সম্পাদকীয়
১৯৫০ সালের ২৪ এপ্রিল রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের খাপড়া ওয়ার্ডে গুলি চলেছিল। শহীদ হয়েছিলেন সাতজন কমিউনিস্ট বিপ্লবী। পাকিস্তান হওয়ার পর কমিউনিস্টদের ওপর যে নির্যাতন চলছিল, তারই বড় এক প্রকাশ ছিল এই খাপড়া ওয়ার্ডের হত্যাকাণ্ড।
সেই ওয়ার্ডে উনচল্লিশজন বন্দীর মধ্যে একজন ছিলেন কমরেড আবদুশ শহীদ। সেদিন সকালে নাশতা খাওয়ার ফুরসত পাননি তাঁরা। জেল সুপার মি. বিল এসে বন্দীদের মুখপাত্র কমরেড আবদুল হককে বললেন, ‘তোমরা নয়জন ১৪ নম্বর সেলে যাবে কি না, বলো।’
কমরেড আবদুল হক বললেন, ‘ওটা কনডেমড সেল, এখন সেখানে যক্ষ্মা আর কুষ্ঠ রোগীরা আছে। সেখানে আমরা যাব কেন?’
মি. বিল বেরিয়ে গেলে পুলিশি হামলা শুরু হলো। প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলেন বন্দীরা। কোনো রকম হুঁশিয়ারি না দিয়েই গুলি চালাল পুলিশ।
আবদুশ শহীদ দেখলেন, খাপড়া ওয়ার্ডের জানালাগুলোয় বন্দুকের নল। কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে বুঝে তিনি উপুড় হয়ে বালিশের নিচে মাথা গুঁজলেন। আর তখনই শুরু হলো রাইফেলের গর্জন। খাপড়া ওয়ার্ডের ভিত যেন ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। গেটের দিকে তাকাতেই দেখলেন, রক্ত আর রক্ত। আবদুশ শহীদ যেখানে শুয়ে ছিলেন, সেখানে একটা দেয়াল ছিল। দেয়ালের আড়ালে ছিল মাথা, কিন্তু কনুই আর পা ছিল বাইরে। এ সময় একটা গুলি এসে আবদুশ শহীদের হাঁটু দুই ফাঁক করে দিল। পাশেই কমরেড হানিফকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখলেন। কমরেড নন্দ সান্যালের রক্তাক্ত দেহটাও লুটিয়ে পড়ল পাশে। খাপড়া ওয়ার্ডে তখন রক্তের স্রোত। এ সময় জ্ঞান হারালেন তিনি। খাপড়া ওয়ার্ডে তখন আহত বন্দীদের আর্তনাদ। কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফিরে পেলে তিনি দেখলেন, তাঁরা রক্তের সাগরে ভাসছেন। আক্রমণটা কতটা নৃশংস ছিল, সেটা বোঝা যাবে গুলির পরও লাঠিপেটা অব্যাহত রাখার কথা মনে রাখলে। তিনবার লাঠিপেটা করা হয়েছিল।
আজীবন বিপ্লবী কমরেড আবদুশ শহীদ ১৯৯৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর মারা যান।
সূত্র: আবদুশ শহীদ, কারাস্মৃতি
১৯৫০ সালের ২৪ এপ্রিল রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের খাপড়া ওয়ার্ডে গুলি চলেছিল। শহীদ হয়েছিলেন সাতজন কমিউনিস্ট বিপ্লবী। পাকিস্তান হওয়ার পর কমিউনিস্টদের ওপর যে নির্যাতন চলছিল, তারই বড় এক প্রকাশ ছিল এই খাপড়া ওয়ার্ডের হত্যাকাণ্ড।
সেই ওয়ার্ডে উনচল্লিশজন বন্দীর মধ্যে একজন ছিলেন কমরেড আবদুশ শহীদ। সেদিন সকালে নাশতা খাওয়ার ফুরসত পাননি তাঁরা। জেল সুপার মি. বিল এসে বন্দীদের মুখপাত্র কমরেড আবদুল হককে বললেন, ‘তোমরা নয়জন ১৪ নম্বর সেলে যাবে কি না, বলো।’
কমরেড আবদুল হক বললেন, ‘ওটা কনডেমড সেল, এখন সেখানে যক্ষ্মা আর কুষ্ঠ রোগীরা আছে। সেখানে আমরা যাব কেন?’
মি. বিল বেরিয়ে গেলে পুলিশি হামলা শুরু হলো। প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলেন বন্দীরা। কোনো রকম হুঁশিয়ারি না দিয়েই গুলি চালাল পুলিশ।
আবদুশ শহীদ দেখলেন, খাপড়া ওয়ার্ডের জানালাগুলোয় বন্দুকের নল। কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে বুঝে তিনি উপুড় হয়ে বালিশের নিচে মাথা গুঁজলেন। আর তখনই শুরু হলো রাইফেলের গর্জন। খাপড়া ওয়ার্ডের ভিত যেন ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। গেটের দিকে তাকাতেই দেখলেন, রক্ত আর রক্ত। আবদুশ শহীদ যেখানে শুয়ে ছিলেন, সেখানে একটা দেয়াল ছিল। দেয়ালের আড়ালে ছিল মাথা, কিন্তু কনুই আর পা ছিল বাইরে। এ সময় একটা গুলি এসে আবদুশ শহীদের হাঁটু দুই ফাঁক করে দিল। পাশেই কমরেড হানিফকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখলেন। কমরেড নন্দ সান্যালের রক্তাক্ত দেহটাও লুটিয়ে পড়ল পাশে। খাপড়া ওয়ার্ডে তখন রক্তের স্রোত। এ সময় জ্ঞান হারালেন তিনি। খাপড়া ওয়ার্ডে তখন আহত বন্দীদের আর্তনাদ। কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফিরে পেলে তিনি দেখলেন, তাঁরা রক্তের সাগরে ভাসছেন। আক্রমণটা কতটা নৃশংস ছিল, সেটা বোঝা যাবে গুলির পরও লাঠিপেটা অব্যাহত রাখার কথা মনে রাখলে। তিনবার লাঠিপেটা করা হয়েছিল।
আজীবন বিপ্লবী কমরেড আবদুশ শহীদ ১৯৯৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর মারা যান।
সূত্র: আবদুশ শহীদ, কারাস্মৃতি
১৬৫৫ সালে গৌড়ীয় রীতিতে রাজবাড়ির বালিয়াকান্দী উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের নলিয়া গ্রামে জোড় বাংলা মন্দির ও বিগ্রহ নির্মাণ করেন রাজা সীতারাম রায়। দুটো মন্দির পাশাপাশি নির্মাণ করা হয় বলে এর এমন নাম। স্থানীয়দের মতে, রাজা সীতারাম বেলগাছিতে সোনায় গড়া মূর্তি দিয়ে দুর্গাপূজা করতে...
২ দিন আগে১৫৪০ খ্রিষ্টাব্দে ইগ্নেসিয়াস লয়োলা নামে এক স্প্যানিশ ব্যক্তি জেসুইটা বা যিশুর সম্প্রদায় গঠন করেন। এই সম্প্রদায়ের খ্রিষ্টানরা খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে পৃথিবীর নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েন। পিয়েরে ডু জারিক নামের এক ফরাসি ঐতিহাসিকের মতে, ১৫৯৯ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে ফনসেকা নামের একজন খ্রিষ্টান...
৬ দিন আগেদুর্ঘটনা ও জ্যাম এড়াতে শহরের রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক বাতি স্থাপন করা হয়। লাল বাতি জ্বলার সময় গাড়িগুলো থামে। হলুদ বাতি দেখলে অপেক্ষা করে। আর সবুজ বাতি জ্বললেই গাড়ি অবাধে এগিয়ে চলে। এই সিগন্যাল সারা বিশ্বেই স্বীকৃত।
১৩ দিন আগেপঞ্চদশ শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন সুফিসাধক হজরত বদরউদ্দিন শাহ্ মাদার। তিনি ফরিদপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বরিশাল যাওয়ার পথে জল-জঙ্গলপূর্ণ একটি স্থানে এসে উপস্থিত হন। এরপর পদ্মার শাখা আড়িয়াল খাঁ নদের দক্ষিণ তীরে নিজের আস্তানা গড়ে তোলেন।
২৩ দিন আগে