সম্পাদকীয়
সুরেশচন্দ্র মজুমদারকে অনেকেই চেনেন। জাতীয়তাবাদী পত্রিকা প্রকাশের উদ্দেশ্যে আবাল্য বন্ধু প্রফুল্লকুমার সরকারের সাহায্য ও সম্পাদনায় ১৯২২ সালের ১৩ মার্চ তিনি আনন্দবাজার পত্রিকা প্রকাশ করেন। তাঁরই উদ্যোগে দেশ এবং দ্য স্টেটসম্যানের প্রতিপক্ষ হিসেবে হিন্দুস্তান স্ট্যান্ডার্ড প্রকাশিত হয়।
১৯৪৪ সালে সৈয়দ মুজতবা আলী ‘সত্যপীর’ নাম নিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকায় সম্পাদকীয়-পরবর্তী স্তম্ভে প্রবন্ধ লিখতে শুরু করেন। দুটো লেখা প্রকাশিত হওয়ার পর তিনি বুঝতে পারেন যে লেখাগুলো পছন্দ করছেন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
সুরেশচন্দ্র মজুমদারের সঙ্গে বন্ধুবান্ধবদের মাধ্যমে সৈয়দ মুজতবা আলীর পরিচয় হয়। সুরেশচন্দ্র মজুমদার লেখা চেনার ব্যাপারে ছিলেন একেবারে জহুরি। খুব ভালোভাবে লেখা বুঝতে পারতেন তিনি। কড়া সমালোচনা যেমন করতে পারতেন, তেমনি তিনি ছিলেন সহৃদয় ব্যক্তি। এই দুইয়ের দ্বন্দ্বে কখনো কখনো খারাপেরাও তাঁর প্রশ্রয় পেত।
সৈয়দ মুজতবা আলী সুরেশচন্দ্র মজুমদারকে বাঘের মতো ভয় পেতেন, যদিও জানতেন তাঁকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। মজার ব্যাপার, তখন পর্যন্ত একদিনও সুরেশচন্দ্র মজুমদার সৈয়দ মুজতবা আলীর কোনো লেখার কোনো সমালোচনা করেননি, কোনো কিছু নতুন করে লিখতে বলেননি বা কোনো ধরনের উপদেশও দেননি।
১৯৪৪-৪৫ সালের দিকে কলকাতায় একটা অশান্তির সৃষ্টি হলে সৈয়দ মুজতবা আলী তাঁর জন্য নির্দিষ্ট লেখা না লিখে লিখে ফেললেন একটি কবিতা। এখন কী করবেন! কবিতা কি এখানে ছাপা যেতে পারে! সে বিষয়ে কোনো দিকনির্দেশনা ছিল না। অগত্যা তিনি সেই লেখা নিয়ে গেলেন সুরেশবাবুর কাছে। দুটো ছত্র পড়েই সুরেশবাবু লেখাটা পাঠিয়ে দিলেন প্রেসে।
এবং বললেন, ‘ওরে...একে চা দে আর কী দিবি দে...আর...’, কথা অসমাপ্ত রেখেই তিনি ফের কাজে মন দিলেন।
আজ সৈয়দ মুজতবা আলীর জন্মদিনে দেশ পত্রিকায় আফটার এডিট না লিখে কবিতা লেখার গল্পটি বলা হলো।
সূত্র: সৈয়দ মুজতবা আলী রচনাবলী, চতুর্থ খণ্ড, পৃষ্ঠা ৩৮-৩৯
সুরেশচন্দ্র মজুমদারকে অনেকেই চেনেন। জাতীয়তাবাদী পত্রিকা প্রকাশের উদ্দেশ্যে আবাল্য বন্ধু প্রফুল্লকুমার সরকারের সাহায্য ও সম্পাদনায় ১৯২২ সালের ১৩ মার্চ তিনি আনন্দবাজার পত্রিকা প্রকাশ করেন। তাঁরই উদ্যোগে দেশ এবং দ্য স্টেটসম্যানের প্রতিপক্ষ হিসেবে হিন্দুস্তান স্ট্যান্ডার্ড প্রকাশিত হয়।
১৯৪৪ সালে সৈয়দ মুজতবা আলী ‘সত্যপীর’ নাম নিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকায় সম্পাদকীয়-পরবর্তী স্তম্ভে প্রবন্ধ লিখতে শুরু করেন। দুটো লেখা প্রকাশিত হওয়ার পর তিনি বুঝতে পারেন যে লেখাগুলো পছন্দ করছেন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
সুরেশচন্দ্র মজুমদারের সঙ্গে বন্ধুবান্ধবদের মাধ্যমে সৈয়দ মুজতবা আলীর পরিচয় হয়। সুরেশচন্দ্র মজুমদার লেখা চেনার ব্যাপারে ছিলেন একেবারে জহুরি। খুব ভালোভাবে লেখা বুঝতে পারতেন তিনি। কড়া সমালোচনা যেমন করতে পারতেন, তেমনি তিনি ছিলেন সহৃদয় ব্যক্তি। এই দুইয়ের দ্বন্দ্বে কখনো কখনো খারাপেরাও তাঁর প্রশ্রয় পেত।
সৈয়দ মুজতবা আলী সুরেশচন্দ্র মজুমদারকে বাঘের মতো ভয় পেতেন, যদিও জানতেন তাঁকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। মজার ব্যাপার, তখন পর্যন্ত একদিনও সুরেশচন্দ্র মজুমদার সৈয়দ মুজতবা আলীর কোনো লেখার কোনো সমালোচনা করেননি, কোনো কিছু নতুন করে লিখতে বলেননি বা কোনো ধরনের উপদেশও দেননি।
১৯৪৪-৪৫ সালের দিকে কলকাতায় একটা অশান্তির সৃষ্টি হলে সৈয়দ মুজতবা আলী তাঁর জন্য নির্দিষ্ট লেখা না লিখে লিখে ফেললেন একটি কবিতা। এখন কী করবেন! কবিতা কি এখানে ছাপা যেতে পারে! সে বিষয়ে কোনো দিকনির্দেশনা ছিল না। অগত্যা তিনি সেই লেখা নিয়ে গেলেন সুরেশবাবুর কাছে। দুটো ছত্র পড়েই সুরেশবাবু লেখাটা পাঠিয়ে দিলেন প্রেসে।
এবং বললেন, ‘ওরে...একে চা দে আর কী দিবি দে...আর...’, কথা অসমাপ্ত রেখেই তিনি ফের কাজে মন দিলেন।
আজ সৈয়দ মুজতবা আলীর জন্মদিনে দেশ পত্রিকায় আফটার এডিট না লিখে কবিতা লেখার গল্পটি বলা হলো।
সূত্র: সৈয়দ মুজতবা আলী রচনাবলী, চতুর্থ খণ্ড, পৃষ্ঠা ৩৮-৩৯
১৬৫৫ সালে গৌড়ীয় রীতিতে রাজবাড়ির বালিয়াকান্দী উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের নলিয়া গ্রামে জোড় বাংলা মন্দির ও বিগ্রহ নির্মাণ করেন রাজা সীতারাম রায়। দুটো মন্দির পাশাপাশি নির্মাণ করা হয় বলে এর এমন নাম। স্থানীয়দের মতে, রাজা সীতারাম বেলগাছিতে সোনায় গড়া মূর্তি দিয়ে দুর্গাপূজা করতে...
২ দিন আগে১৫৪০ খ্রিষ্টাব্দে ইগ্নেসিয়াস লয়োলা নামে এক স্প্যানিশ ব্যক্তি জেসুইটা বা যিশুর সম্প্রদায় গঠন করেন। এই সম্প্রদায়ের খ্রিষ্টানরা খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে পৃথিবীর নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েন। পিয়েরে ডু জারিক নামের এক ফরাসি ঐতিহাসিকের মতে, ১৫৯৯ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে ফনসেকা নামের একজন খ্রিষ্টান...
৬ দিন আগেদুর্ঘটনা ও জ্যাম এড়াতে শহরের রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক বাতি স্থাপন করা হয়। লাল বাতি জ্বলার সময় গাড়িগুলো থামে। হলুদ বাতি দেখলে অপেক্ষা করে। আর সবুজ বাতি জ্বললেই গাড়ি অবাধে এগিয়ে চলে। এই সিগন্যাল সারা বিশ্বেই স্বীকৃত।
১৩ দিন আগেপঞ্চদশ শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন সুফিসাধক হজরত বদরউদ্দিন শাহ্ মাদার। তিনি ফরিদপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বরিশাল যাওয়ার পথে জল-জঙ্গলপূর্ণ একটি স্থানে এসে উপস্থিত হন। এরপর পদ্মার শাখা আড়িয়াল খাঁ নদের দক্ষিণ তীরে নিজের আস্তানা গড়ে তোলেন।
২৩ দিন আগে