সম্পাদকীয়
সাংগীতিক এক্সপ্রেশনের অন্যতম জাদুকর ছিলেন ভারতীয় বাঙালি শিল্পী অখিলবন্ধু ঘোষ। বাংলা রাগপ্রধান গানের জগতে অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র বলা হয় তাঁকে।
ছোটবেলা থেকেই মামার বাড়িতে সংগীতের পরিবেশে গান গাওয়ার উৎসাহ পান তিনি। তারপর সংগীতে শিক্ষালাভ করেন পণ্ডিত তারাপদ চক্রবর্তী ও চিন্ময় লাহিড়ীর কাছে। হিন্দুস্তানি ক্ল্যাসিক্যাল সংগীতে তাঁর শিক্ষা ও দক্ষতা সেই সময়ের বহু বিখ্যাত শিল্পীর তুলনায় বেশি ছিল।
পড়াশোনার চেয়ে বেশি ভালোবাসতেন সংগীতকে। তাই ম্যাট্রিকের পর লেখাপড়া না চালিয়ে পুরোপুরি গানের প্রতি মনোনিবেশ করেছিলেন। ১৯৪৫ সালে প্রথম আকাশবাণীতে তাঁর গান গাওয়া শুরু হয়। এরপর ১৯৪৭ সালে তাঁর প্রথম গানের রেকর্ড বেরোয়। শচীন দেববর্মনের গানের অন্ধভক্ত ছিলেন
তিনি। তাঁর কাছে গান না শিখলেও তিনি শচীন কর্তাকে একজন সংগীতগুরু বলে মানতেন।
তাঁর গাওয়া জনপ্রিয় গানগুলো হলো—‘ও দয়াল বিচার করো’, ‘ও বাঁশুরিয়া বাঁশি বাজাইয়ো না’, ‘আজি চাঁদিনি রাতি গো’—এ রকম আরও অনেক বিখ্যাত এবং রাগপ্রধান গান তিনি তাঁর অপরূপ কণ্ঠে গেয়েছেন। আর রাগরাগিণীর প্রকাশ যে কতখানি ভাবের পথে মানুষকে নিমজ্জিত করতে পারে, তিনিই তার অন্যতম দৃষ্টান্ত! বেশ কিছু নজরুলগীতি তিনি নিজস্ব ভাবমাধুর্যে গেয়েছেন।
বেঙ্গল মিউজিক কলেজে অধ্যাপনাও করেছেন অখিলবন্ধু। মাত্র তিনটি বাংলা সিনেমায় নেপথ্য কণ্ঠে তাঁর গান গাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তবে কোনো সিনেমায়ই সংগীত পরিচালনার সুযোগ পাননি।
তিনি আত্মমগ্ন হয়ে চোখ বন্ধ করে গান গাইতেন, ধ্যানমগ্ন সাধকের মতো। এই অনন্য শিল্পী তাঁর জীবনকালে প্রাপ্য অর্থ, সম্মান, পুরস্কার তেমনভাবে পাননি। তবু মানুষের ভালোবাসাতেই সন্তুষ্ট ছিলেন। সে কারণেই হয়তো তাঁর গাওয়া ‘সারাটি জীবন কী যে পেলাম/ এই মায়াভরা পৃথিবীতে/ পেয়েছি যতই, তারও বেশি করে/ হয়তো হয়েছে দিতে’ গানটিতে এক অভিমানী শিল্পীর বেদনা এমন গভীর হয়ে ফুটে উঠেছে।
চিরকাল প্রচারবিমুখ এই সংগীতশিল্পী ১৯৮৮ সালের ২০ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন।
সাংগীতিক এক্সপ্রেশনের অন্যতম জাদুকর ছিলেন ভারতীয় বাঙালি শিল্পী অখিলবন্ধু ঘোষ। বাংলা রাগপ্রধান গানের জগতে অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র বলা হয় তাঁকে।
ছোটবেলা থেকেই মামার বাড়িতে সংগীতের পরিবেশে গান গাওয়ার উৎসাহ পান তিনি। তারপর সংগীতে শিক্ষালাভ করেন পণ্ডিত তারাপদ চক্রবর্তী ও চিন্ময় লাহিড়ীর কাছে। হিন্দুস্তানি ক্ল্যাসিক্যাল সংগীতে তাঁর শিক্ষা ও দক্ষতা সেই সময়ের বহু বিখ্যাত শিল্পীর তুলনায় বেশি ছিল।
পড়াশোনার চেয়ে বেশি ভালোবাসতেন সংগীতকে। তাই ম্যাট্রিকের পর লেখাপড়া না চালিয়ে পুরোপুরি গানের প্রতি মনোনিবেশ করেছিলেন। ১৯৪৫ সালে প্রথম আকাশবাণীতে তাঁর গান গাওয়া শুরু হয়। এরপর ১৯৪৭ সালে তাঁর প্রথম গানের রেকর্ড বেরোয়। শচীন দেববর্মনের গানের অন্ধভক্ত ছিলেন
তিনি। তাঁর কাছে গান না শিখলেও তিনি শচীন কর্তাকে একজন সংগীতগুরু বলে মানতেন।
তাঁর গাওয়া জনপ্রিয় গানগুলো হলো—‘ও দয়াল বিচার করো’, ‘ও বাঁশুরিয়া বাঁশি বাজাইয়ো না’, ‘আজি চাঁদিনি রাতি গো’—এ রকম আরও অনেক বিখ্যাত এবং রাগপ্রধান গান তিনি তাঁর অপরূপ কণ্ঠে গেয়েছেন। আর রাগরাগিণীর প্রকাশ যে কতখানি ভাবের পথে মানুষকে নিমজ্জিত করতে পারে, তিনিই তার অন্যতম দৃষ্টান্ত! বেশ কিছু নজরুলগীতি তিনি নিজস্ব ভাবমাধুর্যে গেয়েছেন।
বেঙ্গল মিউজিক কলেজে অধ্যাপনাও করেছেন অখিলবন্ধু। মাত্র তিনটি বাংলা সিনেমায় নেপথ্য কণ্ঠে তাঁর গান গাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তবে কোনো সিনেমায়ই সংগীত পরিচালনার সুযোগ পাননি।
তিনি আত্মমগ্ন হয়ে চোখ বন্ধ করে গান গাইতেন, ধ্যানমগ্ন সাধকের মতো। এই অনন্য শিল্পী তাঁর জীবনকালে প্রাপ্য অর্থ, সম্মান, পুরস্কার তেমনভাবে পাননি। তবু মানুষের ভালোবাসাতেই সন্তুষ্ট ছিলেন। সে কারণেই হয়তো তাঁর গাওয়া ‘সারাটি জীবন কী যে পেলাম/ এই মায়াভরা পৃথিবীতে/ পেয়েছি যতই, তারও বেশি করে/ হয়তো হয়েছে দিতে’ গানটিতে এক অভিমানী শিল্পীর বেদনা এমন গভীর হয়ে ফুটে উঠেছে।
চিরকাল প্রচারবিমুখ এই সংগীতশিল্পী ১৯৮৮ সালের ২০ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন।
১৫৪০ খ্রিষ্টাব্দে ইগ্নেসিয়াস লয়োলা নামে এক স্প্যানিশ ব্যক্তি জেসুইটা বা যিশুর সম্প্রদায় গঠন করেন। এই সম্প্রদায়ের খ্রিষ্টানরা খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে পৃথিবীর নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েন। পিয়েরে ডু জারিক নামের এক ফরাসি ঐতিহাসিকের মতে, ১৫৯৯ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে ফনসেকা নামের একজন খ্রিষ্টান...
৩ দিন আগেদুর্ঘটনা ও জ্যাম এড়াতে শহরের রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক বাতি স্থাপন করা হয়। লাল বাতি জ্বলার সময় গাড়িগুলো থামে। হলুদ বাতি দেখলে অপেক্ষা করে। আর সবুজ বাতি জ্বললেই গাড়ি অবাধে এগিয়ে চলে। এই সিগন্যাল সারা বিশ্বেই স্বীকৃত।
৯ দিন আগেপঞ্চদশ শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন সুফিসাধক হজরত বদরউদ্দিন শাহ্ মাদার। তিনি ফরিদপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বরিশাল যাওয়ার পথে জল-জঙ্গলপূর্ণ একটি স্থানে এসে উপস্থিত হন। এরপর পদ্মার শাখা আড়িয়াল খাঁ নদের দক্ষিণ তীরে নিজের আস্তানা গড়ে তোলেন।
২০ দিন আগেলালমনিরহাটের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস মৌজায় মজদের আড়া নামে একটি পতিত জঙ্গল ছিল। স্থানীয় ভাষায় ‘আড়া’ মানে জঙ্গলময় স্থান। ১৯৮৫ সালে স্থানীয়রা আড়াটি পরিষ্কার করে চাষাবাদের উদ্যোগ নেয়। ওই সময় মাটি খুঁড়ে সমতল করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে ফুলেল নকশার প্রচুর প্রাচীন ইট।
২৪ দিন আগে