অনলাইন ডেস্ক
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে খুশি রাখতে ও ন্যাটোকে এক রাখার চেষ্টায় নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে সাম্প্রতিক ন্যাটো সম্মেলনে প্রায় সবকিছুই করেছে জোটটি। ঢালাও প্রশংসা, রাজকীয় আপ্যায়ন আর ট্রাম্পের বিখ্যাত স্লোগান নকল করাও বাদ যায়নি। পরিকল্পনা মোটামুটি সফল। যদিও ইউক্রেনে যুদ্ধ, রাশিয়ার বিরুদ্ধে কৌশল বা ইউরোপে মার্কিন সেনা কমানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে ন্যাটোকে এগুলো নিয়েও একসময় যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হতে হবে।
ন্যাটোপ্রধান মার্ক রুটের পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই সম্মেলনের সবচেয়ে বড় অর্জন—মিত্র দেশগুলোর প্রতিশ্রুতি। যেখানে দেশগুলো ট্রাম্পের আহ্বান মেনে জিডিপির ৫ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করবে, যা বর্তমান ২ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় অনেক বেশি। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আবারও ন্যাটোর যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তির প্রতি অঙ্গীকার করা হয়েছে।
অথচ কয়েক মাস আগেও অবস্থা ছিল ভিন্ন। তখন আটলান্টিক উভয় পাড়ের দেশগুলোর সম্পর্ক এতটাই খারাপ ছিল যে, জার্মানির নতুন চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস প্রকাশ্যে বলেছিলেন, তাঁর নির্বাচনী জয় হওয়ার পর হয়তো ন্যাটো বর্তমান রূপে টিকে থাকবে না।
ট্রাম্পকে খুশি রাখতে ন্যাটোর কৌশলে কোনো রাখঢাক ছিল না। দ্য হেগে রওনা হওয়ার সময় ট্রাম্প নিজেই তাঁর ফোনে নেদারল্যান্ডসের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ন্যাটো মহাসচিব রুটের পাঠানো বার্তা প্রকাশ করেন। সেই বার্তাগুলোতে ট্রাম্পের ঢালাও প্রশংসা ছিল।
রুটে লিখেছিলেন, ‘আপনি এমন কিছু অর্জন করতে যাচ্ছেন, যা কয়েক দশক ধরে কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট পারেননি। ইউরোপ এখন বড় অঙ্কের অর্থ দেবে, এটি তাদের করা উচিতও। আর এটাই হবে আপনার জয়।’ রুটের বার্তার কিছু অংশ ট্রাম্পের মতো করেই বড় হাতের অক্ষরে লেখা ছিল।
সম্মেলনের আগে ট্রাম্প যখন ইরান-ইসরায়েল নিয়ে কঠোর মন্তব্য করছিলেন, তখনো রুটে ট্রাম্পের পক্ষেই কথা বলেন। রুটের ভাষায়, ‘বাবাকে কখনো কখনো কড়া ভাষা ব্যবহার করতেই হয়।’
ট্রাম্প প্রথম মেয়াদে ন্যাটো ছেড়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, যারা যথেষ্ট প্রতিরক্ষা ব্যয় করছে না, তাদের তিনি রক্ষা করবেন না। ফলে ন্যাটোর জন্য এবার ঝুঁকি অনেক বড় ছিল। বিশেষ করে, ইউক্রেনে ২০২২ সালের রাশিয়ার আগ্রাসনের পর বেশির ভাগ ন্যাটো সদস্য দেশই মনে করছে—রাশিয়া তাদের নিরাপত্তার সরাসরি হুমকি। আর মার্কিন পারমাণবিক শক্তিধর মিত্র ছাড়া তারা নিজেদের পক্ষে ঠিকমতো আত্মরক্ষা করতেও পারবে না।
কিন্তু সম্মেলনের পর ট্রাম্পের আগের কড়া ভাষা উধাও। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি এখান থেকে বেরিয়ে গেলাম এই বিশ্বাস নিয়ে যে, তারা সত্যিই তাদের দেশকে ভালোবাসে। এটা কোনো প্রতারণা নয়। আমরা এখানে এসেছি তাদের সাহায্য করতে, তাদের রক্ষা করতে।’
ট্রাম্প শুধু স্পেনের সমালোচনা করেছেন। কারণ, দেশটি নতুন প্রতিরক্ষা ব্যয় লক্ষ্যমাত্রায় সই করেনি। তবে ট্রাম্প বলেছেন, স্পেন অন্যভাবে খেসারত দেবে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যে। অনেক ইউরোপীয় দেশের জন্য নতুন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা অর্থনৈতিকভাবে কঠিন হবে, কিন্তু সে ইস্যু আপাতত এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।
হেগে ন্যাটোর এই সম্মেলনে ট্রাম্পকে খুশি রাখতে আয়োজনের কোনো কমতি ছিল না। ডাচ রাজা উইলেহম আলেকজান্ডারের রাজকীয় প্রাসাদে ট্রাম্পকে রাতযাপনের বিরল সম্মান দেওয়া হয়। প্রাসাদের ঐতিহাসিক ‘অরেঞ্জ হলে’ ২০ জন শেফের তৈরি তিন পদের রাজকীয় নৈশভোজে অংশ নেন বিশ্বনেতারা, যেটি পরিবেশন করেন ১৮ জন বিশেষ পরিচারক।
সম্মেলনের শুরুতেই ন্যাটো জোটের অন্য নেতারা ট্রাম্পের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন। লিথুয়ানিয়ার প্রেসিডেন্ট গিতানাস নাউসেদা তো প্রস্তাবই দেন যে, ন্যাটোর নতুন স্লোগান হওয়া উচিত, ‘Make NATO Great Again বা MNGA. ’ সম্মেলন সংক্ষিপ্ত ও সহজ রাখার চেষ্টা করেন রুটে, যেন কোনো অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয়।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মূল সম্মেলনে অংশ নিতে না পারলেও প্রাক-সম্মেলনের নৈশভোজে ছিলেন। পরে ট্রাম্পের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠকও করেন তিনি। এই সম্মেলনের যৌথ বিবৃতি মাত্র পাঁচটি অনুচ্ছেদে সীমাবদ্ধ, যেখানে গত বছর ওয়াশিংটনের সম্মেলনে ছিল ৩৮টি অনুচ্ছেদ।
বিবৃতিতে স্পষ্টভাবে ইউক্রেনের যুদ্ধকে ‘যুদ্ধ বা আগ্রাসন’ বলা হয়নি। এমনকি ইউক্রেনকে একদিন ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্ত করার আগের প্রতিশ্রুতিও পুনরাবৃত্তি করা হয়নি। এর ফলে রাশিয়া ও ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মধ্যকার বড় মতপার্থক্য আপাতত চাপা দেওয়া গেছে।
তবে ইউরোপের অনেকের জন্য অস্বস্তির কারণ হলো—ট্রাম্প তাঁর পূর্বসূরি জো বাইডেনের তুলনায় মস্কোর প্রতি অনেকটাই নরম অবস্থান নিয়েছেন এবং কিয়েভকে কম সমর্থন দিচ্ছেন। তাঁর লক্ষ্য হলো, যুদ্ধ শেষ করা। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে রাশিয়া ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মধ্যে মতপার্থক্য থাকলে তা ন্যাটোর কার্যকারিতার জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের অধীনে ন্যাটোয় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত জুলিয়ান স্মিথ বলেন, ‘ইউক্রেনে যখন যুদ্ধ চলছে, তখন সেই যুদ্ধকে প্রায় উপেক্ষা করে ন্যাটো সম্মেলন হওয়া আমাদের সবার জন্যই উদ্বেগের বিষয়।’
স্লোভাকিয়ার ন্যাটোতে সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার বাতোর মন্তব্য, ‘আমরা ক্রেমলিনকে (রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয়) একটা কৌশলগত বার্তা পাঠানোর সুযোগ হাতছাড়া করেছি। এর খেসারত আমাদের নিরাপত্তা দিয়ে দিতে হবে।’
এখন দেখা যাবে, ট্রাম্পের ন্যাটো নিয়ে নতুন উদ্দীপনা তাঁর প্রশাসনের সেনা মোতায়েনের নীতিতে কতটা প্রতিফলিত হয়। কারণ, ইউরোপ এখনো যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। ইউরোপীয় নেতারা বলছেন, তাঁরা ধীরে ধীরে আরও দায়িত্ব নিতে চান। তবে তাঁরা চান, সেটি যেন অগোছালো বা হঠাৎ করে না হয়।
ন্যাটোর মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করা ও বর্তমানে রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিস ইনস্টিটিউট বা রুসির সিনিয়র ফেলো ওয়ানা লঞ্জেস্কু বলেন, ‘জ্যেষ্ঠ ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বললেই তাঁদের উদ্বেগটা বোঝা যায়।’ তিনি বলেন, ‘বেশির ভাগই মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র কিছু সেনা ও সামরিক সক্ষমতা সরিয়ে নেবে। কিন্তু কতটা ও কখন, সেটা কেউ জানে না।’
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে খুশি রাখতে ও ন্যাটোকে এক রাখার চেষ্টায় নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে সাম্প্রতিক ন্যাটো সম্মেলনে প্রায় সবকিছুই করেছে জোটটি। ঢালাও প্রশংসা, রাজকীয় আপ্যায়ন আর ট্রাম্পের বিখ্যাত স্লোগান নকল করাও বাদ যায়নি। পরিকল্পনা মোটামুটি সফল। যদিও ইউক্রেনে যুদ্ধ, রাশিয়ার বিরুদ্ধে কৌশল বা ইউরোপে মার্কিন সেনা কমানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে ন্যাটোকে এগুলো নিয়েও একসময় যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হতে হবে।
ন্যাটোপ্রধান মার্ক রুটের পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই সম্মেলনের সবচেয়ে বড় অর্জন—মিত্র দেশগুলোর প্রতিশ্রুতি। যেখানে দেশগুলো ট্রাম্পের আহ্বান মেনে জিডিপির ৫ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করবে, যা বর্তমান ২ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় অনেক বেশি। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আবারও ন্যাটোর যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তির প্রতি অঙ্গীকার করা হয়েছে।
অথচ কয়েক মাস আগেও অবস্থা ছিল ভিন্ন। তখন আটলান্টিক উভয় পাড়ের দেশগুলোর সম্পর্ক এতটাই খারাপ ছিল যে, জার্মানির নতুন চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস প্রকাশ্যে বলেছিলেন, তাঁর নির্বাচনী জয় হওয়ার পর হয়তো ন্যাটো বর্তমান রূপে টিকে থাকবে না।
ট্রাম্পকে খুশি রাখতে ন্যাটোর কৌশলে কোনো রাখঢাক ছিল না। দ্য হেগে রওনা হওয়ার সময় ট্রাম্প নিজেই তাঁর ফোনে নেদারল্যান্ডসের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ন্যাটো মহাসচিব রুটের পাঠানো বার্তা প্রকাশ করেন। সেই বার্তাগুলোতে ট্রাম্পের ঢালাও প্রশংসা ছিল।
রুটে লিখেছিলেন, ‘আপনি এমন কিছু অর্জন করতে যাচ্ছেন, যা কয়েক দশক ধরে কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট পারেননি। ইউরোপ এখন বড় অঙ্কের অর্থ দেবে, এটি তাদের করা উচিতও। আর এটাই হবে আপনার জয়।’ রুটের বার্তার কিছু অংশ ট্রাম্পের মতো করেই বড় হাতের অক্ষরে লেখা ছিল।
সম্মেলনের আগে ট্রাম্প যখন ইরান-ইসরায়েল নিয়ে কঠোর মন্তব্য করছিলেন, তখনো রুটে ট্রাম্পের পক্ষেই কথা বলেন। রুটের ভাষায়, ‘বাবাকে কখনো কখনো কড়া ভাষা ব্যবহার করতেই হয়।’
ট্রাম্প প্রথম মেয়াদে ন্যাটো ছেড়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, যারা যথেষ্ট প্রতিরক্ষা ব্যয় করছে না, তাদের তিনি রক্ষা করবেন না। ফলে ন্যাটোর জন্য এবার ঝুঁকি অনেক বড় ছিল। বিশেষ করে, ইউক্রেনে ২০২২ সালের রাশিয়ার আগ্রাসনের পর বেশির ভাগ ন্যাটো সদস্য দেশই মনে করছে—রাশিয়া তাদের নিরাপত্তার সরাসরি হুমকি। আর মার্কিন পারমাণবিক শক্তিধর মিত্র ছাড়া তারা নিজেদের পক্ষে ঠিকমতো আত্মরক্ষা করতেও পারবে না।
কিন্তু সম্মেলনের পর ট্রাম্পের আগের কড়া ভাষা উধাও। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি এখান থেকে বেরিয়ে গেলাম এই বিশ্বাস নিয়ে যে, তারা সত্যিই তাদের দেশকে ভালোবাসে। এটা কোনো প্রতারণা নয়। আমরা এখানে এসেছি তাদের সাহায্য করতে, তাদের রক্ষা করতে।’
ট্রাম্প শুধু স্পেনের সমালোচনা করেছেন। কারণ, দেশটি নতুন প্রতিরক্ষা ব্যয় লক্ষ্যমাত্রায় সই করেনি। তবে ট্রাম্প বলেছেন, স্পেন অন্যভাবে খেসারত দেবে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যে। অনেক ইউরোপীয় দেশের জন্য নতুন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা অর্থনৈতিকভাবে কঠিন হবে, কিন্তু সে ইস্যু আপাতত এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।
হেগে ন্যাটোর এই সম্মেলনে ট্রাম্পকে খুশি রাখতে আয়োজনের কোনো কমতি ছিল না। ডাচ রাজা উইলেহম আলেকজান্ডারের রাজকীয় প্রাসাদে ট্রাম্পকে রাতযাপনের বিরল সম্মান দেওয়া হয়। প্রাসাদের ঐতিহাসিক ‘অরেঞ্জ হলে’ ২০ জন শেফের তৈরি তিন পদের রাজকীয় নৈশভোজে অংশ নেন বিশ্বনেতারা, যেটি পরিবেশন করেন ১৮ জন বিশেষ পরিচারক।
সম্মেলনের শুরুতেই ন্যাটো জোটের অন্য নেতারা ট্রাম্পের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন। লিথুয়ানিয়ার প্রেসিডেন্ট গিতানাস নাউসেদা তো প্রস্তাবই দেন যে, ন্যাটোর নতুন স্লোগান হওয়া উচিত, ‘Make NATO Great Again বা MNGA. ’ সম্মেলন সংক্ষিপ্ত ও সহজ রাখার চেষ্টা করেন রুটে, যেন কোনো অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয়।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মূল সম্মেলনে অংশ নিতে না পারলেও প্রাক-সম্মেলনের নৈশভোজে ছিলেন। পরে ট্রাম্পের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠকও করেন তিনি। এই সম্মেলনের যৌথ বিবৃতি মাত্র পাঁচটি অনুচ্ছেদে সীমাবদ্ধ, যেখানে গত বছর ওয়াশিংটনের সম্মেলনে ছিল ৩৮টি অনুচ্ছেদ।
বিবৃতিতে স্পষ্টভাবে ইউক্রেনের যুদ্ধকে ‘যুদ্ধ বা আগ্রাসন’ বলা হয়নি। এমনকি ইউক্রেনকে একদিন ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্ত করার আগের প্রতিশ্রুতিও পুনরাবৃত্তি করা হয়নি। এর ফলে রাশিয়া ও ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মধ্যকার বড় মতপার্থক্য আপাতত চাপা দেওয়া গেছে।
তবে ইউরোপের অনেকের জন্য অস্বস্তির কারণ হলো—ট্রাম্প তাঁর পূর্বসূরি জো বাইডেনের তুলনায় মস্কোর প্রতি অনেকটাই নরম অবস্থান নিয়েছেন এবং কিয়েভকে কম সমর্থন দিচ্ছেন। তাঁর লক্ষ্য হলো, যুদ্ধ শেষ করা। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে রাশিয়া ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মধ্যে মতপার্থক্য থাকলে তা ন্যাটোর কার্যকারিতার জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের অধীনে ন্যাটোয় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত জুলিয়ান স্মিথ বলেন, ‘ইউক্রেনে যখন যুদ্ধ চলছে, তখন সেই যুদ্ধকে প্রায় উপেক্ষা করে ন্যাটো সম্মেলন হওয়া আমাদের সবার জন্যই উদ্বেগের বিষয়।’
স্লোভাকিয়ার ন্যাটোতে সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার বাতোর মন্তব্য, ‘আমরা ক্রেমলিনকে (রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয়) একটা কৌশলগত বার্তা পাঠানোর সুযোগ হাতছাড়া করেছি। এর খেসারত আমাদের নিরাপত্তা দিয়ে দিতে হবে।’
এখন দেখা যাবে, ট্রাম্পের ন্যাটো নিয়ে নতুন উদ্দীপনা তাঁর প্রশাসনের সেনা মোতায়েনের নীতিতে কতটা প্রতিফলিত হয়। কারণ, ইউরোপ এখনো যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। ইউরোপীয় নেতারা বলছেন, তাঁরা ধীরে ধীরে আরও দায়িত্ব নিতে চান। তবে তাঁরা চান, সেটি যেন অগোছালো বা হঠাৎ করে না হয়।
ন্যাটোর মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করা ও বর্তমানে রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিস ইনস্টিটিউট বা রুসির সিনিয়র ফেলো ওয়ানা লঞ্জেস্কু বলেন, ‘জ্যেষ্ঠ ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বললেই তাঁদের উদ্বেগটা বোঝা যায়।’ তিনি বলেন, ‘বেশির ভাগই মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র কিছু সেনা ও সামরিক সক্ষমতা সরিয়ে নেবে। কিন্তু কতটা ও কখন, সেটা কেউ জানে না।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আরব কর্মকর্তা বলেন, ‘গাজা, লেবানন, সিরিয়া ও এখন ইরান—সবখানেই তিনি (নেতানিয়াহু) নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে। নিয়ন্ত্রণহীন, লাগামছাড়া শক্তি আর আমাদের জন্য সম্পদ নয়। এটি এখন আমাদের জন্য সমস্যা।’
৪ ঘণ্টা আগেইসরায়েল-ইরানের ১২ দিনের যুদ্ধের সবচেয়ে ভয়ংকর ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়া হয় যুদ্ধ শেষের ঠিক আগ মুহূর্তে। ইরানের লক্ষ্য ছিল দক্ষিণের মরুভূমি শহর বীর শেবা। সেখানে গত মঙ্গলবার ভোর ৬টার কিছু আগে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। বিস্ফোরণে একটি আবাসিক অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের একপাশ সম্পূর্ণ উড়ে যায়। পরে ভবনের
৮ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি ইসরায়েল-ইরানের সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাত আপাতত থামিয়েছে। তবে এই যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ফাটল দেখা দিতে শুরু করেছে। দুই সপ্তাহ আগে ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাগুলোতে বিমান হামলা চালায়।
১১ ঘণ্টা আগেবলা হচ্ছে, শুধু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে খুশি করতেই হঠাৎ করে একটি বিশেষ সম্মেলন আয়োজন করেছে ইউরোপীয় দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটো। শুধু তা-ই নয়, ট্রাম্পকে সন্তুষ্ট করতে এবার ন্যাটো সম্মেলনে ইউরোপীয় নেতারা তাঁর জন্য লালগালিচাও বিছিয়ে দিয়েছেন।
১ দিন আগে