Ajker Patrika

হোয়াইট হাউসে মোদির সঙ্গে কী আলাপ হবে বাইডেনের

আপডেট : ০৯ জুন ২০২৩, ২০: ১০
হোয়াইট হাউসে মোদির সঙ্গে কী আলাপ হবে বাইডেনের

সবকিছু ঠিক থাকলে ২১ জুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমন্ত্রণে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন মোদির এই সফরকে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়ে বলেছে, এর মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্কে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। 

সফরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টটি অনুষ্ঠিত হবে ২২ জুন। সেদিন হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনের সঙ্গে ডিনারে অংশ নেবেন মোদি। এ সময় দুই নেতার মধ্যে উষ্ণ আলাপচারিতার বিষয়বস্তু কী হবে কিংবা মোদির সফরে কী কী বিষয়ে জোর দেওয়া হবে—তা নিয়ে কথা বলেছেন পেন্টাগনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব এবং ইন্দো-প্যাসিফিক নিরাপত্তাবিষয়ক প্রতিরক্ষা বিভাগের সহকারী সচিব এলি র‍্যাটনার। 

গতকাল বৃহস্পতিবার মোদির সফরের বিষয়ে ওয়াশিংটনের নিউ আমেরিকান সিকিউরিটি সেন্টারে এক প্যানেল আলোচনায় র‍্যাটনার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদির এই সফরকে সাধারণ মানুষ মার্কিন-ভারত সম্পর্কের নতুন মোড় হিসেবে দেখছে।’ 

র‍্যাটনার জানান, মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন কয়েক দিন আগেই ভারত সফর করেছেন। মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরের আগে দুই দেশের অভিন্ন ইস্যুগুলোর প্রাথমিক প্রস্তাবনা ও আলোচনা পথ তৈরি করতেই সফরটি করেছিলেন অস্টিন। 

র‍্যাটনার জানান, মোদির সফরে আলোচনার অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে যৌথ উন্নয়ন এবং উৎপাদনের প্রশ্নে কৌশলগত অবস্থান নির্ণয়। 

এ ছাড়া নিজ দেশের প্রতিরক্ষা শিল্পকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি সামরিক আধুনিকীকরণ মোদির অগ্রাধিকারে থাকবে বলে মনে করেন র‍্যাটনার। 

তবে প্রতিরক্ষায় সহযোগিতার পাশাপাশি মোদির সফরে কিছু বড়, ঐতিহাসিক এবং উত্তেজনাপূর্ণ ঘোষণা আসতে চলেছে বলেও জানান র‍্যাটনার। এ সময় ভারত মহাসাগরকে ফোকাসে রেখে দুই দেশের মধ্যে অপারেশনাল সমন্বয় বাড়ানোরও ইঙ্গিত দেন তিনি। 

র‍্যাটনার বলেন, ‘যদি আপনি মার্কিন-ভারত সম্পর্কের উন্নয়নের দিকে তাকান, এটি সত্যিই অবিশ্বাস্য যে সম্পর্কটি গত কয়েক দশক ধরে কতটা এগিয়েছে। এটি এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সত্য।’ 

র‍্যাটনার জানান, এই অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক চালচলনের পটভূমিতে একটি মুক্ত, উন্মুক্ত ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে কথা বলছে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত এবং আরও কয়েকটি বিশ্বশক্তি। 

চীন বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরের প্রায় পুরোটাই দাবি করে। দক্ষিণ চীন সাগরে ইতিমধ্যেই কৃত্রিম দ্বীপ ও সামরিক স্থাপনা নির্মাণ করেছে বেইজিং। তবে তাইওয়ান, ফিলিপাইন, ব্রুনেই, মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনাম সবাই এই সাগরে নিজেদের অংশীদারত্ব দাবি করে। 

সবশেষে র‍্যাটনার বলেন, ‘একটি শক্তিশালী ভারত যদি তার নিজস্ব স্বার্থ এবং তার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারে—তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ভালো।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত