সম্পাদকীয়
আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া একজন প্রত্নতত্ত্ববিদ, ইতিহাসবিদ, পুঁথিসাহিত্য-বিশারদ ও অনুবাদক। তিনি একজন ক্রীড়া-সংগঠকও ছিলেন। বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে ৬০ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে তাঁর গবেষণা পরিচালনা করেছেন। তাঁকে ‘প্রত্নতত্ত্বের গুরু’ও বলা হয়ে থাকে।
আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়ার জন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের দরিকান্দি গ্রামে। ম্যাট্রিক পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে মহসিন বৃত্তিলাভ করেন। ১৯৪১ সালে তিনি ঢাকা কলেজ থেকে আইএ পাস করেন মেধাতালিকায় দশম স্থান পেয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগ থেকে অনার্স এবং এমএ পাস করেন। বগুড়া আজিজুল হক কলেজে ইংরেজি বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। এরপর অবিভক্ত বাংলার শেষ বেঙ্গল সিভিল সার্ভিস প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ডেপুটি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে ১৯৪৮ সালে চাকরি শুরু করেন এবং সংস্কৃতি ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব পদ থেকে ১৯৭৬ সালে অবসর নেন।
প্রশাসনিক কাজের বাইরে তিনি তাঁর পুরো জীবন উৎসর্গ করেন দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা প্রত্নসম্পদ অন্বেষণে। উয়ারী-বটেশ্বর প্রত্নস্থানটির বিষয়ে স্থানীয় গবেষক হানীফ পাঠানকে সহযোগিতা করা এবং দেশের ইতিহাসবিদদের কাছে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার প্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করেন তিনি। সীতাকোট বৌদ্ধবিহারসহ অসংখ্য প্রত্নস্থান তিনি আবিষ্কার এবং খননের ব্যবস্থা করেছেন।
একাধিক দুষ্প্রাপ্য পুঁথি সংগ্রহ ও সম্পাদনা করেছেন তিনি। তাঁর সম্পাদনার উল্লেখযোগ্য কাজ হলো—গুপিচন্দ্রের সন্ন্যাস, সত্যপীরের পুঁথি, গাজী কালু চম্পাবতী গ্রন্থগুলো।
তিনি বাংলা, ইংরেজির বাইরে জানতেন ফারসি, ফরাসি, উর্দু ও আরবি ভাষা। মধ্যযুগের বাংলার ইতিহাসের আকর গ্রন্থ তবকাত-ই-নাসিরি, তারিখ-ই-বাঙালা-ই-মহাবত জঙ্গী, মোজাফফরনামা, নওবাহার-ই-মুরশিদ কুলি খান অনুবাদ করেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য বইগুলো হলো—‘বাঙলাদেশের প্রত্নসম্পদ’, ‘বাংলাদেশের প্রাচীন কীর্তি’ (দুই খণ্ড), ‘নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা’, ‘বরেন্দ্র অঞ্চলের ইতিহাস’, ‘কুমিল্লা জেলার ইতিহাস’, ‘প্রশ্নোত্তরে বাংলাদেশের প্রাচীন কীর্তি’ (দুই খণ্ড), ‘বৃহত্তর ঢাকা জেলার প্রাচীন কীর্তি’, ‘দিনাজপুর মিউজিয়াম’ ইত্যাদি।
প্রত্নতাত্ত্বিক এই গবেষক ২০১৬ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া একজন প্রত্নতত্ত্ববিদ, ইতিহাসবিদ, পুঁথিসাহিত্য-বিশারদ ও অনুবাদক। তিনি একজন ক্রীড়া-সংগঠকও ছিলেন। বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে ৬০ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে তাঁর গবেষণা পরিচালনা করেছেন। তাঁকে ‘প্রত্নতত্ত্বের গুরু’ও বলা হয়ে থাকে।
আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়ার জন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের দরিকান্দি গ্রামে। ম্যাট্রিক পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে মহসিন বৃত্তিলাভ করেন। ১৯৪১ সালে তিনি ঢাকা কলেজ থেকে আইএ পাস করেন মেধাতালিকায় দশম স্থান পেয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগ থেকে অনার্স এবং এমএ পাস করেন। বগুড়া আজিজুল হক কলেজে ইংরেজি বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। এরপর অবিভক্ত বাংলার শেষ বেঙ্গল সিভিল সার্ভিস প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ডেপুটি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে ১৯৪৮ সালে চাকরি শুরু করেন এবং সংস্কৃতি ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব পদ থেকে ১৯৭৬ সালে অবসর নেন।
প্রশাসনিক কাজের বাইরে তিনি তাঁর পুরো জীবন উৎসর্গ করেন দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা প্রত্নসম্পদ অন্বেষণে। উয়ারী-বটেশ্বর প্রত্নস্থানটির বিষয়ে স্থানীয় গবেষক হানীফ পাঠানকে সহযোগিতা করা এবং দেশের ইতিহাসবিদদের কাছে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার প্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করেন তিনি। সীতাকোট বৌদ্ধবিহারসহ অসংখ্য প্রত্নস্থান তিনি আবিষ্কার এবং খননের ব্যবস্থা করেছেন।
একাধিক দুষ্প্রাপ্য পুঁথি সংগ্রহ ও সম্পাদনা করেছেন তিনি। তাঁর সম্পাদনার উল্লেখযোগ্য কাজ হলো—গুপিচন্দ্রের সন্ন্যাস, সত্যপীরের পুঁথি, গাজী কালু চম্পাবতী গ্রন্থগুলো।
তিনি বাংলা, ইংরেজির বাইরে জানতেন ফারসি, ফরাসি, উর্দু ও আরবি ভাষা। মধ্যযুগের বাংলার ইতিহাসের আকর গ্রন্থ তবকাত-ই-নাসিরি, তারিখ-ই-বাঙালা-ই-মহাবত জঙ্গী, মোজাফফরনামা, নওবাহার-ই-মুরশিদ কুলি খান অনুবাদ করেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য বইগুলো হলো—‘বাঙলাদেশের প্রত্নসম্পদ’, ‘বাংলাদেশের প্রাচীন কীর্তি’ (দুই খণ্ড), ‘নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা’, ‘বরেন্দ্র অঞ্চলের ইতিহাস’, ‘কুমিল্লা জেলার ইতিহাস’, ‘প্রশ্নোত্তরে বাংলাদেশের প্রাচীন কীর্তি’ (দুই খণ্ড), ‘বৃহত্তর ঢাকা জেলার প্রাচীন কীর্তি’, ‘দিনাজপুর মিউজিয়াম’ ইত্যাদি।
প্রত্নতাত্ত্বিক এই গবেষক ২০১৬ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
একটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
১৮ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানে অবস্থিত মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টকে বলা হয় দেশটির বৃহত্তম শিল্প জাদুঘর। আর বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম। সংক্ষেপে জাদুঘরটি ‘দ্য মেট’ নামেও পরিচিত। ১৫৫ বছর পুরোনো এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭০ সালে।
৫ দিন আগেবাংলা বর্ষার দ্বিতীয় মাস শ্রাবণ। বাতাসে আর্দ্রতা, আকাশে ঘনঘোর মেঘ, আর রিমঝিম শব্দে প্রকৃতির নীরব সংগীত। এই শ্রাবণেই, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ তারিখ, আমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি, বিশ্বকবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই থেকে ২২ শ্রাবণ বাঙালির জন্য শুধু এক প্রাকৃতিক ঋতুর উপলব্ধি নয়—এ এক স্মরণ,
৬ দিন আগেযুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামটি বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক ইতিহাসভিত্তিক জাদুঘর। এটি উদ্বোধন করা হয় ১৮৮১ সালে। ১৭৫৩ সালের দিকে বিজ্ঞানী স্যার হ্যান্স স্লোয়েনের সংগ্রহ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় ব্রিটিশ মিউজিয়ামের। ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম ছিল ব্রিটিশ মিউজিয়ামেরই অংশ।
৬ দিন আগে