বরগুনা প্রতিনিধি
বরগুনায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা প্রতিদিন বেড়ে যাচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার বরগুনা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৭ জন নতুন আক্রান্ত রোগী জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে বরগুনা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালেই ভর্তি হয়েছে ৫৮ জন রোগী। অন্যরা জেলার বিভিন্ন উপজেলা হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিচ্ছে। বর্তমানে জেলায় ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছে ২৬১ জন।
গত জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত জেলায় মোট ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬০৮ জন।
গতকাল বুধবার এক দিনে বরগুনা হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে দুজন। মৃত ব্যক্তিরা হলেন সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের চরপাড়া এলাকার বাসিন্দা চান মিয়া (৭৫) এবং বরগুনা পৌরসভার থানাপাড়া এলাকার বাসিন্দা গোসাই দাস (৭০)। এর আগে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিভিন্ন সময়ে আরও তিন নারীর মৃত্যু হয়।
এ নিয়ে এ জেলায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৯ জন। এর মধ্যে বরগুনা হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা গেছে পাঁচজন, চারজন এখানে ভর্তি হওয়ার পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরগুনার বাইরে মারা যায়।
এদিকে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় বরগুনা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে শয্যার সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে। হাসপাতালের মেঝেতে বিছানা করে থাকতে হচ্ছে অনেককে। এ ছাড়া অভিযোগ উঠেছে, পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও স্যালাইনের সংকটে ব্যাহত হচ্ছে ডেঙ্গু আক্রান্তদের সুচিকিৎসা। হাসপাতালে পর্যাপ্ত কিটের অভাবে রোগীদের বাইরের ক্লিনিক থেকে রক্ত পরীক্ষা করতে হয়।
আজ সরেজমিনে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে দেখা গেছে, বাইরের বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকের প্রতিনিধিরা রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট রোগীদের মধ্যে বিতরণ করছেন।
বরগুনায় বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) তাজকিয়া সিদ্দিকাহ বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে রোগী আসে, আমরা চিকিৎসা দিই। ডেঙ্গু হাসপাতালে তৈরি হয় না। যার যার বাসার আশপাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে আর জমা পানি না থাকলে ডেঙ্গু বরগুনায় এতটা বিস্তার লাভ করত বলে মনে হয় না। সামাজিকভাবে সবারই দায়িত্ব আছে ডেঙ্গুটাকে নিয়ন্ত্রণ করার। আর আমরা চিকিৎসার কাজটা চালিয়ে যাচ্ছি।’
এ চিকিৎসক আরও বলেন, ‘ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বরগুনায় লিমিট ক্রস করে গেছে। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি। এ ক্ষেত্রে জনবল সংকট তো সব সময় বরগুনা হাসপাতালে থাকেই, এখনো আছে। স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্র চিকিৎসকের পাশাপাশি আরও যারা জড়িত, তাদেরও ব্যাপক সংকট আছে বিধায় বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে আমাদের যথেষ্ট কষ্ট হচ্ছে।’
বরগুনায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা প্রতিদিন বেড়ে যাচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার বরগুনা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৭ জন নতুন আক্রান্ত রোগী জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে বরগুনা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালেই ভর্তি হয়েছে ৫৮ জন রোগী। অন্যরা জেলার বিভিন্ন উপজেলা হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিচ্ছে। বর্তমানে জেলায় ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছে ২৬১ জন।
গত জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত জেলায় মোট ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬০৮ জন।
গতকাল বুধবার এক দিনে বরগুনা হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে দুজন। মৃত ব্যক্তিরা হলেন সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের চরপাড়া এলাকার বাসিন্দা চান মিয়া (৭৫) এবং বরগুনা পৌরসভার থানাপাড়া এলাকার বাসিন্দা গোসাই দাস (৭০)। এর আগে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিভিন্ন সময়ে আরও তিন নারীর মৃত্যু হয়।
এ নিয়ে এ জেলায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৯ জন। এর মধ্যে বরগুনা হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা গেছে পাঁচজন, চারজন এখানে ভর্তি হওয়ার পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরগুনার বাইরে মারা যায়।
এদিকে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় বরগুনা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে শয্যার সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে। হাসপাতালের মেঝেতে বিছানা করে থাকতে হচ্ছে অনেককে। এ ছাড়া অভিযোগ উঠেছে, পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও স্যালাইনের সংকটে ব্যাহত হচ্ছে ডেঙ্গু আক্রান্তদের সুচিকিৎসা। হাসপাতালে পর্যাপ্ত কিটের অভাবে রোগীদের বাইরের ক্লিনিক থেকে রক্ত পরীক্ষা করতে হয়।
আজ সরেজমিনে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে দেখা গেছে, বাইরের বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকের প্রতিনিধিরা রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট রোগীদের মধ্যে বিতরণ করছেন।
বরগুনায় বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) তাজকিয়া সিদ্দিকাহ বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে রোগী আসে, আমরা চিকিৎসা দিই। ডেঙ্গু হাসপাতালে তৈরি হয় না। যার যার বাসার আশপাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে আর জমা পানি না থাকলে ডেঙ্গু বরগুনায় এতটা বিস্তার লাভ করত বলে মনে হয় না। সামাজিকভাবে সবারই দায়িত্ব আছে ডেঙ্গুটাকে নিয়ন্ত্রণ করার। আর আমরা চিকিৎসার কাজটা চালিয়ে যাচ্ছি।’
এ চিকিৎসক আরও বলেন, ‘ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বরগুনায় লিমিট ক্রস করে গেছে। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি। এ ক্ষেত্রে জনবল সংকট তো সব সময় বরগুনা হাসপাতালে থাকেই, এখনো আছে। স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্র চিকিৎসকের পাশাপাশি আরও যারা জড়িত, তাদেরও ব্যাপক সংকট আছে বিধায় বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে আমাদের যথেষ্ট কষ্ট হচ্ছে।’
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর ডিসি রদবদল হলে সেই উদ্ধার করা জায়গা আরেক দখলদারের
৪ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
৪ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
৪ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
৪ ঘণ্টা আগে