সম্পাদকীয়
ভারতীয় সানাই বাদক বিসমিল্লাহ খান। তিনিই প্রথম ভারতের উচ্চাঙ্গসংগীতে সানাইকে যন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। তাঁর প্রকৃত নাম কামরুদ্দিন খান।
১৯১৬ সালের ২১ মার্চ তাঁর জন্ম বিহারের বক্সার জেলার ডুমরাও গ্রামে। তাঁর পূর্বপুরুষেরা বিহারের ডুমরাও রাজার রাজশিল্পী ছিলেন।
তিনি ১৯৩৭ সালে কলকাতায় সর্বভারতীয় সংগীত সম্মেলনে প্রথম সানাই বাজিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এরপর ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতা দিবসে সানাই বাজিয়েছিলেন বিশেষ রাগে, যা ভারতের ইতিহাসে অমর হয়ে আছে। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবসেও দিল্লির লালকেল্লায় সানাইয়ে রাগ ‘কাফি’ বাজিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন তিনি। শুধু ভারত নয়, পৃথিবীর অনেক দেশে তিনি সানাই বাজিয়ে দর্শককে মাতিয়েছেন।
পৃথিবীব্যাপী ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করা সত্ত্বেও অত্যন্ত সাধারণ জীবনযাপন করতেন তিনি। জীবনের পুরোটাই কাটিয়েছেন ভারতের বারাণসী। সাইকেল ও রিকশা ছিল তাঁর চলাচলের মূল বাহন। শিয়াপন্থী ধর্মপ্রাণ মুসলমান হয়েও তিনি কিন্তু উদার মনোভাব পোষণ করতেন সব ধর্মের প্রতি। তাই তো সরস্বতী ছিলেন তাঁর আরাধ্য দেবী।
তিন পুত্র আর পাঁচ কন্যা থাকার পরেও তিনি বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বী সোমা ঘোষকে দত্তক নেন এবং তাঁর সম্পত্তির উত্তরাধিকার করেন।
অন্তর্মুখী এই সংগীত গুরু বিশ্বাস করতেন যে সংগীত শোনার বিষয়, দেখার বা দেখানোর নয়।
তিনি অভিনয় করেছেন ‘সানাদি আপ্পন্না’ নামের কন্নড় চলচ্চিত্রে। সানাই বাজিয়েছেন ‘গুঞ্জ উঠি শেহনাই’ নামের হিন্দি ছবিতে। এ ছাড়া বাংলা চলচ্চিত্র ‘জলসাঘর’-এ সানাই বাজিয়েছেন, যার পরিচালক ছিলেন সত্যজিৎ রায়। তাঁকে নিয়ে গৌতম ঘোষ তথ্যচিত্র ‘সঙ্গ-ই-মিল সে মুলাকাত’ নির্মাণ করেছেন।
কাশীর বিশ্বনাথ মন্দিরের সন্ধ্যা আরতি কিংবা বেনারস এবং হরিদ্বারের গঙ্গা আরতিতেও বিসমিল্লাহর সানাইয়ের সুর না বাজলে আরতি পূর্ণতা পেত না। সেখানে যেন আরতির অগ্নিশুদ্ধি এবং তাঁর সানাইয়ের সুরে ধর্মান্ধতার অন্ধকার মুছে মানবতার বার্তা প্রতিভাত হতো।
ভারতীয় সানাই বাদক বিসমিল্লাহ খান। তিনিই প্রথম ভারতের উচ্চাঙ্গসংগীতে সানাইকে যন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। তাঁর প্রকৃত নাম কামরুদ্দিন খান।
১৯১৬ সালের ২১ মার্চ তাঁর জন্ম বিহারের বক্সার জেলার ডুমরাও গ্রামে। তাঁর পূর্বপুরুষেরা বিহারের ডুমরাও রাজার রাজশিল্পী ছিলেন।
তিনি ১৯৩৭ সালে কলকাতায় সর্বভারতীয় সংগীত সম্মেলনে প্রথম সানাই বাজিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এরপর ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতা দিবসে সানাই বাজিয়েছিলেন বিশেষ রাগে, যা ভারতের ইতিহাসে অমর হয়ে আছে। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবসেও দিল্লির লালকেল্লায় সানাইয়ে রাগ ‘কাফি’ বাজিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন তিনি। শুধু ভারত নয়, পৃথিবীর অনেক দেশে তিনি সানাই বাজিয়ে দর্শককে মাতিয়েছেন।
পৃথিবীব্যাপী ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করা সত্ত্বেও অত্যন্ত সাধারণ জীবনযাপন করতেন তিনি। জীবনের পুরোটাই কাটিয়েছেন ভারতের বারাণসী। সাইকেল ও রিকশা ছিল তাঁর চলাচলের মূল বাহন। শিয়াপন্থী ধর্মপ্রাণ মুসলমান হয়েও তিনি কিন্তু উদার মনোভাব পোষণ করতেন সব ধর্মের প্রতি। তাই তো সরস্বতী ছিলেন তাঁর আরাধ্য দেবী।
তিন পুত্র আর পাঁচ কন্যা থাকার পরেও তিনি বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বী সোমা ঘোষকে দত্তক নেন এবং তাঁর সম্পত্তির উত্তরাধিকার করেন।
অন্তর্মুখী এই সংগীত গুরু বিশ্বাস করতেন যে সংগীত শোনার বিষয়, দেখার বা দেখানোর নয়।
তিনি অভিনয় করেছেন ‘সানাদি আপ্পন্না’ নামের কন্নড় চলচ্চিত্রে। সানাই বাজিয়েছেন ‘গুঞ্জ উঠি শেহনাই’ নামের হিন্দি ছবিতে। এ ছাড়া বাংলা চলচ্চিত্র ‘জলসাঘর’-এ সানাই বাজিয়েছেন, যার পরিচালক ছিলেন সত্যজিৎ রায়। তাঁকে নিয়ে গৌতম ঘোষ তথ্যচিত্র ‘সঙ্গ-ই-মিল সে মুলাকাত’ নির্মাণ করেছেন।
কাশীর বিশ্বনাথ মন্দিরের সন্ধ্যা আরতি কিংবা বেনারস এবং হরিদ্বারের গঙ্গা আরতিতেও বিসমিল্লাহর সানাইয়ের সুর না বাজলে আরতি পূর্ণতা পেত না। সেখানে যেন আরতির অগ্নিশুদ্ধি এবং তাঁর সানাইয়ের সুরে ধর্মান্ধতার অন্ধকার মুছে মানবতার বার্তা প্রতিভাত হতো।
গত বছরের ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনীতির ময়দান বেশ টানটান। সংস্কার আর নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। নেই দম ফেলার দুদণ্ড ফুরসত। কোনো কোনো উপদেষ্টাকে ভোররাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দেশের সর্বকনিষ্ঠ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও।
২ দিন আগেযতীন স্যারকে নিয়ে কথা বলতে বসলে মনে হয়, কথাগুলো শুধু লেখা নয়—এ যেন হৃদয়ের ভেতরের কিছু টুকরো তুলে ধরা। দুপুরে হঠাৎ এক সুহৃদ ফোন করে বলল, ‘শুনেছ? যতীন স্যার নেই!’—মুহূর্তেই আমার বুক কেঁপে উঠল। মনে হলো, জীবনের এক অমূল্য আশ্রয় হঠাৎ হারিয়ে ফেলেছি।
৩ দিন আগেএকটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
৬ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানে অবস্থিত মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টকে বলা হয় দেশটির বৃহত্তম শিল্প জাদুঘর। আর বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম। সংক্ষেপে জাদুঘরটি ‘দ্য মেট’ নামেও পরিচিত। ১৫৫ বছর পুরোনো এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭০ সালে।
১০ দিন আগে