রুদ্র রুহান, বরগুনা

ভূমি অফিসের কথা শুনতেই বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের আজাদুল ইসলাম বলে ওঠেন, ‘ওরে বাপরে ভূমি অফিস! ওহানে তো ঘুষ ছাড়া কোনো কামই অয়না।’ গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গিয়েছিলেন জমির দাখিলার জন্য। কিন্তু সেখানের এক কর্মচারীর ঘুষের শিকার হতে হয়েছে তাঁকে।
আজাদুল ইসলাম বলেন, ‘মুই একটা দাহিলা (দাখিলা) আনতে ভূমি অফিসে গেছালাম। তহশিলদারের সহকারী পঙ্কজ চন্দ্র মোরে কয় জমি নদী সিকস্তিতে গ্যাছে। জরিপ কইরা হেইয়ার পর দাহিলা দেওন যাইবে। হেরপর মোরো আড়ালে ডাইক্কা কয় ৫ হাজার টাহা দেলে দাহিলা দেতে পারমু। পরে টাহা গুছাইয়া লইয়া গেছি পর মোরে দাহিলা কাইট্টা দেছে। দাহিলায় ল্যাকছে ৫০০ টাহা।’
জেলা রাজস্ব বিভাগের তথ্য মতে, বরগুনা জেলায় মোট ২৪টি ইউনিয়ন ভূমি অফিস, পাঁচটি উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার অফিস, ও জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয় রয়েছে।
সরেজমিন অনুসন্ধান ও ভুক্তভোগীদের দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে শুরু করে উপজেলা ও জেলা সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয় পর্যন্ত কোনো কাজে গেলে ঘুষ ছাড়া সে কাজ হয় না। বরং পর্যায়ক্রমে টাকার অঙ্ক বাড়তে থাকে। তৃণমূল পর্যায়ে ভূমি সংক্রান্ত সেবা পেতে প্রথমেই ইউনিয়ন ভূমি অফিসে দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন তহশিলদারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের বাসিন্দাদের বেশির ভাগই সাধারণত জমির খাজনা দিয়ে দাখিলা নিতে আসেন। এ ছাড়া জমি জমা সংক্রান্ত সাধারণ তথ্য খোঁজ করতে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যোগাযোগ করেন। আর এখানে এসেই প্রথম বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়, ঘুষ না দিয়ে কেউই কোনো সেবা পান না এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
বরগুনা সদর ইউনিয়নে হেউলীবুনিয়া এলাকার আবদুস সত্তার গত সোমবার সকালে দাখিলার জন্য গিয়েছিলেন। নিয়মানুযায়ী জমির খাজনা দিতে চাইলেও তার কাছে ১০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। অগত্যা বাধ্য হয়ে আট হাজার টাকায় তিনি দাখিলা কাটেন আর দাখিলায় খাজনা জমা দেখানো হয় মাত্র ২২০ টাকা। এ বিষয়ে সাত্তার বলেন, ‘এখানে অতিরিক্ত টাকা বা ঘুষ না দিয়ে কাজ আদায় করতে পেরেছে এমন ভাগ্যবান ব্যক্তির কথা আমার জানা নেই। প্রত্যেক এলাকায় ভূমি অফিসের নির্দিষ্ট দালাল আছে। এই দালালদের মাধ্যমে সব কাজ করতে হয়। নয়তো আপনাকে চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হবে।’
একই অবস্থার কথা জানিয়েছেন বরগুনার ২৪টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভুক্তভোগী সেবা গ্রহীতারা। ইউনিয়ন ভূমি অফিসে দাখিলা, দাগ-খতিয়ান ও মিউটেশনের তথ্য সরবরাহে ঘুষ না দিলে ঘুরতে হয় দিনের পর দিন। অবশেষে ধার্যকৃত টাকা দিয়ে কাজ সম্পন্ন করতে হয়। রোববার সরেজমিনে বরগুনা সদরের ফুলঝুড়ি ভূমি অফিসে গেলে দেখা যায়, ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ রশিদে শাহজাহান বিশ্বাসের দাখিলায় ৮৮ টাকা লেখা। কিন্তু রাখা হয়েছে ১০০ টাকা। এর আগে সোমবার তারাবানু, রুনু, মাজেদা ও ফারুক প্রত্যেকের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে মোট ৮০০ টাকা রাখা হয়েছে। অথচ, দাখিলা রশিদে ২০ টাকা।
দাখিলা কাটতে আসা ফুলঝুড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. রফিক হাওলাদার বলেন, অনেক আগে থেকেই এখানে ঘুষ বাণিজ্য চলে। আমরা যদি প্রতিবাদ করি তাহলে কোনো কাজ হয় না। তাই ঘুষ দিয়েই কাজ করি।
এ তো গেল ইউনিয়ন ভূমি অফিসের গল্প। উপজেলা থেকে জেলা যেখানে যাবেন ঘুষ দিতেই হবে। আর ধাপে ধাপে বাড়বে ঘুষের টাকার পরিমাণ। গত রোববার দুপুরে বরগুনা সদর উপজেলার ভূমি অফিসের সামনে অপেক্ষমাণ কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ে কোনো কাজের জন্য আসলে অগ্রিম ঘুষ দিতে হয়। আর ঘুষ দিলেই কেবল বালামে হাত দেন সংশ্লিষ্টরা। আর না দিলে নানা বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়।
এমন বিড়ম্বনার শিকার হওয়া কয়েকজনের সঙ্গে রোববার দুপুরে সদর উপজেলা সাবরেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের সামনে কথা হয়। সদরের এম বালিয়াতলীর তালতলী এলাকার কৃষক সেন্টু মিয়া বরগুনা সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ে এসেছেন নষ্ট হয়ে যাওয়া জমির দলিল ওঠানোর জন্য। তার কাছ থেকে দুই হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন অফিসের একজন সহকারী রেকর্ড কিপার। সদর উপজেলার রায়ভোগ এলাকার ইউনুস মিয়াও এসেছেন দলিল খুঁজতে। তাঁর কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছেন এই অফিসের একজন কর্মচারী। ইউনুস বলেন, ‘এখানে পিয়ন–ঝাড়ুদার থেকে শুরু করে সবাই সুযোগ পেলে ঘুষ নেন। আমরা এখানে এসে টাকা ছাড়া কোনো কাজই করতে পারি না। টাকা দিলেই কেবল বালামে হাত দেয়, না দিলে কোনো কাজ হয় না।’
পাথরঘাটা উপজেলা সাবরেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের সামনে কথা হয় রেজাউল কবির নামের কালমেঘা ইউনিয়নের এক বাসিন্দার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এখানে কিছু দলিল লেখকদের সঙ্গে যোগসাজশে অফিসের কর্মকর্তারা ঘুষ নিয়ে থাকেন। দলিলের সরকারি সব খরচার বাইরেও অফিস খরচার নামে ৫ থেকে ২০ হাজার পর্যন্ত ঘুষ নেওয়া হয়। জেলার ছয়টি উপজেলার মধ্যে আমতলীতে কৃষিজমির পরিমাণ বেশি।’
ভূমিখাতে সবচেয়ে বেশি ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ বরগুনার আমতলী উপজেলায়। আমতলীর আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা আফজাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখানে ঘুষ দিয়ে জাল দলিল থেকে শুরু করে সব কাজ করানো সম্ভব। আর ঘুষ না দিয়ে কেউ কোনো কাজ করতেই পারবে না। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, এখানে এসে কেউ ঘুষ না দিয়ে কাজ করাতে পেরেছে বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবে এমন কেউ নেই। একইরকম চিত্র জেলার বাকি তিনটি সাবরেজিস্ট্রারের কার্যালয়েরও।’
এ ছাড়া জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের চিত্র ঠিক এমনই। শুধুমাত্র পার্থক্য ঘুষের অঙ্কের। সরকারি ফির ধার ধারার সময় নেই কারওই। দলিল রেকর্ড করতে আসলে মোক্তাররা আগেই চুক্তি করে অফিস খরচা বাবদ টাকা রেখে দেয়। দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা সংক্রান্ত সিভিল মামলা পরিচালনা করে আসছেন এমন কয়েকজন আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দলিল করার ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে সরকারি খরচার বাইরে মোক্তারদের মাধ্যমে অফিস খরচা বাবদ দুই থেকে ২৫ হাজার পর্যন্ত ঘুষ নেওয়া হয়। সম্প্রতি দলিল করেছেন এমন কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে আইনজীবীর দাবির মিল রয়েছে।
জাকির হোসেন নামের বেতাগী উপজেলার একজন বাসিন্দা বলেন, ‘আমি একজন মোক্তারের মাধ্যমে দলিলের কাজ করিয়েছি। আমার তিনটি দলিলে অতিরিক্ত ১৫ হাজার টাকা দিতে হয়েছে।’
বরগুনার জেলা প্রশাসক (ভূমি) পীযূষ কান্তির সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘আমরা তৃণমূল থেকে শুরু করে উপজেলা ও জেলায় সেবা নিতে আসা নাগরিকেরা যাতে ভোগান্তি ও বিড়ম্বনার শিকার না হয় সে জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। ভূমি অফিসের কোনো কর্মকর্তা কর্মচারী বিরুদ্ধে ঘুষ বাবদ অর্থ নেওয়ার কোনো অভিযোগ থাকলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমরা বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেব।’

ভূমি অফিসের কথা শুনতেই বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের আজাদুল ইসলাম বলে ওঠেন, ‘ওরে বাপরে ভূমি অফিস! ওহানে তো ঘুষ ছাড়া কোনো কামই অয়না।’ গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গিয়েছিলেন জমির দাখিলার জন্য। কিন্তু সেখানের এক কর্মচারীর ঘুষের শিকার হতে হয়েছে তাঁকে।
আজাদুল ইসলাম বলেন, ‘মুই একটা দাহিলা (দাখিলা) আনতে ভূমি অফিসে গেছালাম। তহশিলদারের সহকারী পঙ্কজ চন্দ্র মোরে কয় জমি নদী সিকস্তিতে গ্যাছে। জরিপ কইরা হেইয়ার পর দাহিলা দেওন যাইবে। হেরপর মোরো আড়ালে ডাইক্কা কয় ৫ হাজার টাহা দেলে দাহিলা দেতে পারমু। পরে টাহা গুছাইয়া লইয়া গেছি পর মোরে দাহিলা কাইট্টা দেছে। দাহিলায় ল্যাকছে ৫০০ টাহা।’
জেলা রাজস্ব বিভাগের তথ্য মতে, বরগুনা জেলায় মোট ২৪টি ইউনিয়ন ভূমি অফিস, পাঁচটি উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার অফিস, ও জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয় রয়েছে।
সরেজমিন অনুসন্ধান ও ভুক্তভোগীদের দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে শুরু করে উপজেলা ও জেলা সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয় পর্যন্ত কোনো কাজে গেলে ঘুষ ছাড়া সে কাজ হয় না। বরং পর্যায়ক্রমে টাকার অঙ্ক বাড়তে থাকে। তৃণমূল পর্যায়ে ভূমি সংক্রান্ত সেবা পেতে প্রথমেই ইউনিয়ন ভূমি অফিসে দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন তহশিলদারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের বাসিন্দাদের বেশির ভাগই সাধারণত জমির খাজনা দিয়ে দাখিলা নিতে আসেন। এ ছাড়া জমি জমা সংক্রান্ত সাধারণ তথ্য খোঁজ করতে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যোগাযোগ করেন। আর এখানে এসেই প্রথম বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়, ঘুষ না দিয়ে কেউই কোনো সেবা পান না এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
বরগুনা সদর ইউনিয়নে হেউলীবুনিয়া এলাকার আবদুস সত্তার গত সোমবার সকালে দাখিলার জন্য গিয়েছিলেন। নিয়মানুযায়ী জমির খাজনা দিতে চাইলেও তার কাছে ১০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। অগত্যা বাধ্য হয়ে আট হাজার টাকায় তিনি দাখিলা কাটেন আর দাখিলায় খাজনা জমা দেখানো হয় মাত্র ২২০ টাকা। এ বিষয়ে সাত্তার বলেন, ‘এখানে অতিরিক্ত টাকা বা ঘুষ না দিয়ে কাজ আদায় করতে পেরেছে এমন ভাগ্যবান ব্যক্তির কথা আমার জানা নেই। প্রত্যেক এলাকায় ভূমি অফিসের নির্দিষ্ট দালাল আছে। এই দালালদের মাধ্যমে সব কাজ করতে হয়। নয়তো আপনাকে চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হবে।’
একই অবস্থার কথা জানিয়েছেন বরগুনার ২৪টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভুক্তভোগী সেবা গ্রহীতারা। ইউনিয়ন ভূমি অফিসে দাখিলা, দাগ-খতিয়ান ও মিউটেশনের তথ্য সরবরাহে ঘুষ না দিলে ঘুরতে হয় দিনের পর দিন। অবশেষে ধার্যকৃত টাকা দিয়ে কাজ সম্পন্ন করতে হয়। রোববার সরেজমিনে বরগুনা সদরের ফুলঝুড়ি ভূমি অফিসে গেলে দেখা যায়, ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ রশিদে শাহজাহান বিশ্বাসের দাখিলায় ৮৮ টাকা লেখা। কিন্তু রাখা হয়েছে ১০০ টাকা। এর আগে সোমবার তারাবানু, রুনু, মাজেদা ও ফারুক প্রত্যেকের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে মোট ৮০০ টাকা রাখা হয়েছে। অথচ, দাখিলা রশিদে ২০ টাকা।
দাখিলা কাটতে আসা ফুলঝুড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. রফিক হাওলাদার বলেন, অনেক আগে থেকেই এখানে ঘুষ বাণিজ্য চলে। আমরা যদি প্রতিবাদ করি তাহলে কোনো কাজ হয় না। তাই ঘুষ দিয়েই কাজ করি।
এ তো গেল ইউনিয়ন ভূমি অফিসের গল্প। উপজেলা থেকে জেলা যেখানে যাবেন ঘুষ দিতেই হবে। আর ধাপে ধাপে বাড়বে ঘুষের টাকার পরিমাণ। গত রোববার দুপুরে বরগুনা সদর উপজেলার ভূমি অফিসের সামনে অপেক্ষমাণ কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ে কোনো কাজের জন্য আসলে অগ্রিম ঘুষ দিতে হয়। আর ঘুষ দিলেই কেবল বালামে হাত দেন সংশ্লিষ্টরা। আর না দিলে নানা বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়।
এমন বিড়ম্বনার শিকার হওয়া কয়েকজনের সঙ্গে রোববার দুপুরে সদর উপজেলা সাবরেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের সামনে কথা হয়। সদরের এম বালিয়াতলীর তালতলী এলাকার কৃষক সেন্টু মিয়া বরগুনা সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ে এসেছেন নষ্ট হয়ে যাওয়া জমির দলিল ওঠানোর জন্য। তার কাছ থেকে দুই হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন অফিসের একজন সহকারী রেকর্ড কিপার। সদর উপজেলার রায়ভোগ এলাকার ইউনুস মিয়াও এসেছেন দলিল খুঁজতে। তাঁর কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছেন এই অফিসের একজন কর্মচারী। ইউনুস বলেন, ‘এখানে পিয়ন–ঝাড়ুদার থেকে শুরু করে সবাই সুযোগ পেলে ঘুষ নেন। আমরা এখানে এসে টাকা ছাড়া কোনো কাজই করতে পারি না। টাকা দিলেই কেবল বালামে হাত দেয়, না দিলে কোনো কাজ হয় না।’
পাথরঘাটা উপজেলা সাবরেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের সামনে কথা হয় রেজাউল কবির নামের কালমেঘা ইউনিয়নের এক বাসিন্দার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এখানে কিছু দলিল লেখকদের সঙ্গে যোগসাজশে অফিসের কর্মকর্তারা ঘুষ নিয়ে থাকেন। দলিলের সরকারি সব খরচার বাইরেও অফিস খরচার নামে ৫ থেকে ২০ হাজার পর্যন্ত ঘুষ নেওয়া হয়। জেলার ছয়টি উপজেলার মধ্যে আমতলীতে কৃষিজমির পরিমাণ বেশি।’
ভূমিখাতে সবচেয়ে বেশি ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ বরগুনার আমতলী উপজেলায়। আমতলীর আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা আফজাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখানে ঘুষ দিয়ে জাল দলিল থেকে শুরু করে সব কাজ করানো সম্ভব। আর ঘুষ না দিয়ে কেউ কোনো কাজ করতেই পারবে না। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, এখানে এসে কেউ ঘুষ না দিয়ে কাজ করাতে পেরেছে বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবে এমন কেউ নেই। একইরকম চিত্র জেলার বাকি তিনটি সাবরেজিস্ট্রারের কার্যালয়েরও।’
এ ছাড়া জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের চিত্র ঠিক এমনই। শুধুমাত্র পার্থক্য ঘুষের অঙ্কের। সরকারি ফির ধার ধারার সময় নেই কারওই। দলিল রেকর্ড করতে আসলে মোক্তাররা আগেই চুক্তি করে অফিস খরচা বাবদ টাকা রেখে দেয়। দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা সংক্রান্ত সিভিল মামলা পরিচালনা করে আসছেন এমন কয়েকজন আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দলিল করার ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে সরকারি খরচার বাইরে মোক্তারদের মাধ্যমে অফিস খরচা বাবদ দুই থেকে ২৫ হাজার পর্যন্ত ঘুষ নেওয়া হয়। সম্প্রতি দলিল করেছেন এমন কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে আইনজীবীর দাবির মিল রয়েছে।
জাকির হোসেন নামের বেতাগী উপজেলার একজন বাসিন্দা বলেন, ‘আমি একজন মোক্তারের মাধ্যমে দলিলের কাজ করিয়েছি। আমার তিনটি দলিলে অতিরিক্ত ১৫ হাজার টাকা দিতে হয়েছে।’
বরগুনার জেলা প্রশাসক (ভূমি) পীযূষ কান্তির সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘আমরা তৃণমূল থেকে শুরু করে উপজেলা ও জেলায় সেবা নিতে আসা নাগরিকেরা যাতে ভোগান্তি ও বিড়ম্বনার শিকার না হয় সে জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। ভূমি অফিসের কোনো কর্মকর্তা কর্মচারী বিরুদ্ধে ঘুষ বাবদ অর্থ নেওয়ার কোনো অভিযোগ থাকলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমরা বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেব।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) তহবিলের গত ২২ বছরে উপার্জিত অর্থের সুনির্দিষ্ট হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন সহসভাপতি (ভিপি) মোস্তাকুর রহমান জাহিদ। আজ বুধবার দুপুরে রাকসু ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও রাকসুর কোষাধ্যক্ষ ওই হিসাব দিতে পার
১ মিনিট আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, জামিনে মুক্তি পাওয়া আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা যদি কোনো অপরাধে জড়ান, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ, ১৯৭৬-এর ২৯ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।
১ ঘণ্টা আগে
মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের করড়া গ্রামে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন রাজন মিয়া ও শাপলা আক্তার দম্পতি। দাম্পত্য জীবনে পরকীয়া সন্দেহ ও পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। এর জেরে গত সোমবার রাতে রাজন মিয়া তাঁর স্ত্রী শাপলা আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
১ ঘণ্টা আগেরাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) তহবিলের গত ২২ বছরে উপার্জিত অর্থের সুনির্দিষ্ট হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন সহসভাপতি (ভিপি) মোস্তাকুর রহমান জাহিদ। আজ বুধবার দুপুরে রাকসু ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও রাকসুর কোষাধ্যক্ষ ওই হিসাব দিতে পারেনি।
মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ‘দীর্ঘ ৩৫ বছর পর রাকসু নির্বাচন হয়েছে। সবশেষ নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯০ সালে। প্রতিবছর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে রাকসুর তহবিলের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এত বছর ধরে এই টাকার একটি বিশাল অঙ্ক জমা হওয়ার কথা, কিন্তু তার কোনো স্পষ্ট হিসাব নেই। আমরা জানতে চাই, রাকসু ফান্ডে এখন আসলে কত টাকা আছে।’
রাকসুর ভিপি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে। এর আগে কে ভিসি (উপাচার্য) ছিলেন, কে কোষাধ্যক্ষ ছিলেন, তা আমাদের দেখার বিষয় না। ২০১৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত উপার্জিত অর্থের হিসাব দিতে পারলেও ১৯৯০-এর পর থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে উপার্জিত অর্থের কোনো হিসাব দিতে পারছে না প্রশাসন।’
ভিপি জাহিদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আস্থা রাখতে পূর্ণাঙ্গ আর্থিক প্রতিবেদন দেওয়া জরুরি। আমরা তহবিলের অর্থের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভর না থেকে বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও অন্যান্য উৎস থেকেও অর্থ সংগ্রহ করে কাজ করার পরিকল্পনা নিয়েছি।’
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রাকসুর সহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) এস এম সালমান সাব্বির। তিনি রাকসুর প্রথম অধিবেশনে আগামী এক মাসের কর্মসূচি উপস্থাপন করেন।
সেগুলো হলো রাকসু তহবিলের যথাযথ হিসাব, সম্প্রতি সুইমিংপুলে মারা যাওয়া সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সায়মার পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ, জারাফার জন্য তহবিল সংগ্রহ, চিকিৎসাসেবার রোডম্যাপ তৈরি, সমাজ স্বীকৃত পোশাক নিয়ে কটূক্তিকারীদের শাস্তির আওতায় আনা, প্রতিটি হলে পানির ফিল্টার মেশিন স্থাপন এবং প্রতিটি একাডেমিক বিল্ডিংয়ে স্যানিটাইজেশন ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন।
এ ছাড়া ছাত্রী হলের সামনে ফার্মেসি, সুপারশপ, মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধা নিশ্চিত করা, মহিলা জিমনেসিয়াম চালু করা; আবাসিক হল, একাডেমিক ভবন ও স্যুভেনির শপে উচ্চগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, আন্তহল বিতর্ক আয়োজন এবং ক্লিন ক্যাম্পাস কর্মসূচি পালন করা।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাকসুর সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কনফারেন্স কক্ষে প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) তহবিলের গত ২২ বছরে উপার্জিত অর্থের সুনির্দিষ্ট হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন সহসভাপতি (ভিপি) মোস্তাকুর রহমান জাহিদ। আজ বুধবার দুপুরে রাকসু ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও রাকসুর কোষাধ্যক্ষ ওই হিসাব দিতে পারেনি।
মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ‘দীর্ঘ ৩৫ বছর পর রাকসু নির্বাচন হয়েছে। সবশেষ নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯০ সালে। প্রতিবছর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে রাকসুর তহবিলের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এত বছর ধরে এই টাকার একটি বিশাল অঙ্ক জমা হওয়ার কথা, কিন্তু তার কোনো স্পষ্ট হিসাব নেই। আমরা জানতে চাই, রাকসু ফান্ডে এখন আসলে কত টাকা আছে।’
রাকসুর ভিপি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে। এর আগে কে ভিসি (উপাচার্য) ছিলেন, কে কোষাধ্যক্ষ ছিলেন, তা আমাদের দেখার বিষয় না। ২০১৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত উপার্জিত অর্থের হিসাব দিতে পারলেও ১৯৯০-এর পর থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে উপার্জিত অর্থের কোনো হিসাব দিতে পারছে না প্রশাসন।’
ভিপি জাহিদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আস্থা রাখতে পূর্ণাঙ্গ আর্থিক প্রতিবেদন দেওয়া জরুরি। আমরা তহবিলের অর্থের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভর না থেকে বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও অন্যান্য উৎস থেকেও অর্থ সংগ্রহ করে কাজ করার পরিকল্পনা নিয়েছি।’
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রাকসুর সহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) এস এম সালমান সাব্বির। তিনি রাকসুর প্রথম অধিবেশনে আগামী এক মাসের কর্মসূচি উপস্থাপন করেন।
সেগুলো হলো রাকসু তহবিলের যথাযথ হিসাব, সম্প্রতি সুইমিংপুলে মারা যাওয়া সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সায়মার পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ, জারাফার জন্য তহবিল সংগ্রহ, চিকিৎসাসেবার রোডম্যাপ তৈরি, সমাজ স্বীকৃত পোশাক নিয়ে কটূক্তিকারীদের শাস্তির আওতায় আনা, প্রতিটি হলে পানির ফিল্টার মেশিন স্থাপন এবং প্রতিটি একাডেমিক বিল্ডিংয়ে স্যানিটাইজেশন ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন।
এ ছাড়া ছাত্রী হলের সামনে ফার্মেসি, সুপারশপ, মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধা নিশ্চিত করা, মহিলা জিমনেসিয়াম চালু করা; আবাসিক হল, একাডেমিক ভবন ও স্যুভেনির শপে উচ্চগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, আন্তহল বিতর্ক আয়োজন এবং ক্লিন ক্যাম্পাস কর্মসূচি পালন করা।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাকসুর সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কনফারেন্স কক্ষে প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।

ভূমি অফিসের কথা শুনতেই বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের আজাদুল ইসলাম বলে ওঠেন, ‘ওরে বাপরে ভূমি অফিস! ওহানে তো ঘুষ ছাড়া কোনো কামই অয়না।’ গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গিয়েছিলেন জমির দাখিলার জন্য। কিন্তু সেখানের এক কর্মচারীর ঘুষের শিকার হতে হয়েছে তাঁকে।
০৯ মার্চ ২০২৩
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, জামিনে মুক্তি পাওয়া আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা যদি কোনো অপরাধে জড়ান, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ, ১৯৭৬-এর ২৯ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।
১ ঘণ্টা আগে
মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের করড়া গ্রামে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন রাজন মিয়া ও শাপলা আক্তার দম্পতি। দাম্পত্য জীবনে পরকীয়া সন্দেহ ও পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। এর জেরে গত সোমবার রাতে রাজন মিয়া তাঁর স্ত্রী শাপলা আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুর প্রতিনিধি

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, জামিনে মুক্তি পাওয়া আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা যদি কোনো অপরাধে জড়ান, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রটানো গুজব প্রতিহত করতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চান তিনি। বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
জামিনে মুক্তিপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর যদি তারা কোনো অপকর্ম করে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। কিন্তু জামিন দেওয়া তো আমাদের হাতে নেই। আদালত হলো স্বাধীন, তাঁরা তাদের জামিন দিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু জামিন দেওয়ার পরে সে যদি কোনো অপরাধ করে, তাহলে তাকে আমরা আইনের আওতায় আনব।’
নির্বাচনকে সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব প্রতিরোধে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করে উপদেষ্টা বলেন, ‘গণমাধ্যমের ভূমিকা প্রশংসনীয়। আপনাদের লেখালেখির কারণে গুজব অনেক কমেছে। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে যে মিথ্যা রটনা রটায়, এসব প্রতিরোধের মেইন মাধ্যম হচ্ছেন আপনারা। আপনারা যদি সত্যি কথা পত্রিকায় লেখেন; যদি আপনারা বলেন যে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে যেটা রটনা করা হয়েছে, সেটি মিথ্যা; তাহলে বেশি কার্যকর হয়।’ তিনি বলেন, ‘আপনারা এটি করে যাচ্ছেন। আমি আশা করব ভবিষ্যতেও করবেন। আপনারা যাঁরা ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় আছেন, আপনারা যদি সত্যি ঘটনাটা প্রচার করেন, তবে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’
উপদেষ্টা বলেন, গাজীপুর একটি শিল্পনগরী। এখানে প্রতিনিয়ত নানা ঘটনা ঘটে, মাদকেরও ব্যাপকতা রয়েছে। এসব সমস্যা সমাধানে আলোচনা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আসন্ন নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনকে বলা হয়েছে নির্বাচন যেন ফ্রি, ফেয়ার, ক্রেডিবল ও উৎসবমুখর হয়। নির্বাচনে কোনো ধরনের হুমকি নেই।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আওয়ামী লীগের ঢাকা কর্মসূচি প্রতিহত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচনের ক্ষেত্রে কতগুলো ফ্যাক্টর রয়েছে। এগুলোর মধ্যে আছে জনগণ। জনগণ যখন নির্বাচনমুখী হয়ে যাবে, সেই সময় অনেকে অনেক কিছু চিন্তা করলেও কিছু করতে পারবে না। তারপর আছে যাঁরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন তাঁরা; তাঁদেরও অনেক কাজ রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য। তারপর রয়েছে নির্বাচন কমিশন; তাদের একটা বড় ধরনের কাজ রয়ে গেছে। তারপর আছে আমাদের প্রশাসন; তাদেরও বড় ধরনের একটি কাজ রয়েছে। তারপর আরেকটা আছে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী; তাদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে। অর্থাৎ নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন করতে জনগণ, প্রার্থী, নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী—সবার সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। সবাই একসঙ্গে কাজ করলে কোনো বাধা থাকবে না।’
গাজীপুরে পুলিশের ঘাটতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি সত্য, এখানে পুলিশের সংখ্যা কম। ইতিমধ্যে কিছু অতিরিক্ত পুলিশ দেওয়া হয়েছে এবং নির্বাচনকে সামনে রেখে আরও সদস্য যোগ করা হবে।
পার্শ্ববর্তী দেশে অবস্থানরত নেতাদের বিভিন্ন বক্তব্য সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘দুষ্কৃতকারীরা অনেক কিছু বলবে। দুষ্কৃতকারীরা যাতে কোনো ধরনের কার্যক্রম চালাতে না পারে, সে জন্য আমরা যত ধরনের ব্যবস্থা প্রয়োজন নেব। এ জন্য আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. নাফিসা আরেফিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. এমদাদ উল্লাহ মিয়ান। এ ছাড়াও ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সোহেল হাসান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার মো. জাহিদুল হাসান, গাজীপুর সেনাক্যাম্পের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল লুৎফর রহমান, গাজীপুরের পুলিশ সুপার চৌধুরী যাবের সাদেক এবং জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধানেরা উপস্থিত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, জামিনে মুক্তি পাওয়া আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা যদি কোনো অপরাধে জড়ান, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রটানো গুজব প্রতিহত করতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চান তিনি। বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
জামিনে মুক্তিপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর যদি তারা কোনো অপকর্ম করে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। কিন্তু জামিন দেওয়া তো আমাদের হাতে নেই। আদালত হলো স্বাধীন, তাঁরা তাদের জামিন দিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু জামিন দেওয়ার পরে সে যদি কোনো অপরাধ করে, তাহলে তাকে আমরা আইনের আওতায় আনব।’
নির্বাচনকে সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব প্রতিরোধে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করে উপদেষ্টা বলেন, ‘গণমাধ্যমের ভূমিকা প্রশংসনীয়। আপনাদের লেখালেখির কারণে গুজব অনেক কমেছে। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে যে মিথ্যা রটনা রটায়, এসব প্রতিরোধের মেইন মাধ্যম হচ্ছেন আপনারা। আপনারা যদি সত্যি কথা পত্রিকায় লেখেন; যদি আপনারা বলেন যে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে যেটা রটনা করা হয়েছে, সেটি মিথ্যা; তাহলে বেশি কার্যকর হয়।’ তিনি বলেন, ‘আপনারা এটি করে যাচ্ছেন। আমি আশা করব ভবিষ্যতেও করবেন। আপনারা যাঁরা ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় আছেন, আপনারা যদি সত্যি ঘটনাটা প্রচার করেন, তবে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’
উপদেষ্টা বলেন, গাজীপুর একটি শিল্পনগরী। এখানে প্রতিনিয়ত নানা ঘটনা ঘটে, মাদকেরও ব্যাপকতা রয়েছে। এসব সমস্যা সমাধানে আলোচনা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আসন্ন নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনকে বলা হয়েছে নির্বাচন যেন ফ্রি, ফেয়ার, ক্রেডিবল ও উৎসবমুখর হয়। নির্বাচনে কোনো ধরনের হুমকি নেই।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আওয়ামী লীগের ঢাকা কর্মসূচি প্রতিহত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচনের ক্ষেত্রে কতগুলো ফ্যাক্টর রয়েছে। এগুলোর মধ্যে আছে জনগণ। জনগণ যখন নির্বাচনমুখী হয়ে যাবে, সেই সময় অনেকে অনেক কিছু চিন্তা করলেও কিছু করতে পারবে না। তারপর আছে যাঁরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন তাঁরা; তাঁদেরও অনেক কাজ রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য। তারপর রয়েছে নির্বাচন কমিশন; তাদের একটা বড় ধরনের কাজ রয়ে গেছে। তারপর আছে আমাদের প্রশাসন; তাদেরও বড় ধরনের একটি কাজ রয়েছে। তারপর আরেকটা আছে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী; তাদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে। অর্থাৎ নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন করতে জনগণ, প্রার্থী, নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী—সবার সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। সবাই একসঙ্গে কাজ করলে কোনো বাধা থাকবে না।’
গাজীপুরে পুলিশের ঘাটতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি সত্য, এখানে পুলিশের সংখ্যা কম। ইতিমধ্যে কিছু অতিরিক্ত পুলিশ দেওয়া হয়েছে এবং নির্বাচনকে সামনে রেখে আরও সদস্য যোগ করা হবে।
পার্শ্ববর্তী দেশে অবস্থানরত নেতাদের বিভিন্ন বক্তব্য সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘দুষ্কৃতকারীরা অনেক কিছু বলবে। দুষ্কৃতকারীরা যাতে কোনো ধরনের কার্যক্রম চালাতে না পারে, সে জন্য আমরা যত ধরনের ব্যবস্থা প্রয়োজন নেব। এ জন্য আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. নাফিসা আরেফিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. এমদাদ উল্লাহ মিয়ান। এ ছাড়াও ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সোহেল হাসান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার মো. জাহিদুল হাসান, গাজীপুর সেনাক্যাম্পের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল লুৎফর রহমান, গাজীপুরের পুলিশ সুপার চৌধুরী যাবের সাদেক এবং জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধানেরা উপস্থিত ছিলেন।

ভূমি অফিসের কথা শুনতেই বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের আজাদুল ইসলাম বলে ওঠেন, ‘ওরে বাপরে ভূমি অফিস! ওহানে তো ঘুষ ছাড়া কোনো কামই অয়না।’ গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গিয়েছিলেন জমির দাখিলার জন্য। কিন্তু সেখানের এক কর্মচারীর ঘুষের শিকার হতে হয়েছে তাঁকে।
০৯ মার্চ ২০২৩
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) তহবিলের গত ২২ বছরে উপার্জিত অর্থের সুনির্দিষ্ট হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন সহসভাপতি (ভিপি) মোস্তাকুর রহমান জাহিদ। আজ বুধবার দুপুরে রাকসু ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও রাকসুর কোষাধ্যক্ষ ওই হিসাব দিতে পার
১ মিনিট আগে
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ, ১৯৭৬-এর ২৯ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।
১ ঘণ্টা আগে
মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের করড়া গ্রামে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন রাজন মিয়া ও শাপলা আক্তার দম্পতি। দাম্পত্য জীবনে পরকীয়া সন্দেহ ও পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। এর জেরে গত সোমবার রাতে রাজন মিয়া তাঁর স্ত্রী শাপলা আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও সচিবালয় এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল, গণজমায়েত, মানববন্ধন, ধর্মঘটসহ শোভাযাত্রা আবারও নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
আজ বুধবার দুপুরে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা জারি করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ, ১৯৭৬-এর ২৯ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।
ডিএমপির গণবিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বাংলাদেশ সচিবালয় ও এর সংলগ্ন এলাকা, প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকা, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল এলাকা, কারওয়ান বাজার, মৎস্য ভবন, অফিসার্স ক্লাব ও মিন্টো রোড-সংলগ্ন এলাকায় কোনো ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট বা শোভাযাত্রা করা যাবে না।
নিরাপত্তাজনিত কারণে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও সচিবালয় এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল, গণজমায়েত, মানববন্ধন, ধর্মঘটসহ শোভাযাত্রা আবারও নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
আজ বুধবার দুপুরে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা জারি করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ, ১৯৭৬-এর ২৯ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।
ডিএমপির গণবিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বাংলাদেশ সচিবালয় ও এর সংলগ্ন এলাকা, প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকা, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল এলাকা, কারওয়ান বাজার, মৎস্য ভবন, অফিসার্স ক্লাব ও মিন্টো রোড-সংলগ্ন এলাকায় কোনো ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট বা শোভাযাত্রা করা যাবে না।
নিরাপত্তাজনিত কারণে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

ভূমি অফিসের কথা শুনতেই বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের আজাদুল ইসলাম বলে ওঠেন, ‘ওরে বাপরে ভূমি অফিস! ওহানে তো ঘুষ ছাড়া কোনো কামই অয়না।’ গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গিয়েছিলেন জমির দাখিলার জন্য। কিন্তু সেখানের এক কর্মচারীর ঘুষের শিকার হতে হয়েছে তাঁকে।
০৯ মার্চ ২০২৩
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) তহবিলের গত ২২ বছরে উপার্জিত অর্থের সুনির্দিষ্ট হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন সহসভাপতি (ভিপি) মোস্তাকুর রহমান জাহিদ। আজ বুধবার দুপুরে রাকসু ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও রাকসুর কোষাধ্যক্ষ ওই হিসাব দিতে পার
১ মিনিট আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, জামিনে মুক্তি পাওয়া আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা যদি কোনো অপরাধে জড়ান, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১ ঘণ্টা আগে
মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের করড়া গ্রামে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন রাজন মিয়া ও শাপলা আক্তার দম্পতি। দাম্পত্য জীবনে পরকীয়া সন্দেহ ও পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। এর জেরে গত সোমবার রাতে রাজন মিয়া তাঁর স্ত্রী শাপলা আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
১ ঘণ্টা আগেহবিগঞ্জ প্রতিনিধি

হবিগঞ্জের মাধবপুরে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা করে আদালতে গিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন স্বামী। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। এর আগে একই দিন সকালে অভিযুক্ত স্বামী রাজন আদালতে গিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেন। নিহত নারী শাপলা আক্তার (২৫)। নবীগঞ্জ উপজেলার সাতাহাইল এলাকার রাজন মিয়ার স্ত্রী। দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসার কাজে মাধবপুর থানার করড়া গ্রামে বসবাস করছিলেন ওই দম্পতি।
পুলিশ জানায়, মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের করড়া গ্রামে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন রাজন মিয়া ও শাপলা আক্তার দম্পতি। দাম্পত্য জীবনে পরকীয়া সন্দেহ ও পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। এর জেরে গত সোমবার রাতে রাজন মিয়া তাঁর স্ত্রী শাপলা আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। হত্যার পর মরদেহ পাশের একটি বালুর স্তূপে লুকিয়ে রাখেন।
পরদিন সকালে মঙ্গলবার রাজন নিজেই আদালতে উপস্থিত হয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেন। আদালত তাৎক্ষণিকভাবে রাজনের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মাধবপুর থানা-পুলিশকে ঘটনাস্থলে তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে সন্ধ্যায় মাধবপুর থানা-পুলিশ করড়া গ্রামের ওই বালুর স্তূপ থেকে শাপলা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পর রাজন মিয়াকে আটক করা হয়।
এ বিষয়ে মাধবপুর থানার ওসি শহিদ উল্ল্যা বলেন, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

হবিগঞ্জের মাধবপুরে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা করে আদালতে গিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন স্বামী। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। এর আগে একই দিন সকালে অভিযুক্ত স্বামী রাজন আদালতে গিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেন। নিহত নারী শাপলা আক্তার (২৫)। নবীগঞ্জ উপজেলার সাতাহাইল এলাকার রাজন মিয়ার স্ত্রী। দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসার কাজে মাধবপুর থানার করড়া গ্রামে বসবাস করছিলেন ওই দম্পতি।
পুলিশ জানায়, মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের করড়া গ্রামে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন রাজন মিয়া ও শাপলা আক্তার দম্পতি। দাম্পত্য জীবনে পরকীয়া সন্দেহ ও পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। এর জেরে গত সোমবার রাতে রাজন মিয়া তাঁর স্ত্রী শাপলা আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। হত্যার পর মরদেহ পাশের একটি বালুর স্তূপে লুকিয়ে রাখেন।
পরদিন সকালে মঙ্গলবার রাজন নিজেই আদালতে উপস্থিত হয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেন। আদালত তাৎক্ষণিকভাবে রাজনের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মাধবপুর থানা-পুলিশকে ঘটনাস্থলে তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে সন্ধ্যায় মাধবপুর থানা-পুলিশ করড়া গ্রামের ওই বালুর স্তূপ থেকে শাপলা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পর রাজন মিয়াকে আটক করা হয়।
এ বিষয়ে মাধবপুর থানার ওসি শহিদ উল্ল্যা বলেন, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ভূমি অফিসের কথা শুনতেই বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের আজাদুল ইসলাম বলে ওঠেন, ‘ওরে বাপরে ভূমি অফিস! ওহানে তো ঘুষ ছাড়া কোনো কামই অয়না।’ গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গিয়েছিলেন জমির দাখিলার জন্য। কিন্তু সেখানের এক কর্মচারীর ঘুষের শিকার হতে হয়েছে তাঁকে।
০৯ মার্চ ২০২৩
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) তহবিলের গত ২২ বছরে উপার্জিত অর্থের সুনির্দিষ্ট হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন সহসভাপতি (ভিপি) মোস্তাকুর রহমান জাহিদ। আজ বুধবার দুপুরে রাকসু ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও রাকসুর কোষাধ্যক্ষ ওই হিসাব দিতে পার
১ মিনিট আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, জামিনে মুক্তি পাওয়া আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা যদি কোনো অপরাধে জড়ান, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ, ১৯৭৬-এর ২৯ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।
১ ঘণ্টা আগে