সম্পাদকীয়
সে সময় খুবই নামকরা চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক ছিলেন মধু বসু। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ ঘটে শচীন দেববর্মনের। শচীন তখন একটু একটু গান করছেন। মধু বসুর নির্দেশনায় যদি কোনো মঞ্চাভিনয় বা চলচ্চিত্র হতো, তাহলে তা দেখতে গেছেন শচীন। মধু বসুর স্ত্রীর নাম ছিল সাধনা। সাধনা তখন গান শিখছেন। মধু বসুর অনুরোধে তাঁকে গান শেখাতেন শচীন। মধু বসু এর জন্য শচীনকে পারিশ্রমিক দিতে চাইলেন, কিন্তু সাধনাকে গান শেখানোর বিনিময়ে কোনো পারিশ্রমিক নিতেন না।
মধু বসুরা থাকতেন চৌরঙ্গী প্লেসে রকসী সিনেমা হলের পাশে একটি ফ্ল্যাটে। এই ফ্ল্যাটে প্রায়ই গান-বাজনার আসর বসত। সেখানে আসতেন তিমিরবরণের দাদা মিহিরকিরণ ভট্টাচার্য, হিমাংশু দত্ত, শচীন দেববর্মনেরা।
‘সেলিমা’ নামের একটি চলচ্চিত্র তৈরি করছিলেন মধু বসু। সেই ছবিতে ছোট্ট একটি ভিখিরির চরিত্র ছিল। সেই চরিত্রে কে অভিনয় করবে? মধু বসু এলেন শচীনের কাছে। বললেন, ‘আমার ছবিতে ছোট্ট একটা ভিখিরির ভূমিকা আছে, কাজ বিশেষ কিছু না—শুধু বসে বসে একটি গান করতে হবে, আর কিছু নয়।’
সে কথা শুনে চমকে উঠলেন শচীন দেববর্মন। বললেন, ‘বলেন কী মি. বোস? আমি ফিল্মে নামব? জানেন তো আমার পরিবারকে। আমি যদি ফিল্মে নামি, তাহলে তারা আমায় নির্ঘাত একঘরে করবে। আমি গান করি, তাতেই লোকে কত কথা বলে!’
মধু বসু হাসলেন। বললেন, ‘তোমাকে কেউ চিনবে না। আমি এমন করে মেকআপ দেব, দাড়ি-গোঁফ লাগিয়ে দেব যে কেউ তোমাকে চিনতেই পারবে না।’
শচীনের মন সায় দেয় না। তবু অনেক বলার পর তিনি রাজি হলেন। এবং হ্যাঁ, ভিখিরির ভূমিকায় তিনি অভিনয় করলেন। ভিখিরি হয়ে যে গানটি করেছিলেন শচীন, সেটি খুব ভালো গেয়েছিলেন বলে প্রশংসাও পেয়েছিলেন।
সূত্র: শচীন দেববর্মন, সরগমের নিখাদ, পৃষ্ঠা ৫৭-৫৮
সে সময় খুবই নামকরা চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক ছিলেন মধু বসু। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ ঘটে শচীন দেববর্মনের। শচীন তখন একটু একটু গান করছেন। মধু বসুর নির্দেশনায় যদি কোনো মঞ্চাভিনয় বা চলচ্চিত্র হতো, তাহলে তা দেখতে গেছেন শচীন। মধু বসুর স্ত্রীর নাম ছিল সাধনা। সাধনা তখন গান শিখছেন। মধু বসুর অনুরোধে তাঁকে গান শেখাতেন শচীন। মধু বসু এর জন্য শচীনকে পারিশ্রমিক দিতে চাইলেন, কিন্তু সাধনাকে গান শেখানোর বিনিময়ে কোনো পারিশ্রমিক নিতেন না।
মধু বসুরা থাকতেন চৌরঙ্গী প্লেসে রকসী সিনেমা হলের পাশে একটি ফ্ল্যাটে। এই ফ্ল্যাটে প্রায়ই গান-বাজনার আসর বসত। সেখানে আসতেন তিমিরবরণের দাদা মিহিরকিরণ ভট্টাচার্য, হিমাংশু দত্ত, শচীন দেববর্মনেরা।
‘সেলিমা’ নামের একটি চলচ্চিত্র তৈরি করছিলেন মধু বসু। সেই ছবিতে ছোট্ট একটি ভিখিরির চরিত্র ছিল। সেই চরিত্রে কে অভিনয় করবে? মধু বসু এলেন শচীনের কাছে। বললেন, ‘আমার ছবিতে ছোট্ট একটা ভিখিরির ভূমিকা আছে, কাজ বিশেষ কিছু না—শুধু বসে বসে একটি গান করতে হবে, আর কিছু নয়।’
সে কথা শুনে চমকে উঠলেন শচীন দেববর্মন। বললেন, ‘বলেন কী মি. বোস? আমি ফিল্মে নামব? জানেন তো আমার পরিবারকে। আমি যদি ফিল্মে নামি, তাহলে তারা আমায় নির্ঘাত একঘরে করবে। আমি গান করি, তাতেই লোকে কত কথা বলে!’
মধু বসু হাসলেন। বললেন, ‘তোমাকে কেউ চিনবে না। আমি এমন করে মেকআপ দেব, দাড়ি-গোঁফ লাগিয়ে দেব যে কেউ তোমাকে চিনতেই পারবে না।’
শচীনের মন সায় দেয় না। তবু অনেক বলার পর তিনি রাজি হলেন। এবং হ্যাঁ, ভিখিরির ভূমিকায় তিনি অভিনয় করলেন। ভিখিরি হয়ে যে গানটি করেছিলেন শচীন, সেটি খুব ভালো গেয়েছিলেন বলে প্রশংসাও পেয়েছিলেন।
সূত্র: শচীন দেববর্মন, সরগমের নিখাদ, পৃষ্ঠা ৫৭-৫৮
১৫৪০ খ্রিষ্টাব্দে ইগ্নেসিয়াস লয়োলা নামে এক স্প্যানিশ ব্যক্তি জেসুইটা বা যিশুর সম্প্রদায় গঠন করেন। এই সম্প্রদায়ের খ্রিষ্টানরা খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে পৃথিবীর নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েন। পিয়েরে ডু জারিক নামের এক ফরাসি ঐতিহাসিকের মতে, ১৫৯৯ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে ফনসেকা নামের একজন খ্রিষ্টান...
৪ দিন আগেদুর্ঘটনা ও জ্যাম এড়াতে শহরের রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক বাতি স্থাপন করা হয়। লাল বাতি জ্বলার সময় গাড়িগুলো থামে। হলুদ বাতি দেখলে অপেক্ষা করে। আর সবুজ বাতি জ্বললেই গাড়ি অবাধে এগিয়ে চলে। এই সিগন্যাল সারা বিশ্বেই স্বীকৃত।
১১ দিন আগেপঞ্চদশ শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন সুফিসাধক হজরত বদরউদ্দিন শাহ্ মাদার। তিনি ফরিদপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বরিশাল যাওয়ার পথে জল-জঙ্গলপূর্ণ একটি স্থানে এসে উপস্থিত হন। এরপর পদ্মার শাখা আড়িয়াল খাঁ নদের দক্ষিণ তীরে নিজের আস্তানা গড়ে তোলেন।
২১ দিন আগেলালমনিরহাটের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস মৌজায় মজদের আড়া নামে একটি পতিত জঙ্গল ছিল। স্থানীয় ভাষায় ‘আড়া’ মানে জঙ্গলময় স্থান। ১৯৮৫ সালে স্থানীয়রা আড়াটি পরিষ্কার করে চাষাবাদের উদ্যোগ নেয়। ওই সময় মাটি খুঁড়ে সমতল করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে ফুলেল নকশার প্রচুর প্রাচীন ইট।
২৫ দিন আগে