সম্পাদকীয়
কানন দেবী সম্পর্কে সব তথ্যই তো এরই মধ্যে জানা হয়ে গেছে তাঁর লেখা ‘সবারে আমি নমি’ বইটি পড়া থাকলে। বহু গুণের অধিকারী এই অভিনয় ও কণ্ঠশিল্পী একসময় দখল করেছিলেন কলকাতা ও বাংলা ছবির দর্শকদের হৃদয়।
জীবনের শুরুটা ছিল বিষময়। একজন মানুষের পক্ষে যতটা কষ্ট করা সম্ভব, তা করেছেন তিনি। তথাকথিত ‘ভদ্র’ মানুষের কাছ থেকে দূরেই ছিলেন। হাওড়াতেই জন্ম তাঁর। সেটা ১৯১২ বা ১৯১৬ সাল। ঠিক সালটা এখন হারিয়ে গেছে। বলা হয়, বাবা ছিলেন দরজি, মা বাইজি। অসাধারণ কণ্ঠ ছিল কাননের। তাই মায়ের সঙ্গে গানের মহড়াও চলত।
বহু কষ্টের কাহিনি এখানে না বলে শুধু বলে রাখা ভালো, বাবার মৃত্যুর পর চন্দননগরে এক আত্মীয়র বাড়িতে যখন আশ্রয় নিয়েছিলেন, তখন সেই আত্মীয় বাড়ির সব পরিচারক-পরিচারিকাকে ছাড়িয়ে দেন। কাজের মেয়ে হিসেবে সীমাহীন কষ্টের মধ্যে বসবাস করতে হয়েছে তখন। টিকতে না পেরে মাকে নিয়ে চলে গেলেন হাওড়ার ঘোলাডাঙায়। সেখানেই দেখা হয় একজন মানুষের সঙ্গে, কানন যাঁকে বলছেন ভোলাদা। তাঁর কাছ থেকেই তিনি শিখে নেন নানা ধরনের গান। শিশুবয়সেই তাঁকে চলচ্চিত্রের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন তুলসী বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘মানময়ী গার্লস স্কুল’ ছবিটাই তাঁকে চলচ্চিত্রজগতে দেয় ভিত্তি।
যা হোক, যে কথা বলার জন্য এই কাহিনি ফাঁদা, সেটাই বলি। নিউ থিয়েটার্স স্টুডিওতে একটি গান রেকর্ডিং হবে। ডুয়েট। গাইবেন সেকালের ডাকসাইটে গায়ক কে এল সায়গল আর কানন দেবী। কানন দেবী তখনো নবীন গায়িকা। নিয়ম ছিল, একটিই থাকবে মাইক্রোফোন। তার দুপাশে বসে গান করবেন দুই শিল্পী। রেকর্ডিং শুরু হলে সায়গল মাইক্রোফোন এগিয়ে দিলেন কানন দেবীর দিকে। নিজের গলা অস্পষ্ট শোনা যাবে জেনেও সায়গল কাননের কণ্ঠ স্পষ্ট করতে চেয়েছেন। এক শিল্পীর প্রতি আরেক শিল্পীর এই ভালোবাসাই টিকিয়ে রাখে শিল্পকে।
সূত্র: চণ্ডী লাহিড়ী, চলমান প্রসঙ্গ, পৃষ্ঠা: ৫১
কানন দেবী সম্পর্কে সব তথ্যই তো এরই মধ্যে জানা হয়ে গেছে তাঁর লেখা ‘সবারে আমি নমি’ বইটি পড়া থাকলে। বহু গুণের অধিকারী এই অভিনয় ও কণ্ঠশিল্পী একসময় দখল করেছিলেন কলকাতা ও বাংলা ছবির দর্শকদের হৃদয়।
জীবনের শুরুটা ছিল বিষময়। একজন মানুষের পক্ষে যতটা কষ্ট করা সম্ভব, তা করেছেন তিনি। তথাকথিত ‘ভদ্র’ মানুষের কাছ থেকে দূরেই ছিলেন। হাওড়াতেই জন্ম তাঁর। সেটা ১৯১২ বা ১৯১৬ সাল। ঠিক সালটা এখন হারিয়ে গেছে। বলা হয়, বাবা ছিলেন দরজি, মা বাইজি। অসাধারণ কণ্ঠ ছিল কাননের। তাই মায়ের সঙ্গে গানের মহড়াও চলত।
বহু কষ্টের কাহিনি এখানে না বলে শুধু বলে রাখা ভালো, বাবার মৃত্যুর পর চন্দননগরে এক আত্মীয়র বাড়িতে যখন আশ্রয় নিয়েছিলেন, তখন সেই আত্মীয় বাড়ির সব পরিচারক-পরিচারিকাকে ছাড়িয়ে দেন। কাজের মেয়ে হিসেবে সীমাহীন কষ্টের মধ্যে বসবাস করতে হয়েছে তখন। টিকতে না পেরে মাকে নিয়ে চলে গেলেন হাওড়ার ঘোলাডাঙায়। সেখানেই দেখা হয় একজন মানুষের সঙ্গে, কানন যাঁকে বলছেন ভোলাদা। তাঁর কাছ থেকেই তিনি শিখে নেন নানা ধরনের গান। শিশুবয়সেই তাঁকে চলচ্চিত্রের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন তুলসী বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘মানময়ী গার্লস স্কুল’ ছবিটাই তাঁকে চলচ্চিত্রজগতে দেয় ভিত্তি।
যা হোক, যে কথা বলার জন্য এই কাহিনি ফাঁদা, সেটাই বলি। নিউ থিয়েটার্স স্টুডিওতে একটি গান রেকর্ডিং হবে। ডুয়েট। গাইবেন সেকালের ডাকসাইটে গায়ক কে এল সায়গল আর কানন দেবী। কানন দেবী তখনো নবীন গায়িকা। নিয়ম ছিল, একটিই থাকবে মাইক্রোফোন। তার দুপাশে বসে গান করবেন দুই শিল্পী। রেকর্ডিং শুরু হলে সায়গল মাইক্রোফোন এগিয়ে দিলেন কানন দেবীর দিকে। নিজের গলা অস্পষ্ট শোনা যাবে জেনেও সায়গল কাননের কণ্ঠ স্পষ্ট করতে চেয়েছেন। এক শিল্পীর প্রতি আরেক শিল্পীর এই ভালোবাসাই টিকিয়ে রাখে শিল্পকে।
সূত্র: চণ্ডী লাহিড়ী, চলমান প্রসঙ্গ, পৃষ্ঠা: ৫১
ধানমন্ডি লেকে এক যুগ আগেও যারা আড্ডা দিতে যেতেন, নিশ্চয়ই তাঁদের নজর এড়ায়নি লালরঙা জাহাজ বাড়িটি। ১৯৯৩-৯৪ সালে ব্যবসায়ী এ কে এম আনোয়ারুল হক চৌধুরী ধানমন্ডির ৫/এ এলাকায় একটি বাড়ি নির্মাণ করেন। বাড়িটির নাম তিনি দিয়েছিলেন ‘চিশতিয়া প্যালেস’। ১৯৯৬ সালে সাধারণের চলাচলের জন্য ঢাকা সিটি করপোরেশন রাস্তা...
২ ঘণ্টা আগেআর্মেনীয় জমিদার আরাতুন ১৮২৫ সালের দিকে ঢাকার ফরাশগঞ্জের শ্যামপুরে একটি দ্বিতল বাড়ি নির্মাণ করে নাম দিয়েছিলেন ‘আরাতুন হাউস’। এর ১০ বছর পর ১৮৩৫ সালের দিকে তিনি বাড়িটি বিক্রি করে দেন ঢাকার বিখ্যাত ব্যবসায়ী রূপলাল দাসের কাছে। নতুন মালিক বাড়িটির নতুন নাম দেন ‘রূপলাল হাউস’।
৬ দিন আগেবোঝাই যাচ্ছে ছবিটি একটি নাপিতের দোকানের। এ-ও বুঝতে অসুবিধা হয় না যে এটি ব্রিটিশ আমলে তোলা একটি ছবি। কেননা, দোকানের নামটি স্পষ্ট করে ইংরেজিতে লেখা—‘হানিফ বারবার নম্বর ফিফটি নাইন, হেয়ারকাটার অল হেয়ারি থিংস হিয়ার গট’। আর দোকানটির তালাবদ্ধ প্রবেশদ্বারের পাশের দেয়ালে ঝুলছে কতক পরচুলা, যেগুলোর কোনোটির...
৭ দিন আগেআজকের পত্রিকার পাঠক ফোরাম পাঠকবন্ধুর প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী শুক্রবার (২ মে) বনশ্রীতে পত্রিকাটির প্রধান কার্যালয়ে উদ্যাপিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন শাখার বন্ধুরা অংশ নেন।
৮ দিন আগে