Ajker Patrika

মেঘনা নদীতে কচুরিপানা, ভোগান্তিতে নৌপরিবহন যাত্রী ও চালকরা   

প্রতিনিধি, নরসিংদী
আপডেট : ০১ এপ্রিল ২০২১, ২১: ৩৯
মেঘনা নদীতে কচুরিপানা, ভোগান্তিতে নৌপরিবহন যাত্রী ও চালকরা   

নরসিংদীর মেঘনা নদীতে কচুরিপানার কারণে ব্যাহত হচ্ছে নৌ চলাচল। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নৌযান চালকসহ চরাঞ্চলের ১২ ইউনিয়নে যাতায়াতকারী মানুষদের। প্রতিবছর এই মৌসুমে মেঘনায় কচুরিপানার জট লেগে নৌ চলাচলের দুর্ভোগ বাড়লেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন পদক্ষেপ নেই বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

সরেজমিন গিয়ে চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সদর ও রায়পুরা উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ১০টিতেই যাতায়াত করতে হয় নৌপথে। এছাড়া পার্শ্ববর্তী জেলার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্চারামপুরেও যাতায়াত করতে হয় নৌপথে। খেয়া নৌকা, ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও স্পীড বোটে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষকে নরসিংদী জেলা শহর হয়ে বিভিন্ন স্থানে আসা যাওয়া করতে হয়। চরাঞ্চলের বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মানুষসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা জেলা শহর থেকে নৌপথে যাতায়াত করে থাকেন। এছাড়া চরাঞ্চলীয় বাজারের ব্যবসায়ীদের মালামাল পরিবহন করতে হয় নৌপথে। চরাঞ্চলে উৎপাদিত কৃষিপণ্য ও দুধ নৌপরিবহন করে বিক্রি করতে হয় নরসিংদী জেলা শহরে। কয়েক সপ্তাহ ধরে নরসিংদী শহর সংলগ্ন মেঘনা ও মেঘনার শাখা নদীতে কচুরিপানার কারণে ব্যাহত হচ্ছে নৌ চলাচল।  

নৌযান চালক ও যাত্রীরা জানান, প্রতিবছরের মতো এবারও মেঘনা ও মেঘনার শাখা নদীতে প্রচুর পরিমানে কচুরিপানার জট দেখা দিয়েছে। সদর উপজেলার নলবাটা থেকে শুরু করে নরসিংদী শহর সংলগ্ন থানাঘাট ও নাগরিয়াকান্দি এলাকার শেখ হাসিনা সেতু পর্যন্ত কচুরিপানার জট লেগে আছে। এতে ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও স্পীড বোটে কোনরকমে পার হতে পারলেও বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন ছোট ছোট খেয়া নৌকার যাত্রী ও চালকরা। প্রায় সময়ই কচুরিপানা আটকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে নৌযানের ইঞ্জিন।

এতে দীর্ঘ সময় আটকা থাকতে হচ্ছে নৌযানগুলোকে। কচুরিপানার জট এড়িয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে ব্যয় করতে হচ্ছে বাড়তি সময়। যেখানে যেতে সময় লাগতো ৩০ মিনিট সেখানে সময় লাগছে এক ঘন্টারও বেশি। এছাড়া ভৈরব ও নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরসহ দেশের বিভিন্ন নদী বন্দরে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে কচুরিপানা। প্রতিবছরই নৌপথে কচুরিপানার কারণে এমন দুর্ভোগ দেখা দিলেও সমাধানের উদ্যোগ নেই বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটিএ’র।

ইঞ্জিনচালিত নৌকার চালক জহিরুল হক বলেন, প্রতিবছরই এই সময়টাতে নদীতে কচুরিপানার কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। কচুরি আটকে বারবার ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। এতে সময়মত গন্তব্যে যাওয়া যাচ্ছে না। দুর্ভোগের পাশাপাশি আমাদের আয়ও কমে গেছে।

নৌযান চালক নজরুল ইসলাম বলেন, নদীতে কচুরিপানার কারণে নৌ চলাচল ব্যাহত হলেও এসব দেখার কেউ নেই। তাই বাধ্য হয়ে ভোগান্তি মাথায় নিয়েই চলতে হচ্ছে।

করিমপুর গ্রামের বাসিন্দা জসিম উদ্দিন সরকার বলেন, করিমপুর ও নজরপুর এলাকায় শেখ হাসিনা সেতু হয়ে যাতায়াত করা গেলেও অন্যান্য এলাকায় যেতে হয় নৌপথে। কিন্তু কচুরিপানার কারণে নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে চরাঞ্চলের মানুষকে।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-পরিচালক (নরসিংদী নদী বন্দর) নূর হোসেন বলেন, ‘আমাকে নরসিংদী নদী বন্দরে নতুন পদায়ণ করা হয়েছে। দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন থাকায় কচুরিপানার কারণে নৌ চলাচল ব্যাহত হওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। সুস্থ হয়ে দায়িত্ব পালন শুরুর সময় এ সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেবো’।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডাকসুতে শিবিরের জয়ে উদ্বেগ শশী থারুরের, জবাব দিলেন মেঘমল্লার

‘বেয়াদবি ছুটায় দেব’: সরি বলতে অসুবিধা নেই, বললেন সেই জামায়াত নেতা

সবচেয়ে সুখী দেশ ফিনল্যান্ডে স্থায়ী বসবাসের আবেদন করবেন যেভাবে

তিন ভোটে দায়িত্ব পালনকারীদের ‘যথাসম্ভব’ দূরে রাখতে হবে

‘ম্যামের মুখটা দেখলাম, মনে হলো—শুয়ে আছেন, কিছুই হয়নি তাঁর’

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত