সম্পাদকীয়
ঋতুপর্ণ ঘোষ শুধু একজন প্রতিভাবান পরিচালকই ছিলেন না, তিনি একাধারে চিত্রনাট্যকার, গীতিকার, অভিনেতা ও পত্রিকার সম্পাদক হিসেবেও সফল ছিলেন। সংলাপ রচনার ক্ষেত্রেও প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। নব্বইয়ের দশকের গোড়া পর্যন্ত কলকাতার সিনেমায় যে বন্ধ্যত্ব চলছিল, তা কাটিয়ে উঠতে তাঁর অবদান ছিল অসামান্য।
ঋতুপর্ণ ঘোষের জন্ম কলকাতায়, ১৯৬৩ সালের ৩১ আগস্ট। তাঁর কলকাতার সাউথ পয়েন্ট স্কুলে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার হাতেখড়ি হয়েছিল। ১৯৮২ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হয়ে তিনি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৮৭ সালে তিনি যোগ দিয়েছিলেন একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থায় ক্রিয়েটিভ আর্টিস্ট হিসেবে। আশির দশকে বাংলা বিজ্ঞাপনী জগতে জনপ্রিয় এক লাইনের স্লোগান বেরিয়েছিল তাঁর হাত ধরে। তিনিই বাংলায় স্বতন্ত্র এই বিজ্ঞাপনী স্লোগানের ধারা সৃষ্টি করেছিলেন।
১৯৯২ সালে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে তাঁর প্রথম চলচ্চিত্র ‘হীরের আংটি’ মুক্তি পায়। এরপর শুধু তাঁর সফলতার পালা শুরু। জীবনে তাঁর নির্মিত ১৯টি চলচ্চিত্রের মধ্যে ১২টিই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে। তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনের ওপর ‘জীবনস্মৃতি’ নামে একটি তথ্যচিত্রও নির্মাণ করেন।
২০০৪ সালে তাঁর প্রথম হিন্দি চলচ্চিত্র ‘রেইনকোট’ মুক্তি পায়, যেটি মনোজ বসুর ছোটগল্প ‘প্রতিহিংসা’ এবং ও হেনরির ছোট গল্পের ‘দ্য গিফট অব দ্য ম্যাজাই’ অবলম্বনে তৈরি। একাধিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া এই পরিচালকের কয়েকটি সিনেমার নাম না নিলেই নয়—ঊনিশে এপ্রিল, দহন, চোখের বালি, আবহমান, নৌকাডুবি, চিত্রাঙ্গদা ইত্যাদি। তাঁর সিনেমায় অভিনয় করেছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, অমিতাভ বচ্চন, শর্মিলা ঠাকুর, অভিষেক বচ্চন, ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন, সোহা আলী খান, বিপাশা বসু, অর্জুন রামপাল, অজয় দেবগনসহ অন্যান্য খ্যাতনামা শিল্পী।
তিনি সম্পাদনা করেছেন জনপ্রিয় বাংলা চলচ্চিত্র ম্যাগাজিন ‘আনন্দলোক’ এবং বাংলা দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনের ‘রোববার’ পাতাটি।
গুণী এই চলচ্চিত্র পরিচালক ২০১৩ সালের ৩০ মে মাত্র ৪৯ বছর বয়সে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
ঋতুপর্ণ ঘোষ শুধু একজন প্রতিভাবান পরিচালকই ছিলেন না, তিনি একাধারে চিত্রনাট্যকার, গীতিকার, অভিনেতা ও পত্রিকার সম্পাদক হিসেবেও সফল ছিলেন। সংলাপ রচনার ক্ষেত্রেও প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। নব্বইয়ের দশকের গোড়া পর্যন্ত কলকাতার সিনেমায় যে বন্ধ্যত্ব চলছিল, তা কাটিয়ে উঠতে তাঁর অবদান ছিল অসামান্য।
ঋতুপর্ণ ঘোষের জন্ম কলকাতায়, ১৯৬৩ সালের ৩১ আগস্ট। তাঁর কলকাতার সাউথ পয়েন্ট স্কুলে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার হাতেখড়ি হয়েছিল। ১৯৮২ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হয়ে তিনি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৮৭ সালে তিনি যোগ দিয়েছিলেন একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থায় ক্রিয়েটিভ আর্টিস্ট হিসেবে। আশির দশকে বাংলা বিজ্ঞাপনী জগতে জনপ্রিয় এক লাইনের স্লোগান বেরিয়েছিল তাঁর হাত ধরে। তিনিই বাংলায় স্বতন্ত্র এই বিজ্ঞাপনী স্লোগানের ধারা সৃষ্টি করেছিলেন।
১৯৯২ সালে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে তাঁর প্রথম চলচ্চিত্র ‘হীরের আংটি’ মুক্তি পায়। এরপর শুধু তাঁর সফলতার পালা শুরু। জীবনে তাঁর নির্মিত ১৯টি চলচ্চিত্রের মধ্যে ১২টিই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে। তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনের ওপর ‘জীবনস্মৃতি’ নামে একটি তথ্যচিত্রও নির্মাণ করেন।
২০০৪ সালে তাঁর প্রথম হিন্দি চলচ্চিত্র ‘রেইনকোট’ মুক্তি পায়, যেটি মনোজ বসুর ছোটগল্প ‘প্রতিহিংসা’ এবং ও হেনরির ছোট গল্পের ‘দ্য গিফট অব দ্য ম্যাজাই’ অবলম্বনে তৈরি। একাধিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া এই পরিচালকের কয়েকটি সিনেমার নাম না নিলেই নয়—ঊনিশে এপ্রিল, দহন, চোখের বালি, আবহমান, নৌকাডুবি, চিত্রাঙ্গদা ইত্যাদি। তাঁর সিনেমায় অভিনয় করেছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, অমিতাভ বচ্চন, শর্মিলা ঠাকুর, অভিষেক বচ্চন, ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন, সোহা আলী খান, বিপাশা বসু, অর্জুন রামপাল, অজয় দেবগনসহ অন্যান্য খ্যাতনামা শিল্পী।
তিনি সম্পাদনা করেছেন জনপ্রিয় বাংলা চলচ্চিত্র ম্যাগাজিন ‘আনন্দলোক’ এবং বাংলা দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনের ‘রোববার’ পাতাটি।
গুণী এই চলচ্চিত্র পরিচালক ২০১৩ সালের ৩০ মে মাত্র ৪৯ বছর বয়সে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
১৫৪০ খ্রিষ্টাব্দে ইগ্নেসিয়াস লয়োলা নামে এক স্প্যানিশ ব্যক্তি জেসুইটা বা যিশুর সম্প্রদায় গঠন করেন। এই সম্প্রদায়ের খ্রিষ্টানরা খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে পৃথিবীর নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েন। পিয়েরে ডু জারিক নামের এক ফরাসি ঐতিহাসিকের মতে, ১৫৯৯ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে ফনসেকা নামের একজন খ্রিষ্টান...
২ দিন আগেদুর্ঘটনা ও জ্যাম এড়াতে শহরের রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক বাতি স্থাপন করা হয়। লাল বাতি জ্বলার সময় গাড়িগুলো থামে। হলুদ বাতি দেখলে অপেক্ষা করে। আর সবুজ বাতি জ্বললেই গাড়ি অবাধে এগিয়ে চলে। এই সিগন্যাল সারা বিশ্বেই স্বীকৃত।
৯ দিন আগেপঞ্চদশ শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন সুফিসাধক হজরত বদরউদ্দিন শাহ্ মাদার। তিনি ফরিদপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বরিশাল যাওয়ার পথে জল-জঙ্গলপূর্ণ একটি স্থানে এসে উপস্থিত হন। এরপর পদ্মার শাখা আড়িয়াল খাঁ নদের দক্ষিণ তীরে নিজের আস্তানা গড়ে তোলেন।
১৯ দিন আগেলালমনিরহাটের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস মৌজায় মজদের আড়া নামে একটি পতিত জঙ্গল ছিল। স্থানীয় ভাষায় ‘আড়া’ মানে জঙ্গলময় স্থান। ১৯৮৫ সালে স্থানীয়রা আড়াটি পরিষ্কার করে চাষাবাদের উদ্যোগ নেয়। ওই সময় মাটি খুঁড়ে সমতল করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে ফুলেল নকশার প্রচুর প্রাচীন ইট।
২৩ দিন আগে