অনলাইন ডেস্ক
২০২৪ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে বৈশ্বিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৫৩.২ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে দেশটির আমদানির পরিমাণ ছিল ৯১.৫ বিলিয়ন এবং রপ্তানি করেছিল ৬১.৭ বিলিয়ন ডলার। তবে গাজায় সামরিক অভিযানের তীব্রতা ও পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি সম্প্রসারণ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনার মুখে পড়েছে দেশটি। বিশেষ করে, পশ্চিমা বিশ্বে ইসরায়েলের রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে তাদের সঙ্গে চলমান অর্থনৈতিক সম্পর্ক নতুন করে ভাবনার বিষয় হয়ে উঠেছে।
গত মঙ্গলবার ব্রিটিশ সরকার ইসরায়েলের সঙ্গে ‘উন্মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির’ (এফটিএ) আলোচনাসমূহ স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি পার্লামেন্টে বলেছেন, গাজা ও দখল করা পশ্চিম তীরে ‘চরম মাত্রার নীতি’ গ্রহণকারী একটি সরকারের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নের আলোচনা চালিয়ে যাওয়া যুক্তিসংগত নয়।
এর এক দিন আগেই যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডা একযোগে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল—যদি ইসরায়েল নতুন করে সামরিক আগ্রাসন না থামায় এবং গাজায় মানবিক সহায়তা অবরুদ্ধ রাখে, তবে তারা দেশটির বিরুদ্ধে ‘সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ’ নেবে।
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ) ইসরায়েলের সঙ্গে বিদ্যমান বাণিজ্য চুক্তির বিষয়টি পুনর্মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মঙ্গলবার ইইউর পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক প্রধান কাইজা কালাস জানান, এই বিষয়ে সদস্য দেশগুলো ভোটের মাধ্যমে পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করেছে।
আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ইসরায়েলের অর্থনীতি বহু বছর ধরেই প্রযুক্তি, চিকিৎসা সরঞ্জাম, হিরা ও সামরিক সরঞ্জাম রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল। দেশটি যুক্তরাষ্ট্র, আয়ারল্যান্ড, চীন, হংকংসহ বহু উন্নত দেশের বাজারে গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানিকারক হিসেবে বিবেচিত। ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র একাই ১৭.৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে ইসরায়েল থেকে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এ সম্পর্কের পেছনে রয়েছে এক জটিল কূটনৈতিক ও সামরিক অংশীদারত্ব। এর মধ্যে বহু বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা চুক্তিও রয়েছে।
অন্যদিকে চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি ছিল ইসরায়েলের প্রধান পণ্য সরবরাহকারী দেশ। চীন থেকে মোবাইল, কম্পিউটার ও ইলেকট্রিক যানবাহন আমদানি করে ইসরায়েল। ২০২৪ সালে তারা চীন থেকে প্রায় ১৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে তারা আমদানি করে বিস্ফোরক, প্রযুক্তি পণ্য ও অস্ত্রশস্ত্র। জার্মানি থেকে আসে ওষুধ, গাড়ি ও যন্ত্রপাতি।
২০২৪ সালে ইসরায়েলে পণ্য সরবরাহ করা শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে পাঁচ নম্বরেই ছিল তুরস্ক। এ ছাড়া ভারতের সঙ্গেও দেশটির বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে। ২০২৪ সালে ইসরায়েল থেকে ভারত ২.৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য কিনেছে। বিপরীতে ইসরায়েলের কাছে বিক্রি করেছে ২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য।
এই বাস্তবতায় দেখা যাচ্ছে, ইসরায়েলের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক অনেক দেশের জন্যই শুধু বাণিজ্যিক বিষয় নয়, বরং কূটনৈতিক অবস্থান ও নৈতিক দায়বদ্ধতার প্রতিফলন। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ইসরায়েলের আচরণ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এই অর্থনৈতিক সম্পর্কগুলোকে গভীর সংকটে ঠেলে দিয়েছে। ফলে আগামী দিনে দেখা যেতে পারে আরও দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তি পর্যালোচনা কিংবা স্থগিত করার পথে হাঁটছে।
ইসরায়েল যে বিশ্ববাণিজ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার, তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তবে যুদ্ধ, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও আন্তর্জাতিক চাপের ফলে এই বাণিজ্যিক সম্পর্ক কতটা টিকে থাকবে—তা এখন সময়ের হাতে।
২০২৪ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে বৈশ্বিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৫৩.২ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে দেশটির আমদানির পরিমাণ ছিল ৯১.৫ বিলিয়ন এবং রপ্তানি করেছিল ৬১.৭ বিলিয়ন ডলার। তবে গাজায় সামরিক অভিযানের তীব্রতা ও পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি সম্প্রসারণ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনার মুখে পড়েছে দেশটি। বিশেষ করে, পশ্চিমা বিশ্বে ইসরায়েলের রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে তাদের সঙ্গে চলমান অর্থনৈতিক সম্পর্ক নতুন করে ভাবনার বিষয় হয়ে উঠেছে।
গত মঙ্গলবার ব্রিটিশ সরকার ইসরায়েলের সঙ্গে ‘উন্মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির’ (এফটিএ) আলোচনাসমূহ স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি পার্লামেন্টে বলেছেন, গাজা ও দখল করা পশ্চিম তীরে ‘চরম মাত্রার নীতি’ গ্রহণকারী একটি সরকারের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নের আলোচনা চালিয়ে যাওয়া যুক্তিসংগত নয়।
এর এক দিন আগেই যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডা একযোগে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল—যদি ইসরায়েল নতুন করে সামরিক আগ্রাসন না থামায় এবং গাজায় মানবিক সহায়তা অবরুদ্ধ রাখে, তবে তারা দেশটির বিরুদ্ধে ‘সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ’ নেবে।
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ) ইসরায়েলের সঙ্গে বিদ্যমান বাণিজ্য চুক্তির বিষয়টি পুনর্মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মঙ্গলবার ইইউর পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক প্রধান কাইজা কালাস জানান, এই বিষয়ে সদস্য দেশগুলো ভোটের মাধ্যমে পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করেছে।
আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ইসরায়েলের অর্থনীতি বহু বছর ধরেই প্রযুক্তি, চিকিৎসা সরঞ্জাম, হিরা ও সামরিক সরঞ্জাম রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল। দেশটি যুক্তরাষ্ট্র, আয়ারল্যান্ড, চীন, হংকংসহ বহু উন্নত দেশের বাজারে গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানিকারক হিসেবে বিবেচিত। ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র একাই ১৭.৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে ইসরায়েল থেকে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এ সম্পর্কের পেছনে রয়েছে এক জটিল কূটনৈতিক ও সামরিক অংশীদারত্ব। এর মধ্যে বহু বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা চুক্তিও রয়েছে।
অন্যদিকে চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি ছিল ইসরায়েলের প্রধান পণ্য সরবরাহকারী দেশ। চীন থেকে মোবাইল, কম্পিউটার ও ইলেকট্রিক যানবাহন আমদানি করে ইসরায়েল। ২০২৪ সালে তারা চীন থেকে প্রায় ১৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে তারা আমদানি করে বিস্ফোরক, প্রযুক্তি পণ্য ও অস্ত্রশস্ত্র। জার্মানি থেকে আসে ওষুধ, গাড়ি ও যন্ত্রপাতি।
২০২৪ সালে ইসরায়েলে পণ্য সরবরাহ করা শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে পাঁচ নম্বরেই ছিল তুরস্ক। এ ছাড়া ভারতের সঙ্গেও দেশটির বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে। ২০২৪ সালে ইসরায়েল থেকে ভারত ২.৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য কিনেছে। বিপরীতে ইসরায়েলের কাছে বিক্রি করেছে ২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য।
এই বাস্তবতায় দেখা যাচ্ছে, ইসরায়েলের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক অনেক দেশের জন্যই শুধু বাণিজ্যিক বিষয় নয়, বরং কূটনৈতিক অবস্থান ও নৈতিক দায়বদ্ধতার প্রতিফলন। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ইসরায়েলের আচরণ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এই অর্থনৈতিক সম্পর্কগুলোকে গভীর সংকটে ঠেলে দিয়েছে। ফলে আগামী দিনে দেখা যেতে পারে আরও দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তি পর্যালোচনা কিংবা স্থগিত করার পথে হাঁটছে।
ইসরায়েল যে বিশ্ববাণিজ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার, তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তবে যুদ্ধ, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও আন্তর্জাতিক চাপের ফলে এই বাণিজ্যিক সম্পর্ক কতটা টিকে থাকবে—তা এখন সময়ের হাতে।
ভারতে সশস্ত্র বিদ্রোহের সূত্রপাত হয় ১৯৬৭ সালে পশ্চিমবঙ্গের নকশালবাড়ি গ্রামের একটি অভ্যুত্থান থেকে। এই গ্রাম থেকেই ‘নকশাল’ শব্দের উৎপত্তি। কমিউনিস্ট নেতা কানু সান্যাল, চারু মজুমদার ও জঙ্গল সাঁওতালের নেতৃত্বে এই সশস্ত্র অভ্যুত্থান শুরু হয়। এদের উদ্দেশ্য ছিল, ভূমিহীন দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানো
৭ ঘণ্টা আগেযুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডার এই অবস্থান আসলে কী বার্তা দিচ্ছে? প্রকৃতপক্ষেই কী তারা ইসরায়েলকে থামাতে চায়? নাকি গাজা ইস্যুতে বিশ্ববাসীর কাছে নিজেদের হারানো ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের কৌশল মাত্র?
২ দিন আগেএর মধ্যেই সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসের একটি গুরুত্বপূর্ণ কমিটি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন করছাড় বিল অনুমোদন করেছে। এই বিলটি ২০১৭ সালে করা ট্রাম্পের করছাড়কে আরও দীর্ঘায়িত করবে এবং জাতীয় ঋণে আরও ৫ ট্রিলিয়ন ডলার যুক্ত করতে পারে।
২ দিন আগেসরকারি পর্যায়ে ইসরায়েল প্রশ্নে অবস্থানের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন না হলেও মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে বড় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। জনমত জরিপে দেখা গেছে, ইসরায়েলের জনপ্রিয়তা নেমে গেছে কয়েক ধাপ। এ ছাড়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে নেতানিয়াহুর দূরত্বও বেড়ে গেছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে।
২ দিন আগে