সম্পাদকীয়
বরিশালের ধর্মবর্ণ-নির্বিশেষ মানুষের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন অশ্বিনীকুমার দত্ত। তিনি এই সম্মান অর্জন করেছিলেন মানুষের কল্যাণে নিবেদিত হয়ে কাজ করার কারণে।
অশ্বিনীকুমারের জন্ম ১৮৫৬ সালের ২৫ জানুয়ারি বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর গ্রামে। প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাসের পর কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে এফএ এবং এলাহাবাদ থেকে মাত্র ২৩ বছর বয়সে বিএল পাস করেন। তাঁর কর্মজীবনের শুরু হয় স্কুলশিক্ষকতা দিয়ে। এরপর বরিশাল জেলা আদালতে তিনি অল্প কিছু দিন আইন পেশায় যুক্ত ছিলেন।
বরিশালের মানুষের শিক্ষা বিস্তারের উদ্দেশে তিনি নিজের দান করা জমিতে প্রতিষ্ঠা করেন ব্রজমোহন বিদ্যালয় (১৮৮৪), বালিকা বিদ্যালয় (১৮৮৭) ও ব্রজমোহন কলেজ (১৮৮৯)। এই কলেজে তিনি দীর্ঘ ২০ বছর বিনা বেতনে শিক্ষকতা করেন। ১৮৮৭ সালে তিনি নারীশিক্ষা প্রসারের জন্য ‘বাকেরগঞ্জ হিতৈষিণী সভা’ প্রতিষ্ঠা করেন।
একসময় জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করে বরিশাল পৌরসভার কমিশনার থেকে ভাইস চেয়ারম্যান এবং পরবর্তী সময়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর তিনি সরাসরি কংগ্রেসের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ১৯০৫-১৯১১ সালের বঙ্গভঙ্গবিরোধী আন্দোলন সংগঠিত করতে গিয়ে তিনি জাতীয় নেতায় পরিণত হন। বঙ্গভঙ্গবিরোধী আন্দোলনকে তিনি জেলা পর্যায় থেকে প্রাদেশিকভাবে ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাঁর নেতৃত্বাধীন ‘স্বদেশ বান্ধব সমিতি’র নামে গড়ে তোলা স্বদেশি স্বেচ্ছাসেবকদের সাহায্যে বরিশালকে স্বদেশি আন্দোলনের একটি শক্তিশালী কেন্দ্রে পরিণত করেন। সে সময় এ সংগঠনের জেলাজুড়ে ১৬০টির বেশি শাখা গড়ে উঠেছিল। ফলে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন করার অপরাধে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৯০৮ সালে তাঁর সমিতির ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি হয় এবং ১৯১০ সাল পর্যন্ত তিনি লক্ষ্ণৌ জেলে বন্দী ছিলেন।
একসময় কলকাতায় রাজনারায়ণ বসুর প্রভাবে তিনি ব্রাহ্মধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হন। ১৮৮২ সালে ব্রাহ্মধর্ম গ্রহণ করেন এবং বরিশালে ব্রাহ্মসমাজের সদস্য হন।
অশ্বিনীকুমার দত্ত ১৯২৩ সালের ৭ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
বরিশালের ধর্মবর্ণ-নির্বিশেষ মানুষের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন অশ্বিনীকুমার দত্ত। তিনি এই সম্মান অর্জন করেছিলেন মানুষের কল্যাণে নিবেদিত হয়ে কাজ করার কারণে।
অশ্বিনীকুমারের জন্ম ১৮৫৬ সালের ২৫ জানুয়ারি বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর গ্রামে। প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাসের পর কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে এফএ এবং এলাহাবাদ থেকে মাত্র ২৩ বছর বয়সে বিএল পাস করেন। তাঁর কর্মজীবনের শুরু হয় স্কুলশিক্ষকতা দিয়ে। এরপর বরিশাল জেলা আদালতে তিনি অল্প কিছু দিন আইন পেশায় যুক্ত ছিলেন।
বরিশালের মানুষের শিক্ষা বিস্তারের উদ্দেশে তিনি নিজের দান করা জমিতে প্রতিষ্ঠা করেন ব্রজমোহন বিদ্যালয় (১৮৮৪), বালিকা বিদ্যালয় (১৮৮৭) ও ব্রজমোহন কলেজ (১৮৮৯)। এই কলেজে তিনি দীর্ঘ ২০ বছর বিনা বেতনে শিক্ষকতা করেন। ১৮৮৭ সালে তিনি নারীশিক্ষা প্রসারের জন্য ‘বাকেরগঞ্জ হিতৈষিণী সভা’ প্রতিষ্ঠা করেন।
একসময় জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করে বরিশাল পৌরসভার কমিশনার থেকে ভাইস চেয়ারম্যান এবং পরবর্তী সময়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর তিনি সরাসরি কংগ্রেসের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ১৯০৫-১৯১১ সালের বঙ্গভঙ্গবিরোধী আন্দোলন সংগঠিত করতে গিয়ে তিনি জাতীয় নেতায় পরিণত হন। বঙ্গভঙ্গবিরোধী আন্দোলনকে তিনি জেলা পর্যায় থেকে প্রাদেশিকভাবে ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাঁর নেতৃত্বাধীন ‘স্বদেশ বান্ধব সমিতি’র নামে গড়ে তোলা স্বদেশি স্বেচ্ছাসেবকদের সাহায্যে বরিশালকে স্বদেশি আন্দোলনের একটি শক্তিশালী কেন্দ্রে পরিণত করেন। সে সময় এ সংগঠনের জেলাজুড়ে ১৬০টির বেশি শাখা গড়ে উঠেছিল। ফলে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন করার অপরাধে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৯০৮ সালে তাঁর সমিতির ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি হয় এবং ১৯১০ সাল পর্যন্ত তিনি লক্ষ্ণৌ জেলে বন্দী ছিলেন।
একসময় কলকাতায় রাজনারায়ণ বসুর প্রভাবে তিনি ব্রাহ্মধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হন। ১৮৮২ সালে ব্রাহ্মধর্ম গ্রহণ করেন এবং বরিশালে ব্রাহ্মসমাজের সদস্য হন।
অশ্বিনীকুমার দত্ত ১৯২৩ সালের ৭ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
১৫৪০ খ্রিষ্টাব্দে ইগ্নেসিয়াস লয়োলা নামে এক স্প্যানিশ ব্যক্তি জেসুইটা বা যিশুর সম্প্রদায় গঠন করেন। এই সম্প্রদায়ের খ্রিষ্টানরা খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে পৃথিবীর নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েন। পিয়েরে ডু জারিক নামের এক ফরাসি ঐতিহাসিকের মতে, ১৫৯৯ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে ফনসেকা নামের একজন খ্রিষ্টান...
২ দিন আগেদুর্ঘটনা ও জ্যাম এড়াতে শহরের রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক বাতি স্থাপন করা হয়। লাল বাতি জ্বলার সময় গাড়িগুলো থামে। হলুদ বাতি দেখলে অপেক্ষা করে। আর সবুজ বাতি জ্বললেই গাড়ি অবাধে এগিয়ে চলে। এই সিগন্যাল সারা বিশ্বেই স্বীকৃত।
৯ দিন আগেপঞ্চদশ শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন সুফিসাধক হজরত বদরউদ্দিন শাহ্ মাদার। তিনি ফরিদপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বরিশাল যাওয়ার পথে জল-জঙ্গলপূর্ণ একটি স্থানে এসে উপস্থিত হন। এরপর পদ্মার শাখা আড়িয়াল খাঁ নদের দক্ষিণ তীরে নিজের আস্তানা গড়ে তোলেন।
১৯ দিন আগেলালমনিরহাটের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস মৌজায় মজদের আড়া নামে একটি পতিত জঙ্গল ছিল। স্থানীয় ভাষায় ‘আড়া’ মানে জঙ্গলময় স্থান। ১৯৮৫ সালে স্থানীয়রা আড়াটি পরিষ্কার করে চাষাবাদের উদ্যোগ নেয়। ওই সময় মাটি খুঁড়ে সমতল করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে ফুলেল নকশার প্রচুর প্রাচীন ইট।
২৩ দিন আগে