আলাউদ্দিন আল আজাদ
অন্য অনেক প্রগতিশীল সাহিত্যিকের মতো ১৯৭১ সালে আলাউদ্দিন আল আজাদও ছিলেন সোচ্চার। ২৫ মার্চ অপারেশন সার্চলাইটের পর দেশের পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে, তা নিয়ে সৃষ্টি হলো ধূম্রজাল। মানুষ হত্যা করে ইয়াহিয়া বাহিনী এই ভূখণ্ডের মালিকানা নিতে চেয়েছিল। প্রাথমিকভাবে অনেকেই ভাবলেন, গ্রামের দিকে গেলে হয়তো কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যাবে।
৩০ মার্চ ছিল মঙ্গলবার। বাংলা সন অনুযায়ী ১৬ চৈত্র। আলাউদ্দিন আল আজাদ অন্য অনেকের মতো চুপিসারে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র খোঁজেন রেডিওর নবে। সেখান থেকে জানা যাবে, হচ্ছেটা কী? পড়াশোনা থেকে জানেন তিনি, প্রথম পর্যায়ের এই নির্বিচার হত্যাকাণ্ডের পর শুরু হবে দ্বিতীয় পর্যায়। শুদ্ধি অভিযান। বেয়নেট উঁচিয়ে পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে তারা খুঁজবে শিক্ষক, ছাত্র, রাজনৈতিক নেতা আর কর্মীদের। বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে।
এরই মধ্যে এক আত্মীয় এসে জানিয়ে গেছেন, লক্ষ্মীবাজারে হিন্দুদের বাড়ি বাড়ি ঢুকে হত্যা করেছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। আলাউদ্দিন আল আজাদ ভেবে দেখলেন, দৈনিক পাকিস্তানে তাঁর দুটি প্রবন্ধ বের হয়েছে, যার প্রথমটির নাম ‘আজকের আন্দোলন ও লেখক’।
দ্বিতীয়টির নাম ‘শব্দের মধ্যে ও শব্দকে ছাড়িয়ে’। টেলিভিশনের এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন তিনি, যার বিষয় ছিল বৈষম্য। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আবৃত্তি করেছিলেন, ‘জনসমুদ্রে ওঠে কল্লোল দুর্বার’। পাকিস্তানিদের চোখে এ অপরাধ কম নয়। তাই সিদ্ধান্ত নেন ঢাকা ছাড়ার। ঢাকা ছাড়ার আগে ভাবলেন চুল কাটিয়ে যাবেন। সেলুনে বিহারি নাপিত। তাদের একজন থুতু ফেলে বলল, ‘শালা বাঙাল লোগ হুজ্জত পাকাকে গাঁও মে ভাগিস, আর হামো শাহের কি আদমি মারতে।’
আলাউদ্দিন আল আজাদ বলেন, ‘ফাইন ছাঁটবার দরকার নেহি। অমনি সামান্য ছোটা কারকে দাও।’ ঘ্যাচাং ঘ্যাচাং করে কেটে দেওয়া হলো কবির চুল। তিনি বিদায় নিলেন অবরুদ্ধ নগরী থেকে।
সূত্র: আলাউদ্দিন আল আজাদ, ফেরারী ডায়েরি, পৃষ্ঠা ১৭-১৮
অন্য অনেক প্রগতিশীল সাহিত্যিকের মতো ১৯৭১ সালে আলাউদ্দিন আল আজাদও ছিলেন সোচ্চার। ২৫ মার্চ অপারেশন সার্চলাইটের পর দেশের পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে, তা নিয়ে সৃষ্টি হলো ধূম্রজাল। মানুষ হত্যা করে ইয়াহিয়া বাহিনী এই ভূখণ্ডের মালিকানা নিতে চেয়েছিল। প্রাথমিকভাবে অনেকেই ভাবলেন, গ্রামের দিকে গেলে হয়তো কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যাবে।
৩০ মার্চ ছিল মঙ্গলবার। বাংলা সন অনুযায়ী ১৬ চৈত্র। আলাউদ্দিন আল আজাদ অন্য অনেকের মতো চুপিসারে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র খোঁজেন রেডিওর নবে। সেখান থেকে জানা যাবে, হচ্ছেটা কী? পড়াশোনা থেকে জানেন তিনি, প্রথম পর্যায়ের এই নির্বিচার হত্যাকাণ্ডের পর শুরু হবে দ্বিতীয় পর্যায়। শুদ্ধি অভিযান। বেয়নেট উঁচিয়ে পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে তারা খুঁজবে শিক্ষক, ছাত্র, রাজনৈতিক নেতা আর কর্মীদের। বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে।
এরই মধ্যে এক আত্মীয় এসে জানিয়ে গেছেন, লক্ষ্মীবাজারে হিন্দুদের বাড়ি বাড়ি ঢুকে হত্যা করেছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। আলাউদ্দিন আল আজাদ ভেবে দেখলেন, দৈনিক পাকিস্তানে তাঁর দুটি প্রবন্ধ বের হয়েছে, যার প্রথমটির নাম ‘আজকের আন্দোলন ও লেখক’।
দ্বিতীয়টির নাম ‘শব্দের মধ্যে ও শব্দকে ছাড়িয়ে’। টেলিভিশনের এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন তিনি, যার বিষয় ছিল বৈষম্য। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আবৃত্তি করেছিলেন, ‘জনসমুদ্রে ওঠে কল্লোল দুর্বার’। পাকিস্তানিদের চোখে এ অপরাধ কম নয়। তাই সিদ্ধান্ত নেন ঢাকা ছাড়ার। ঢাকা ছাড়ার আগে ভাবলেন চুল কাটিয়ে যাবেন। সেলুনে বিহারি নাপিত। তাদের একজন থুতু ফেলে বলল, ‘শালা বাঙাল লোগ হুজ্জত পাকাকে গাঁও মে ভাগিস, আর হামো শাহের কি আদমি মারতে।’
আলাউদ্দিন আল আজাদ বলেন, ‘ফাইন ছাঁটবার দরকার নেহি। অমনি সামান্য ছোটা কারকে দাও।’ ঘ্যাচাং ঘ্যাচাং করে কেটে দেওয়া হলো কবির চুল। তিনি বিদায় নিলেন অবরুদ্ধ নগরী থেকে।
সূত্র: আলাউদ্দিন আল আজাদ, ফেরারী ডায়েরি, পৃষ্ঠা ১৭-১৮
১৬৫৫ সালে গৌড়ীয় রীতিতে রাজবাড়ির বালিয়াকান্দী উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের নলিয়া গ্রামে জোড় বাংলা মন্দির ও বিগ্রহ নির্মাণ করেন রাজা সীতারাম রায়। দুটো মন্দির পাশাপাশি নির্মাণ করা হয় বলে এর এমন নাম। স্থানীয়দের মতে, রাজা সীতারাম বেলগাছিতে সোনায় গড়া মূর্তি দিয়ে দুর্গাপূজা করতে...
২ দিন আগে১৫৪০ খ্রিষ্টাব্দে ইগ্নেসিয়াস লয়োলা নামে এক স্প্যানিশ ব্যক্তি জেসুইটা বা যিশুর সম্প্রদায় গঠন করেন। এই সম্প্রদায়ের খ্রিষ্টানরা খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে পৃথিবীর নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েন। পিয়েরে ডু জারিক নামের এক ফরাসি ঐতিহাসিকের মতে, ১৫৯৯ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে ফনসেকা নামের একজন খ্রিষ্টান...
৬ দিন আগেদুর্ঘটনা ও জ্যাম এড়াতে শহরের রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক বাতি স্থাপন করা হয়। লাল বাতি জ্বলার সময় গাড়িগুলো থামে। হলুদ বাতি দেখলে অপেক্ষা করে। আর সবুজ বাতি জ্বললেই গাড়ি অবাধে এগিয়ে চলে। এই সিগন্যাল সারা বিশ্বেই স্বীকৃত।
১৩ দিন আগেপঞ্চদশ শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন সুফিসাধক হজরত বদরউদ্দিন শাহ্ মাদার। তিনি ফরিদপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বরিশাল যাওয়ার পথে জল-জঙ্গলপূর্ণ একটি স্থানে এসে উপস্থিত হন। এরপর পদ্মার শাখা আড়িয়াল খাঁ নদের দক্ষিণ তীরে নিজের আস্তানা গড়ে তোলেন।
২৩ দিন আগে