সম্পাদকীয়
কখনো কখনো মহড়া করার সময় খুবই মেজাজ খারাপ হয়ে যেত শম্ভু মিত্রের। সে সময় যে সামনে পড়ত, সে-ই তাঁর বকুনি খেত। মেয়ে শাঁওলী মিত্র তখন পর্যন্ত বাবার বকুনি খাননি। মজার ব্যাপার, মা তৃপ্তি মিত্রের সঙ্গে এই বকাবকির ব্যাপারে কথা বলার সময় তৃপ্তি মিত্র শাঁওলীকে বললেন, ‘তুই এখনো খাসনি, না?’
‘না, এখনো না।’
‘খাবি, শিগগির!’ এবং সেই দিনই অকারণে মেয়েকে বেশ খানিকটা বকুনি দিলেন শম্ভু মিত্র। সেই থেকে বাবার বকুনি নিয়ে ভয়েই থাকতেন শাঁওলী। একবার ‘রাজা’ নাটকে অভিনয় করতে গিয়ে এক কেলেঙ্কারি করে বসলেন শাঁওলী মিত্র। একেবারে শেষ দৃশ্যে নাচের সময় তাঁর পরনে ছিল ঘাগরা-কামিজ-ওড়না। মঞ্চের এক পাশ দিয়ে ঢুকে নাচতে নাচতে আরেক পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার কথা তাঁর।
সেটাই করলেন শাঁওলী। কিন্তু কিছু একটা অঘটন যে ঘটিয়েছেন, সেটা বুঝলেন সাজঘরে মেকআপ তোলার সময়। মাসতুতো বোন পিংকু এসে বলল, ‘এই দিদি, তুই চশমা পরে ঢুকেছিলি?’ শাঁওলী মিত্র প্রথমে বিশ্বাস করেননি।
পরে দেখলেন, এখনো চশমা পরেই আছেন। তার মানে মঞ্চে উঠেছিলেন চশমা পরেই! শম্ভু মিত্রের কানে যখন এ কথা যাবে, তখন কোনো দিক বিবেচনা না করেই অবধারিতভাবে একটা থাপ্পড় পাওনা হবে শাঁওলীর। ব্যাপারটাকে একটু হালকা করার জন্য খাবার টেবিলে তৃপ্তি মিত্র বললেন, ‘তোমার মেয়ে এক কাণ্ড করেছে আজ।’ ‘কী?’ ঘটনাটা বললেন তৃপ্তি মিত্র। শাঁওলী মিত্র থাপ্পড় খাওয়ার জন্য তৈরি হলেন। আর শম্ভু মিত্র ফ্যাক ফ্যাক করে হেসে দিয়ে বললেন, ‘তুই চশমা পরে ঢুকেছিলি? আমিও একবার ঢুকেছিলাম। “আওরঙ্গজেব” করছি–দাড়িটাড়ি পরে, ঢুকেই মনে হলো, আরে, সব দেখতে পাচ্ছি।
কী করে!’
ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ল শাঁওলী মিত্রের।
সূত্র: শাঁওলী মিত্র, তর্পণ, পৃষ্ঠা ৩০-৩২
কখনো কখনো মহড়া করার সময় খুবই মেজাজ খারাপ হয়ে যেত শম্ভু মিত্রের। সে সময় যে সামনে পড়ত, সে-ই তাঁর বকুনি খেত। মেয়ে শাঁওলী মিত্র তখন পর্যন্ত বাবার বকুনি খাননি। মজার ব্যাপার, মা তৃপ্তি মিত্রের সঙ্গে এই বকাবকির ব্যাপারে কথা বলার সময় তৃপ্তি মিত্র শাঁওলীকে বললেন, ‘তুই এখনো খাসনি, না?’
‘না, এখনো না।’
‘খাবি, শিগগির!’ এবং সেই দিনই অকারণে মেয়েকে বেশ খানিকটা বকুনি দিলেন শম্ভু মিত্র। সেই থেকে বাবার বকুনি নিয়ে ভয়েই থাকতেন শাঁওলী। একবার ‘রাজা’ নাটকে অভিনয় করতে গিয়ে এক কেলেঙ্কারি করে বসলেন শাঁওলী মিত্র। একেবারে শেষ দৃশ্যে নাচের সময় তাঁর পরনে ছিল ঘাগরা-কামিজ-ওড়না। মঞ্চের এক পাশ দিয়ে ঢুকে নাচতে নাচতে আরেক পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার কথা তাঁর।
সেটাই করলেন শাঁওলী। কিন্তু কিছু একটা অঘটন যে ঘটিয়েছেন, সেটা বুঝলেন সাজঘরে মেকআপ তোলার সময়। মাসতুতো বোন পিংকু এসে বলল, ‘এই দিদি, তুই চশমা পরে ঢুকেছিলি?’ শাঁওলী মিত্র প্রথমে বিশ্বাস করেননি।
পরে দেখলেন, এখনো চশমা পরেই আছেন। তার মানে মঞ্চে উঠেছিলেন চশমা পরেই! শম্ভু মিত্রের কানে যখন এ কথা যাবে, তখন কোনো দিক বিবেচনা না করেই অবধারিতভাবে একটা থাপ্পড় পাওনা হবে শাঁওলীর। ব্যাপারটাকে একটু হালকা করার জন্য খাবার টেবিলে তৃপ্তি মিত্র বললেন, ‘তোমার মেয়ে এক কাণ্ড করেছে আজ।’ ‘কী?’ ঘটনাটা বললেন তৃপ্তি মিত্র। শাঁওলী মিত্র থাপ্পড় খাওয়ার জন্য তৈরি হলেন। আর শম্ভু মিত্র ফ্যাক ফ্যাক করে হেসে দিয়ে বললেন, ‘তুই চশমা পরে ঢুকেছিলি? আমিও একবার ঢুকেছিলাম। “আওরঙ্গজেব” করছি–দাড়িটাড়ি পরে, ঢুকেই মনে হলো, আরে, সব দেখতে পাচ্ছি।
কী করে!’
ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ল শাঁওলী মিত্রের।
সূত্র: শাঁওলী মিত্র, তর্পণ, পৃষ্ঠা ৩০-৩২
১৬৫৫ সালে গৌড়ীয় রীতিতে রাজবাড়ির বালিয়াকান্দী উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের নলিয়া গ্রামে জোড় বাংলা মন্দির ও বিগ্রহ নির্মাণ করেন রাজা সীতারাম রায়। দুটো মন্দির পাশাপাশি নির্মাণ করা হয় বলে এর এমন নাম। স্থানীয়দের মতে, রাজা সীতারাম বেলগাছিতে সোনায় গড়া মূর্তি দিয়ে দুর্গাপূজা করতে...
২ দিন আগে১৫৪০ খ্রিষ্টাব্দে ইগ্নেসিয়াস লয়োলা নামে এক স্প্যানিশ ব্যক্তি জেসুইটা বা যিশুর সম্প্রদায় গঠন করেন। এই সম্প্রদায়ের খ্রিষ্টানরা খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে পৃথিবীর নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েন। পিয়েরে ডু জারিক নামের এক ফরাসি ঐতিহাসিকের মতে, ১৫৯৯ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে ফনসেকা নামের একজন খ্রিষ্টান...
৬ দিন আগেদুর্ঘটনা ও জ্যাম এড়াতে শহরের রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক বাতি স্থাপন করা হয়। লাল বাতি জ্বলার সময় গাড়িগুলো থামে। হলুদ বাতি দেখলে অপেক্ষা করে। আর সবুজ বাতি জ্বললেই গাড়ি অবাধে এগিয়ে চলে। এই সিগন্যাল সারা বিশ্বেই স্বীকৃত।
১৩ দিন আগেপঞ্চদশ শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন সুফিসাধক হজরত বদরউদ্দিন শাহ্ মাদার। তিনি ফরিদপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বরিশাল যাওয়ার পথে জল-জঙ্গলপূর্ণ একটি স্থানে এসে উপস্থিত হন। এরপর পদ্মার শাখা আড়িয়াল খাঁ নদের দক্ষিণ তীরে নিজের আস্তানা গড়ে তোলেন।
২৩ দিন আগে