যুদ্ধের সময় কারও ভাবনায়ই জটিল সমাধান আসে না, আসে সহজ সমাধান। ইউক্রেন ইস্যুতে দুটি সহজ ভাবনা কল্পনা করা যাক। এক. হুট করেই একদিন ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণা করলেন। দুই. রাশিয়ায় ক্ষমতায় নেই পুতিন, যুদ্ধ বন্ধ করে রাশিয়া ইউক্রেন এবং পশ্চিমাদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করল। কিন্তু বাস্তবতা হলো—পুতিন আপাতত যুদ্ধ বন্ধ করছেন এমন কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। আর তাঁর জায়গায় কেউই আসার সম্ভাবনা রয়েছে কি না তা দেখে নেওয়া যাক।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে রুশ সাংবাদিক ওলেক কাশিন বলেছেন, ‘পশ্চিমাদের ভাবনা আসলে এটা নিয়েই। কেন রাশিয়ার ভেতরে পুতিনের দলের কেউই কেন তাঁকে সরিয়ে দিতে পারছে না।’ নিয়ম যতই কড়া হোক না কেন যে কোনো দেশে চাইলেই এমন হতে পারে। অনেক বছর চেষ্টার পর রুশ সরকারের একটি বড় ফাঁকে প্রবেশ করতে পেরেছিল পশ্চিমারা।
ফাঁকটি হলো দুর্নীতি। পুতিনবিরোধী শিবিরের নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনি এমন কিছু ডকুমেন্টও প্রকাশ করেছিলেন। পুতিনের জনপ্রিয়তা কমার সুযোগ ছিল তখন। কিন্তু দুর্নীতি এমন একটি বিষয় যা কোনো সিস্টেমকে সহজে কলুষিত করতে পারলেও দায়ীকে আটকাতে পারে না। বিশেষ করে পুতিনের বানানো সিস্টেমে পুতিনকে আটকানো তো আরও সম্ভব নয়ই।
নিউইয়র্ক টাইমসের ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পুতিন নিজের দুর্নীতির অভিযোগ ঢেকে সেই দুর্নীতিকেই ‘হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহার করে পুতিন নিজের দলের ‘পথ ভ্রষ্টদের’ সাজা দেন। বেছে বেছে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের অনেককেই এই শাস্তি দিয়েছেন তিনি। প্রথমদিকে কেউ ব্যাপারটি বুঝতে না পারলেও এখন বোঝা যাচ্ছে, তাঁর এই সিদ্ধান্তগুলো আসলে রাজনৈতিক।
পুতিনের সরকারের সাবেক অর্থমন্ত্রী অ্যালেক্সেই উলিয়ুকায়েভের কথাই আমলে নেওয়া যাক। পুতিনের বন্ধু ইগর সেচিনের সঙ্গে এই মন্ত্রীর দ্বন্দ্বের পর সরে যেতে বাধ্য করা হয়েছে তাঁকে। রাশিয়ায় এখন দুর্নীতির আরেক নাম ‘উসকানি’। পুতিনে কথা মতো চললে যেকোনো দুর্নীতি করা যাবে। কিন্তু তাঁর কথা না শুনলে কিংবা তাঁর সন্দেহ হলেই যেতে হবে জেলে।
ইউক্রেনের সঙ্গে চলমান যুদ্ধের সময় এ সিস্টেমকে সমূলে উৎপাটনের সুযোগ ছিল। রাশিয়ার বাইরে থাকা সব সম্পত্তি হারানোর শঙ্কায় ছিল দেশটির ‘অলিগার্ক’ বলে খ্যাত এলিট শ্রেণির একটি অংশ। এতে, তাঁদের যাবতীয় ক্ষোভ পুতিনের ওপরই পড়ার কথা ছিল। কিন্তু পুতিনের কৌশলী কূটনীতিক চালের কারণে সেই সম্ভাবনাও তিরোহিত হয়ে যায়।
ইউক্রেনের সঙ্গে চলমান যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বা অবদানের কারণে কোনো সামরিক কর্মকর্তারও জনপ্রিয়তা বেড়ে যাওয়ার উপায় নেই। পুতিন সেই পথও বন্ধ রেখেছেন। ইউক্রেন যুদ্ধে যারা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাঁদের নাম গোপন রাখা হচ্ছে। দেশটিতে তিনি ছাড়া তাঁর দলের কারও জনপ্রিয়তা বাড়েনি। যারা একটু আলোচনায় এসেছেন তাঁরা সবাই পুতিনের অনেক বেশি বিশ্বস্ত এবং অন্য যারা আলোচনায় আসার চেষ্টা করেছেন তাদেরই কৌশলে শান্ত করে দিয়েছেন পুতিন। এভাবেই পুতিন দিনের পর দিন নিজের ক্ষমতাকে সুসংহত এবং সুরক্ষিত করে রেখেছেন।
যুদ্ধের সময় কারও ভাবনায়ই জটিল সমাধান আসে না, আসে সহজ সমাধান। ইউক্রেন ইস্যুতে দুটি সহজ ভাবনা কল্পনা করা যাক। এক. হুট করেই একদিন ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণা করলেন। দুই. রাশিয়ায় ক্ষমতায় নেই পুতিন, যুদ্ধ বন্ধ করে রাশিয়া ইউক্রেন এবং পশ্চিমাদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করল। কিন্তু বাস্তবতা হলো—পুতিন আপাতত যুদ্ধ বন্ধ করছেন এমন কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। আর তাঁর জায়গায় কেউই আসার সম্ভাবনা রয়েছে কি না তা দেখে নেওয়া যাক।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে রুশ সাংবাদিক ওলেক কাশিন বলেছেন, ‘পশ্চিমাদের ভাবনা আসলে এটা নিয়েই। কেন রাশিয়ার ভেতরে পুতিনের দলের কেউই কেন তাঁকে সরিয়ে দিতে পারছে না।’ নিয়ম যতই কড়া হোক না কেন যে কোনো দেশে চাইলেই এমন হতে পারে। অনেক বছর চেষ্টার পর রুশ সরকারের একটি বড় ফাঁকে প্রবেশ করতে পেরেছিল পশ্চিমারা।
ফাঁকটি হলো দুর্নীতি। পুতিনবিরোধী শিবিরের নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনি এমন কিছু ডকুমেন্টও প্রকাশ করেছিলেন। পুতিনের জনপ্রিয়তা কমার সুযোগ ছিল তখন। কিন্তু দুর্নীতি এমন একটি বিষয় যা কোনো সিস্টেমকে সহজে কলুষিত করতে পারলেও দায়ীকে আটকাতে পারে না। বিশেষ করে পুতিনের বানানো সিস্টেমে পুতিনকে আটকানো তো আরও সম্ভব নয়ই।
নিউইয়র্ক টাইমসের ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পুতিন নিজের দুর্নীতির অভিযোগ ঢেকে সেই দুর্নীতিকেই ‘হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহার করে পুতিন নিজের দলের ‘পথ ভ্রষ্টদের’ সাজা দেন। বেছে বেছে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের অনেককেই এই শাস্তি দিয়েছেন তিনি। প্রথমদিকে কেউ ব্যাপারটি বুঝতে না পারলেও এখন বোঝা যাচ্ছে, তাঁর এই সিদ্ধান্তগুলো আসলে রাজনৈতিক।
পুতিনের সরকারের সাবেক অর্থমন্ত্রী অ্যালেক্সেই উলিয়ুকায়েভের কথাই আমলে নেওয়া যাক। পুতিনের বন্ধু ইগর সেচিনের সঙ্গে এই মন্ত্রীর দ্বন্দ্বের পর সরে যেতে বাধ্য করা হয়েছে তাঁকে। রাশিয়ায় এখন দুর্নীতির আরেক নাম ‘উসকানি’। পুতিনে কথা মতো চললে যেকোনো দুর্নীতি করা যাবে। কিন্তু তাঁর কথা না শুনলে কিংবা তাঁর সন্দেহ হলেই যেতে হবে জেলে।
ইউক্রেনের সঙ্গে চলমান যুদ্ধের সময় এ সিস্টেমকে সমূলে উৎপাটনের সুযোগ ছিল। রাশিয়ার বাইরে থাকা সব সম্পত্তি হারানোর শঙ্কায় ছিল দেশটির ‘অলিগার্ক’ বলে খ্যাত এলিট শ্রেণির একটি অংশ। এতে, তাঁদের যাবতীয় ক্ষোভ পুতিনের ওপরই পড়ার কথা ছিল। কিন্তু পুতিনের কৌশলী কূটনীতিক চালের কারণে সেই সম্ভাবনাও তিরোহিত হয়ে যায়।
ইউক্রেনের সঙ্গে চলমান যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বা অবদানের কারণে কোনো সামরিক কর্মকর্তারও জনপ্রিয়তা বেড়ে যাওয়ার উপায় নেই। পুতিন সেই পথও বন্ধ রেখেছেন। ইউক্রেন যুদ্ধে যারা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাঁদের নাম গোপন রাখা হচ্ছে। দেশটিতে তিনি ছাড়া তাঁর দলের কারও জনপ্রিয়তা বাড়েনি। যারা একটু আলোচনায় এসেছেন তাঁরা সবাই পুতিনের অনেক বেশি বিশ্বস্ত এবং অন্য যারা আলোচনায় আসার চেষ্টা করেছেন তাদেরই কৌশলে শান্ত করে দিয়েছেন পুতিন। এভাবেই পুতিন দিনের পর দিন নিজের ক্ষমতাকে সুসংহত এবং সুরক্ষিত করে রেখেছেন।
ট্রাম্পের দাবি অনুযায়ী তিনি গত মে মাসে ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ থামিয়েছেন, তবে এটি একটি ভঙ্গুর চুক্তি। ভারত ওয়াশিংটনের মূল ভূমিকা পালনের দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। কারণ, এ চুক্তি কাশ্মীর নিয়ে মূল বিরোধের সমাধান করেনি, যা তিনটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের কারণ হয়েছে।
২ দিন আগেহোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ইউক্রেনকে নিয়ে একটি নতুন নিরাপত্তা পরিকল্পনার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রও এ শান্তিরক্ষায় যুক্ত থাকবে।
৩ দিন আগেইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের অবসান নিয়ে আলোচনা জোরদার হয়েছে। এ নিয়ে আলাস্কায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে বিরল বৈঠক হয়েছে। গতকাল সোমবার হোয়াইট হাউসে বৈঠক করেছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গেও ট্রাম্পের বৈঠক হয়েছে। এই আলোচনায় মূল কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে ইউক্রেনের
৩ দিন আগে২০১৩-১৪ সালে ইউক্রেনে ব্যাপক গণবিক্ষোভ শুরু হলে রুশপন্থী প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ ক্ষমতাচ্যুত হন। এই রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কোনো রাষ্ট্রীয় প্রতীকবিহীন সশস্ত্র সৈন্য পাঠিয়ে ক্রিমিয়া দখল করে নেন। পরে পুতিন ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করার জন্য একটি
৪ দিন আগে