সৈয়দ নাজমুল হক সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। ছাত্রাবস্থায় প্রগতিশীল রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৬২ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক আইনবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। সে বছরেরই আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে শিক্ষা কমিশন রিপোর্টবিরোধী আন্দোলনেও ছিল তাঁর সক্রিয় অংশগ্রহণ। এ সময় থেকেই সাংবাদিকতার প্রতি তাঁর আগ্রহ জন্মে। তিনি পাকিস্তান প্রেস ইন্টারন্যাশনালের চিফ রিপোর্টার, কলাম্বিয়া ব্রডকাস্টিং সার্ভিস ও হংকংয়ের এশিয়ান নিউজ এজেন্সির ঢাকা প্রতিনিধি ছিলেন।
১৯৬৪ সালে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর মোনায়েম খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আসতে চাইলে ছাত্ররা তা পণ্ড করে দেয়। সে সময় মোনায়েম খান যাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন তাদের মধ্যে শেখ ফজলুল হক মণি, আবদুর রাজ্জাক, নাজমুল হক, জাকির হোসেন ছিলেন। আদালতের রায়ে অবশ্য নাজমুল হক পরে মুক্তি পেয়েছিলেন।
১৯৬৭ সালে সুপিরিয়র সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের ইনফরমেশন সার্ভিসের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন। কিন্তু মোনায়েম খানকে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ঢুকতে না দেওয়ার মামলায় জড়িত ছিলেন বলে তাঁকে সিএসপিতে যোগ দিতে দেয়নি মোনায়েম খান।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিদেশ সফরে গেলে বিশ্বস্ত সহচর হিসেবে নাজমুল হককে নিয়ে যেতেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি সিবিএসের সংবাদদাতা হিসেবে সামরিক গোয়েন্দাদের এড়িয়ে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে গিয়ে বিদেশি সাংবাদিকদের মাঝে বিচ্ছুদের (মুক্তিযোদ্ধা) কৃতিত্বের খবর ছড়িয়ে দিতেন। এই সময়ই তিনি পাকিস্তানিদের রোষানলে পড়ে যান। ৬ আগস্ট তাঁকে গ্রেপ্তার করে পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী করা হয়। ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁকে সেখানে আটক রাখা হয়। তাঁকে শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে বলা হয়। তিনি এ রকম সাক্ষ্য দিতে রাজি হননি। ২০ সেপ্টেম্বর তাঁকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হয়। কিন্তু তিনি তখন থাকেন পাকিস্তানি সেনাদের নজরবন্দি।
১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর ভোর সাড়ে চারটায় অস্ত্রধারী আলবদর আর পাকিস্তানি বাহিনীর লোকেরা এসে তাঁর পুরানা পল্টনের বাড়ির দরজা ভেঙে ঢুকে পড়ে। তাঁকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর তিনি আর ফিরে আসেননি।
সৈয়দ নাজমুল হক সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। ছাত্রাবস্থায় প্রগতিশীল রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৬২ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক আইনবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। সে বছরেরই আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে শিক্ষা কমিশন রিপোর্টবিরোধী আন্দোলনেও ছিল তাঁর সক্রিয় অংশগ্রহণ। এ সময় থেকেই সাংবাদিকতার প্রতি তাঁর আগ্রহ জন্মে। তিনি পাকিস্তান প্রেস ইন্টারন্যাশনালের চিফ রিপোর্টার, কলাম্বিয়া ব্রডকাস্টিং সার্ভিস ও হংকংয়ের এশিয়ান নিউজ এজেন্সির ঢাকা প্রতিনিধি ছিলেন।
১৯৬৪ সালে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর মোনায়েম খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আসতে চাইলে ছাত্ররা তা পণ্ড করে দেয়। সে সময় মোনায়েম খান যাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন তাদের মধ্যে শেখ ফজলুল হক মণি, আবদুর রাজ্জাক, নাজমুল হক, জাকির হোসেন ছিলেন। আদালতের রায়ে অবশ্য নাজমুল হক পরে মুক্তি পেয়েছিলেন।
১৯৬৭ সালে সুপিরিয়র সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের ইনফরমেশন সার্ভিসের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন। কিন্তু মোনায়েম খানকে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ঢুকতে না দেওয়ার মামলায় জড়িত ছিলেন বলে তাঁকে সিএসপিতে যোগ দিতে দেয়নি মোনায়েম খান।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিদেশ সফরে গেলে বিশ্বস্ত সহচর হিসেবে নাজমুল হককে নিয়ে যেতেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি সিবিএসের সংবাদদাতা হিসেবে সামরিক গোয়েন্দাদের এড়িয়ে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে গিয়ে বিদেশি সাংবাদিকদের মাঝে বিচ্ছুদের (মুক্তিযোদ্ধা) কৃতিত্বের খবর ছড়িয়ে দিতেন। এই সময়ই তিনি পাকিস্তানিদের রোষানলে পড়ে যান। ৬ আগস্ট তাঁকে গ্রেপ্তার করে পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী করা হয়। ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁকে সেখানে আটক রাখা হয়। তাঁকে শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে বলা হয়। তিনি এ রকম সাক্ষ্য দিতে রাজি হননি। ২০ সেপ্টেম্বর তাঁকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হয়। কিন্তু তিনি তখন থাকেন পাকিস্তানি সেনাদের নজরবন্দি।
১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর ভোর সাড়ে চারটায় অস্ত্রধারী আলবদর আর পাকিস্তানি বাহিনীর লোকেরা এসে তাঁর পুরানা পল্টনের বাড়ির দরজা ভেঙে ঢুকে পড়ে। তাঁকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর তিনি আর ফিরে আসেননি।
১৫৪০ খ্রিষ্টাব্দে ইগ্নেসিয়াস লয়োলা নামে এক স্প্যানিশ ব্যক্তি জেসুইটা বা যিশুর সম্প্রদায় গঠন করেন। এই সম্প্রদায়ের খ্রিষ্টানরা খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে পৃথিবীর নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েন। পিয়েরে ডু জারিক নামের এক ফরাসি ঐতিহাসিকের মতে, ১৫৯৯ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে ফনসেকা নামের একজন খ্রিষ্টান...
৩ দিন আগেদুর্ঘটনা ও জ্যাম এড়াতে শহরের রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক বাতি স্থাপন করা হয়। লাল বাতি জ্বলার সময় গাড়িগুলো থামে। হলুদ বাতি দেখলে অপেক্ষা করে। আর সবুজ বাতি জ্বললেই গাড়ি অবাধে এগিয়ে চলে। এই সিগন্যাল সারা বিশ্বেই স্বীকৃত।
১০ দিন আগেপঞ্চদশ শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন সুফিসাধক হজরত বদরউদ্দিন শাহ্ মাদার। তিনি ফরিদপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বরিশাল যাওয়ার পথে জল-জঙ্গলপূর্ণ একটি স্থানে এসে উপস্থিত হন। এরপর পদ্মার শাখা আড়িয়াল খাঁ নদের দক্ষিণ তীরে নিজের আস্তানা গড়ে তোলেন।
২০ দিন আগেলালমনিরহাটের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস মৌজায় মজদের আড়া নামে একটি পতিত জঙ্গল ছিল। স্থানীয় ভাষায় ‘আড়া’ মানে জঙ্গলময় স্থান। ১৯৮৫ সালে স্থানীয়রা আড়াটি পরিষ্কার করে চাষাবাদের উদ্যোগ নেয়। ওই সময় মাটি খুঁড়ে সমতল করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে ফুলেল নকশার প্রচুর প্রাচীন ইট।
২৪ দিন আগে