আবদুল করিম
ধনী ছিলেন না তিনি। ছিল না পৃষ্ঠপোষকতা। কিন্তু প্রথম জীবন থেকেই বাংলা সাহিত্যের প্রতি ছিল আকর্ষণ। এ সময় তিনি বাংলা পুঁথি সংগ্রহ করতে শুরু করেছিলেন। তাঁর সংগৃহীত পুঁথির বেশির ভাগই মুসলমান কবিদের লেখা। সেগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে রয়েছে। হিন্দু কবিদের লেখা পুঁথিগুলো আছে বরেন্দ্র জাদুঘরে।
১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে হলো ভাষা আন্দোলন। এর কিছুকাল পরে কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত হলো পূর্ব-পাক সাংস্কৃতিক সম্মেলন। সেই সম্মেলনে মূল সভাপতির অভিভাষণটি ছিল আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের। তিনি তখন অতিশয় বৃদ্ধ।
ভাষণটি পড়লে প্রথমেই মনে হবে, বিনয়ই তাঁকে বড় করেছে। নবীনদের বিদ্যা-বুদ্ধির প্রশংসা করেছেন, স্বীকার করেছেন, সে রকম বিদ্যা-বুদ্ধি তাঁর নেই। কিন্তু আছে অভিজ্ঞতা। এই অভিজ্ঞতাই যদি নবীনদের কাজে লাগে, তাহলে তিনি স্বস্তি বোধ করবেন।
সেই ভাষণে তিনি ইউরোপীয় চিন্তক-রাজনীতিবিদদের প্রসঙ্গ তুলে এনে বলেছিলেন, ‘মানুষ চিরকাল পুরাতনকে বর্জন করিয়া নতুন কিছু অবলম্বন করিবার জন্য ব্যগ্র থাকিবে। ধর্ম, সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা বরাবর বিবর্তিত হইতে থাকিবে।’
যৌবনকালে তিনি হিন্দু-জাগরণের ফল দেখেছেন, এর বেশ কিছুকাল পরে মুসলমান জাগরণও দেখেছেন। গভীরভাবে ভেবে বলেছেন, একদিকে ধর্মবোধ, স্বাতন্ত্র্য-সাধনা, অন্যদিকে জাতীয়তাবোধের সমন্বয়-সাধনা। এই দুই ধারায় আমাদের সাধনা চলেছে।
একটি অসাধারণ কথা বলেছিলেন তিনি। ইরানে যখন ইসলামের পত্তন হলো, তখন আরবরা সাম্রাজ্যবাদীদের মতোই ইরানের ভাষা নিয়ে টানাটানি শুরু করল। তার প্রতিক্রিয়ায় দেখা গেল, ইরানের শ্রেষ্ঠ কবি ফেরদৌসী ইসলাম ধর্মের কোনো গাথা রচনা করলেন না। তিনি রচনা করলেন ইরানি নৃপতিদের গাথা, যাঁরা কেউ মুসলমান ছিলেন না। জাতীয়তাবোধের এই দৃষ্টান্ত দেওয়ার সময় আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের বয়স ছিল বিরাশি। এর পরের বছর ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি মারা যান।
সূত্র: আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ, অভিভাষণ, বাংলাদেশ: বাঙালী আত্মপরিচয়ের সন্ধানে, পৃষ্ঠা ৩৫-৪০
ধনী ছিলেন না তিনি। ছিল না পৃষ্ঠপোষকতা। কিন্তু প্রথম জীবন থেকেই বাংলা সাহিত্যের প্রতি ছিল আকর্ষণ। এ সময় তিনি বাংলা পুঁথি সংগ্রহ করতে শুরু করেছিলেন। তাঁর সংগৃহীত পুঁথির বেশির ভাগই মুসলমান কবিদের লেখা। সেগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে রয়েছে। হিন্দু কবিদের লেখা পুঁথিগুলো আছে বরেন্দ্র জাদুঘরে।
১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে হলো ভাষা আন্দোলন। এর কিছুকাল পরে কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত হলো পূর্ব-পাক সাংস্কৃতিক সম্মেলন। সেই সম্মেলনে মূল সভাপতির অভিভাষণটি ছিল আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের। তিনি তখন অতিশয় বৃদ্ধ।
ভাষণটি পড়লে প্রথমেই মনে হবে, বিনয়ই তাঁকে বড় করেছে। নবীনদের বিদ্যা-বুদ্ধির প্রশংসা করেছেন, স্বীকার করেছেন, সে রকম বিদ্যা-বুদ্ধি তাঁর নেই। কিন্তু আছে অভিজ্ঞতা। এই অভিজ্ঞতাই যদি নবীনদের কাজে লাগে, তাহলে তিনি স্বস্তি বোধ করবেন।
সেই ভাষণে তিনি ইউরোপীয় চিন্তক-রাজনীতিবিদদের প্রসঙ্গ তুলে এনে বলেছিলেন, ‘মানুষ চিরকাল পুরাতনকে বর্জন করিয়া নতুন কিছু অবলম্বন করিবার জন্য ব্যগ্র থাকিবে। ধর্ম, সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা বরাবর বিবর্তিত হইতে থাকিবে।’
যৌবনকালে তিনি হিন্দু-জাগরণের ফল দেখেছেন, এর বেশ কিছুকাল পরে মুসলমান জাগরণও দেখেছেন। গভীরভাবে ভেবে বলেছেন, একদিকে ধর্মবোধ, স্বাতন্ত্র্য-সাধনা, অন্যদিকে জাতীয়তাবোধের সমন্বয়-সাধনা। এই দুই ধারায় আমাদের সাধনা চলেছে।
একটি অসাধারণ কথা বলেছিলেন তিনি। ইরানে যখন ইসলামের পত্তন হলো, তখন আরবরা সাম্রাজ্যবাদীদের মতোই ইরানের ভাষা নিয়ে টানাটানি শুরু করল। তার প্রতিক্রিয়ায় দেখা গেল, ইরানের শ্রেষ্ঠ কবি ফেরদৌসী ইসলাম ধর্মের কোনো গাথা রচনা করলেন না। তিনি রচনা করলেন ইরানি নৃপতিদের গাথা, যাঁরা কেউ মুসলমান ছিলেন না। জাতীয়তাবোধের এই দৃষ্টান্ত দেওয়ার সময় আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের বয়স ছিল বিরাশি। এর পরের বছর ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি মারা যান।
সূত্র: আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ, অভিভাষণ, বাংলাদেশ: বাঙালী আত্মপরিচয়ের সন্ধানে, পৃষ্ঠা ৩৫-৪০
বিশ্বখ্যাত ইংরেজি ভাষার অভিধান কেমব্রিজ ডিকশনারিতে এ বছর যুক্ত হয়েছে ৬ হাজারের বেশি নতুন শব্দ। যার বেশির ভাগই জেন-জি’দের। এসব শব্দের মধ্যে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবহৃত স্ল্যাং বা অমার্জিত শব্দ যেমন ‘স্কিবিডি’, ‘ট্র্যাডওয়াইফ’, ‘ব্রোলিগার্কি’ এবং ‘ডেলুলু’ রয়েছে।
১ দিন আগেগত বছরের ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনীতির ময়দান বেশ টানটান। সংস্কার আর নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। নেই দম ফেলার দুদণ্ড ফুরসত। কোনো কোনো উপদেষ্টাকে ভোররাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দেশের সর্বকনিষ্ঠ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও।
৫ দিন আগেযতীন স্যারকে নিয়ে কথা বলতে বসলে মনে হয়, কথাগুলো শুধু লেখা নয়—এ যেন হৃদয়ের ভেতরের কিছু টুকরো তুলে ধরা। দুপুরে হঠাৎ এক সুহৃদ ফোন করে বলল, ‘শুনেছ? যতীন স্যার নেই!’—মুহূর্তেই আমার বুক কেঁপে উঠল। মনে হলো, জীবনের এক অমূল্য আশ্রয় হঠাৎ হারিয়ে ফেলেছি।
৬ দিন আগেএকটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
৮ দিন আগে