সম্পাদকীয়
অত্যাধুনিক চোখে পড়ার মতো একটি ভবন তৈরি হলো ঢাকার শাহবাগে। সেটা পাকিস্তান আমল। ভবনটি তৈরি হয়েছিল স্থপতি মাযহারুল ইসলামের নকশায়। এটাই চারুকলা। সে সময় চারুকলায় মেয়েদের পড়াশোনা করাকে কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজ কী চোখে দেখবে, তা নিয়েও ছিল প্রশ্ন। তবে চারুকলার প্রথম বর্ষেই পাঁচজন ছাত্রী ভর্তি হয়েছিলেন। দ্বিতীয় বর্ষে ভর্তি হয়েছিলেন তিনজন। পরের বছর আরও তিনজন।
ভর্তি হলেও মেয়েরা আলাদাভাবে ক্লাস করত। একদিন ছিল মোহাম্মদ কিবরিয়ার ক্লাস। বড়সড় একটা স্টুডিও হল ব্ল্যাকবোর্ড দিয়ে দুভাগ করে রাখা। ছেলেরা ঘরের একপাশে আঁকবে, মেয়েরা আরেক পাশে। আঁকবে ‘স্থির জীবন’ বা ‘স্টিল লাইফ’। মেয়েদের জন্য একটি এবং ছেলেদের জন্য আরেকটি বিষয় ঠিক করে দিয়েছেন মোহাম্মদ কিবরিয়া। পরদিন হবে ক্লাস।
পরদিন তিনি ক্লাসে ঢুকেই অবাক হলেন। ব্ল্যাকবোর্ডের পার্টিশন উধাও হয়েছে। মেয়ে তিনজন ছেলেদের মাঝে বসে ছবি আঁকছেন।
মোহাম্মদ কিবরিয়া ছিলেন শিক্ষার্থীবান্ধব। কিন্তু এ রকম বিদ্রোহ দেখে তিনিও দমে গেলেন। কী করবেন বুঝতে না পেরে দ্রুত চলে গেলেন। কিছুক্ষণ পর অধ্যক্ষ জয়নুল আবেদিন, জ্যেষ্ঠ শিক্ষক আনোয়ারুল হক, শফিকুল আমিন এবং সবার পেছনে বিষণ্ন মোহাম্মদ কিবরিয়া ঢুকলেন। শিক্ষার্থীরা ভালো বকা খেলো এবং বলা হলো, এই নিয়ম ভঙ্গের জন্য সবাইকে শাস্তি পেতে হবে। মেয়ে তিনজন বলল, ‘আমরাই ছেলেদের বলেছি এই পরিবর্তন আনতে। শাস্তি হলে আমাদের দেবেন। ওরা আমাদের ভাই, আমরা ওদের বোন, আমরা মিলেমিশে কাজ করব।’
নানা কিছুর পর একসঙ্গে ক্লাস করার ব্যাপারটি পাস হলো। কিন্তু শাস্তি ঠিকই পেতে হলো। এই আজব শাস্তি দিয়েছিলেন অধ্যক্ষ জয়নুল আবেদিন। সপ্তাহের শুরুর সোমবার দুপুরে স্কেচ জমা দেওয়া ছিল রীতি। অনেকেই সে রীতি মানতেন না। জয়নুল আবেদিন সোমবার তিনটে করে স্কেচ দেওয়া বাধ্যতামূলক করলেন এবং জানালেন সেগুলো তিনি নিজেই দেখবেন।
সূত্র: হাশেম খান, শিল্পীর স্কেচ খাতা, পৃষ্ঠা: ৪১-৪৯
অত্যাধুনিক চোখে পড়ার মতো একটি ভবন তৈরি হলো ঢাকার শাহবাগে। সেটা পাকিস্তান আমল। ভবনটি তৈরি হয়েছিল স্থপতি মাযহারুল ইসলামের নকশায়। এটাই চারুকলা। সে সময় চারুকলায় মেয়েদের পড়াশোনা করাকে কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজ কী চোখে দেখবে, তা নিয়েও ছিল প্রশ্ন। তবে চারুকলার প্রথম বর্ষেই পাঁচজন ছাত্রী ভর্তি হয়েছিলেন। দ্বিতীয় বর্ষে ভর্তি হয়েছিলেন তিনজন। পরের বছর আরও তিনজন।
ভর্তি হলেও মেয়েরা আলাদাভাবে ক্লাস করত। একদিন ছিল মোহাম্মদ কিবরিয়ার ক্লাস। বড়সড় একটা স্টুডিও হল ব্ল্যাকবোর্ড দিয়ে দুভাগ করে রাখা। ছেলেরা ঘরের একপাশে আঁকবে, মেয়েরা আরেক পাশে। আঁকবে ‘স্থির জীবন’ বা ‘স্টিল লাইফ’। মেয়েদের জন্য একটি এবং ছেলেদের জন্য আরেকটি বিষয় ঠিক করে দিয়েছেন মোহাম্মদ কিবরিয়া। পরদিন হবে ক্লাস।
পরদিন তিনি ক্লাসে ঢুকেই অবাক হলেন। ব্ল্যাকবোর্ডের পার্টিশন উধাও হয়েছে। মেয়ে তিনজন ছেলেদের মাঝে বসে ছবি আঁকছেন।
মোহাম্মদ কিবরিয়া ছিলেন শিক্ষার্থীবান্ধব। কিন্তু এ রকম বিদ্রোহ দেখে তিনিও দমে গেলেন। কী করবেন বুঝতে না পেরে দ্রুত চলে গেলেন। কিছুক্ষণ পর অধ্যক্ষ জয়নুল আবেদিন, জ্যেষ্ঠ শিক্ষক আনোয়ারুল হক, শফিকুল আমিন এবং সবার পেছনে বিষণ্ন মোহাম্মদ কিবরিয়া ঢুকলেন। শিক্ষার্থীরা ভালো বকা খেলো এবং বলা হলো, এই নিয়ম ভঙ্গের জন্য সবাইকে শাস্তি পেতে হবে। মেয়ে তিনজন বলল, ‘আমরাই ছেলেদের বলেছি এই পরিবর্তন আনতে। শাস্তি হলে আমাদের দেবেন। ওরা আমাদের ভাই, আমরা ওদের বোন, আমরা মিলেমিশে কাজ করব।’
নানা কিছুর পর একসঙ্গে ক্লাস করার ব্যাপারটি পাস হলো। কিন্তু শাস্তি ঠিকই পেতে হলো। এই আজব শাস্তি দিয়েছিলেন অধ্যক্ষ জয়নুল আবেদিন। সপ্তাহের শুরুর সোমবার দুপুরে স্কেচ জমা দেওয়া ছিল রীতি। অনেকেই সে রীতি মানতেন না। জয়নুল আবেদিন সোমবার তিনটে করে স্কেচ দেওয়া বাধ্যতামূলক করলেন এবং জানালেন সেগুলো তিনি নিজেই দেখবেন।
সূত্র: হাশেম খান, শিল্পীর স্কেচ খাতা, পৃষ্ঠা: ৪১-৪৯
১৬৫৫ সালে গৌড়ীয় রীতিতে রাজবাড়ির বালিয়াকান্দী উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের নলিয়া গ্রামে জোড় বাংলা মন্দির ও বিগ্রহ নির্মাণ করেন রাজা সীতারাম রায়। দুটো মন্দির পাশাপাশি নির্মাণ করা হয় বলে এর এমন নাম। স্থানীয়দের মতে, রাজা সীতারাম বেলগাছিতে সোনায় গড়া মূর্তি দিয়ে দুর্গাপূজা করতে...
২ দিন আগে১৫৪০ খ্রিষ্টাব্দে ইগ্নেসিয়াস লয়োলা নামে এক স্প্যানিশ ব্যক্তি জেসুইটা বা যিশুর সম্প্রদায় গঠন করেন। এই সম্প্রদায়ের খ্রিষ্টানরা খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে পৃথিবীর নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েন। পিয়েরে ডু জারিক নামের এক ফরাসি ঐতিহাসিকের মতে, ১৫৯৯ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে ফনসেকা নামের একজন খ্রিষ্টান...
৬ দিন আগেদুর্ঘটনা ও জ্যাম এড়াতে শহরের রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক বাতি স্থাপন করা হয়। লাল বাতি জ্বলার সময় গাড়িগুলো থামে। হলুদ বাতি দেখলে অপেক্ষা করে। আর সবুজ বাতি জ্বললেই গাড়ি অবাধে এগিয়ে চলে। এই সিগন্যাল সারা বিশ্বেই স্বীকৃত।
১৩ দিন আগেপঞ্চদশ শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন সুফিসাধক হজরত বদরউদ্দিন শাহ্ মাদার। তিনি ফরিদপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বরিশাল যাওয়ার পথে জল-জঙ্গলপূর্ণ একটি স্থানে এসে উপস্থিত হন। এরপর পদ্মার শাখা আড়িয়াল খাঁ নদের দক্ষিণ তীরে নিজের আস্তানা গড়ে তোলেন।
২৩ দিন আগে