সম্পাদকীয়
অরুণ মিত্র ছিলেন প্রথিতযশা কবি, প্রাবন্ধিক, ফরাসি ভাষা ও সাহিত্যের খ্যাতনামা অধ্যাপক ও অনুবাদক।
১৯০৯ সালের ২ নভেম্বর যশোর শহরে অরুণ মিত্রের জন্ম। অল্প বয়সেই তিনি কলকাতায় চলে যান। ১৯২৬ সালে কলকাতার বঙ্গবাসী স্কুল থেকে প্রবেশিকা, ১৯২৮ সালে বঙ্গবাসী কলেজ থেকে আইসিএস এবং ১৯৩০ সালে রিপন কলেজ থেকে ডিস্টিংশনসহ বিএ পাস করেন।
মাত্র ১৬ বছর বয়সে তাঁর প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয় ‘বেণু’ পত্রিকায়। ১৯৪৩-এ প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘প্রান্তরেখা’য় ‘লাল ইস্তেহার’ বা ‘কসাকের ডাক’ কবিতায় ছাপ পড়ে তাঁর সাম্যবাদী চিন্তার। স্বাধীনতা-পূর্ব সময়ের প্রেক্ষাপটে সাধারণ মানুষের অস্তিত্বের সংগ্রামকেই তিনি তাঁর কবিতার উপজীব্য করেছিলেন।
১৯৩১ সালে অরুণ চাকরি নেন আনন্দবাজার পত্রিকায়। ভারতের রাজনীতিতেও তখন ধারাবাহিক পরিবর্তন আসছে। বাংলা সাহিত্য ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হচ্ছে বামপন্থী মতাদর্শ দ্বারা। অরুণ মিত্রও জড়িয়ে পড়েছিলেন বাম রাজনীতির সঙ্গে। ১৯৪২ সালে আনন্দবাজারের চাকরি ছেড়ে যোগ দেন ‘অরণী’ পত্রিকায়।
১৯৪৮ সালে ফরাসি সরকার প্রদত্ত বৃত্তি নিয়ে গবেষণা করতে ফ্রান্সে যান। প্যারিসের সরবন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫২ সালে দেশে ফিরে এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফরাসি ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক পদে যোগ দেন। ১৯৭২ সালে কর্মজীবন থেকে অবসর গ্রহণ করে ফিরে আসেন কলকাতায়।
অরুণ মিত্র কবি হিসেবে জনপ্রিয়তা পেলেও প্রাবন্ধিক হিসেবে ততটা পাননি। তবে তাঁর প্রবন্ধেও সাম্যবাদী ভাবনা, চিন্তা ও চেতনার সুস্পষ্ট ছাপ আছে। তাঁর প্রবন্ধ গ্রন্থগুলো হলো: ফরাসি সাহিত্য প্রসঙ্গে, সৃজন সাহিত্য ও অন্যান্য ভাবনা ইত্যাদি। তাঁর অন্যতম কাব্যগ্রন্থগুলো হলো: প্রান্তরেখা, উৎসের দিকে, ঘনিষ্ঠ তাপ, মঞ্চের বাইরে, প্রথম পলি শেষ পাথর ইত্যাদি।
ফরাসি সাহিত্য নিয়ে নিরন্তর গবেষণার জন্য ১৯৯২ সালে ফরাসি সরকার তাঁকে ‘লিজিয়ন অব অনার’ সম্মানে ভূষিত করে। ‘শুধু রাতের শব্দ নয়’ কাব্যগ্রন্থটির জন্য তাঁকে সম্মানিত করা হয় রবীন্দ্র পুরস্কার (১৯৭৯) ও সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কারের (১৯৮৭) মাধ্যমে।
২০০০ সালের ২২ আগস্ট তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
অরুণ মিত্র ছিলেন প্রথিতযশা কবি, প্রাবন্ধিক, ফরাসি ভাষা ও সাহিত্যের খ্যাতনামা অধ্যাপক ও অনুবাদক।
১৯০৯ সালের ২ নভেম্বর যশোর শহরে অরুণ মিত্রের জন্ম। অল্প বয়সেই তিনি কলকাতায় চলে যান। ১৯২৬ সালে কলকাতার বঙ্গবাসী স্কুল থেকে প্রবেশিকা, ১৯২৮ সালে বঙ্গবাসী কলেজ থেকে আইসিএস এবং ১৯৩০ সালে রিপন কলেজ থেকে ডিস্টিংশনসহ বিএ পাস করেন।
মাত্র ১৬ বছর বয়সে তাঁর প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয় ‘বেণু’ পত্রিকায়। ১৯৪৩-এ প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘প্রান্তরেখা’য় ‘লাল ইস্তেহার’ বা ‘কসাকের ডাক’ কবিতায় ছাপ পড়ে তাঁর সাম্যবাদী চিন্তার। স্বাধীনতা-পূর্ব সময়ের প্রেক্ষাপটে সাধারণ মানুষের অস্তিত্বের সংগ্রামকেই তিনি তাঁর কবিতার উপজীব্য করেছিলেন।
১৯৩১ সালে অরুণ চাকরি নেন আনন্দবাজার পত্রিকায়। ভারতের রাজনীতিতেও তখন ধারাবাহিক পরিবর্তন আসছে। বাংলা সাহিত্য ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হচ্ছে বামপন্থী মতাদর্শ দ্বারা। অরুণ মিত্রও জড়িয়ে পড়েছিলেন বাম রাজনীতির সঙ্গে। ১৯৪২ সালে আনন্দবাজারের চাকরি ছেড়ে যোগ দেন ‘অরণী’ পত্রিকায়।
১৯৪৮ সালে ফরাসি সরকার প্রদত্ত বৃত্তি নিয়ে গবেষণা করতে ফ্রান্সে যান। প্যারিসের সরবন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫২ সালে দেশে ফিরে এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফরাসি ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক পদে যোগ দেন। ১৯৭২ সালে কর্মজীবন থেকে অবসর গ্রহণ করে ফিরে আসেন কলকাতায়।
অরুণ মিত্র কবি হিসেবে জনপ্রিয়তা পেলেও প্রাবন্ধিক হিসেবে ততটা পাননি। তবে তাঁর প্রবন্ধেও সাম্যবাদী ভাবনা, চিন্তা ও চেতনার সুস্পষ্ট ছাপ আছে। তাঁর প্রবন্ধ গ্রন্থগুলো হলো: ফরাসি সাহিত্য প্রসঙ্গে, সৃজন সাহিত্য ও অন্যান্য ভাবনা ইত্যাদি। তাঁর অন্যতম কাব্যগ্রন্থগুলো হলো: প্রান্তরেখা, উৎসের দিকে, ঘনিষ্ঠ তাপ, মঞ্চের বাইরে, প্রথম পলি শেষ পাথর ইত্যাদি।
ফরাসি সাহিত্য নিয়ে নিরন্তর গবেষণার জন্য ১৯৯২ সালে ফরাসি সরকার তাঁকে ‘লিজিয়ন অব অনার’ সম্মানে ভূষিত করে। ‘শুধু রাতের শব্দ নয়’ কাব্যগ্রন্থটির জন্য তাঁকে সম্মানিত করা হয় রবীন্দ্র পুরস্কার (১৯৭৯) ও সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কারের (১৯৮৭) মাধ্যমে।
২০০০ সালের ২২ আগস্ট তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
১৫৪০ খ্রিষ্টাব্দে ইগ্নেসিয়াস লয়োলা নামে এক স্প্যানিশ ব্যক্তি জেসুইটা বা যিশুর সম্প্রদায় গঠন করেন। এই সম্প্রদায়ের খ্রিষ্টানরা খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে পৃথিবীর নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েন। পিয়েরে ডু জারিক নামের এক ফরাসি ঐতিহাসিকের মতে, ১৫৯৯ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে ফনসেকা নামের একজন খ্রিষ্টান...
২ দিন আগেদুর্ঘটনা ও জ্যাম এড়াতে শহরের রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক বাতি স্থাপন করা হয়। লাল বাতি জ্বলার সময় গাড়িগুলো থামে। হলুদ বাতি দেখলে অপেক্ষা করে। আর সবুজ বাতি জ্বললেই গাড়ি অবাধে এগিয়ে চলে। এই সিগন্যাল সারা বিশ্বেই স্বীকৃত।
৮ দিন আগেপঞ্চদশ শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন সুফিসাধক হজরত বদরউদ্দিন শাহ্ মাদার। তিনি ফরিদপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বরিশাল যাওয়ার পথে জল-জঙ্গলপূর্ণ একটি স্থানে এসে উপস্থিত হন। এরপর পদ্মার শাখা আড়িয়াল খাঁ নদের দক্ষিণ তীরে নিজের আস্তানা গড়ে তোলেন।
১৯ দিন আগেলালমনিরহাটের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস মৌজায় মজদের আড়া নামে একটি পতিত জঙ্গল ছিল। স্থানীয় ভাষায় ‘আড়া’ মানে জঙ্গলময় স্থান। ১৯৮৫ সালে স্থানীয়রা আড়াটি পরিষ্কার করে চাষাবাদের উদ্যোগ নেয়। ওই সময় মাটি খুঁড়ে সমতল করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে ফুলেল নকশার প্রচুর প্রাচীন ইট।
২৩ দিন আগে