আব্বাসউদ্দীন তখন ধুমসে গান করছেন। বন্ধু গিরীণ চক্রবর্তী একদিন আব্বাসকে ডেকে বললেন, ‘আব্বাস, তোমার ওপর আমার হিংসা হয়। দার্জিলিং থেকেই তোমার আমার বন্ধুত্ব। প্রায় একই সময় থেকে আমরা রেকর্ড জগতে ঢুকলাম। কিন্তু তোমার কেনই বা এত নাম আর আমার কেন হলো না?’
আব্বাসউদ্দীন বললেন, ‘কিন্তু ভাই, আমার চেয়ে তো কেষ্টবাবুর নাম বেশি। আমার তো সে জন্য হিংসা হয় না!’
আব্বাসউদ্দীন তখন কেষ্টবাবুর গানগুলো তাঁরই কণ্ঠ নকল করে গাইছেন এবং সেগুলো জনপ্রিয়ও হচ্ছে। রিহার্সাল রুমের দোতলায় একদিন আব্বাসউদ্দীন কৃষ্ণচন্দ্র দে, মানে কেষ্টবাবুর ‘ছুঁয়ো না ছুঁয়ো না বঁধু ওইখানে থাকো গো’ গানটি গাইছিলেন। কাজী নজরুল ইসলাম দাঁড়িয়ে ছিলেন দরজার ধারে। দাঁড়িয়ে গান শুনছিলেন। আব্বাসউদ্দীন তখন কেষ্টবাবুর ‘ওই মহাসিন্ধুর ওপার থেকে’, ‘ফিরে চল ফিরে চল’ ইত্যাদি গান খুব গাইতেন। অবিকল কেষ্টবাবুর কণ্ঠ নকল করে গাইতেন।
গান শেষ হলে দরজার দিকে তাকিয়ে কাজীদাকে দেখে থমকে গেলেন আব্বাসউদ্দীন। সেখানে মৃণাল আর ধীরেন দাস ছিলেন। তাঁরা হেসে হেসে বললেন, ‘দেখুন কাজীদা, আব্বাস কী চমৎকার কৃষ্ণবাবুর নকল করছে।’
তাঁরা ভেবেছিলেন, নজরুল তাতে খুব খুশি হবেন। কিন্তু কাজীদার গম্ভীর মুখ দেখে ভড়কে গেলেন আব্বাসউদ্দীন। নজরুল বললেন, ‘আব্বাস, চোখ তোমার অন্ধ হয়নি; বরং এখনো চশমা পর্যন্ত নাওনি। কাজেই তুমি কানাকেষ্ট নও। তারপর ওঁর গলা নকল করে গাইলে জীবনভর তোমাকে অপবাদের বোঝা বইতে হবে। সবাই বলবে, “আব্বাস! ওঃ সে তো কেষ্টবাবুর নকল!” কাজেই ধীরেন দাস ধীরেন দাসই, কেষ্টবাবু কেষ্টবাবুই, আর আব্বাস আব্বাসই থাকবে।’
স্বকীয়তার কথা এভাবেই স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন নজরুল। আরও বলেছিলেন তিনি, ‘নিজের স্বাতন্ত্র্য, স্বাধীনতা যাকে বলে অরিজিনালিটি নষ্ট করবে না।’
সেদিন থেকে অন্যের কণ্ঠ নকল করে গান করার অভ্যাস চিরদিনের জন্য ত্যাগ করেছিলেন আব্বাসউদ্দীন।
সূত্র: আব্বাসউদ্দীন, আমার শিল্পী জীবনের কথা, পৃষ্ঠা ১৮৪-১৮৫
আব্বাসউদ্দীন তখন ধুমসে গান করছেন। বন্ধু গিরীণ চক্রবর্তী একদিন আব্বাসকে ডেকে বললেন, ‘আব্বাস, তোমার ওপর আমার হিংসা হয়। দার্জিলিং থেকেই তোমার আমার বন্ধুত্ব। প্রায় একই সময় থেকে আমরা রেকর্ড জগতে ঢুকলাম। কিন্তু তোমার কেনই বা এত নাম আর আমার কেন হলো না?’
আব্বাসউদ্দীন বললেন, ‘কিন্তু ভাই, আমার চেয়ে তো কেষ্টবাবুর নাম বেশি। আমার তো সে জন্য হিংসা হয় না!’
আব্বাসউদ্দীন তখন কেষ্টবাবুর গানগুলো তাঁরই কণ্ঠ নকল করে গাইছেন এবং সেগুলো জনপ্রিয়ও হচ্ছে। রিহার্সাল রুমের দোতলায় একদিন আব্বাসউদ্দীন কৃষ্ণচন্দ্র দে, মানে কেষ্টবাবুর ‘ছুঁয়ো না ছুঁয়ো না বঁধু ওইখানে থাকো গো’ গানটি গাইছিলেন। কাজী নজরুল ইসলাম দাঁড়িয়ে ছিলেন দরজার ধারে। দাঁড়িয়ে গান শুনছিলেন। আব্বাসউদ্দীন তখন কেষ্টবাবুর ‘ওই মহাসিন্ধুর ওপার থেকে’, ‘ফিরে চল ফিরে চল’ ইত্যাদি গান খুব গাইতেন। অবিকল কেষ্টবাবুর কণ্ঠ নকল করে গাইতেন।
গান শেষ হলে দরজার দিকে তাকিয়ে কাজীদাকে দেখে থমকে গেলেন আব্বাসউদ্দীন। সেখানে মৃণাল আর ধীরেন দাস ছিলেন। তাঁরা হেসে হেসে বললেন, ‘দেখুন কাজীদা, আব্বাস কী চমৎকার কৃষ্ণবাবুর নকল করছে।’
তাঁরা ভেবেছিলেন, নজরুল তাতে খুব খুশি হবেন। কিন্তু কাজীদার গম্ভীর মুখ দেখে ভড়কে গেলেন আব্বাসউদ্দীন। নজরুল বললেন, ‘আব্বাস, চোখ তোমার অন্ধ হয়নি; বরং এখনো চশমা পর্যন্ত নাওনি। কাজেই তুমি কানাকেষ্ট নও। তারপর ওঁর গলা নকল করে গাইলে জীবনভর তোমাকে অপবাদের বোঝা বইতে হবে। সবাই বলবে, “আব্বাস! ওঃ সে তো কেষ্টবাবুর নকল!” কাজেই ধীরেন দাস ধীরেন দাসই, কেষ্টবাবু কেষ্টবাবুই, আর আব্বাস আব্বাসই থাকবে।’
স্বকীয়তার কথা এভাবেই স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন নজরুল। আরও বলেছিলেন তিনি, ‘নিজের স্বাতন্ত্র্য, স্বাধীনতা যাকে বলে অরিজিনালিটি নষ্ট করবে না।’
সেদিন থেকে অন্যের কণ্ঠ নকল করে গান করার অভ্যাস চিরদিনের জন্য ত্যাগ করেছিলেন আব্বাসউদ্দীন।
সূত্র: আব্বাসউদ্দীন, আমার শিল্পী জীবনের কথা, পৃষ্ঠা ১৮৪-১৮৫
গত বছরের ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনীতির ময়দান বেশ টানটান। সংস্কার আর নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। নেই দম ফেলার দুদণ্ড ফুরসত। কোনো কোনো উপদেষ্টাকে ভোররাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দেশের সর্বকনিষ্ঠ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও।
২ দিন আগেযতীন স্যারকে নিয়ে কথা বলতে বসলে মনে হয়, কথাগুলো শুধু লেখা নয়—এ যেন হৃদয়ের ভেতরের কিছু টুকরো তুলে ধরা। দুপুরে হঠাৎ এক সুহৃদ ফোন করে বলল, ‘শুনেছ? যতীন স্যার নেই!’—মুহূর্তেই আমার বুক কেঁপে উঠল। মনে হলো, জীবনের এক অমূল্য আশ্রয় হঠাৎ হারিয়ে ফেলেছি।
৩ দিন আগেএকটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
৬ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানে অবস্থিত মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টকে বলা হয় দেশটির বৃহত্তম শিল্প জাদুঘর। আর বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম। সংক্ষেপে জাদুঘরটি ‘দ্য মেট’ নামেও পরিচিত। ১৫৫ বছর পুরোনো এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭০ সালে।
১০ দিন আগে