নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নির্বাচনী হাওয়া বইছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ঘিরে সরগরম হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। ডাকসু নির্বাচনে মনোয়নয়নপত্র সংগ্রহের শেষ দিন গতকাল সোমবার দলে দলে গিয়ে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ভোটে লড়তে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা।
গতকাল সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের তৃতীয় তলায় ডাকসুর প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন এক ব্রিফিংয়ে জানান, ডাকসু নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের শেষ দিনে বিভিন্ন পদে ৪৪২ জন প্রার্থী তা সংগ্রহ করেছেন। এ নিয়ে মোট মনোনয়নপত্র নিলেন ৫৬৫ জন। এ ছাড়া ১৮টি হল থেকে হল সংসদ নির্বাচনে মোট ১ হাজার ২২৬ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
ভোটযুদ্ধে পাঁচটি প্যানেল
ডাকসু নির্বাচনে ২৮ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। গতকাল ঘোষিত এই প্যানেলে সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বাইরে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত শিক্ষার্থী, আপ বাংলাদেশ এবং ইনকিলাব মঞ্চের শিক্ষার্থীদের রাখা হয়েছে। ছাত্রশিবিরের প্যানেল থেকে সহসভাপতি (ভিপি) পদে আবু সাদিক কায়েম, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে এস এম ফরহাদ, সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে মহিউদ্দিন খানকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতারা এককভাবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও গতকাল রাত ১০টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্যানেল চূড়ান্ত করতে পারেনি সংগঠনটি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে পরামর্শ করে রাতেই প্যানেল চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন ছাত্রদলের জসীমউদ্দীন হল শাখার আহ্বায়ক তানভীর বারী হামিম। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্যানেল এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আজ রাতে আমাদের প্যানেল চূড়ান্ত হবে। তবে আজ যেহেতু মনোনয়নপত্র নেওয়ার শেষ দিন, তাই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে তা সংগ্রহ করেছি।’ জানা গেছে, ছাত্রদলের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ভিপি পদে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন আবিদুল ইসলাম খান ও জিএস পদে তানভীর বারি হামীম।
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’ নামে প্যানেল দিয়ে ডাকসু নির্বাচনে লড়বে। তবে এই প্যানেল থেকে কে কোন পদে নির্বাচন করবেন, সেটি এখনো ঘোষণা করা হয়নি। গতকাল বিকেলে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব জাহিদ আহসান ডাকসু নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পর সাংবাদিকদের জানান, আজ মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে তাঁরা পরিচয় করিয়ে দেবেন। এ সময় জাহিদ আহসানের পাশে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের উপস্থিত ছিলেন। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, এই দুই নেতাই ভিপি ও জিএস পদে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের মনোনয়ন পাচ্ছেন।
এদিকে শেখ তাসনিম আফরোজকে (ইমি) সহসভাপতি (ভিপি) ও মেঘমল্লার বসুকে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী করে ডাকসু নির্বাচনে আংশিক প্যানেল ঘোষণা করেছে বাম সংগঠনগুলোর প্ল্যাটফর্ম গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট। তাসনিম আফরোজ সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে শামসুন নাহার হল সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। আর মেঘমল্লার বসু ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি।
এই প্যানেল থেকে সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে প্রার্থী হচ্ছেন বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেল, আর মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক ছাত্র আন্দোলন সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক।
বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর জাবির আহমেদ জুবেল জানান, ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীসহ সাতটি সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে তাঁরা জোট গঠন করেছেন। বাকি পদগুলোতে প্রার্থীদের নাম আজ মঙ্গলবার ঘোষণা করা হবে।
অন্যদিকে ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্যানেল দিচ্ছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। তিনি সহসভাপতি (ভিপি) পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। একই প্যানেলে সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি আল সাদী ভূইয়া এবং সহসাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান সভাপতি মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহী। উমামা ফাতেমা বলেছেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীবান্ধব একটি পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করব।’
ডাকসুর সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৯ সালে। ২৮ বছরের অচলায়তন ভেঙে সেই বছরের ১১ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২০২০ সালে এর মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে গত পাঁচ বছরে কোনো নির্বাচন দিতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আওয়ামী সরকারের পতন এবং শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে অবশেষে গত ২৯ জুলাই ডাকসু নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে।
পাঁচ বছর পরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচন ঘিরে সংগঠনগুলোর পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যেও উচ্ছ্বাস বাড়ছে। সমাজবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘প্রশাসন ও সংগঠনগুলোর আন্তরিকতার ওপর ডাকসুর কার্যকারিতা নির্ভর করছে। শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ও মতবিনিময় থেকে বোঝা যাচ্ছে, সবাই একটা সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ চান। এবার ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে যোগ্য নেতৃত্ব উঠে আসবে বলে আমার বিশ্বাস।’
ইংরেজি বিভাগের আব্দুল্লাহ আল শাহিদ বলেন, ‘প্রথমত ডাকসু নির্বাচন যাতে স্বচ্ছ হয়, এটা আমাদের প্রত্যাশা। ক্ষমতাসীনদের নিয়ন্ত্রণে যাতে না হয়, সেটা আমাদের প্রত্যাশা। দ্বিতীয়ত আমার প্রত্যাশা ডাকসু যাতে নিয়মিত আয়োজন করা হয়।’
এদিকে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর আবু মুজাহিদ আকাশ বলেন, ‘প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডাকসু আয়োজনের ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে। কিছু অসন্তোষ থাকলেও আমরা অংশ নিচ্ছি। আশা করি এবারের ডাকসু হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ।’
ছাত্রদলের স্যার এ এফ রহমান হল কমিটির সদস্যসচিব মাহাদিজ্জামান জ্যোতি বলেন, ‘আমরা চাই সঠিক সময়ে ডাকসু নির্বাচন হোক। তবে হলে এখনো ফ্যাসিস্ট দোসরদের অবস্থান প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। কার্যকরী নির্বাচন কতটা সম্ভব, সেটি নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।’
বাধার অভিযোগ ছাত্রদলের
ফজিলাতুন নেছা মুজিব হল সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময় মব সৃষ্টি করে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ছাত্রদল। গতকাল সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করে সংগঠনটি।
ছাত্রদলের ঢাবি শাখার সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সংগঠনের নির্দেশনা অনুযায়ী দিনব্যাপী বিভিন্ন হল ও ডাকসু নির্বাচনে অংশ নিতে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। কিন্তু ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে গেলে কিছু শিক্ষার্থী প্রশাসনের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন এবং ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থীদের ওপর হামলার চেষ্টা চালান।
ছাত্রদল সভাপতি আরও বলেন, ‘ঢাবির শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের প্রাণের দাবি ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন। সার্বিক পরিবেশ ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের ঘাটতি থাকলেও শিক্ষার্থীদের অনুভূতি ও গণতান্ত্রিক চর্চাকে গুরুত্ব দিয়ে আমরা ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
নির্বাচনী হাওয়া বইছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ঘিরে সরগরম হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। ডাকসু নির্বাচনে মনোয়নয়নপত্র সংগ্রহের শেষ দিন গতকাল সোমবার দলে দলে গিয়ে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ভোটে লড়তে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা।
গতকাল সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের তৃতীয় তলায় ডাকসুর প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন এক ব্রিফিংয়ে জানান, ডাকসু নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের শেষ দিনে বিভিন্ন পদে ৪৪২ জন প্রার্থী তা সংগ্রহ করেছেন। এ নিয়ে মোট মনোনয়নপত্র নিলেন ৫৬৫ জন। এ ছাড়া ১৮টি হল থেকে হল সংসদ নির্বাচনে মোট ১ হাজার ২২৬ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
ভোটযুদ্ধে পাঁচটি প্যানেল
ডাকসু নির্বাচনে ২৮ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। গতকাল ঘোষিত এই প্যানেলে সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বাইরে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত শিক্ষার্থী, আপ বাংলাদেশ এবং ইনকিলাব মঞ্চের শিক্ষার্থীদের রাখা হয়েছে। ছাত্রশিবিরের প্যানেল থেকে সহসভাপতি (ভিপি) পদে আবু সাদিক কায়েম, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে এস এম ফরহাদ, সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে মহিউদ্দিন খানকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতারা এককভাবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও গতকাল রাত ১০টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্যানেল চূড়ান্ত করতে পারেনি সংগঠনটি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে পরামর্শ করে রাতেই প্যানেল চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন ছাত্রদলের জসীমউদ্দীন হল শাখার আহ্বায়ক তানভীর বারী হামিম। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্যানেল এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আজ রাতে আমাদের প্যানেল চূড়ান্ত হবে। তবে আজ যেহেতু মনোনয়নপত্র নেওয়ার শেষ দিন, তাই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে তা সংগ্রহ করেছি।’ জানা গেছে, ছাত্রদলের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ভিপি পদে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন আবিদুল ইসলাম খান ও জিএস পদে তানভীর বারি হামীম।
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’ নামে প্যানেল দিয়ে ডাকসু নির্বাচনে লড়বে। তবে এই প্যানেল থেকে কে কোন পদে নির্বাচন করবেন, সেটি এখনো ঘোষণা করা হয়নি। গতকাল বিকেলে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব জাহিদ আহসান ডাকসু নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পর সাংবাদিকদের জানান, আজ মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে তাঁরা পরিচয় করিয়ে দেবেন। এ সময় জাহিদ আহসানের পাশে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের উপস্থিত ছিলেন। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, এই দুই নেতাই ভিপি ও জিএস পদে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের মনোনয়ন পাচ্ছেন।
এদিকে শেখ তাসনিম আফরোজকে (ইমি) সহসভাপতি (ভিপি) ও মেঘমল্লার বসুকে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী করে ডাকসু নির্বাচনে আংশিক প্যানেল ঘোষণা করেছে বাম সংগঠনগুলোর প্ল্যাটফর্ম গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট। তাসনিম আফরোজ সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে শামসুন নাহার হল সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। আর মেঘমল্লার বসু ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি।
এই প্যানেল থেকে সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে প্রার্থী হচ্ছেন বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেল, আর মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক ছাত্র আন্দোলন সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক।
বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর জাবির আহমেদ জুবেল জানান, ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীসহ সাতটি সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে তাঁরা জোট গঠন করেছেন। বাকি পদগুলোতে প্রার্থীদের নাম আজ মঙ্গলবার ঘোষণা করা হবে।
অন্যদিকে ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্যানেল দিচ্ছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। তিনি সহসভাপতি (ভিপি) পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। একই প্যানেলে সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি আল সাদী ভূইয়া এবং সহসাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান সভাপতি মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহী। উমামা ফাতেমা বলেছেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীবান্ধব একটি পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করব।’
ডাকসুর সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৯ সালে। ২৮ বছরের অচলায়তন ভেঙে সেই বছরের ১১ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২০২০ সালে এর মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে গত পাঁচ বছরে কোনো নির্বাচন দিতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আওয়ামী সরকারের পতন এবং শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে অবশেষে গত ২৯ জুলাই ডাকসু নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে।
পাঁচ বছর পরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচন ঘিরে সংগঠনগুলোর পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যেও উচ্ছ্বাস বাড়ছে। সমাজবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘প্রশাসন ও সংগঠনগুলোর আন্তরিকতার ওপর ডাকসুর কার্যকারিতা নির্ভর করছে। শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ও মতবিনিময় থেকে বোঝা যাচ্ছে, সবাই একটা সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ চান। এবার ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে যোগ্য নেতৃত্ব উঠে আসবে বলে আমার বিশ্বাস।’
ইংরেজি বিভাগের আব্দুল্লাহ আল শাহিদ বলেন, ‘প্রথমত ডাকসু নির্বাচন যাতে স্বচ্ছ হয়, এটা আমাদের প্রত্যাশা। ক্ষমতাসীনদের নিয়ন্ত্রণে যাতে না হয়, সেটা আমাদের প্রত্যাশা। দ্বিতীয়ত আমার প্রত্যাশা ডাকসু যাতে নিয়মিত আয়োজন করা হয়।’
এদিকে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর আবু মুজাহিদ আকাশ বলেন, ‘প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডাকসু আয়োজনের ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে। কিছু অসন্তোষ থাকলেও আমরা অংশ নিচ্ছি। আশা করি এবারের ডাকসু হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ।’
ছাত্রদলের স্যার এ এফ রহমান হল কমিটির সদস্যসচিব মাহাদিজ্জামান জ্যোতি বলেন, ‘আমরা চাই সঠিক সময়ে ডাকসু নির্বাচন হোক। তবে হলে এখনো ফ্যাসিস্ট দোসরদের অবস্থান প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। কার্যকরী নির্বাচন কতটা সম্ভব, সেটি নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।’
বাধার অভিযোগ ছাত্রদলের
ফজিলাতুন নেছা মুজিব হল সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময় মব সৃষ্টি করে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ছাত্রদল। গতকাল সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করে সংগঠনটি।
ছাত্রদলের ঢাবি শাখার সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সংগঠনের নির্দেশনা অনুযায়ী দিনব্যাপী বিভিন্ন হল ও ডাকসু নির্বাচনে অংশ নিতে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। কিন্তু ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে গেলে কিছু শিক্ষার্থী প্রশাসনের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন এবং ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থীদের ওপর হামলার চেষ্টা চালান।
ছাত্রদল সভাপতি আরও বলেন, ‘ঢাবির শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের প্রাণের দাবি ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন। সার্বিক পরিবেশ ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের ঘাটতি থাকলেও শিক্ষার্থীদের অনুভূতি ও গণতান্ত্রিক চর্চাকে গুরুত্ব দিয়ে আমরা ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ বিকেল ৪টায় শেষ হয়েছে। শুরু হয়েছে ভোট গণনা। তবে এর আধা ঘণ্টা আগে থেকে বিবিএ অনুষদ ভবনের সামনে ছাত্রদল ও শিবিরের নেতাদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ছাড়া ভোট গণনা শুরুর পর এলইডি প্রজেক্টরে লাইন বিচ্ছিন্ন হওয়াকে কেন
৩ ঘণ্টা আগেঅনিয়মের অভিযোগ তুলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন বর্জন করেছেন ইনসানিয়াত বিপ্লব-সমর্থিত প্রার্থীরা। আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নির্বাচন বর্জনের এ ঘোষণা দেন তাঁরা। যদিও নির্বাচনে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ হয়। এর পর থেকে ভোট গণনার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
৩ ঘণ্টা আগেরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ, হল সংসদ ও সিনেট—এ ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি ঠেকাতে ভোটারদের তিন স্তরের নজরদারিতে রাখা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
৬ ঘণ্টা আগেকামাল উদ্দিন বলেন, আমাদের যে ছবিযুক্ত ভোটার, সেটা তো অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয় করেনি। আমরা করেছি এবং এটা অনেক কষ্টসাধ্য কাজ, সেটা আমরা সমাধান করেছি।
৭ ঘণ্টা আগেওমর ফারুক, চবি থেকে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ বিকেল ৪টায় শেষ হয়েছে। তবে এর আধা ঘণ্টা আগে থেকে বিবিএ অনুষদ ভবনের সামনে ছাত্রদল ও শিবিরের নেতাদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। দিনভর শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও ভোট গণনার আগমুহূর্তে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) নেতা খান তালাত মাহমুদ রাফি।
এদিকে ভোট গণনার সময় এলইডি প্রজেক্টরে লাইন বিচ্ছিন্ন হওয়াকে কেন্দ্র করে কলা অনুষদের সামনেও শিবির ও ছাত্রদলের মধ্যে উত্তেজনা চলছে।
বিকেল ৪টায় বিবিএ অনুষদে গিয়ে দেখা যায়, অন্যান্য অনুষদের চেয়ে বিবিএ অনুষদে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী জড়ো হয়েছেন। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। আশপাশে ছাত্রদল ও শিবিরের নেতাদেরও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকতে দেখা গেছে। তবে ছাত্রদল ও শিবিরের কেউ কোনো অভিযোগ না করলেও বাগছাসের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক খান তালাত মাহমুদ রাফি বিভিন্ন অভিযোগ করেন।
রাফি বলেন, ‘১০০ মিটারের মধ্যে প্রচারণা চালানোর নিয়ম না থাকলেও সকাল থেকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতারা টেবিল বসিয়ে প্রচারণা চালিয়েছেন। তা ছাড়া লাইনে দাঁড়িয়ে লিফলেট দিয়েছেন শিক্ষার্থীদের।’ তিনি আরও বলেন, প্রশাসনকে আচরণবিধি লঙ্গনের অভিযোগ জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শিক্ষার্থীরা যেন ভোট দিতে না পারেন, সে জন্য কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছে প্রশাসন। এতে শিবিরের রিজার্ভ ভোট দিয়ে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
খান তালাত মাহমুদ রাফির করা এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে চবি শিবির সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, এ ধরনের অভিযোগ সত্য নয়। কারা টেবিল বসিয়ে প্রচারণা করেছেন, কারা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটারদের হাতে স্লিপ দিয়েছেন, সারা দিন তা চবি শিক্ষার্থীরা দেখেছেন। বিকেলে ভোট গণনা শুরুর আগমুহূর্তে হট্টগোল করতে এসব করা হচ্ছে।
কলা অনুষদের সামনেও উত্তেজনা
কলা অনুষদের সামনে উপস্থিত ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন সালাম মিঠু বলেন, নতুন কলা অনুষদ ভবনের এলইডি প্রজেক্টরটি দীর্ঘক্ষণ ধরে বন্ধ। তাই সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করেন। প্রজেক্টর চালু করার জন্য নির্বাচনের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের বারবার বলার পরও ঠিক করা হয়নি। এরপর সাধারণ শিক্ষার্থীরা গেটে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন।
অন্যদিকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি রাজিবুল হাসান বাপ্পি বলেন, ছাত্রদলের কিছু নেতা-কর্মী নিয়ম লঙ্ঘন করে ফ্যাকাল্টির তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাঁদের প্রতিরোধ করেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ বিকেল ৪টায় শেষ হয়েছে। তবে এর আধা ঘণ্টা আগে থেকে বিবিএ অনুষদ ভবনের সামনে ছাত্রদল ও শিবিরের নেতাদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। দিনভর শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও ভোট গণনার আগমুহূর্তে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) নেতা খান তালাত মাহমুদ রাফি।
এদিকে ভোট গণনার সময় এলইডি প্রজেক্টরে লাইন বিচ্ছিন্ন হওয়াকে কেন্দ্র করে কলা অনুষদের সামনেও শিবির ও ছাত্রদলের মধ্যে উত্তেজনা চলছে।
বিকেল ৪টায় বিবিএ অনুষদে গিয়ে দেখা যায়, অন্যান্য অনুষদের চেয়ে বিবিএ অনুষদে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী জড়ো হয়েছেন। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। আশপাশে ছাত্রদল ও শিবিরের নেতাদেরও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকতে দেখা গেছে। তবে ছাত্রদল ও শিবিরের কেউ কোনো অভিযোগ না করলেও বাগছাসের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক খান তালাত মাহমুদ রাফি বিভিন্ন অভিযোগ করেন।
রাফি বলেন, ‘১০০ মিটারের মধ্যে প্রচারণা চালানোর নিয়ম না থাকলেও সকাল থেকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতারা টেবিল বসিয়ে প্রচারণা চালিয়েছেন। তা ছাড়া লাইনে দাঁড়িয়ে লিফলেট দিয়েছেন শিক্ষার্থীদের।’ তিনি আরও বলেন, প্রশাসনকে আচরণবিধি লঙ্গনের অভিযোগ জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শিক্ষার্থীরা যেন ভোট দিতে না পারেন, সে জন্য কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছে প্রশাসন। এতে শিবিরের রিজার্ভ ভোট দিয়ে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
খান তালাত মাহমুদ রাফির করা এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে চবি শিবির সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, এ ধরনের অভিযোগ সত্য নয়। কারা টেবিল বসিয়ে প্রচারণা করেছেন, কারা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটারদের হাতে স্লিপ দিয়েছেন, সারা দিন তা চবি শিক্ষার্থীরা দেখেছেন। বিকেলে ভোট গণনা শুরুর আগমুহূর্তে হট্টগোল করতে এসব করা হচ্ছে।
কলা অনুষদের সামনেও উত্তেজনা
কলা অনুষদের সামনে উপস্থিত ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন সালাম মিঠু বলেন, নতুন কলা অনুষদ ভবনের এলইডি প্রজেক্টরটি দীর্ঘক্ষণ ধরে বন্ধ। তাই সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করেন। প্রজেক্টর চালু করার জন্য নির্বাচনের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের বারবার বলার পরও ঠিক করা হয়নি। এরপর সাধারণ শিক্ষার্থীরা গেটে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন।
অন্যদিকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি রাজিবুল হাসান বাপ্পি বলেন, ছাত্রদলের কিছু নেতা-কর্মী নিয়ম লঙ্ঘন করে ফ্যাকাল্টির তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাঁদের প্রতিরোধ করেন।
নির্বাচনী হাওয়া বইছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ঘিরে সরগরম হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। ডাকসু নির্বাচনে মনোয়নয়নপত্র সংগ্রহের শেষ দিন গতকাল সোমবার দলে দলে গিয়ে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ভোটে লড়তে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা।
১৯ আগস্ট ২০২৫অনিয়মের অভিযোগ তুলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন বর্জন করেছেন ইনসানিয়াত বিপ্লব-সমর্থিত প্রার্থীরা। আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নির্বাচন বর্জনের এ ঘোষণা দেন তাঁরা। যদিও নির্বাচনে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ হয়। এর পর থেকে ভোট গণনার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
৩ ঘণ্টা আগেরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ, হল সংসদ ও সিনেট—এ ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি ঠেকাতে ভোটারদের তিন স্তরের নজরদারিতে রাখা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
৬ ঘণ্টা আগেকামাল উদ্দিন বলেন, আমাদের যে ছবিযুক্ত ভোটার, সেটা তো অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয় করেনি। আমরা করেছি এবং এটা অনেক কষ্টসাধ্য কাজ, সেটা আমরা সমাধান করেছি।
৭ ঘণ্টা আগেওমর ফারুক, চবি থেকে
অনিয়মের অভিযোগ তুলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন বর্জন করেছেন ইনসানিয়াত বিপ্লব-সমর্থিত প্রার্থীরা। আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নির্বাচন বর্জনের এ ঘোষণা দেন তাঁরা। যদিও নির্বাচনে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ হয়। এর পর থেকে ভোট গণনার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
এর আগে আজ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
জানা গেছে, বেলা ৩টা পর্যন্ত ৫৪ শতাংশ ভোট পড়েছে। বেলা সাড়ে ৩টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নির্বাচন কমিশনসচিব অধ্যাপক ড. এ কে এম আরিফুল হক সিদ্দিকী। তবে এখন পর্যন্ত কত শতাংশ ভোট পড়েছে, তা জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, ৩৫ বছর পর চাকসু নির্বাচনে এবার কেন্দ্রীয় সংসদের ২৬টি পদে ১৩টি প্যানেলের ৪১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পাশাপাশি ১৪টি হল সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আরও ৪৮৬ জন প্রার্থী। মোট ভোটার সংখ্যা ২৭ হাজার ৫১৮ জন।
অনিয়মের অভিযোগ তুলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন বর্জন করেছেন ইনসানিয়াত বিপ্লব-সমর্থিত প্রার্থীরা। আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নির্বাচন বর্জনের এ ঘোষণা দেন তাঁরা। যদিও নির্বাচনে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ হয়। এর পর থেকে ভোট গণনার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
এর আগে আজ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
জানা গেছে, বেলা ৩টা পর্যন্ত ৫৪ শতাংশ ভোট পড়েছে। বেলা সাড়ে ৩টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নির্বাচন কমিশনসচিব অধ্যাপক ড. এ কে এম আরিফুল হক সিদ্দিকী। তবে এখন পর্যন্ত কত শতাংশ ভোট পড়েছে, তা জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, ৩৫ বছর পর চাকসু নির্বাচনে এবার কেন্দ্রীয় সংসদের ২৬টি পদে ১৩টি প্যানেলের ৪১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পাশাপাশি ১৪টি হল সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আরও ৪৮৬ জন প্রার্থী। মোট ভোটার সংখ্যা ২৭ হাজার ৫১৮ জন।
নির্বাচনী হাওয়া বইছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ঘিরে সরগরম হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। ডাকসু নির্বাচনে মনোয়নয়নপত্র সংগ্রহের শেষ দিন গতকাল সোমবার দলে দলে গিয়ে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ভোটে লড়তে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা।
১৯ আগস্ট ২০২৫চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ বিকেল ৪টায় শেষ হয়েছে। শুরু হয়েছে ভোট গণনা। তবে এর আধা ঘণ্টা আগে থেকে বিবিএ অনুষদ ভবনের সামনে ছাত্রদল ও শিবিরের নেতাদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ছাড়া ভোট গণনা শুরুর পর এলইডি প্রজেক্টরে লাইন বিচ্ছিন্ন হওয়াকে কেন
৩ ঘণ্টা আগেরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ, হল সংসদ ও সিনেট—এ ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি ঠেকাতে ভোটারদের তিন স্তরের নজরদারিতে রাখা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
৬ ঘণ্টা আগেকামাল উদ্দিন বলেন, আমাদের যে ছবিযুক্ত ভোটার, সেটা তো অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয় করেনি। আমরা করেছি এবং এটা অনেক কষ্টসাধ্য কাজ, সেটা আমরা সমাধান করেছি।
৭ ঘণ্টা আগেরাবি প্রতিনিধি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ, হল সংসদ ও সিনেট—এ ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি ঠেকাতে ভোটারদের তিন স্তরের নজরদারিতে রাখা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আজ বুধবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে রাকসু নির্বাচন কমিশনার মোস্তফা কামাল আকন্দ এ তথ্য জানান।
অধ্যাপক মোস্তফা কামাল আকন্দ বলেন, ‘প্রথমে ভোটার যে শিক্ষার্থী আইডি কার্ড নিয়ে আসবে, সেটার সত্যতা যাচাই করা হবে। পরে ভোটারদের একটা ইউনিক ভোটার আইডি ও ছবিযুক্ত ভোটার আইডি আছে, সেটা যাচাই করা হবে। ছবির সঙ্গে ভোটারের মিল করে পরিচয় নিশ্চিত করার পরও সন্দেহ হলে কার্ডে যে গোপনীয় কিউআর কোড আছে, সেটার সাহায্য নেওয়া হবে।’
নির্বাচনের ব্যালট পেপার প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘ভোটার সংখ্যার বাইরে অতিরিক্ত একটা ব্যালট পেপারও ছাপানোর সুযোগ নাই। ২৮ হাজার ৯০১ জন ভোটারের জন্য ২৮ হাজার ৯০১টি ব্যালট পেপারই ছাপানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন প্রশ্ন যেখান থেকে তৈরি হয়, সেখান থেকেই ব্যালট পেপার তৈরি করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আটটি ধাপ পেরিয়ে ব্যালট পেপারগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে।’
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম বলেন, এবারের নির্বাচনে ৯টি একাডেমিক ভবনে স্থাপিত ১৭টি কেন্দ্রে ভোট প্রদান করতে পারবে ভোটাররা। ভোট গ্রহণের দায়িত্বে মোট ২১২ জন শিক্ষক থাকবেন। এর মধ্যে ১৭ জন প্রিসাইডিং অফিসার, অবশিষ্ট শিক্ষকেরা সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে ভোট পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন। এ ছাড়া ৯১ জন কর্মকর্তা পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
নিরাপত্তা বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২ হাজার পুলিশ সদস্য, ৬ প্লাটুন বিজিবি ও ১২ প্লাটুন র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। ভোট গ্রহণের প্রতিটি কেন্দ্র সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে এবং স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ব্যবহার করা হবে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোট গ্রহণ শেষে সেদিনই কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তন থেকে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ, হল সংসদ ও সিনেট—এ ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি ঠেকাতে ভোটারদের তিন স্তরের নজরদারিতে রাখা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আজ বুধবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে রাকসু নির্বাচন কমিশনার মোস্তফা কামাল আকন্দ এ তথ্য জানান।
অধ্যাপক মোস্তফা কামাল আকন্দ বলেন, ‘প্রথমে ভোটার যে শিক্ষার্থী আইডি কার্ড নিয়ে আসবে, সেটার সত্যতা যাচাই করা হবে। পরে ভোটারদের একটা ইউনিক ভোটার আইডি ও ছবিযুক্ত ভোটার আইডি আছে, সেটা যাচাই করা হবে। ছবির সঙ্গে ভোটারের মিল করে পরিচয় নিশ্চিত করার পরও সন্দেহ হলে কার্ডে যে গোপনীয় কিউআর কোড আছে, সেটার সাহায্য নেওয়া হবে।’
নির্বাচনের ব্যালট পেপার প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘ভোটার সংখ্যার বাইরে অতিরিক্ত একটা ব্যালট পেপারও ছাপানোর সুযোগ নাই। ২৮ হাজার ৯০১ জন ভোটারের জন্য ২৮ হাজার ৯০১টি ব্যালট পেপারই ছাপানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন প্রশ্ন যেখান থেকে তৈরি হয়, সেখান থেকেই ব্যালট পেপার তৈরি করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আটটি ধাপ পেরিয়ে ব্যালট পেপারগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে।’
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম বলেন, এবারের নির্বাচনে ৯টি একাডেমিক ভবনে স্থাপিত ১৭টি কেন্দ্রে ভোট প্রদান করতে পারবে ভোটাররা। ভোট গ্রহণের দায়িত্বে মোট ২১২ জন শিক্ষক থাকবেন। এর মধ্যে ১৭ জন প্রিসাইডিং অফিসার, অবশিষ্ট শিক্ষকেরা সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে ভোট পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন। এ ছাড়া ৯১ জন কর্মকর্তা পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
নিরাপত্তা বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২ হাজার পুলিশ সদস্য, ৬ প্লাটুন বিজিবি ও ১২ প্লাটুন র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। ভোট গ্রহণের প্রতিটি কেন্দ্র সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে এবং স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ব্যবহার করা হবে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোট গ্রহণ শেষে সেদিনই কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তন থেকে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
নির্বাচনী হাওয়া বইছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ঘিরে সরগরম হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। ডাকসু নির্বাচনে মনোয়নয়নপত্র সংগ্রহের শেষ দিন গতকাল সোমবার দলে দলে গিয়ে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ভোটে লড়তে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা।
১৯ আগস্ট ২০২৫চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ বিকেল ৪টায় শেষ হয়েছে। শুরু হয়েছে ভোট গণনা। তবে এর আধা ঘণ্টা আগে থেকে বিবিএ অনুষদ ভবনের সামনে ছাত্রদল ও শিবিরের নেতাদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ছাড়া ভোট গণনা শুরুর পর এলইডি প্রজেক্টরে লাইন বিচ্ছিন্ন হওয়াকে কেন
৩ ঘণ্টা আগেঅনিয়মের অভিযোগ তুলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন বর্জন করেছেন ইনসানিয়াত বিপ্লব-সমর্থিত প্রার্থীরা। আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নির্বাচন বর্জনের এ ঘোষণা দেন তাঁরা। যদিও নির্বাচনে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ হয়। এর পর থেকে ভোট গণনার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
৩ ঘণ্টা আগেকামাল উদ্দিন বলেন, আমাদের যে ছবিযুক্ত ভোটার, সেটা তো অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয় করেনি। আমরা করেছি এবং এটা অনেক কষ্টসাধ্য কাজ, সেটা আমরা সমাধান করেছি।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. কামাল উদ্দিন বলেছেন, তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোটার এবং সার্বিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে নির্বাচন করছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচনকে শতভাগ অনুসরণ করিনি, বরং ডাকসু নির্বাচন থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে সেখানে তৈরি হওয়া সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য নিজেদের বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি করেছি।’
আজ বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন উপলক্ষে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ড. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের যে ছবিযুক্ত ভোটার, সেটা তো অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয় করেনি। আমরা করেছি এবং এটা অনেক কষ্টসাধ্য কাজ, সেটা আমরা সমাধান করেছি। এখানে ওএমআর মেশিন পর্যাপ্ত পরিমাণ আমরা রেখেছি। আমরা যেন খুব সুন্দরভাবে অল্প সময়ে ভোট গণনা করতে পারি, সে জন্য আমরা মাল্টিপল চেক, সেটা করেছি। আর আমাদের ভোট গ্রহণ থেকে ভোট গণনা পর্যন্ত যে প্রক্রিয়া, প্রতিটি প্রক্রিয়ায় আপনি একজন পার্ট। আপনি আমাদের সঙ্গে থাকবেন, আপনারা দেখবেন আমরা অযথা টাইম বিলম্ব করছি কি না।’
চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) বলেন, ‘আমরা ত্রুটিযুক্ত কাজ করতে চাই না। আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে নিখুঁতভাবে কাজ শেষ করতে যতটুকু সময় প্রয়োজন, ততটুকু দিতে হবে।’
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর আজ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু), হল ও হোস্টেল সংসদ নির্বাচন হচ্ছ। আজ সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হয়েছে ভোট, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচনী কর্মকর্তাদের তথ্যে পাঁচটি অনুষদের ১৫টি ভোটকেন্দ্রের ৬০টি কক্ষে ৬৮৯টি বুথে একযোগে ভোট গ্রহণ চলছে। প্রতিটি কেন্দ্রে সর্বাধিক ৫০০ শিক্ষার্থী ভোট দিতে পারবেন। একজন ভোটার কেন্দ্রীয় সংসদের জন্য ২৬টি ও হল সংসদের জন্য ১৪টি, মোট ৪০টি ভোট দেবেন।
এবার চাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল, ছাত্রশিবিরসহ ১৩টি প্যানেল থেকে ৯০৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার ২৭ হাজার ৫১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৬ হাজার ৮৪ এবং নারী ভোটার ১১ হাজার ৩২৯ জন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. কামাল উদ্দিন বলেছেন, তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোটার এবং সার্বিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে নির্বাচন করছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচনকে শতভাগ অনুসরণ করিনি, বরং ডাকসু নির্বাচন থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে সেখানে তৈরি হওয়া সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য নিজেদের বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি করেছি।’
আজ বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন উপলক্ষে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ড. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের যে ছবিযুক্ত ভোটার, সেটা তো অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয় করেনি। আমরা করেছি এবং এটা অনেক কষ্টসাধ্য কাজ, সেটা আমরা সমাধান করেছি। এখানে ওএমআর মেশিন পর্যাপ্ত পরিমাণ আমরা রেখেছি। আমরা যেন খুব সুন্দরভাবে অল্প সময়ে ভোট গণনা করতে পারি, সে জন্য আমরা মাল্টিপল চেক, সেটা করেছি। আর আমাদের ভোট গ্রহণ থেকে ভোট গণনা পর্যন্ত যে প্রক্রিয়া, প্রতিটি প্রক্রিয়ায় আপনি একজন পার্ট। আপনি আমাদের সঙ্গে থাকবেন, আপনারা দেখবেন আমরা অযথা টাইম বিলম্ব করছি কি না।’
চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) বলেন, ‘আমরা ত্রুটিযুক্ত কাজ করতে চাই না। আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে নিখুঁতভাবে কাজ শেষ করতে যতটুকু সময় প্রয়োজন, ততটুকু দিতে হবে।’
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর আজ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু), হল ও হোস্টেল সংসদ নির্বাচন হচ্ছ। আজ সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হয়েছে ভোট, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচনী কর্মকর্তাদের তথ্যে পাঁচটি অনুষদের ১৫টি ভোটকেন্দ্রের ৬০টি কক্ষে ৬৮৯টি বুথে একযোগে ভোট গ্রহণ চলছে। প্রতিটি কেন্দ্রে সর্বাধিক ৫০০ শিক্ষার্থী ভোট দিতে পারবেন। একজন ভোটার কেন্দ্রীয় সংসদের জন্য ২৬টি ও হল সংসদের জন্য ১৪টি, মোট ৪০টি ভোট দেবেন।
এবার চাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল, ছাত্রশিবিরসহ ১৩টি প্যানেল থেকে ৯০৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার ২৭ হাজার ৫১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৬ হাজার ৮৪ এবং নারী ভোটার ১১ হাজার ৩২৯ জন।
নির্বাচনী হাওয়া বইছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ঘিরে সরগরম হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। ডাকসু নির্বাচনে মনোয়নয়নপত্র সংগ্রহের শেষ দিন গতকাল সোমবার দলে দলে গিয়ে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ভোটে লড়তে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা।
১৯ আগস্ট ২০২৫চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ বিকেল ৪টায় শেষ হয়েছে। শুরু হয়েছে ভোট গণনা। তবে এর আধা ঘণ্টা আগে থেকে বিবিএ অনুষদ ভবনের সামনে ছাত্রদল ও শিবিরের নেতাদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ছাড়া ভোট গণনা শুরুর পর এলইডি প্রজেক্টরে লাইন বিচ্ছিন্ন হওয়াকে কেন
৩ ঘণ্টা আগেঅনিয়মের অভিযোগ তুলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন বর্জন করেছেন ইনসানিয়াত বিপ্লব-সমর্থিত প্রার্থীরা। আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নির্বাচন বর্জনের এ ঘোষণা দেন তাঁরা। যদিও নির্বাচনে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ হয়। এর পর থেকে ভোট গণনার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
৩ ঘণ্টা আগেরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ, হল সংসদ ও সিনেট—এ ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি ঠেকাতে ভোটারদের তিন স্তরের নজরদারিতে রাখা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
৬ ঘণ্টা আগে