হাঙ্গেরিয়ান বংশোদ্ভূত বিলিয়নিয়ার জর্জ সরোসের ছেলে অ্যালেক্স সরোস ঢাকায় নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এই বৈঠক এমন এক সময় অনুষ্ঠিত হয়েছে, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিদেশে সমস্ত আর্থিক সহায়তা স্থগিত করেছেন। এর ফলে বাংলাদেশেও মার্কিন সহায়তা বন্ধ হয়ে গেছে।
ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনসের (ওএসএফ) চেয়ারম্যান অ্যালেক্স সরোসের সঙ্গে মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে গতকাল বুধবার। এ সময় তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দেন। এ ছাড়া তিনি মত দেন, গত আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারকে হটাতে ছাত্র আন্দোলন একটি নতুন পথ তৈরির জন্য বড় সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
বৈঠকে বাংলাদেশের অর্থনীতি, সাইবার নিরাপত্তা, রোহিঙ্গা সংকট এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। অ্যালেক্স সরোস বাংলাদেশের সংকটময় সময়ে নেতৃত্ব নেওয়ার জন্য মুহাম্মদ ইউনূসের প্রশংসা করেন এবং তাঁর গৃহীত সংস্কারগুলোর প্রতি সমর্থন জানান।
মুহাম্মদ ইউনূসও ওএসএফ-এর সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং জানান, হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ নিয়ে অনেক ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছিল।
মানি কন্ট্রোলের প্রতিবেদন অনুসারে, মুহাম্মদ ইউনূস ওএসএফ-এর কাছে অনুরোধ করেছেন, যেন তারা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে পুনর্গঠনে সাহায্য করে এবং শেখ হাসিনার শাসনামলে অবৈধভাবে দেশ থেকে পাচার হওয়া প্রায় ২৩৪ বিলিয়ন ডলার উদ্ধার করতে সহায়তা করে।
গত আগস্টে শেখ হাসিনার পতনের পর সরোস ও ইউনূসের মধ্যে এটি দ্বিতীয় বৈঠক। এর আগে, ২০২৪ সালের ২ অক্টোবর নিউইয়র্কে তাঁরা সাক্ষাৎ করেছিলেন। অ্যালেক্স সরোস সে সময় ইনস্টাগ্রামে মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছিলেন, ‘আমার বাবার পুরোনো বন্ধু ও নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করে আনন্দিত। তিনি বাংলাদেশকে ন্যায়সংগত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।’
সরোস ও মুহাম্মদ ইউনূসের এই বৈঠক নিয়ে ভারতের উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে মনে করে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। বৃহস্পতিবার এ ধরনের উদ্বেগের জন্য দুটি কারণের কথা উল্লেখ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ফার্স্টপোস্ট।
প্রথম কারণটি হলো, অ্যালেক্স সরোসের রাজনৈতিক অবস্থান। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কড়া সমালোচক এবং ওএসএফকে স্বাধীন কাশ্মীরের সমর্থক বলে অভিযোগ করা হয়।
দ্বিতীয় কারণটি হলো, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত চুক্তি। কারণ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত নিয়ে কিছু অসম চুক্তি বাতিল পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছে ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার।
অতীতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর অ্যালেক্সের বাবা জর্জ সরোসকে বয়স্ক, ধনী এবং বিপজ্জনক বলে উল্লেখ করেছিলেন। দেশটির ক্ষমতাসীন বিজেপির অভিযোগ, কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সরোস-সমর্থিত সংস্থাগুলোর যোগসাজশ রয়েছে।
ফার্স্টপোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ইস্যুতে ভারতের জন্য মূল উদ্বেগের কারণগুলো হলো—ওএসএফ বাংলাদেশের নতুন সরকারের নীতিনির্ধারণে প্রভাব বিস্তার করতে পারে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত সম্পর্কের ভবিষ্যৎ প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ওপর পশ্চিমা শক্তিগুলোর প্রভাব বাড়তে পারে।
হাঙ্গেরিয়ান বংশোদ্ভূত বিলিয়নিয়ার জর্জ সরোসের ছেলে অ্যালেক্স সরোস ঢাকায় নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এই বৈঠক এমন এক সময় অনুষ্ঠিত হয়েছে, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিদেশে সমস্ত আর্থিক সহায়তা স্থগিত করেছেন। এর ফলে বাংলাদেশেও মার্কিন সহায়তা বন্ধ হয়ে গেছে।
ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনসের (ওএসএফ) চেয়ারম্যান অ্যালেক্স সরোসের সঙ্গে মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে গতকাল বুধবার। এ সময় তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দেন। এ ছাড়া তিনি মত দেন, গত আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারকে হটাতে ছাত্র আন্দোলন একটি নতুন পথ তৈরির জন্য বড় সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
বৈঠকে বাংলাদেশের অর্থনীতি, সাইবার নিরাপত্তা, রোহিঙ্গা সংকট এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। অ্যালেক্স সরোস বাংলাদেশের সংকটময় সময়ে নেতৃত্ব নেওয়ার জন্য মুহাম্মদ ইউনূসের প্রশংসা করেন এবং তাঁর গৃহীত সংস্কারগুলোর প্রতি সমর্থন জানান।
মুহাম্মদ ইউনূসও ওএসএফ-এর সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং জানান, হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ নিয়ে অনেক ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছিল।
মানি কন্ট্রোলের প্রতিবেদন অনুসারে, মুহাম্মদ ইউনূস ওএসএফ-এর কাছে অনুরোধ করেছেন, যেন তারা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে পুনর্গঠনে সাহায্য করে এবং শেখ হাসিনার শাসনামলে অবৈধভাবে দেশ থেকে পাচার হওয়া প্রায় ২৩৪ বিলিয়ন ডলার উদ্ধার করতে সহায়তা করে।
গত আগস্টে শেখ হাসিনার পতনের পর সরোস ও ইউনূসের মধ্যে এটি দ্বিতীয় বৈঠক। এর আগে, ২০২৪ সালের ২ অক্টোবর নিউইয়র্কে তাঁরা সাক্ষাৎ করেছিলেন। অ্যালেক্স সরোস সে সময় ইনস্টাগ্রামে মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছিলেন, ‘আমার বাবার পুরোনো বন্ধু ও নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করে আনন্দিত। তিনি বাংলাদেশকে ন্যায়সংগত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।’
সরোস ও মুহাম্মদ ইউনূসের এই বৈঠক নিয়ে ভারতের উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে মনে করে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। বৃহস্পতিবার এ ধরনের উদ্বেগের জন্য দুটি কারণের কথা উল্লেখ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ফার্স্টপোস্ট।
প্রথম কারণটি হলো, অ্যালেক্স সরোসের রাজনৈতিক অবস্থান। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কড়া সমালোচক এবং ওএসএফকে স্বাধীন কাশ্মীরের সমর্থক বলে অভিযোগ করা হয়।
দ্বিতীয় কারণটি হলো, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত চুক্তি। কারণ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত নিয়ে কিছু অসম চুক্তি বাতিল পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছে ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার।
অতীতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর অ্যালেক্সের বাবা জর্জ সরোসকে বয়স্ক, ধনী এবং বিপজ্জনক বলে উল্লেখ করেছিলেন। দেশটির ক্ষমতাসীন বিজেপির অভিযোগ, কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সরোস-সমর্থিত সংস্থাগুলোর যোগসাজশ রয়েছে।
ফার্স্টপোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ইস্যুতে ভারতের জন্য মূল উদ্বেগের কারণগুলো হলো—ওএসএফ বাংলাদেশের নতুন সরকারের নীতিনির্ধারণে প্রভাব বিস্তার করতে পারে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত সম্পর্কের ভবিষ্যৎ প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ওপর পশ্চিমা শক্তিগুলোর প্রভাব বাড়তে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি ইসরায়েল-ইরানের সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাত আপাতত থামিয়েছে। তবে এই যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ফাটল দেখা দিতে শুরু করেছে। দুই সপ্তাহ আগে ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাগুলোতে বিমান হামলা চালায়।
২ ঘণ্টা আগেবলা হচ্ছে, শুধু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে খুশি করতেই হঠাৎ করে একটি বিশেষ সম্মেলন আয়োজন করেছে ইউরোপীয় দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটো। শুধু তা-ই নয়, ট্রাম্পকে সন্তুষ্ট করতে এবার ন্যাটো সম্মেলনে ইউরোপীয় নেতারা তাঁর জন্য লালগালিচাও বিছিয়ে দিয়েছেন।
১৪ ঘণ্টা আগেইরানের ফোরদো পারমাণবিক কেন্দ্র সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে নজরদারির মধ্যে থাকা জায়গাগুলোর একটি। ২০০৯ সালে পশ্চিমা গোয়েন্দারা গোপন এই পারমাণবিক স্থাপনাটির তথ্য প্রথম প্রকাশ্যে আনেন। ইরান ও ইসরায়েলের সংঘাতে সম্প্রতি সেখানেই বোমা হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
১৬ ঘণ্টা আগেমধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিরতি যে কতটা অস্থির ও অনির্ভরযোগ্য, তা এখন হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ঘোষণার পরই ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টা হামলা, সামাজিক মাধ্যমে মরিয়া সতর্কবার্তা ও নেতানিয়াহুকে ফোন করে শান্ত থাকার অনুরোধ—সবই তাঁর গভীর হতাশার ইঙ্গিত দেয়।
২ দিন আগে