‘আল্লাহ ইয়াতাবাল ওমরু’ অর্থাৎ আল্লাহ আপনাকে দীর্ঘজীবী করুন। মুরব্বিদের উদ্দেশে আরবি এই বাক্যটি বহুল প্রচলিত। কিন্তু ইরাকের পবিত্র নাজাফ শহরে অবস্থান করা শিয়া ইমামেরা এই বাক্যটি প্রতিনিয়ত মন থেকেই উচ্চারণ করেন। কারণ এই শহরেই থাকেন বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ২০ কোটি শিয়া মুসলিমের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আলি-আল সিস্তানি। ৯২ বছর বয়সে তাঁর জীবন প্রদীপ এখন নিভু নিভু।
বিলিয়ন ডলার মূল্যের একটি বহুজাতিক নেটওয়ার্কের প্রধান হয়েও খুব সাধারণ জীবন-যাপন করেন এই আলি-আল সিস্তানি। শিয়াদের পবিত্রতম মাজারগুলোর সভাপতিও তিনি। প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ এসব মাজার পরিদর্শন করেন।
কিন্তু সিস্তানির কোনো যোগ্য ও সুস্পষ্ট উত্তরসূরি না দেখে শিয়ারা ভয় পাচ্ছেন এই ভেবে যে—তাঁর অবর্তমানে সর্বোচ্চ নেতার পদ নিয়ে হয়তো বড় ধরনের কোনো গোলযোগ কিংবা বিভাজনের সৃষ্টি হবে।
তাত্ত্বিকভাবে সিস্তানির অনুসারী ইমামরাই তাঁদের নতুন নেতা নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সিস্তানির অবর্তমানে সর্বোচ্চ নেতা হওয়ার তালিকায় যে দুজন মহান আয়াতুল্লাহর নাম আসছে, তাঁদের একজন পাকিস্তানের, অন্যজন আফগানিস্তানের। কিন্তু তাঁদেরও বয়স বর্তমানে কম হয়নি। এ দুজনের একজনের বয়স ৮০-এর কোঠায়, অন্যজনের বয়স ৯৩ বছর!
তালিকায় তিনজন অপেক্ষাকৃত তরুণ পণ্ডিতও রয়েছেন যারা সর্বোচ্চ নেতার পদটির দাবিদার হতে পারেন। এর মধ্যে একজন বাহরাইনের। কিন্তু উগ্র অবস্থানের কারণে তিনি সিস্তানির আনুকূল্য থেকে কিছুটা দূরে ছিটকে গেছেন। এ ছাড়া তালিকার ওপরের দিকে থাকা পাঁচজনেরই একটি সাধারণ সমস্যা হলো—তাঁরা কেউই নবী মুহাম্মদের (সা.) সরাসরি বংশধর নন। ফলে তাঁদের এ তালিকায় কিছুটা নিম্ন বংশীয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
ধারণা করা হচ্ছে, এবার হয়তো এই পদটি এমন কারও দখলেই যাবে যার জন্ম ইরানে হয়নি। এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে সিস্তানিসহ যারা এ পদে এসেছেন তাঁদের সবার জন্মই ইরানে। তাই ইরানের বাইরে থেকে কাউকে এ পদের জন্য বিবেচনা করলে বিষয়টি দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি কিংবা তাঁর উত্তরসূরিদের বিচলিত করবে। এ ক্ষেত্রে তাঁরা হয়তো তাঁদের পছন্দ চাপিয়ে দিতে চাইবেন।
জানা যায়, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এরই মধ্যে তাঁর পুরোনো একজন গুরুকে নাজাফে পাঠানোর চেষ্টা করেছিলেন সেখানকার ইমামদের জয় করতে। সিস্তানির বাড়ির গলিপথ ধরে বেশ কিছু ফারসি-ভাষীকে আনাগোনা করতেও দেখা গেছে।
এদিকে, শিয়া সর্বোচ্চ নেতা পদটির দাবিদার হতে পারেন কিছুটা উদার ধার্মিকেরাও। এক সময় মুহাম্মাদ সাদিক আল-সদর ছিলেন ইরাকের সাহসী ধর্মীয় নেতা। ১৯৯৯ সালে সাদ্দাম হোসেনের হাতে নিহত হওয়ার আগে তিনি সিস্তানির নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। তাঁর ছেলে মুকতাদা আল-সদর এখন এক উজ্জ্বলতম নেতা। বাবার জনপ্রিয়তা তিনি উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছেন। ইরাকের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়। এমনকি তাঁর কিছু ভক্ত তাঁকে ইমাম মাহদিও মনে করেন। মুসলিম (শিয়া ও সুন্নি উভয়) বিশ্বাস অনুযায়ী, কেয়ামতের আগে মুসলিম বিশ্বের নেতৃত্ব দিতে ইমাম মাহদির আবির্ভাব ঘটবে।
এ ছাড়া কায়েস খাজালি নামে এক উচ্ছৃঙ্খল ইমামও সর্বোচ্চ নেতার পদটি নিজের দখলে নিতে পারেন। তিনি এরই মধ্যে একটি আধাসামরিক বাহিনী কাম রাজনৈতিক দল গঠন করেছেন। সম্প্রতি তিনি বাগদাদ থেকে নাজাফে গিয়ে বসবাস শুরু করেছেন এবং সেখানে একটি বিশাল মসজিদ নির্মাণ করছেন। অস্ত্র, অর্থ আর আধ্যাত্মিক কাজকর্ম তাঁকেও সর্বোচ্চ নেতার আসনে বসাতে পারে।
দ্য ইকোনমিস্ট অবলম্বনে
‘আল্লাহ ইয়াতাবাল ওমরু’ অর্থাৎ আল্লাহ আপনাকে দীর্ঘজীবী করুন। মুরব্বিদের উদ্দেশে আরবি এই বাক্যটি বহুল প্রচলিত। কিন্তু ইরাকের পবিত্র নাজাফ শহরে অবস্থান করা শিয়া ইমামেরা এই বাক্যটি প্রতিনিয়ত মন থেকেই উচ্চারণ করেন। কারণ এই শহরেই থাকেন বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ২০ কোটি শিয়া মুসলিমের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আলি-আল সিস্তানি। ৯২ বছর বয়সে তাঁর জীবন প্রদীপ এখন নিভু নিভু।
বিলিয়ন ডলার মূল্যের একটি বহুজাতিক নেটওয়ার্কের প্রধান হয়েও খুব সাধারণ জীবন-যাপন করেন এই আলি-আল সিস্তানি। শিয়াদের পবিত্রতম মাজারগুলোর সভাপতিও তিনি। প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ এসব মাজার পরিদর্শন করেন।
কিন্তু সিস্তানির কোনো যোগ্য ও সুস্পষ্ট উত্তরসূরি না দেখে শিয়ারা ভয় পাচ্ছেন এই ভেবে যে—তাঁর অবর্তমানে সর্বোচ্চ নেতার পদ নিয়ে হয়তো বড় ধরনের কোনো গোলযোগ কিংবা বিভাজনের সৃষ্টি হবে।
তাত্ত্বিকভাবে সিস্তানির অনুসারী ইমামরাই তাঁদের নতুন নেতা নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সিস্তানির অবর্তমানে সর্বোচ্চ নেতা হওয়ার তালিকায় যে দুজন মহান আয়াতুল্লাহর নাম আসছে, তাঁদের একজন পাকিস্তানের, অন্যজন আফগানিস্তানের। কিন্তু তাঁদেরও বয়স বর্তমানে কম হয়নি। এ দুজনের একজনের বয়স ৮০-এর কোঠায়, অন্যজনের বয়স ৯৩ বছর!
তালিকায় তিনজন অপেক্ষাকৃত তরুণ পণ্ডিতও রয়েছেন যারা সর্বোচ্চ নেতার পদটির দাবিদার হতে পারেন। এর মধ্যে একজন বাহরাইনের। কিন্তু উগ্র অবস্থানের কারণে তিনি সিস্তানির আনুকূল্য থেকে কিছুটা দূরে ছিটকে গেছেন। এ ছাড়া তালিকার ওপরের দিকে থাকা পাঁচজনেরই একটি সাধারণ সমস্যা হলো—তাঁরা কেউই নবী মুহাম্মদের (সা.) সরাসরি বংশধর নন। ফলে তাঁদের এ তালিকায় কিছুটা নিম্ন বংশীয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
ধারণা করা হচ্ছে, এবার হয়তো এই পদটি এমন কারও দখলেই যাবে যার জন্ম ইরানে হয়নি। এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে সিস্তানিসহ যারা এ পদে এসেছেন তাঁদের সবার জন্মই ইরানে। তাই ইরানের বাইরে থেকে কাউকে এ পদের জন্য বিবেচনা করলে বিষয়টি দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি কিংবা তাঁর উত্তরসূরিদের বিচলিত করবে। এ ক্ষেত্রে তাঁরা হয়তো তাঁদের পছন্দ চাপিয়ে দিতে চাইবেন।
জানা যায়, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এরই মধ্যে তাঁর পুরোনো একজন গুরুকে নাজাফে পাঠানোর চেষ্টা করেছিলেন সেখানকার ইমামদের জয় করতে। সিস্তানির বাড়ির গলিপথ ধরে বেশ কিছু ফারসি-ভাষীকে আনাগোনা করতেও দেখা গেছে।
এদিকে, শিয়া সর্বোচ্চ নেতা পদটির দাবিদার হতে পারেন কিছুটা উদার ধার্মিকেরাও। এক সময় মুহাম্মাদ সাদিক আল-সদর ছিলেন ইরাকের সাহসী ধর্মীয় নেতা। ১৯৯৯ সালে সাদ্দাম হোসেনের হাতে নিহত হওয়ার আগে তিনি সিস্তানির নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। তাঁর ছেলে মুকতাদা আল-সদর এখন এক উজ্জ্বলতম নেতা। বাবার জনপ্রিয়তা তিনি উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছেন। ইরাকের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়। এমনকি তাঁর কিছু ভক্ত তাঁকে ইমাম মাহদিও মনে করেন। মুসলিম (শিয়া ও সুন্নি উভয়) বিশ্বাস অনুযায়ী, কেয়ামতের আগে মুসলিম বিশ্বের নেতৃত্ব দিতে ইমাম মাহদির আবির্ভাব ঘটবে।
এ ছাড়া কায়েস খাজালি নামে এক উচ্ছৃঙ্খল ইমামও সর্বোচ্চ নেতার পদটি নিজের দখলে নিতে পারেন। তিনি এরই মধ্যে একটি আধাসামরিক বাহিনী কাম রাজনৈতিক দল গঠন করেছেন। সম্প্রতি তিনি বাগদাদ থেকে নাজাফে গিয়ে বসবাস শুরু করেছেন এবং সেখানে একটি বিশাল মসজিদ নির্মাণ করছেন। অস্ত্র, অর্থ আর আধ্যাত্মিক কাজকর্ম তাঁকেও সর্বোচ্চ নেতার আসনে বসাতে পারে।
দ্য ইকোনমিস্ট অবলম্বনে
চার বছর আগে, ২০২১ সালের জুনে, জেনেভায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও পুতিনের শেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তখনো রাশিয়া ইউক্রেনে পূর্ণাঙ্গ হামলা চালায়নি। কিন্তু সেই বছরের শেষের দিকেই পুতিন ইউক্রেন সীমান্তে হাজার হাজার সেনা পাঠান এবং যুক্তরাষ্ট্রে সাইবার হামলা চালানো হয়। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার
৫ ঘণ্টা আগেআলাস্কার শান্ত শহর অ্যাঙ্কোরেজ হঠাৎ পরিণত হয়েছে বিশ্বরাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঐতিহাসিক শীর্ষ বৈঠক হতে চলেছে শহরটিতে। বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধের ফয়সালাসহ দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে।
৯ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে বহুল আলোচিত ও প্রতীক্ষিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামীকাল শুক্রবার। যুক্তরাষ্ট্রের রাশিয়াসংলগ্ন অঙ্গরাজ্য আলাস্কায় অবস্থিত যৌথ ঘাঁটি এলমেনডর্ফ-রিচার্ডসনে মুখোমুখি বসবেন ট্রাম্প-পুতিন। বৈঠকের প্রধান আলোচ্য বিষয়
১ দিন আগেনিজের ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প জানান, তিনি ইতিমধ্যে নির্বাহী আদেশে সই করেছেন এবং নতুন কোনো শর্ত আরোপ করা হচ্ছে না। একই সময়ে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও মার্কিন পণ্যে তাদের শুল্ক স্থগিতাদেশ একই মেয়াদে বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। তাদের পূর্বের চুক্তি শেষ হওয়ার কথা ছিল মঙ্গলবার রাত ১২টা ১ মিনিটে।
৩ দিন আগে