পরাগ মাঝি
বৈশ্বিক মন্দা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবসহ নানা কারণেই অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মুদ্রার মান কমেছে। আজ বুধবার (৪ অক্টোবর) ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার মান ছিল ১১০ টাকার ওপরে। অথচ ২০২০ সালেই ৮৪ টাকায় ১ ডলার পাওয়া যেত।
একটি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সাম্প্রতিক বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তান ব্যতীত বাংলাদেশি মুদ্রার মানই সবচেয়ে বেশি কমেছে। এমনকি যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগান মুদ্রার বিপরীতেও টাকার মান অনেক কমে গেছে।
২০২১ সালেও টাকা আর আফগানির (আফগান মুদ্রা) মান ছিল প্রায় সমান। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের রেকর্ড অনুযায়ী, ১ ডলারের বিপরীতে আফগান মুদ্রার মান ছিল প্রায় ৮৮ আফগানি। একই মাসে ১ ডলারের বিনিময়ে বাংলাদেশি মুদ্রার মান ছিল প্রায় ৮৫ টাকা। অর্থাৎ সে সময় ৯৬ টাকার বিনিময়ে ১০০ আফগানি পাওয়া যেত। মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে এখন ১০০ আফগানি পেতে ১৪৩ টাকা খরচ করতে হবে!
২০২১ সালের আগস্টে দ্বিতীয়বারের মতো আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করেছিল তালেবান। ইসলামি অনুশাসনে পরিচালিত এই সরকারকে কিছুটা পশ্চাৎপদ হিসেবেই বিবেচনা করে বাকি বিশ্ব। কিন্তু তাঁদের অধীনেই আফগান মুদ্রার মান বেড়ে যাওয়া রীতিমতো বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে—কীভাবে এমনটি সম্ভব হলো?
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্ব মুদ্রাব্যবস্থায় বর্তমানে অবিশ্বাস্য ‘পারফর্ম’ করছে আফগানি। বাংলাদেশি টাকা কিংবা ভারতীয় রুপিই শুধু নয়, মুদ্রাটির সাম্প্রতিক উত্থান টপকে গেছে ডলারকেও। গত ত্রৈমাসিক অর্থাৎ জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানির মূল্য ৯ শতাংশ বেড়েছে। যা অন্য যেকোনো মুদ্রার চেয়ে বেশি। বিষয়টি বিশেষজ্ঞদেরও চমকে দিয়েছে। বর্তমানে ১ ডলার পেতে ৭৭ আফগানি খরচ করতে হচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশি মুদ্রায় খরচ করতে হচ্ছে ১১০ টাকার ওপরে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আফগানির এমন সাফল্যের পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে বর্তমান তালিবান সরকারের নেওয়া কিছু পদক্ষেপ। সম্প্রতি দেশটির স্থানীয় লেনদেনে ডলার ও পাকিস্তানি রুপির ব্যবহার বন্ধের পাশাপাশি দেশ থেকে বাইরে ডলার নিয়ে যাওয়ার ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়।
দেশটিতে অনলাইনভিত্তিক ব্যবসা-বাণিজ্যও অবৈধ ঘোষণা করেছে সরকার। পাশাপাশি রেমিট্যান্স বাড়াতেও নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। আছে বিদেশি সাহায্যও। সব মিলিয়ে চলতি বছর আফগানির দর বেড়েছে ১৪ শতাংশ পর্যন্ত, যেখানে দক্ষিণ এশিয়ার বেশির ভাগ দেশের মুদ্রায় পতন দেখা গেছে।
আফগানির মূল্য বৃদ্ধির পেছনে দেশটির প্রাকৃতিক সম্পদও ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। আফগানিস্তানে আনুমানিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের লিথিয়াম মজুত রয়েছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আফগানিস্তানের মুদ্রার এই মূল্য বৃদ্ধি স্বল্পমেয়াদি। কারণ, দেশটির পরিস্থিতি মোটেও ভালো নয়। সেখানে এখনো অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নেই। চার কোটি জনসংখ্যার এই দেশটিতে প্রায় সাড়ে তিন কোটি মানুষই এখনো দারিদ্র্যের মধ্যে রয়েছে।
বৈশ্বিক মন্দা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবসহ নানা কারণেই অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মুদ্রার মান কমেছে। আজ বুধবার (৪ অক্টোবর) ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার মান ছিল ১১০ টাকার ওপরে। অথচ ২০২০ সালেই ৮৪ টাকায় ১ ডলার পাওয়া যেত।
একটি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সাম্প্রতিক বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তান ব্যতীত বাংলাদেশি মুদ্রার মানই সবচেয়ে বেশি কমেছে। এমনকি যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগান মুদ্রার বিপরীতেও টাকার মান অনেক কমে গেছে।
২০২১ সালেও টাকা আর আফগানির (আফগান মুদ্রা) মান ছিল প্রায় সমান। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের রেকর্ড অনুযায়ী, ১ ডলারের বিপরীতে আফগান মুদ্রার মান ছিল প্রায় ৮৮ আফগানি। একই মাসে ১ ডলারের বিনিময়ে বাংলাদেশি মুদ্রার মান ছিল প্রায় ৮৫ টাকা। অর্থাৎ সে সময় ৯৬ টাকার বিনিময়ে ১০০ আফগানি পাওয়া যেত। মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে এখন ১০০ আফগানি পেতে ১৪৩ টাকা খরচ করতে হবে!
২০২১ সালের আগস্টে দ্বিতীয়বারের মতো আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করেছিল তালেবান। ইসলামি অনুশাসনে পরিচালিত এই সরকারকে কিছুটা পশ্চাৎপদ হিসেবেই বিবেচনা করে বাকি বিশ্ব। কিন্তু তাঁদের অধীনেই আফগান মুদ্রার মান বেড়ে যাওয়া রীতিমতো বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে—কীভাবে এমনটি সম্ভব হলো?
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্ব মুদ্রাব্যবস্থায় বর্তমানে অবিশ্বাস্য ‘পারফর্ম’ করছে আফগানি। বাংলাদেশি টাকা কিংবা ভারতীয় রুপিই শুধু নয়, মুদ্রাটির সাম্প্রতিক উত্থান টপকে গেছে ডলারকেও। গত ত্রৈমাসিক অর্থাৎ জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানির মূল্য ৯ শতাংশ বেড়েছে। যা অন্য যেকোনো মুদ্রার চেয়ে বেশি। বিষয়টি বিশেষজ্ঞদেরও চমকে দিয়েছে। বর্তমানে ১ ডলার পেতে ৭৭ আফগানি খরচ করতে হচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশি মুদ্রায় খরচ করতে হচ্ছে ১১০ টাকার ওপরে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আফগানির এমন সাফল্যের পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে বর্তমান তালিবান সরকারের নেওয়া কিছু পদক্ষেপ। সম্প্রতি দেশটির স্থানীয় লেনদেনে ডলার ও পাকিস্তানি রুপির ব্যবহার বন্ধের পাশাপাশি দেশ থেকে বাইরে ডলার নিয়ে যাওয়ার ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়।
দেশটিতে অনলাইনভিত্তিক ব্যবসা-বাণিজ্যও অবৈধ ঘোষণা করেছে সরকার। পাশাপাশি রেমিট্যান্স বাড়াতেও নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। আছে বিদেশি সাহায্যও। সব মিলিয়ে চলতি বছর আফগানির দর বেড়েছে ১৪ শতাংশ পর্যন্ত, যেখানে দক্ষিণ এশিয়ার বেশির ভাগ দেশের মুদ্রায় পতন দেখা গেছে।
আফগানির মূল্য বৃদ্ধির পেছনে দেশটির প্রাকৃতিক সম্পদও ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। আফগানিস্তানে আনুমানিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের লিথিয়াম মজুত রয়েছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আফগানিস্তানের মুদ্রার এই মূল্য বৃদ্ধি স্বল্পমেয়াদি। কারণ, দেশটির পরিস্থিতি মোটেও ভালো নয়। সেখানে এখনো অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নেই। চার কোটি জনসংখ্যার এই দেশটিতে প্রায় সাড়ে তিন কোটি মানুষই এখনো দারিদ্র্যের মধ্যে রয়েছে।
ইসরায়েল সম্ভবত চলতি বছরের ডিসেম্বরের আগেই ইরানের সঙ্গে নতুন যুদ্ধ শুরু করবে। এমনও হতে পারে, হয়তো চলতি আগস্টের শেষেই এই যুদ্ধ শুরু করতে পারে তেল আবিব। ইরানও এমন আক্রমণের আশঙ্কা থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রথম যুদ্ধে সংঘাত দীর্ঘস্থায়ী হবে ধরে নিয়ে ইরান দীর্ঘমেয়াদি কৌশল নিয়েছিল...
৫ ঘণ্টা আগেচার বছর আগে, ২০২১ সালের জুনে, জেনেভায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও পুতিনের শেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তখনো রাশিয়া ইউক্রেনে পূর্ণাঙ্গ হামলা চালায়নি। কিন্তু সেই বছরের শেষের দিকেই পুতিন ইউক্রেন সীমান্তে হাজার হাজার সেনা পাঠান এবং যুক্তরাষ্ট্রে সাইবার হামলা চালানো হয়। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার
২ দিন আগেআলাস্কার শান্ত শহর অ্যাঙ্কোরেজ হঠাৎ পরিণত হয়েছে বিশ্বরাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঐতিহাসিক শীর্ষ বৈঠক হতে চলেছে শহরটিতে। বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধের ফয়সালাসহ দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে।
২ দিন আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে বহুল আলোচিত ও প্রতীক্ষিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামীকাল শুক্রবার। যুক্তরাষ্ট্রের রাশিয়াসংলগ্ন অঙ্গরাজ্য আলাস্কায় অবস্থিত যৌথ ঘাঁটি এলমেনডর্ফ-রিচার্ডসনে মুখোমুখি বসবেন ট্রাম্প-পুতিন। বৈঠকের প্রধান আলোচ্য বিষয়
৩ দিন আগে