Ajker Patrika

বাউফলে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নৌকা-ঘোড়া প্রতীক সমর্থকদের সংঘর্ষ   

বাউফলে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নৌকা-ঘোড়া প্রতীক সমর্থকদের সংঘর্ষ   

পটুয়াখালীর বাউফলের নওমালায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী কামাল হোসেন বিশ্বাস এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান শাহাজাদা হাওলাদারের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ফের সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার দুপুরে নওমালা ইউনিয়নের নগরের হাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ ফাঁকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। 
 
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা ১১টার দিকে আওয়ামী লীগের কয়েক নেতা-কর্মী ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইয়াছিন ডাক্তার বাড়িতে গণসংযোগ করতে যান। তখন ঘোড়া পক্ষের কর্মী সমর্থকেরা তাঁদের বাধা দেয় এবং লাঞ্ছিত করেন। এরই জেরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরের হাট এলাকায় নৌকার নেতা–কর্মীরা ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী শাহজাদার বাড়িতে হামলা করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়েন। 

নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কামাল হোসেন বিশ্বাস বলেন, আমাদের গণসংযোগে বারবার বাধা দেওয়া হচ্ছে। নৌকার নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। ঘোড়ার কর্মী মিজান আমাদের নেতা–কর্মীদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়েন। তবে শাহজাদার হাওলাদারের বাড়িতে হামলার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী শাহাজাদা হাওলাদার বলেন, নগরের হাট বাসভবনে ও দোকানে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী কামাল হোসেনের নেতা–কর্মীরা হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেন। আমার কর্মীরা কোনো গুলি করেনি। কারও কোনো গণসংযোগে বাধা দেওয়া হয়নি। 
 
এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল মামুন সংঘর্ষ ও গুলি ছোড়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সময় তিন-চার রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছে। যারা গুলি ছুড়েছে তাঁদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। 

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরও বলেন, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। 

উল্লেখ্য, এর আগে গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নওমালা কলেজ সড়কের সাহা গাজীর বাড়ির সামনে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। ওই সময় শাহাজাদা হাওলাদারের কর্মী মো. সজীব (২০) কামাল হোসেনের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাঁর শরীর থেকে গুলি বের করা হয়। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত