সম্পাদকীয়
আবু সয়ীদ আইয়ুব মূলত ছিলেন উর্দুভাষী। তিন পুরুষ ধরে তাঁদের পরিবারের কলকাতায় বসবাস। উর্দু কাহকুশান পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলি পড়েন তিনি ষোলো বছর বয়সে। রবীন্দ্রনাথ পড়ার জন্য তিনি বাংলা শিখেছিলেন। বাংলায় তাঁর লেখা বইগুলো প্রবন্ধ সাহিত্যের বড় সম্পদ।
বিশ্বভারতীতে তিনি ক্লাস নিতেন। একটা নির্দিষ্ট গাছতলায় অপেক্ষা করছে শিক্ষার্থীরা। তিনি আসতেন, তারপর লেকচার দিতেন। অনীশ ঘটক নামে তাঁর এক ছাত্র ছিল। খুবই রসিক সে ছেলে। গৌরী দত্তের এক ক্লাস সিনিয়র ছিল ছেলেটা। গৌরী দত্ত পরে আবু সয়ীদ আইয়ুবকে বিয়ে করেছিলেন। এর পর থেকে তাঁর নাম হয়েছিল গৌরী আইয়ুব।
একদিন সেই অনীশ অম্লান বদনে জিজ্ঞেস করল, ‘আচ্ছা আইয়ুবদা, আমরা আপনাকে ভাইজান বলে ডাকলে কি আপনি বেশি খুশি হবেন? গৌরী বলছিল...’
আবু সয়ীদ আইয়ুব অপাঙ্গে একবার গৌরীর দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন, ‘নিশ্চয় খুশি হব। শুধু আইয়ুব সাহেব না বললেই হলো।’
একবার আবু সয়ীদ আইয়ুব পড়াচ্ছিলেন ‘অ্যাপেয়ারেন্স অ্যান্ড রিয়ালিটি’। পড়াতে পড়াতে ম্যাজিশিয়ানের মতো তিনি একটি ফল বের করে সবাইকে দেখিয়ে প্রশ্ন করলেন, ‘কী এটা?’
সবাই হেসে বলল, ‘কমলা!’
তাহলে এই কমলার গন্ধ কী রকম হবে, স্পর্শ করলে কেমন লাগবে? সবাই যে যার মতো এই প্রশ্নের উত্তর দিতে লাগল। উত্তর পাওয়ার পর আবু সয়ীদ আইয়ুব একজনের হাতে ফলটি দিয়ে বললেন, ‘দেখো দিকিনি, তোমাদের অনুমান ঠিক কি না!’
হাতে নিয়ে দেখা গেল, সেটা একেবারেই কমলা নয়। কৃষ্ণনগরে তৈরি মাটির খেলনা। এবার শুরু হলো মূল বক্তৃতা। যা দেখা যায় এবং বাস্তবতা যে এক না-ও হতে পারে, তা নিয়েই কথা বলা হলো। এবং কথা বলতে বলতে একসময় আবু সয়ীদ আইয়ুব শিক্ষার্থীদের মনে একটা প্রশ্ন ঢুকিয়ে দিলেন: এই বিশ্বকে যেমনটা দেখায়, বিশ্ব কি ঠিক তাই, না অন্য কোনো কিছু?
সূত্র: গৌরী আইয়ুব, আমাদের দুজনের কথা এবং অন্যান্য, পৃষ্ঠা ৫১-৫২
আবু সয়ীদ আইয়ুব মূলত ছিলেন উর্দুভাষী। তিন পুরুষ ধরে তাঁদের পরিবারের কলকাতায় বসবাস। উর্দু কাহকুশান পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলি পড়েন তিনি ষোলো বছর বয়সে। রবীন্দ্রনাথ পড়ার জন্য তিনি বাংলা শিখেছিলেন। বাংলায় তাঁর লেখা বইগুলো প্রবন্ধ সাহিত্যের বড় সম্পদ।
বিশ্বভারতীতে তিনি ক্লাস নিতেন। একটা নির্দিষ্ট গাছতলায় অপেক্ষা করছে শিক্ষার্থীরা। তিনি আসতেন, তারপর লেকচার দিতেন। অনীশ ঘটক নামে তাঁর এক ছাত্র ছিল। খুবই রসিক সে ছেলে। গৌরী দত্তের এক ক্লাস সিনিয়র ছিল ছেলেটা। গৌরী দত্ত পরে আবু সয়ীদ আইয়ুবকে বিয়ে করেছিলেন। এর পর থেকে তাঁর নাম হয়েছিল গৌরী আইয়ুব।
একদিন সেই অনীশ অম্লান বদনে জিজ্ঞেস করল, ‘আচ্ছা আইয়ুবদা, আমরা আপনাকে ভাইজান বলে ডাকলে কি আপনি বেশি খুশি হবেন? গৌরী বলছিল...’
আবু সয়ীদ আইয়ুব অপাঙ্গে একবার গৌরীর দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন, ‘নিশ্চয় খুশি হব। শুধু আইয়ুব সাহেব না বললেই হলো।’
একবার আবু সয়ীদ আইয়ুব পড়াচ্ছিলেন ‘অ্যাপেয়ারেন্স অ্যান্ড রিয়ালিটি’। পড়াতে পড়াতে ম্যাজিশিয়ানের মতো তিনি একটি ফল বের করে সবাইকে দেখিয়ে প্রশ্ন করলেন, ‘কী এটা?’
সবাই হেসে বলল, ‘কমলা!’
তাহলে এই কমলার গন্ধ কী রকম হবে, স্পর্শ করলে কেমন লাগবে? সবাই যে যার মতো এই প্রশ্নের উত্তর দিতে লাগল। উত্তর পাওয়ার পর আবু সয়ীদ আইয়ুব একজনের হাতে ফলটি দিয়ে বললেন, ‘দেখো দিকিনি, তোমাদের অনুমান ঠিক কি না!’
হাতে নিয়ে দেখা গেল, সেটা একেবারেই কমলা নয়। কৃষ্ণনগরে তৈরি মাটির খেলনা। এবার শুরু হলো মূল বক্তৃতা। যা দেখা যায় এবং বাস্তবতা যে এক না-ও হতে পারে, তা নিয়েই কথা বলা হলো। এবং কথা বলতে বলতে একসময় আবু সয়ীদ আইয়ুব শিক্ষার্থীদের মনে একটা প্রশ্ন ঢুকিয়ে দিলেন: এই বিশ্বকে যেমনটা দেখায়, বিশ্ব কি ঠিক তাই, না অন্য কোনো কিছু?
সূত্র: গৌরী আইয়ুব, আমাদের দুজনের কথা এবং অন্যান্য, পৃষ্ঠা ৫১-৫২
বিশ্বখ্যাত ইংরেজি ভাষার অভিধান কেমব্রিজ ডিকশনারিতে এ বছর যুক্ত হয়েছে ৬ হাজারের বেশি নতুন শব্দ। যার বেশির ভাগই জেন-জি’দের। এসব শব্দের মধ্যে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবহৃত স্ল্যাং বা অমার্জিত শব্দ যেমন ‘স্কিবিডি’, ‘ট্র্যাডওয়াইফ’, ‘ব্রোলিগার্কি’ এবং ‘ডেলুলু’ রয়েছে।
১ দিন আগেগত বছরের ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনীতির ময়দান বেশ টানটান। সংস্কার আর নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। নেই দম ফেলার দুদণ্ড ফুরসত। কোনো কোনো উপদেষ্টাকে ভোররাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দেশের সর্বকনিষ্ঠ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও।
৫ দিন আগেযতীন স্যারকে নিয়ে কথা বলতে বসলে মনে হয়, কথাগুলো শুধু লেখা নয়—এ যেন হৃদয়ের ভেতরের কিছু টুকরো তুলে ধরা। দুপুরে হঠাৎ এক সুহৃদ ফোন করে বলল, ‘শুনেছ? যতীন স্যার নেই!’—মুহূর্তেই আমার বুক কেঁপে উঠল। মনে হলো, জীবনের এক অমূল্য আশ্রয় হঠাৎ হারিয়ে ফেলেছি।
৬ দিন আগেএকটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
৮ দিন আগে