সম্পাদকীয়
পি সি জোশী ছিলেন ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একজন। মাত্র ১৮ বছর বয়সে ১৯৩৫ সালে তিনি কমিউনিস্ট পার্টির প্রথম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তাঁর পুরো নাম পূরণচাঁদ জোশী।
জোশীর জন্ম ১৯০৭ সালের ১৪ এপ্রিল ভারতের বর্তমান উত্তরাখন্ড রাজ্যের আলমোড়ার দিগোলী গ্রামে। আলমোড়ার মডেল স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও গভর্নমেন্ট ইন্টার কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। এরপর এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্সসহ বিএ ও এমএ পাস করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন পরীক্ষায়ও পাস করেন। সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে গবেষণা করে লখনৌ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জন করেন পিএইচডি ডিগ্রি। তিনি স্বল্প সময়ের জন্য এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগে শিক্ষকতা করেছেন।
পি সি জোশী অল্প বয়সেই ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনে যুক্ত হন। ১৯২৯ সালে তিনি ‘মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা’য় পার্টির ১৩ জন শীর্ষ নেতার সঙ্গে সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে কারারুদ্ধ হন। ছয় বছরের কারাদণ্ডে আন্দামানে পাঠানো হলে বয়সের কারণে তিনি ১৯৩৩ সালে মুক্তি পান।
পি সি জোশীর বড় অবদান—তিনি পার্টিকে রাজনীতির মূল স্রোতে নিয়ে আসতে ব্রিটিশবিরোধী জাতীয় মুক্তি আন্দোলনকে সমর্থন করেন এবং সুকৌশলে কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক গোষ্ঠীভিত্তিক গ্রুপকে সর্বভারতীয় এক পার্টিতে একত্র করতে সমর্থ হন। চল্লিশের দশকে তাঁর নেতৃত্বে একের পর এক কৃষক অভ্যুত্থান এবং শ্রমিক ধর্মঘট দেশের মানুষের কাছে পার্টির গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি তাঁর নেতৃত্বে গণসংগ্রামের হাতিয়ার হিসেবে শক্তিশালী সাংস্কৃতিক ফ্রন্ট ‘ভারতীয় গণনাট্য সংঘ’ সংগঠিত ও প্রতিষ্ঠিত হয়।
পার্টির নেতৃত্বে বাংলা অঞ্চলে পঞ্চাশের মন্বন্তরে পি সি জোশী গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ঘুরে অভুক্ত, কঙ্কালসার, দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এ সময় তিনি দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষুরধার লেখা লেখেন পার্টির মুখপত্রে। ১৯৪৩ সালে তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নেতা এবং চট্টগ্রাম বিপ্লবের অন্যতম বিপ্লবী কল্পনা দত্তকে বিয়ে করেন।
পি সি জোশী ১৯৮০ সালের ৯ নভেম্বর দিল্লিতে মৃত্যুবরণ করেন।
পি সি জোশী ছিলেন ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একজন। মাত্র ১৮ বছর বয়সে ১৯৩৫ সালে তিনি কমিউনিস্ট পার্টির প্রথম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তাঁর পুরো নাম পূরণচাঁদ জোশী।
জোশীর জন্ম ১৯০৭ সালের ১৪ এপ্রিল ভারতের বর্তমান উত্তরাখন্ড রাজ্যের আলমোড়ার দিগোলী গ্রামে। আলমোড়ার মডেল স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও গভর্নমেন্ট ইন্টার কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। এরপর এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্সসহ বিএ ও এমএ পাস করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন পরীক্ষায়ও পাস করেন। সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে গবেষণা করে লখনৌ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জন করেন পিএইচডি ডিগ্রি। তিনি স্বল্প সময়ের জন্য এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগে শিক্ষকতা করেছেন।
পি সি জোশী অল্প বয়সেই ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনে যুক্ত হন। ১৯২৯ সালে তিনি ‘মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা’য় পার্টির ১৩ জন শীর্ষ নেতার সঙ্গে সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে কারারুদ্ধ হন। ছয় বছরের কারাদণ্ডে আন্দামানে পাঠানো হলে বয়সের কারণে তিনি ১৯৩৩ সালে মুক্তি পান।
পি সি জোশীর বড় অবদান—তিনি পার্টিকে রাজনীতির মূল স্রোতে নিয়ে আসতে ব্রিটিশবিরোধী জাতীয় মুক্তি আন্দোলনকে সমর্থন করেন এবং সুকৌশলে কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক গোষ্ঠীভিত্তিক গ্রুপকে সর্বভারতীয় এক পার্টিতে একত্র করতে সমর্থ হন। চল্লিশের দশকে তাঁর নেতৃত্বে একের পর এক কৃষক অভ্যুত্থান এবং শ্রমিক ধর্মঘট দেশের মানুষের কাছে পার্টির গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি তাঁর নেতৃত্বে গণসংগ্রামের হাতিয়ার হিসেবে শক্তিশালী সাংস্কৃতিক ফ্রন্ট ‘ভারতীয় গণনাট্য সংঘ’ সংগঠিত ও প্রতিষ্ঠিত হয়।
পার্টির নেতৃত্বে বাংলা অঞ্চলে পঞ্চাশের মন্বন্তরে পি সি জোশী গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ঘুরে অভুক্ত, কঙ্কালসার, দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এ সময় তিনি দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষুরধার লেখা লেখেন পার্টির মুখপত্রে। ১৯৪৩ সালে তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নেতা এবং চট্টগ্রাম বিপ্লবের অন্যতম বিপ্লবী কল্পনা দত্তকে বিয়ে করেন।
পি সি জোশী ১৯৮০ সালের ৯ নভেম্বর দিল্লিতে মৃত্যুবরণ করেন।
একটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
১ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানে অবস্থিত মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টকে বলা হয় দেশটির বৃহত্তম শিল্প জাদুঘর। আর বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম। সংক্ষেপে জাদুঘরটি ‘দ্য মেট’ নামেও পরিচিত। ১৫৫ বছর পুরোনো এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭০ সালে।
৬ দিন আগেবাংলা বর্ষার দ্বিতীয় মাস শ্রাবণ। বাতাসে আর্দ্রতা, আকাশে ঘনঘোর মেঘ, আর রিমঝিম শব্দে প্রকৃতির নীরব সংগীত। এই শ্রাবণেই, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ তারিখ, আমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি, বিশ্বকবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই থেকে ২২ শ্রাবণ বাঙালির জন্য শুধু এক প্রাকৃতিক ঋতুর উপলব্ধি নয়—এ এক স্মরণ,
৬ দিন আগেযুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামটি বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক ইতিহাসভিত্তিক জাদুঘর। এটি উদ্বোধন করা হয় ১৮৮১ সালে। ১৭৫৩ সালের দিকে বিজ্ঞানী স্যার হ্যান্স স্লোয়েনের সংগ্রহ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় ব্রিটিশ মিউজিয়ামের। ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম ছিল ব্রিটিশ মিউজিয়ামেরই অংশ।
৭ দিন আগে