Ajker Patrika

হেলিকপ্টারের আদলে ভ্রাম্যমাণ রেস্তোরাঁ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
হেলিকপ্টারের আদলে ভ্রাম্যমাণ রেস্তোরাঁ

মাঠের মধ্যে ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে একটি হেলিকপ্টার। এটি দেখতে দূর-দুরান্ত থেকে ভিড় করছেন বিনোদন প্রেমীরা। কেউ ঘুরে দেখছেন হেলিকপ্টারটি কেউবা তুলছেন ছবি। ভেতরে ঢুকতেই অবাক হবেন যেকেউ। কারণ এটি আকাশচারী কোনো যান নয়, হেলিকপ্টারের আদলে তৈরি ভ্রাম্যমাণ রেস্তোরাঁ। 

ব্যতিক্রম এই রেস্তোরাঁ চালু হয়েছে পটুয়াখালীতে। আর রেস্তোরাঁটি উদ্বোধনের খবর ছড়িয়ে পড়তেই শত শত নারী-পুরুষ ও শিশু-কিশোর ছুটে আসেন। ভিন্ন ধরনের রেস্তোরাঁয় বসে খাবার খেতে ভিড় করছেন। 

ভ্রাম্যমাণ এ রেস্তোরাঁ ভেতরে চলাচল করা যাবে স্বাচ্ছন্দ্যে। রয়েছে আরামদায়ক আসনও। ২৬৫ রকমের খাবার পাওয়া যাবে। এমনকি স্থানান্তর করা যাবে অনায়াসে, দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে আমন্ত্রণ জানালে সেখানে পৌঁছে যাবে রেস্তোরাঁটি। 

গতকাল শনিবার বিকেল ৫টায় শহরের ঝাউতলা এলাকায় হেলিকপ্টার রেস্তোরাঁটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. হাফিজুর রহমান ও পৌর মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ। হেলিকপ্টারটি তৈরি করেন পটুয়াখালী সদর উপজেলার ছোট বিঘাই ইউনিয়নের কাজীর হাট এলাকার ওয়ার্কশপ মেকানিক মো. মেহেদী হাসানসহ তাঁর তিন বন্ধু। 

অভাবের সংসারে মেহেদীর লেখাপড়া করা সম্ভব হয়নি। সংসারে ঘানি টানতে একটি ওয়ার্কশপে কাজ শুরু করেন এবং তখন থেকেই ভিন্ন কিছু করার চিন্তা করেন সে। একপর্যায়ে বানিয়ে ফেলেন এ হেলিকপ্টারটি। 

হেলিকপ্টার নির্মাতা মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘বানাতে চেয়েছিলাম প্লেন। কিন্তু এতে খরচ বেশি হওয়ায় হেলিকপ্টার বানাই। অর্থ অভাবের কারণে আরিফুল ইসলাম ও আল-আমিনসহ আমরা তিন বন্ধু মিলে নির্মাণকাজ সম্পন্ন করি। হেলিকপ্টারের ভেতরে রেস্তোরাঁ বানিয়ে সারা বাংলাদেশ ঘোরার পরিকল্পনা করি এবং সে লক্ষ্যেই এ রেস্তোরাঁটি করেছি।’ 

হেলিকপ্টার ২, রেস্তোরাঁর ভেতরের অংশহেলিকপ্টার রেস্তোরাঁর উদ্যাক্তা মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা তিনটি হেলিকপ্টারটি তৈরি করেছি। পরে ভাবলাম, পটুয়াখালী শহরে অনেক উন্নয়ন হয়েছে এবং সেখানেই এ হেলিকপ্টারটি নিয়ে রেস্তোরাঁ করি এবং তাই করেছি। এতে মানুষ বিনোদন পাবেন।’ 

পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, এটি একটি সুন্দর ও ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। এ ধরণের রেস্তোরাঁ এক দিকে শহরবাসিকে বিনোদন দিবে, অন্যদিকে প্রিয়জনদের নিয়ে আরামধায়ক খাবার খেতে পারবেন। তা ছাড়া হেলিকপ্টারে বাসার যে অনুভূতি তা এখানে পাবেন। এতে মানুষের মধ্যে আরও উৎসাহ সৃষ্টি হবে। তাই মানুষের চাহিদা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। 

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘এ ভ্রাম্যমাণ হেলিকপ্টারটি সারা বাংলাদেশ ঘুরবে। এতে আমাদের জেলার নাম ও সুনাম ছড়িয়ে পড়বে সর্বত্র। খাবারের মান ভালো করতে পারলে এদের অগ্রযাত্রা দীর্ঘস্থায়ী হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে ধর্ষণ করলেন ছাত্রদল নেতা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত