ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বিশ্লেষণ
সিরিয়ার স্বৈরশাসক বাসার আল-আসাদের পতনে মধ্যপ্রাচ্যে তুরস্ক ও ইসরায়েলের প্রভাব বিস্তারের নতুন পথ খুলেছে। এ দুই দেশ মার্কিন মিত্র হলেও বর্তমানে তাঁদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিশেষত গাজা যুদ্ধের পর থেকে। অন্যদিকে, সিরিয়ায় ইরানের প্রভাব কমে যাওয়ার পর তুরস্ক ও ইসরায়েল সিরিয়ায় নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে, যা ভবিষ্যতে তাঁদের মধ্যে সংঘাতের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি তুরস্কের জন্য বড় সুযোগ নিয়ে এসেছে। এখন সিরিয়ায় সবচেয়ে প্রভাবশালী শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে তুরস্ক। দেশটি অটোমান সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত অঞ্চলে পুনরায় প্রভাব বিস্তারের সংকল্প করছে। সিরিয়া, লিবিয়া ও সোমালিয়াসহ নানা অঞ্চলে তুরস্কের উপস্থিতি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান সিরিয়া পুনর্গঠনে নেতৃত্ব দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি সিরিয়ায় তাঁর প্রভাব প্রতিষ্ঠা করতে চান। বিশেষত, ইসরায়েলের শত্রু সুন্নি মুসলিম গোষ্ঠীগুলোর মাধ্যমে। এ ক্ষেত্রে তুরস্ক হামাসকে আরও জোরালো সমর্থন দিতে পারে।
অন্যদিকে, সিরিয়ায় তুরস্কের উত্তরোত্তর প্রভাব বৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন ইসরায়েলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তাঁরা ধারণা করছেন, সিরিয়ায় তুরস্কের আনুকূল্যে থাকা হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) ও অন্যান্য ইসলামিক গোষ্ঠী ভবিষ্যতে ইসরায়েলের জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে।
সিরিয়ায় তুর্কি নেতৃত্বাধীন ইসলামিক গোষ্ঠীগুলোর উত্থানে সীমান্ত অনিরাপদ মনে করছে ইসরায়েল। বিশেষত, সিরিয়ার গোলান উপত্যকার কাছে গোষ্ঠীটির অবস্থান ইসরায়েলের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। যদিও তুরস্ক ও ইসরায়েল এখনো সরাসরি সংঘর্ষে জড়ায়নি, তবে এ ধরনের পরিস্থিতি ভবিষ্যতে সংঘাতের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
তুরস্ক ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্কের এই উত্তেজনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। যুক্তরাষ্ট্র তুরস্ক, ইসরায়েল ও সিরিয়ার কুর্দি গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন দিয়ে থাকে। এখানে তুরস্ক আবার কুর্দি গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধাচরণ করে। ফলে সিরিয়ার রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ত্রিশুঙ্কু দশায় পড়েছে।
তাই ইসরায়েল সিরিয়ার নতুন নেতাদের কথাবার্তা ও নীতি নিয়ে সতর্ক। সিরিয়া থেকে ইরান ও ইরানি মিত্রদের পতনের পর ইসরায়েল একটি শক্তিশালী নিরাপত্তা সুবিধা পেয়েছে। তবে, তুরস্ক প্রভাবিত নতুন সিরিয়ান গোষ্ঠীগুলোর উপস্থিতি তাঁদের জন্য নিরাপত্তাঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। আবার তুরস্কের ভূমিকায় সিরিয়া পুনর্গঠিত হলে ইসরায়েল তাঁদের সীমান্তের কাছে ইসলামিক গোষ্ঠী ও সন্ত্রাসী মিত্রদের উপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগে পড়বে। এ ছাড়া তুরস্কের সমর্থনে থাকা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো যদি ভবিষ্যতে সিরিয়ায় কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করে, তবে তা ইসরায়েলের জন্য আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।
সার্বিক পরিস্থিতি খেয়াল করলে বোঝা যায়, তুরস্ক-ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্কের উত্তেজনা ও সংঘাতের সম্ভাবনা ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে। সিরিয়ায় ইরানের প্রভাব কমে যাওয়ার পর তুরস্কের ভূমিকা মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতিতেও পরিবর্তন আনতে পারে। তবে বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি সংঘর্ষের সম্ভাবনা কম হলেও কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই উত্তেজনা দীর্ঘ মেয়াদে ইসরায়েল ও তুরস্কের সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলতে পারে। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এই পরিস্থিতি এক বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে, তাই মিত্রদের মধ্যে বিরোধের সঠিক সমাধান খুঁজে বের করা অপরিহার্য।
ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল থেকে অনুবাদ করেছেন জগৎপতি বর্মা
সিরিয়ার স্বৈরশাসক বাসার আল-আসাদের পতনে মধ্যপ্রাচ্যে তুরস্ক ও ইসরায়েলের প্রভাব বিস্তারের নতুন পথ খুলেছে। এ দুই দেশ মার্কিন মিত্র হলেও বর্তমানে তাঁদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিশেষত গাজা যুদ্ধের পর থেকে। অন্যদিকে, সিরিয়ায় ইরানের প্রভাব কমে যাওয়ার পর তুরস্ক ও ইসরায়েল সিরিয়ায় নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে, যা ভবিষ্যতে তাঁদের মধ্যে সংঘাতের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি তুরস্কের জন্য বড় সুযোগ নিয়ে এসেছে। এখন সিরিয়ায় সবচেয়ে প্রভাবশালী শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে তুরস্ক। দেশটি অটোমান সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত অঞ্চলে পুনরায় প্রভাব বিস্তারের সংকল্প করছে। সিরিয়া, লিবিয়া ও সোমালিয়াসহ নানা অঞ্চলে তুরস্কের উপস্থিতি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান সিরিয়া পুনর্গঠনে নেতৃত্ব দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি সিরিয়ায় তাঁর প্রভাব প্রতিষ্ঠা করতে চান। বিশেষত, ইসরায়েলের শত্রু সুন্নি মুসলিম গোষ্ঠীগুলোর মাধ্যমে। এ ক্ষেত্রে তুরস্ক হামাসকে আরও জোরালো সমর্থন দিতে পারে।
অন্যদিকে, সিরিয়ায় তুরস্কের উত্তরোত্তর প্রভাব বৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন ইসরায়েলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তাঁরা ধারণা করছেন, সিরিয়ায় তুরস্কের আনুকূল্যে থাকা হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) ও অন্যান্য ইসলামিক গোষ্ঠী ভবিষ্যতে ইসরায়েলের জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে।
সিরিয়ায় তুর্কি নেতৃত্বাধীন ইসলামিক গোষ্ঠীগুলোর উত্থানে সীমান্ত অনিরাপদ মনে করছে ইসরায়েল। বিশেষত, সিরিয়ার গোলান উপত্যকার কাছে গোষ্ঠীটির অবস্থান ইসরায়েলের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। যদিও তুরস্ক ও ইসরায়েল এখনো সরাসরি সংঘর্ষে জড়ায়নি, তবে এ ধরনের পরিস্থিতি ভবিষ্যতে সংঘাতের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
তুরস্ক ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্কের এই উত্তেজনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। যুক্তরাষ্ট্র তুরস্ক, ইসরায়েল ও সিরিয়ার কুর্দি গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন দিয়ে থাকে। এখানে তুরস্ক আবার কুর্দি গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধাচরণ করে। ফলে সিরিয়ার রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ত্রিশুঙ্কু দশায় পড়েছে।
তাই ইসরায়েল সিরিয়ার নতুন নেতাদের কথাবার্তা ও নীতি নিয়ে সতর্ক। সিরিয়া থেকে ইরান ও ইরানি মিত্রদের পতনের পর ইসরায়েল একটি শক্তিশালী নিরাপত্তা সুবিধা পেয়েছে। তবে, তুরস্ক প্রভাবিত নতুন সিরিয়ান গোষ্ঠীগুলোর উপস্থিতি তাঁদের জন্য নিরাপত্তাঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। আবার তুরস্কের ভূমিকায় সিরিয়া পুনর্গঠিত হলে ইসরায়েল তাঁদের সীমান্তের কাছে ইসলামিক গোষ্ঠী ও সন্ত্রাসী মিত্রদের উপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগে পড়বে। এ ছাড়া তুরস্কের সমর্থনে থাকা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো যদি ভবিষ্যতে সিরিয়ায় কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করে, তবে তা ইসরায়েলের জন্য আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।
সার্বিক পরিস্থিতি খেয়াল করলে বোঝা যায়, তুরস্ক-ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্কের উত্তেজনা ও সংঘাতের সম্ভাবনা ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে। সিরিয়ায় ইরানের প্রভাব কমে যাওয়ার পর তুরস্কের ভূমিকা মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতিতেও পরিবর্তন আনতে পারে। তবে বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি সংঘর্ষের সম্ভাবনা কম হলেও কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই উত্তেজনা দীর্ঘ মেয়াদে ইসরায়েল ও তুরস্কের সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলতে পারে। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এই পরিস্থিতি এক বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে, তাই মিত্রদের মধ্যে বিরোধের সঠিক সমাধান খুঁজে বের করা অপরিহার্য।
ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল থেকে অনুবাদ করেছেন জগৎপতি বর্মা
নিজের ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প জানান, তিনি ইতিমধ্যে নির্বাহী আদেশে সই করেছেন এবং নতুন কোনো শর্ত আরোপ করা হচ্ছে না। একই সময়ে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও মার্কিন পণ্যে তাদের শুল্ক স্থগিতাদেশ একই মেয়াদে বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। তাদের পূর্বের চুক্তি শেষ হওয়ার কথা ছিল মঙ্গলবার রাত ১২টা ১ মিনিটে।
১২ ঘণ্টা আগেবিশ্বজুড়েই ছাত্র ইউনিয়নগুলো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা ইস্যুতে সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগকারী গোষ্ঠী হিসেবে কাজ করে। ইতিহাস বলে, এই ছাত্ররাই সরকারকে দায়বদ্ধ করে তোলে এবং তরুণদের অধিকার রক্ষা করে। বাংলাদেশে অনেক ছাত্র নেতা পরবর্তীকালে মূলধারার রাজনীতিতে প্রবেশ...
২ দিন আগেশেখ হাসিনার পতনের বর্ষপূর্তি উদ্যাপন ও বাংলাদেশের এক নতুন ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতির আশায় হাজারো মানুষ গত সপ্তাহে ঢাকায় জড়ো হয়েছিলেন। বর্ষাস্নাত দিনটিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে নেতা, অধিকারকর্মীদের উপস্থিতিতে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক ‘নয়া বাংলাদেশের’ ঘোষণাপত্র উন্মোচন করেছেন।
৩ দিন আগেমিয়ানমারে জান্তা বাহিনী ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে। সেই ঘটনার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত কিছু ব্যক্তি ও কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তবে গত ২৪ জুলাই মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট কিছু ব্যক্তি ও কোম্পানির ওপর...
৩ দিন আগে