সম্পাদকীয়
গোপাল হালদার ছিলেন সাহিত্যিক, সাংবাদিক, মননশীল প্রাবন্ধিক ও রাজনীতিবিদ। তাঁর জন্ম ১৯০২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা জেলার বিক্রমপুরের বিদগাঁও গ্রামে। পিতা নোয়াখালীতে আইন পেশায় যুক্ত থাকার কারণে সেখানেই তাঁর শৈশবকাল কাটে। সেখানকার আর কে জুবিলি স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাস করে কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে আইএ এবং ইংরেজিতে স্নাতক পাস করেন গোপাল হালদার। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে এমএ এবং আইন পাস করে সম্মানজনক ট্র্যাগোর-ল অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।
তাঁর কর্মজীবন পিতার মতোই ওকালতি দিয়ে শুরু হয়। স্কুলজীবনে তিনি যুগান্তর দলে যুক্ত হন। এরপর সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্বাধীন বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটির সহসম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯২৬ সালে তিনি কলকাতায় চলে যান। ১৯৩২ থেকে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত তিনি জেলবন্দী থাকেন। জেলেই তিনি অধ্যয়ন, গবেষণা, সাহিত্য সৃষ্টি ও মার্ক্সীয় মতাদর্শ চর্চায় অতিবাহিত করেন। কারামুক্তির পর সুভাষচন্দ্রের সহকারী হিসেবে তিনি ‘সাপ্তাহিক ফরোয়ার্ড’ পত্রিকা সম্পাদনা করেন। তারপর তিনি কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন।
গোপাল হালদার ইংরেজি সাপ্তাহিক ‘ওয়েলফেয়ার’-এও সহসম্পাদক পদে কাজ করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষাতত্ত্ব বিভাগে ভাষাতাত্ত্বিক সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের অধীনে গবেষণা সহকারী হিসেবে কাজ করেন, বীরেন্দ্রনাথ রায় ও রবীন্দ্র মজুমদারের সঙ্গে ‘পরিচয়’ পত্রিকার সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেন।
তাঁর সংস্কৃতি বিষয়ের বইগুলো এখনো পাঠকের কাছে সমাদৃত। বই তিনটি হলো: ‘সংস্কৃতির রূপান্তর’, ‘বাঙালী সংস্কৃতির রূপ’, ‘বাঙালী সংস্কৃতি প্রসঙ্গ’। আরও কিছু প্রবন্ধের বাইরে তিনি গল্প ও উপন্যাস লিখেছেন। ‘রূপনারায়নের কূলে’ তাঁর আত্মজীবনী। বিভিন্ন ভাষার সাহিত্যের ইতিহাস আলোচনায় তিনি নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় দিয়েছেন। যেমন বাংলা সাহিত্যের রূপরেখা, ইংরেজি সাহিত্যের রূপরেখা ও রুশ সাহিত্যের রূপরেখা বইগুলো তার প্রমাণ। তিনি বিভিন্ন সময়ে অমৃতকণ্ঠ চট্টোপাধ্যায়, শ্রীকশ্যপ শেষ মহসঙ্গীতি, প্রফুল্ল হালদার ছদ্মনাম ব্যবহার করেছেন।
১৯৯৩ সালের ৩ অক্টোবর গোপাল হালদার মৃত্যুবরণ করেন।
গোপাল হালদার ছিলেন সাহিত্যিক, সাংবাদিক, মননশীল প্রাবন্ধিক ও রাজনীতিবিদ। তাঁর জন্ম ১৯০২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা জেলার বিক্রমপুরের বিদগাঁও গ্রামে। পিতা নোয়াখালীতে আইন পেশায় যুক্ত থাকার কারণে সেখানেই তাঁর শৈশবকাল কাটে। সেখানকার আর কে জুবিলি স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাস করে কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে আইএ এবং ইংরেজিতে স্নাতক পাস করেন গোপাল হালদার। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে এমএ এবং আইন পাস করে সম্মানজনক ট্র্যাগোর-ল অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।
তাঁর কর্মজীবন পিতার মতোই ওকালতি দিয়ে শুরু হয়। স্কুলজীবনে তিনি যুগান্তর দলে যুক্ত হন। এরপর সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্বাধীন বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটির সহসম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯২৬ সালে তিনি কলকাতায় চলে যান। ১৯৩২ থেকে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত তিনি জেলবন্দী থাকেন। জেলেই তিনি অধ্যয়ন, গবেষণা, সাহিত্য সৃষ্টি ও মার্ক্সীয় মতাদর্শ চর্চায় অতিবাহিত করেন। কারামুক্তির পর সুভাষচন্দ্রের সহকারী হিসেবে তিনি ‘সাপ্তাহিক ফরোয়ার্ড’ পত্রিকা সম্পাদনা করেন। তারপর তিনি কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন।
গোপাল হালদার ইংরেজি সাপ্তাহিক ‘ওয়েলফেয়ার’-এও সহসম্পাদক পদে কাজ করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষাতত্ত্ব বিভাগে ভাষাতাত্ত্বিক সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের অধীনে গবেষণা সহকারী হিসেবে কাজ করেন, বীরেন্দ্রনাথ রায় ও রবীন্দ্র মজুমদারের সঙ্গে ‘পরিচয়’ পত্রিকার সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেন।
তাঁর সংস্কৃতি বিষয়ের বইগুলো এখনো পাঠকের কাছে সমাদৃত। বই তিনটি হলো: ‘সংস্কৃতির রূপান্তর’, ‘বাঙালী সংস্কৃতির রূপ’, ‘বাঙালী সংস্কৃতি প্রসঙ্গ’। আরও কিছু প্রবন্ধের বাইরে তিনি গল্প ও উপন্যাস লিখেছেন। ‘রূপনারায়নের কূলে’ তাঁর আত্মজীবনী। বিভিন্ন ভাষার সাহিত্যের ইতিহাস আলোচনায় তিনি নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় দিয়েছেন। যেমন বাংলা সাহিত্যের রূপরেখা, ইংরেজি সাহিত্যের রূপরেখা ও রুশ সাহিত্যের রূপরেখা বইগুলো তার প্রমাণ। তিনি বিভিন্ন সময়ে অমৃতকণ্ঠ চট্টোপাধ্যায়, শ্রীকশ্যপ শেষ মহসঙ্গীতি, প্রফুল্ল হালদার ছদ্মনাম ব্যবহার করেছেন।
১৯৯৩ সালের ৩ অক্টোবর গোপাল হালদার মৃত্যুবরণ করেন।
বাংলাদেশের অ্যাংলিংকান সম্প্রদায় উপাসনার জন্য নির্মাণ করেছিল সেন্ট থমাস ক্যাথেড্রাল চার্চ। ১৮১৯ সালে শেষ হয় এর নির্মাণকাজ। ঢাকা কারাগারের কয়েদিরা নাকি এটির নির্মাণে শ্রম দিয়েছিল। কলকাতার বিশপ রেজিনাল্ড হেবার ১৮২৪ সালের ১০ জুলাই ঢাকায় এসে উদ্বোধন করেন লক্ষ্মীবাজারে অবস্থিত এই গির্জাটির।
৩ ঘণ্টা আগেআজ বিশ্ব নৃত্য দিবস। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকোর সহযোগী সংস্থা আন্তর্জাতিক থিয়েটার ইনস্টিটিউট-আইটিআই ১৯৮২ সালে ২৯ এপ্রিলকে বিশ্ব নৃত্য দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। মূলত নৃত্যশিল্পের বিকাশ ও বিশ্বব্যাপী নৃত্যপ্রেমীদের একত্রিত করাই এই দিবসের মূল উদ্দেশ্য। ২৯ এপ্রিল আধুনিক
১৭ ঘণ্টা আগেদুপুরের খাবারের বিরতির পর তাঁরা আবার কাজ শুরু করেন। সন্ধ্যা ৭টায় কাজ শেষ হলে সিপির চীনা ও আইরিশ শ্রমিকেরা এক দিনে ১০ মাইল ৫৬ ফুট (১৬.১১১ কিলোমিটার) রেলপথ বসানোর অনন্য রেকর্ড গড়েন।
২ দিন আগেআলীর এই সিদ্ধান্তে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। কেউ কেউ আলীর অবস্থানের প্রশংসা করেন, আবার কেউ কেউ তাঁকে আখ্যায়িত করেন বিশ্বাসঘাতক। তাঁকে বক্সিং রিংয়ে নিষিদ্ধ করা হয়, কেড়ে নেওয়া হয় অর্জিত শিরোপা। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনে ফেডারেল সরকারের বিচার বিভাগ।
২ দিন আগে