালেন, গতকাল রোববার রাতে চিকিৎসক আসেননি। আজ সকালেও খবর নেই।
জানা গেছে, স্বাস্থ্য খাত সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের পাল্টাপাল্টি অবস্থানে শেবাচিম হাসপাতালের স্বাস্থসেবা অচল হয়ে পড়েছে।
ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা গত শনিবার বেলা ৩টা থেকে কর্মবিরতিতে। অন্য চিকিৎসকেরা কর্মরত রয়েছেন দাবি করলেও রোগীরা সেবা পাচ্ছেন না।
এদিকে হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্টাফদের ওপর হামলাকারীদের আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়েছে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ সকাল ৮টা থেকে অনির্দিষ্টকালের ক্লাস বর্জন করেছেন মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীরা। আজ মিড লেভেল চিকিৎসক, ইন্টার্ন চিকিৎসক ও মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীরা পৃথক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান।
দুপুর ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলনে মিড লেভেল ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন সৈকত বলেন, ‘আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মহিউদ্দিন রনি ও দুষ্কৃতকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাই। অন্যথায় সর্বস্তরের চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে যাব।’
অপরদিকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী জুবায়ের আল মাহমুদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আন্দোলনের নামে তারা চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফ, মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করছে। রাস্তায় শিক্ষার্থীরা বের হলে গালিগালাজ ও ধাওয়া করা হচ্ছে। এ জন্য আজ থেকে আমরা সব মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থী ক্লাস বর্জন করছি।’
এ ছাড়া আরও এক সংবাদ সম্মেলনে ইন্টার্ন চিকিৎসক মো. নাজমুল হুদা বলেন, ‘কর্মস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে ১৪ আগস্ট কর্মবিরতিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু হাসপাতাল পরিচালকের অনুরোধে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করি। কিন্তু ১৭ আগস্ট আবার আন্দোলনের নামে মেডিসিন বিভাগের ইনডোর মেডিকেল অফিসার দিলীপ রায়ের ওপর অতর্কিত হামলার হয়।
‘এ ঘটনায় উসকানিদাতা ও হামলাকারীদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানাই। এমন পরিস্থিতিতে আমরা গতকাল বেলা ৩টা থেকে কর্মবিরতি শুরু করি।

‘আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা না হলে এর পরপরই হাসপাতালের জরুরি বিভাগসহ সব চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।’
এ প্রসঙ্গে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মশিউল মুনীর বলেন, ‘ছাত্র, চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফরা আমার সঙ্গে কথা বলেছে। তাদের আমি শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছি। পাশাপাশি রোগীরা যেন কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে লক্ষ্যে তাদের অনুরোধ করেছি।’
অন্যদিকে স্বাস্থ্য খাতের সংস্কার দাবিতে আজ দুপুরে দুই ঘণ্টা বরিশাল জেলা প্রশাসক (ডিসি) কার্যালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা।
আন্দোলনরত ছাত্র-জনতা দুপুর ১২টায় নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে যায়। সেখানে গিয়ে সামনের সড়ক অবরোধ করে বেলা ২টা পর্যন্ত বিক্ষোভ করে। আন্দোলনকারী ছাত্রী সেফা জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে সারা দেশের সরকারি হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা দূর, রোগী হয়রানি ও স্বাস্থ্য খাতের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার দাবি জানান। পাশাপাশি আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনার দ্রুত বিচার দাবি করেন। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা তাঁদের আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
এ ব্যাপারে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, হাসপাতালের পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে। হাসপাতাল এলাকা পুলিশি নজরদারির মধ্যে রয়েছে। এ ইস্যু নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে।

আজ সোমবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিট। জরুরি বিভাগ থেকে বের হয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছিলেন আরএফএলে কর্মরত বাদল। তিনি বলেন, ‘ভাঙা পায়ের প্লাস্টার কাটার জন্য দুই দিন ধরে ঘুরছি। কিন্তু ডাক্তার নাই, তাই বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফলে ফিরে যাচ্ছি।’ রাজাপুরের আ. রহমান মানসিক রোগী। তাঁর মা জানালেন, মানসিক রোগী বহির্বিভাগে দাঁড়িয়ে থেকেও চিকিৎসক পাননি।
আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) এ চিত্র দেখা গেছে। এর কারণ গতকাল রোববার চিকিৎসকের ওপর হামলার অভিযোগে ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। পাশাপাশি সিনিয়র চিকিৎসকেরাও আজ বহির্বিভাগে সেবা না দেওয়ায় শত শত রোগীকে দুর্ভোগে পড়তে হয়।
দুপুরে চিকিৎসকেরা এক সংবাদ সম্মেলনে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা না হলে শাটডাউনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। অপর দিকে স্বাস্থ্য খাতের সংস্কার দাবিতে আজ ফের জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও দিয়ে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা।
সরেজমিনে আজ সকাল সোয়া ৯টায় শেবাচিম হাসপাতালের বহির্বিভাগ ঘুরে দেখা গেছে, চিকিৎসাসেবা বন্ধ। বহির্বিভাগ চিকিৎসক দেখানোর জন্য দীর্ঘ লাইন হলেও টিকিট দিচ্ছে না। জরুরি বিভাগে ভর্তি না করে অনেক রোগীকে ফিরিয়ে দিচ্ছে। এর মধ্যে দেখা গেল তালা ঝোলানো হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনের রাস্তায় জড়ো হয়ে রোগী ও স্বজনেরা সেবা না পেয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন। তাঁরা একপর্যায়ে রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করার চেষ্টা করলে কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা তাঁদের বুঝিয়ে ফের হাসপাতালের ভেতরে নিয়ে আসেন।
জরুরি বিভাগের সামনে পুলিশ ও আনসারদের কাছে অসহায় এক নারী চিকিৎসক না দেখাতে পেড়ে হতাশা প্রকাশ করছিলেন। এ সময় ক্ষুব্ধ এক কর্মচারী ওই নারীকে বলেন, সরকারি চিকিৎসক দেখিয়ে লাভ নেই, ক্লিনিকে যান।
কথা হয় বাবুগঞ্জ থেকে আসা রহিমা বেগম নামের এক বৃদ্ধার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে এসে বসে আছি রিপোর্ট দেখাব। ডাক্তার রুমে আছেন। কিন্তু রোগী দেখবেন না। অন্যের দোষে সাধারণ মানুষ ভুগবে কেন?’
হাসপাতালের তৃতীয় তলায় আন্তবিভাগের শিশু ওয়ার্ডে সকাল সোয়া ১০টায় ঘুরে দেখা গেল চিকিৎসক নেই। একাধিক রোগীর স্বজনেরা জানালেন, গতকাল রোববার রাতে চিকিৎসক আসেননি। আজ সকালেও খবর নেই।
জানা গেছে, স্বাস্থ্য খাত সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের পাল্টাপাল্টি অবস্থানে শেবাচিম হাসপাতালের স্বাস্থসেবা অচল হয়ে পড়েছে।
ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা গত শনিবার বেলা ৩টা থেকে কর্মবিরতিতে। অন্য চিকিৎসকেরা কর্মরত রয়েছেন দাবি করলেও রোগীরা সেবা পাচ্ছেন না।
এদিকে হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্টাফদের ওপর হামলাকারীদের আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়েছে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ সকাল ৮টা থেকে অনির্দিষ্টকালের ক্লাস বর্জন করেছেন মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীরা। আজ মিড লেভেল চিকিৎসক, ইন্টার্ন চিকিৎসক ও মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীরা পৃথক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান।
দুপুর ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলনে মিড লেভেল ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন সৈকত বলেন, ‘আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মহিউদ্দিন রনি ও দুষ্কৃতকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাই। অন্যথায় সর্বস্তরের চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে যাব।’
অপরদিকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী জুবায়ের আল মাহমুদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আন্দোলনের নামে তারা চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফ, মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করছে। রাস্তায় শিক্ষার্থীরা বের হলে গালিগালাজ ও ধাওয়া করা হচ্ছে। এ জন্য আজ থেকে আমরা সব মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থী ক্লাস বর্জন করছি।’
এ ছাড়া আরও এক সংবাদ সম্মেলনে ইন্টার্ন চিকিৎসক মো. নাজমুল হুদা বলেন, ‘কর্মস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে ১৪ আগস্ট কর্মবিরতিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু হাসপাতাল পরিচালকের অনুরোধে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করি। কিন্তু ১৭ আগস্ট আবার আন্দোলনের নামে মেডিসিন বিভাগের ইনডোর মেডিকেল অফিসার দিলীপ রায়ের ওপর অতর্কিত হামলার হয়।
‘এ ঘটনায় উসকানিদাতা ও হামলাকারীদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানাই। এমন পরিস্থিতিতে আমরা গতকাল বেলা ৩টা থেকে কর্মবিরতি শুরু করি।

‘আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা না হলে এর পরপরই হাসপাতালের জরুরি বিভাগসহ সব চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।’
এ প্রসঙ্গে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মশিউল মুনীর বলেন, ‘ছাত্র, চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফরা আমার সঙ্গে কথা বলেছে। তাদের আমি শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছি। পাশাপাশি রোগীরা যেন কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে লক্ষ্যে তাদের অনুরোধ করেছি।’
অন্যদিকে স্বাস্থ্য খাতের সংস্কার দাবিতে আজ দুপুরে দুই ঘণ্টা বরিশাল জেলা প্রশাসক (ডিসি) কার্যালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা।
আন্দোলনরত ছাত্র-জনতা দুপুর ১২টায় নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে যায়। সেখানে গিয়ে সামনের সড়ক অবরোধ করে বেলা ২টা পর্যন্ত বিক্ষোভ করে। আন্দোলনকারী ছাত্রী সেফা জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে সারা দেশের সরকারি হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা দূর, রোগী হয়রানি ও স্বাস্থ্য খাতের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার দাবি জানান। পাশাপাশি আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনার দ্রুত বিচার দাবি করেন। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা তাঁদের আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
এ ব্যাপারে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, হাসপাতালের পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে। হাসপাতাল এলাকা পুলিশি নজরদারির মধ্যে রয়েছে। এ ইস্যু নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৪১ টাকা। তাঁর স্ত্রী মারিয়া আক্তারের সম্পদের পরিমাণ ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৮ টাকা। তাঁদের কোনো স্বর্ণালংকার নেই।
২৫ মিনিট আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে এসে মারা যাওয়া মো. নিরব হোসেন (৫৬) দৈনিক জনকণ্ঠের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামে। রাজধানীর বড় মগবাজারে তিনি পরিবারসহ বসবাস করতেন।
১ ঘণ্টা আগে
ভিডিওতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে কথা বলার আগে কাজের বিলের ফাইল স্বাক্ষর করার সময় ৪৫ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে। এ ছাড়া নতুন করে আরও পাঁচ হাজার টাকা না দেওয়ায় গড়িমসি করতে থাকেন ওই প্রকৌশলী। একপর্যায়ে তাঁকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে পকেটে রাখতে দেখা যায়।
২ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কনকনে শীতের মধ্যে সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া দুই শিশুর পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাদের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলায়।
২ ঘণ্টা আগেপটুয়াখালী প্রতিনিধি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৪১ টাকা। তাঁর স্ত্রী মারিয়া আক্তারের সম্পদের পরিমাণ ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৮ টাকা। তাঁদের কোনো স্বর্ণালংকার নেই।
হলফনামায় স্ত্রীর পেশা হিসেবে শিক্ষক উল্লেখ করা হয়েছে আর নুরের আয়ের উৎস উল্লেখ করা হয়েছে ব্যবসা।
আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) নুরুল হক নুরের নির্বাচনী হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানা যায়।
হলফনামার তথ্যানুযায়ী, নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন আদালতে বর্তমানে ছয়টি মামলা চলমান রয়েছে।
হলফনামায় বলা হয়েছে, নুরের ব্যবসা থেকে বার্ষিক আয় ১৫ লাখ ৮৫ হাজার ৪২৬ টাকা। অন্যান্য উৎস থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৬২২ টাকা। সব মিলিয়ে তাঁর মোট বার্ষিক আয় ২০ লাখ ৪০ হাজার ৪৮ টাকা।
নগদ অর্থ হিসেবে নুরের কাছে রয়েছে ২৮ লাখ ৩৮ হাজার ২১৭ টাকা। তাঁর স্ত্রীর নগদ অর্থের পরিমাণ ৩০ হাজার ৯৪১ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নুরের জমা করা অর্থ রয়েছে ২ লাখ ৮৯ হাজার ৩১৩ টাকা এবং তাঁর স্ত্রীর নামে রয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৭৭ টাকা।
হলফনামায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, নুরের নামে ৮২ ডেসিমেল কৃষিজমি রয়েছে, যার অর্জনকালীন মূল্য ৬২ হাজার টাকা। তাঁর স্ত্রী মারিয়া আক্তারের নামে তিন একর কৃষিজমি রয়েছে, যার মূল্য ১০ লাখ টাকা।
নুরের নামে কোম্পানির শেয়ার রয়েছে ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকার। আসবাবপত্র হিসেবে তাঁর স্ত্রীর নামে এক লাখ টাকার সম্পদের তথ্য দেওয়া হয়েছে। উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত অন্যান্য আমানত হিসেবে দেখানো হয়েছে ৫৫ লাখ ৮০ হাজার ৩১১ টাকা। তবে গয়না বা স্বর্ণের কোনো তথ্য বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়নি।
নুরুল হক নুরের ৩ লাখ ৮৮ হাজার ১৬০ টাকা দেনা থাকার কথা হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে।
স্ত্রীর আয় ও পারিবারিক তথ্য
নুরুল হক নুরের স্ত্রী মারিয়া আক্তারের বার্ষিক আয় ১ লাখ ৯১ হাজার ৮৮০ টাকা। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ১২ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৮ টাকা। নুর ও তাঁর স্ত্রী উভয়ই আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন বলে হলফনামায় উল্লেখ রয়েছে।
এ ছাড়া হলফনামায় বলা হয়েছে, নুরুল হক নুর বা তাঁর পরিবারের কোনো সদস্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেননি।
পারিবারিক তথ্যের অংশে উল্লেখ করা হয়েছে, নুরের তিন সন্তান রয়েছে, দুই মেয়ে ও এক ছেলে। তাঁর ওপর নির্ভরশীল হিসেবে সন্তানদের পাশাপাশি পিতা, মাতা, ভাই ও বোনের নামও হলফনামায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৪১ টাকা। তাঁর স্ত্রী মারিয়া আক্তারের সম্পদের পরিমাণ ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৮ টাকা। তাঁদের কোনো স্বর্ণালংকার নেই।
হলফনামায় স্ত্রীর পেশা হিসেবে শিক্ষক উল্লেখ করা হয়েছে আর নুরের আয়ের উৎস উল্লেখ করা হয়েছে ব্যবসা।
আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) নুরুল হক নুরের নির্বাচনী হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানা যায়।
হলফনামার তথ্যানুযায়ী, নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন আদালতে বর্তমানে ছয়টি মামলা চলমান রয়েছে।
হলফনামায় বলা হয়েছে, নুরের ব্যবসা থেকে বার্ষিক আয় ১৫ লাখ ৮৫ হাজার ৪২৬ টাকা। অন্যান্য উৎস থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৬২২ টাকা। সব মিলিয়ে তাঁর মোট বার্ষিক আয় ২০ লাখ ৪০ হাজার ৪৮ টাকা।
নগদ অর্থ হিসেবে নুরের কাছে রয়েছে ২৮ লাখ ৩৮ হাজার ২১৭ টাকা। তাঁর স্ত্রীর নগদ অর্থের পরিমাণ ৩০ হাজার ৯৪১ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নুরের জমা করা অর্থ রয়েছে ২ লাখ ৮৯ হাজার ৩১৩ টাকা এবং তাঁর স্ত্রীর নামে রয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৭৭ টাকা।
হলফনামায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, নুরের নামে ৮২ ডেসিমেল কৃষিজমি রয়েছে, যার অর্জনকালীন মূল্য ৬২ হাজার টাকা। তাঁর স্ত্রী মারিয়া আক্তারের নামে তিন একর কৃষিজমি রয়েছে, যার মূল্য ১০ লাখ টাকা।
নুরের নামে কোম্পানির শেয়ার রয়েছে ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকার। আসবাবপত্র হিসেবে তাঁর স্ত্রীর নামে এক লাখ টাকার সম্পদের তথ্য দেওয়া হয়েছে। উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত অন্যান্য আমানত হিসেবে দেখানো হয়েছে ৫৫ লাখ ৮০ হাজার ৩১১ টাকা। তবে গয়না বা স্বর্ণের কোনো তথ্য বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়নি।
নুরুল হক নুরের ৩ লাখ ৮৮ হাজার ১৬০ টাকা দেনা থাকার কথা হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে।
স্ত্রীর আয় ও পারিবারিক তথ্য
নুরুল হক নুরের স্ত্রী মারিয়া আক্তারের বার্ষিক আয় ১ লাখ ৯১ হাজার ৮৮০ টাকা। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ১২ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৮ টাকা। নুর ও তাঁর স্ত্রী উভয়ই আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন বলে হলফনামায় উল্লেখ রয়েছে।
এ ছাড়া হলফনামায় বলা হয়েছে, নুরুল হক নুর বা তাঁর পরিবারের কোনো সদস্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেননি।
পারিবারিক তথ্যের অংশে উল্লেখ করা হয়েছে, নুরের তিন সন্তান রয়েছে, দুই মেয়ে ও এক ছেলে। তাঁর ওপর নির্ভরশীল হিসেবে সন্তানদের পাশাপাশি পিতা, মাতা, ভাই ও বোনের নামও হলফনামায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

আজ সোমবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিট। জরুরি বিভাগ থেকে বের হয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছিলেন আরএফএলে কর্মরত বাদল। তিনি বলেন, ‘ভাঙা পায়ের প্লাস্টার কাটার জন্য দুই দিন ধরে ঘুরছি। কিন্তু ডাক্তার নাই, তাই বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফলে ফিরে যাচ্ছি।’ রাজাপুরের আ. রহমান মানসিক রোগী।
১৮ আগস্ট ২০২৫
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে এসে মারা যাওয়া মো. নিরব হোসেন (৫৬) দৈনিক জনকণ্ঠের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামে। রাজধানীর বড় মগবাজারে তিনি পরিবারসহ বসবাস করতেন।
১ ঘণ্টা আগে
ভিডিওতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে কথা বলার আগে কাজের বিলের ফাইল স্বাক্ষর করার সময় ৪৫ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে। এ ছাড়া নতুন করে আরও পাঁচ হাজার টাকা না দেওয়ায় গড়িমসি করতে থাকেন ওই প্রকৌশলী। একপর্যায়ে তাঁকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে পকেটে রাখতে দেখা যায়।
২ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কনকনে শীতের মধ্যে সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া দুই শিশুর পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাদের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলায়।
২ ঘণ্টা আগেবাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে এসে মারা যাওয়া মো. নিরব হোসেন (৫৬) দৈনিক জনকণ্ঠের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামে। রাজধানীর বড় মগবাজারে তিনি পরিবারসহ বসবাস করতেন। মৃতের বড় ভাই মো. বাহাদুর হোসেন আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বাহাদুর হোসেন জানান, খালেদা জিয়ার জানাজায় শরিক হতে নিরব হোসেন তাঁর এক বন্ধুকে নিয়ে রাজধানীর জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় যান। জানাজার সময় অতিরিক্ত মানুষের ভিড়ের চাপে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হলেও ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, কর্মজীবনে মো. নিরব হোসেন ১৯৯৮ সাল থেকে পাঁচ বছরের বেশি সময় দৈনিক জনকণ্ঠে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
চব্বিশের জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে নিরব হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছিলেন। পরে সরকারিভাবে চিকিৎসার জন্য তাঁকে থাইল্যান্ড পাঠানো হয় এবং চিকিৎসা শেষে সম্প্রতি তিনি দেশে ফিরে এসেছিলেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে এসে মারা যাওয়া মো. নিরব হোসেন (৫৬) দৈনিক জনকণ্ঠের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামে। রাজধানীর বড় মগবাজারে তিনি পরিবারসহ বসবাস করতেন। মৃতের বড় ভাই মো. বাহাদুর হোসেন আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বাহাদুর হোসেন জানান, খালেদা জিয়ার জানাজায় শরিক হতে নিরব হোসেন তাঁর এক বন্ধুকে নিয়ে রাজধানীর জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় যান। জানাজার সময় অতিরিক্ত মানুষের ভিড়ের চাপে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হলেও ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, কর্মজীবনে মো. নিরব হোসেন ১৯৯৮ সাল থেকে পাঁচ বছরের বেশি সময় দৈনিক জনকণ্ঠে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
চব্বিশের জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে নিরব হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছিলেন। পরে সরকারিভাবে চিকিৎসার জন্য তাঁকে থাইল্যান্ড পাঠানো হয় এবং চিকিৎসা শেষে সম্প্রতি তিনি দেশে ফিরে এসেছিলেন।

আজ সোমবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিট। জরুরি বিভাগ থেকে বের হয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছিলেন আরএফএলে কর্মরত বাদল। তিনি বলেন, ‘ভাঙা পায়ের প্লাস্টার কাটার জন্য দুই দিন ধরে ঘুরছি। কিন্তু ডাক্তার নাই, তাই বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফলে ফিরে যাচ্ছি।’ রাজাপুরের আ. রহমান মানসিক রোগী।
১৮ আগস্ট ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৪১ টাকা। তাঁর স্ত্রী মারিয়া আক্তারের সম্পদের পরিমাণ ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৮ টাকা। তাঁদের কোনো স্বর্ণালংকার নেই।
২৫ মিনিট আগে
ভিডিওতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে কথা বলার আগে কাজের বিলের ফাইল স্বাক্ষর করার সময় ৪৫ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে। এ ছাড়া নতুন করে আরও পাঁচ হাজার টাকা না দেওয়ায় গড়িমসি করতে থাকেন ওই প্রকৌশলী। একপর্যায়ে তাঁকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে পকেটে রাখতে দেখা যায়।
২ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কনকনে শীতের মধ্যে সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া দুই শিশুর পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাদের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলায়।
২ ঘণ্টা আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

‘আমি সই না করলে ইউএনও (ফাইলে) সই করবে না’—ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) প্রকৌশলী আব্দুল খালেকের কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে চাহিদামতো ঘুষের টাকা না পেয়ে ওই প্রকৌশলীকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে এমন কথা বলতে শোনা গেছে।
৩১ সেকেন্ডের ভিডিওটি গোপনে তাঁর কার্যালয় থেকে ধারণ করা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভিডিওটি প্রথম পোস্ট করা হয় স্থানীয় সাংবাদিক নিজাম নকিবের ‘নগদ খবর’ নামের ফেসবুক আইডি থেকে।
জানতে চাইলে নিজাম নকিব জানান, গত মঙ্গলবার এক ব্যক্তি তাঁকে ভিডিওটি পাঠিয়েছেন এবং এটি মঙ্গলবারে ধারণ করা বলে জানান তিনি। তবে ওই ব্যক্তি নিজের নাম ইমতিয়াজ আসিফ বললেও অন্য পরিচয় গোপন রাখেন।
ভিডিওতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে কথা বলার আগে কাজের বিলের ফাইল স্বাক্ষর করার সময় ৪৫ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে। এ ছাড়া নতুন করে আরও পাঁচ হাজার টাকা না দেওয়ায় গড়িমসি করতে থাকেন ওই প্রকৌশলী। একপর্যায়ে তাঁকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে পকেটে রাখতে দেখা যায়।

এ সময় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘স্যার, রাখেন এইটা স্যার, বিলের ফাইল ছাড়ার সময় ৪৫ হাজার টাকা নিলেনই আপনি আমার কাছ থেকে। রাখেন স্যার, তিন হাজার টাকা রাখেন, পাঁচ হাজার টাকা নাই।’
পরে প্রকৌশলী আব্দুল খালেক বলেন, ‘আমি সই করব, তারপর ইউএনও সই করবে। আমি সই না করলে ইউএনও (ফাইলে) সই করবে না।’
ভিডিওটির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকৌশলী আব্দুল খালেক মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এক বদমাশ ভিডিওটি করেছে। আমি তাকে চিনিও না, জানিও না। আন্দাজে কী কয় কী হয়, যা পারে করুক। এগুলো নিয়ে এখন আর কিছু বলার নেই।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহরাজ শারবীন বলেন, ‘ভিডিওটি পূর্বের, আমি দেখেছি। এ ছাড়া আমি নতুন এসেছি। এসব বিষয়ে তাদের ডিপার্টমেন্ট (এলজিইডি) থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

‘আমি সই না করলে ইউএনও (ফাইলে) সই করবে না’—ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) প্রকৌশলী আব্দুল খালেকের কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে চাহিদামতো ঘুষের টাকা না পেয়ে ওই প্রকৌশলীকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে এমন কথা বলতে শোনা গেছে।
৩১ সেকেন্ডের ভিডিওটি গোপনে তাঁর কার্যালয় থেকে ধারণ করা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভিডিওটি প্রথম পোস্ট করা হয় স্থানীয় সাংবাদিক নিজাম নকিবের ‘নগদ খবর’ নামের ফেসবুক আইডি থেকে।
জানতে চাইলে নিজাম নকিব জানান, গত মঙ্গলবার এক ব্যক্তি তাঁকে ভিডিওটি পাঠিয়েছেন এবং এটি মঙ্গলবারে ধারণ করা বলে জানান তিনি। তবে ওই ব্যক্তি নিজের নাম ইমতিয়াজ আসিফ বললেও অন্য পরিচয় গোপন রাখেন।
ভিডিওতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে কথা বলার আগে কাজের বিলের ফাইল স্বাক্ষর করার সময় ৪৫ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে। এ ছাড়া নতুন করে আরও পাঁচ হাজার টাকা না দেওয়ায় গড়িমসি করতে থাকেন ওই প্রকৌশলী। একপর্যায়ে তাঁকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে পকেটে রাখতে দেখা যায়।

এ সময় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘স্যার, রাখেন এইটা স্যার, বিলের ফাইল ছাড়ার সময় ৪৫ হাজার টাকা নিলেনই আপনি আমার কাছ থেকে। রাখেন স্যার, তিন হাজার টাকা রাখেন, পাঁচ হাজার টাকা নাই।’
পরে প্রকৌশলী আব্দুল খালেক বলেন, ‘আমি সই করব, তারপর ইউএনও সই করবে। আমি সই না করলে ইউএনও (ফাইলে) সই করবে না।’
ভিডিওটির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকৌশলী আব্দুল খালেক মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এক বদমাশ ভিডিওটি করেছে। আমি তাকে চিনিও না, জানিও না। আন্দাজে কী কয় কী হয়, যা পারে করুক। এগুলো নিয়ে এখন আর কিছু বলার নেই।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহরাজ শারবীন বলেন, ‘ভিডিওটি পূর্বের, আমি দেখেছি। এ ছাড়া আমি নতুন এসেছি। এসব বিষয়ে তাদের ডিপার্টমেন্ট (এলজিইডি) থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আজ সোমবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিট। জরুরি বিভাগ থেকে বের হয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছিলেন আরএফএলে কর্মরত বাদল। তিনি বলেন, ‘ভাঙা পায়ের প্লাস্টার কাটার জন্য দুই দিন ধরে ঘুরছি। কিন্তু ডাক্তার নাই, তাই বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফলে ফিরে যাচ্ছি।’ রাজাপুরের আ. রহমান মানসিক রোগী।
১৮ আগস্ট ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৪১ টাকা। তাঁর স্ত্রী মারিয়া আক্তারের সম্পদের পরিমাণ ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৮ টাকা। তাঁদের কোনো স্বর্ণালংকার নেই।
২৫ মিনিট আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে এসে মারা যাওয়া মো. নিরব হোসেন (৫৬) দৈনিক জনকণ্ঠের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামে। রাজধানীর বড় মগবাজারে তিনি পরিবারসহ বসবাস করতেন।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কনকনে শীতের মধ্যে সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া দুই শিশুর পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাদের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলায়।
২ ঘণ্টা আগেকর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কনকনে শীতের মধ্যে সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া দুই শিশুর পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাদের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলায়। আজ বুধবার দুপুরে খোরশেদ আলম নামের এক ব্যক্তি নিজেকে ওই শিশুদের বাবা দাবি করে আনোয়ারার ইউএনও ও থানার ওসির সঙ্গে দেখা করেন। এ ছাড়া আদালতের নির্দেশে দুই শিশুর বাবা ও মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছে প্রশাসন।
এর আগে গত রোববার সন্ধ্যায় আনোয়ারা উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের মাজারগেট এলাকা থেকে আয়শা (৪) ও মোরশেদ (২) নামের শিশু দুটিকে উদ্ধার করে নিজের হেফাজতে রাখেন সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক মহিম উদ্দিন। গত সোমবার সারা দিন আনোয়ারা থানা ও উপজেলা প্রশাসন ওই শিশুদের পরিবার ও অভিভাবকদের তথ্য পেতে চেষ্টা করে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ওই দুই শিশুকে নিয়ে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের কাছে যান আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার। জেলা প্রশাসক তাদের চিকিৎসা ও যাবতীয় খরচের দায়িত্ব নেন। পরে দুই শিশুর মধ্যে আয়শাকে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের জিম্মায় তুলে দেওয়া হয়। গুরুতর অসুস্থ মোরশেদকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আজ দুপুরে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন শিশুদের বাবা খোরশেদ। বর্তমানে তিনি পুলিশের হেফাজতে আছেন বলে নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুনায়েদ চৌধুরী।
পুলিশের হেফাজতে থাকা খোরশেদ আলমের বরাতে পুলিশ জানায়, খোরশেদ পেশায় একজন অটোরিকশাচালক। পাশাপাশি বাঁশখালীর একটি ভাঙারির দোকানেও কাজ করেন। খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলার মহামনি এলাকায় তাঁর বাড়ি। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বাঁশখালীর মিয়ার বাজার লস্করপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। তাঁর স্ত্রীর বাড়ি সাতকানিয়া। ৫-৬ মাস আগে তাঁর স্ত্রী দুই সন্তানকে নিয়ে ঘর থেকে পালিয়ে যান। স্ত্রী তাঁর ছোট প্রতিবন্ধী শিশুটিকে দিয়ে ভিক্ষা করাতেন। এটা নিয়েও স্বামী-স্ত্রীর একাধিকবার ঝগড়া হয়েছিল।
এদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে শিশু দুটিকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি আমলে নিয়ে আজ চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাখাওয়াত হোসেন আনোয়ারা থানাকে মামলা নেওয়ার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে আনোয়ারা থানার শিশুবিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তা শিশু আইন-২০১৩-এর বিধান অনুযায়ী কী ব্যবস্থা নিয়েছেন, সে সম্পর্কে ৫ জানুয়ারির মধ্যে লিখিত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আদালতের আদেশ পাওয়ার কথা স্বীকার করে আনোয়ারা থানার ওসি মো. জুনায়েত চৌধুরী বলেন, ‘আমরা শিশুদের বাবার খোঁজ পেয়েছি। বিস্তারিত জানার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘আদালত জানতে চেয়েছেন শিশুদের ব্যাপারে আমরা কী কী পদক্ষেপ নিয়েছি।’
ইউএনও তাহমিনা আক্তার বলেন, সড়কের পাশে পাওয়া দুই শিশুর দায়িত্ব নিয়েছেন জেলা প্রশাসক। তাদের একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং বড় শিশুকে আশ্রয়দানকারী মহিম উদ্দিনের হেফাজতে রাখা হয়। তিনি বলেন, আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামলা নেওয়ার নির্দেশ দেন এবং প্রশাসন স্বামী-স্ত্রী দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করছে।

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কনকনে শীতের মধ্যে সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া দুই শিশুর পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাদের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলায়। আজ বুধবার দুপুরে খোরশেদ আলম নামের এক ব্যক্তি নিজেকে ওই শিশুদের বাবা দাবি করে আনোয়ারার ইউএনও ও থানার ওসির সঙ্গে দেখা করেন। এ ছাড়া আদালতের নির্দেশে দুই শিশুর বাবা ও মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছে প্রশাসন।
এর আগে গত রোববার সন্ধ্যায় আনোয়ারা উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের মাজারগেট এলাকা থেকে আয়শা (৪) ও মোরশেদ (২) নামের শিশু দুটিকে উদ্ধার করে নিজের হেফাজতে রাখেন সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক মহিম উদ্দিন। গত সোমবার সারা দিন আনোয়ারা থানা ও উপজেলা প্রশাসন ওই শিশুদের পরিবার ও অভিভাবকদের তথ্য পেতে চেষ্টা করে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ওই দুই শিশুকে নিয়ে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের কাছে যান আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার। জেলা প্রশাসক তাদের চিকিৎসা ও যাবতীয় খরচের দায়িত্ব নেন। পরে দুই শিশুর মধ্যে আয়শাকে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের জিম্মায় তুলে দেওয়া হয়। গুরুতর অসুস্থ মোরশেদকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আজ দুপুরে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন শিশুদের বাবা খোরশেদ। বর্তমানে তিনি পুলিশের হেফাজতে আছেন বলে নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুনায়েদ চৌধুরী।
পুলিশের হেফাজতে থাকা খোরশেদ আলমের বরাতে পুলিশ জানায়, খোরশেদ পেশায় একজন অটোরিকশাচালক। পাশাপাশি বাঁশখালীর একটি ভাঙারির দোকানেও কাজ করেন। খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলার মহামনি এলাকায় তাঁর বাড়ি। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বাঁশখালীর মিয়ার বাজার লস্করপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। তাঁর স্ত্রীর বাড়ি সাতকানিয়া। ৫-৬ মাস আগে তাঁর স্ত্রী দুই সন্তানকে নিয়ে ঘর থেকে পালিয়ে যান। স্ত্রী তাঁর ছোট প্রতিবন্ধী শিশুটিকে দিয়ে ভিক্ষা করাতেন। এটা নিয়েও স্বামী-স্ত্রীর একাধিকবার ঝগড়া হয়েছিল।
এদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে শিশু দুটিকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি আমলে নিয়ে আজ চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাখাওয়াত হোসেন আনোয়ারা থানাকে মামলা নেওয়ার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে আনোয়ারা থানার শিশুবিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তা শিশু আইন-২০১৩-এর বিধান অনুযায়ী কী ব্যবস্থা নিয়েছেন, সে সম্পর্কে ৫ জানুয়ারির মধ্যে লিখিত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আদালতের আদেশ পাওয়ার কথা স্বীকার করে আনোয়ারা থানার ওসি মো. জুনায়েত চৌধুরী বলেন, ‘আমরা শিশুদের বাবার খোঁজ পেয়েছি। বিস্তারিত জানার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘আদালত জানতে চেয়েছেন শিশুদের ব্যাপারে আমরা কী কী পদক্ষেপ নিয়েছি।’
ইউএনও তাহমিনা আক্তার বলেন, সড়কের পাশে পাওয়া দুই শিশুর দায়িত্ব নিয়েছেন জেলা প্রশাসক। তাদের একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং বড় শিশুকে আশ্রয়দানকারী মহিম উদ্দিনের হেফাজতে রাখা হয়। তিনি বলেন, আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামলা নেওয়ার নির্দেশ দেন এবং প্রশাসন স্বামী-স্ত্রী দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করছে।

আজ সোমবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিট। জরুরি বিভাগ থেকে বের হয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছিলেন আরএফএলে কর্মরত বাদল। তিনি বলেন, ‘ভাঙা পায়ের প্লাস্টার কাটার জন্য দুই দিন ধরে ঘুরছি। কিন্তু ডাক্তার নাই, তাই বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফলে ফিরে যাচ্ছি।’ রাজাপুরের আ. রহমান মানসিক রোগী।
১৮ আগস্ট ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৪১ টাকা। তাঁর স্ত্রী মারিয়া আক্তারের সম্পদের পরিমাণ ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৮ টাকা। তাঁদের কোনো স্বর্ণালংকার নেই।
২৫ মিনিট আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে এসে মারা যাওয়া মো. নিরব হোসেন (৫৬) দৈনিক জনকণ্ঠের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামে। রাজধানীর বড় মগবাজারে তিনি পরিবারসহ বসবাস করতেন।
১ ঘণ্টা আগে
ভিডিওতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে কথা বলার আগে কাজের বিলের ফাইল স্বাক্ষর করার সময় ৪৫ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে। এ ছাড়া নতুন করে আরও পাঁচ হাজার টাকা না দেওয়ায় গড়িমসি করতে থাকেন ওই প্রকৌশলী। একপর্যায়ে তাঁকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে পকেটে রাখতে দেখা যায়।
২ ঘণ্টা আগে