ছয় দশকের বেশি সময় ধরে ব্রিটিশ সাংবাদিকতায় স্বতন্ত্র অবস্থান ধরে রেখেছিল দ্য লিসেনার। ভার্জিনিয়া ওলফ, ফিলিপ লারকিন, টিএস ইলিয়টের মতো প্রতিভাধর মানুষদের লেখা ছাপা হতো এই সাময়িকীতে। ১৯২৯ সালের আজকের দিনে বিবিসির মহাপরিচালক জন রেইথের হাত ধরে সাপ্তাহিক এই সাময়িকীর প্রকাশ শুরু হয়। ছয় দশকের বেশি সময় ধরে সাহিত্য, শিল্প, রাজনীতিসহ নানা বিষয়ে লেখালেখিতে অনন্য সাক্ষর রাখার পর ১৯৯১ সালের ৩ জানুয়ারি এর শেষ কিস্তি প্রকাশ পায়।
শুরুতে বরং দ্য লিসেনার প্রকাশের পটভূমিটা জেনে নেওয়া যাক। ১৯২৩ সালে জন রেইথের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ ঘটে বিবিসির সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন রেডিও টাইমসের। মূলত রেডিও ও টেলিভিশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানসূচি প্রকাশিত হতো সেখানে। এ ছাড়া সাক্ষাৎকার, চলচ্চিত্র সমালোচনা, লাইফ স্টাইল বিষয়ের নানা লেখা ছাপা হতো। তবে এ ধরনের লেখা সব ধরনের পাঠককে আকৃষ্ট করতে পারছিল না। তাই অনেক দিন টিকে থাকবে এমন সব লেখা প্রকাশ ও একটু সিরিয়াস ধরনের পাঠকদের কথা বিবেচনায় এনে প্রকাশ শুরু হয় দ্য লিসেনারের।
দ্য লিসেনারের জটিল সব ক্রিপটিক শব্দজব্দ পাঠকদের মধ্যে বিপুল জনপ্রিয়তা পায়। জাতীয় কোনো সাপ্তাহিকে প্রকাশিত ক্রসওয়ার্ডের মধ্যে সবচেয়ে জটিল হিসেবে বিবেচনা করা হয় এগুলোকে।
ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টমিনিস্টারের অধ্যাপক ও বিবিসির ইতিহাসবিদ জিন সিয়েটন জানান, ১৯৩০-র দশকে ব্রিটিশদের জীবনের অংশ হওয়ার জন্য বিবিসির যে প্রবল প্রচেষ্টা তার অংশ ছিল দ্য লিসেনার।
১৯৪০-র দশকে ভারতে বিবিসি ইন্ডিয়ান সেকশনের সম্প্রচারিত বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে ম্যাগাজিনের পাতায়। ভারতীয় লেখকদের বিভিন্ন পর্যালোচনা প্রকাশের পাশাপাশি সেখানকার শিল্প, ইতিহাস, ধর্ম বিষয়ে বিভিন্ন লেখা ছাপা হয়।
লিসেনারের প্রথম সম্পাদক ছিলেন রিচার্ড এস ল্যাম্বার্ট। পরবর্তী সম্পাদকদের মধ্যে ছিলেন অ্যালান টমাস, মরিস প্রেসি অ্যাশলি, কার্ল মিলার, জর্জ এডউইন স্কট প্রমুখ। শেষ সম্পাদক ছিলেন পিটার ফিডিক।
অনেক অসাধারণ কাজ হয়েছে দ্য লিসেনারের মাধ্যমে। লিসেনারের বিখ্যাত প্রদায়কদের মধ্যে আছেন স্টিফেন ফ্রাই, ইয়ান হিলস্লপ, জন পিল প্রমুখ। ১৯৬৩ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির গুপ্তহত্যার ঘটনাটি নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করেন অ্যান্থনি বার্জেস, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়া নিয়ে রাজা ষষ্ঠ জর্জের পুরো ভাষণই স্থান পায় লিসেনারের পাতায়, এদিকে জাতীয় কোনো সাপ্তাহিকে লারকিনের লেখা প্রকাশের সূচনা হয় লিসেনারে ‘আলটিমেটাম’ কবিতার মাধ্যমে। তখন তাঁর বয়স কেবল ১৮।
তবে এক সময় পাঠকের আগ্রহে কিছুটা ভাটা পড়ায় এবং সাপ্তাহিক সব সংবাদপত্র ও তাদের সাময়িকীর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ার কারণে বন্ধ হয়ে যায় ম্যাগাজিনটি। ১৯৯১ সালের জানুয়ারিতে শেষ সংখ্যা প্রকাশিত হয় এর।
৬২ বছরে ৩১৯৭টি সংখ্যা প্রকাশিত হয় দ্য লিসেনার ম্যাগাজিনের। এতদিন পর্যন্ত এগুলোর পড়ার সুযোগ ছিল না। বিবিসি ওই সংখ্যাগুলো নিয়ে অনলাইন আর্কাইভ তৈরি করে ২০১১ সালে, ম্যাগাজিনটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ২০ বছর পর। এখন চাইলেই সেখান থেকে কিনে পড়া যাবে।
সূত্র: বিবিসি,গার্ডিয়ান, উইকিপিডিয়া
ছয় দশকের বেশি সময় ধরে ব্রিটিশ সাংবাদিকতায় স্বতন্ত্র অবস্থান ধরে রেখেছিল দ্য লিসেনার। ভার্জিনিয়া ওলফ, ফিলিপ লারকিন, টিএস ইলিয়টের মতো প্রতিভাধর মানুষদের লেখা ছাপা হতো এই সাময়িকীতে। ১৯২৯ সালের আজকের দিনে বিবিসির মহাপরিচালক জন রেইথের হাত ধরে সাপ্তাহিক এই সাময়িকীর প্রকাশ শুরু হয়। ছয় দশকের বেশি সময় ধরে সাহিত্য, শিল্প, রাজনীতিসহ নানা বিষয়ে লেখালেখিতে অনন্য সাক্ষর রাখার পর ১৯৯১ সালের ৩ জানুয়ারি এর শেষ কিস্তি প্রকাশ পায়।
শুরুতে বরং দ্য লিসেনার প্রকাশের পটভূমিটা জেনে নেওয়া যাক। ১৯২৩ সালে জন রেইথের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ ঘটে বিবিসির সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন রেডিও টাইমসের। মূলত রেডিও ও টেলিভিশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানসূচি প্রকাশিত হতো সেখানে। এ ছাড়া সাক্ষাৎকার, চলচ্চিত্র সমালোচনা, লাইফ স্টাইল বিষয়ের নানা লেখা ছাপা হতো। তবে এ ধরনের লেখা সব ধরনের পাঠককে আকৃষ্ট করতে পারছিল না। তাই অনেক দিন টিকে থাকবে এমন সব লেখা প্রকাশ ও একটু সিরিয়াস ধরনের পাঠকদের কথা বিবেচনায় এনে প্রকাশ শুরু হয় দ্য লিসেনারের।
দ্য লিসেনারের জটিল সব ক্রিপটিক শব্দজব্দ পাঠকদের মধ্যে বিপুল জনপ্রিয়তা পায়। জাতীয় কোনো সাপ্তাহিকে প্রকাশিত ক্রসওয়ার্ডের মধ্যে সবচেয়ে জটিল হিসেবে বিবেচনা করা হয় এগুলোকে।
ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টমিনিস্টারের অধ্যাপক ও বিবিসির ইতিহাসবিদ জিন সিয়েটন জানান, ১৯৩০-র দশকে ব্রিটিশদের জীবনের অংশ হওয়ার জন্য বিবিসির যে প্রবল প্রচেষ্টা তার অংশ ছিল দ্য লিসেনার।
১৯৪০-র দশকে ভারতে বিবিসি ইন্ডিয়ান সেকশনের সম্প্রচারিত বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে ম্যাগাজিনের পাতায়। ভারতীয় লেখকদের বিভিন্ন পর্যালোচনা প্রকাশের পাশাপাশি সেখানকার শিল্প, ইতিহাস, ধর্ম বিষয়ে বিভিন্ন লেখা ছাপা হয়।
লিসেনারের প্রথম সম্পাদক ছিলেন রিচার্ড এস ল্যাম্বার্ট। পরবর্তী সম্পাদকদের মধ্যে ছিলেন অ্যালান টমাস, মরিস প্রেসি অ্যাশলি, কার্ল মিলার, জর্জ এডউইন স্কট প্রমুখ। শেষ সম্পাদক ছিলেন পিটার ফিডিক।
অনেক অসাধারণ কাজ হয়েছে দ্য লিসেনারের মাধ্যমে। লিসেনারের বিখ্যাত প্রদায়কদের মধ্যে আছেন স্টিফেন ফ্রাই, ইয়ান হিলস্লপ, জন পিল প্রমুখ। ১৯৬৩ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির গুপ্তহত্যার ঘটনাটি নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করেন অ্যান্থনি বার্জেস, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়া নিয়ে রাজা ষষ্ঠ জর্জের পুরো ভাষণই স্থান পায় লিসেনারের পাতায়, এদিকে জাতীয় কোনো সাপ্তাহিকে লারকিনের লেখা প্রকাশের সূচনা হয় লিসেনারে ‘আলটিমেটাম’ কবিতার মাধ্যমে। তখন তাঁর বয়স কেবল ১৮।
তবে এক সময় পাঠকের আগ্রহে কিছুটা ভাটা পড়ায় এবং সাপ্তাহিক সব সংবাদপত্র ও তাদের সাময়িকীর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ার কারণে বন্ধ হয়ে যায় ম্যাগাজিনটি। ১৯৯১ সালের জানুয়ারিতে শেষ সংখ্যা প্রকাশিত হয় এর।
৬২ বছরে ৩১৯৭টি সংখ্যা প্রকাশিত হয় দ্য লিসেনার ম্যাগাজিনের। এতদিন পর্যন্ত এগুলোর পড়ার সুযোগ ছিল না। বিবিসি ওই সংখ্যাগুলো নিয়ে অনলাইন আর্কাইভ তৈরি করে ২০১১ সালে, ম্যাগাজিনটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ২০ বছর পর। এখন চাইলেই সেখান থেকে কিনে পড়া যাবে।
সূত্র: বিবিসি,গার্ডিয়ান, উইকিপিডিয়া
১৫৪০ খ্রিষ্টাব্দে ইগ্নেসিয়াস লয়োলা নামে এক স্প্যানিশ ব্যক্তি জেসুইটা বা যিশুর সম্প্রদায় গঠন করেন। এই সম্প্রদায়ের খ্রিষ্টানরা খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে পৃথিবীর নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েন। পিয়েরে ডু জারিক নামের এক ফরাসি ঐতিহাসিকের মতে, ১৫৯৯ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে ফনসেকা নামের একজন খ্রিষ্টান...
২ দিন আগেদুর্ঘটনা ও জ্যাম এড়াতে শহরের রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক বাতি স্থাপন করা হয়। লাল বাতি জ্বলার সময় গাড়িগুলো থামে। হলুদ বাতি দেখলে অপেক্ষা করে। আর সবুজ বাতি জ্বললেই গাড়ি অবাধে এগিয়ে চলে। এই সিগন্যাল সারা বিশ্বেই স্বীকৃত।
৮ দিন আগেপঞ্চদশ শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন সুফিসাধক হজরত বদরউদ্দিন শাহ্ মাদার। তিনি ফরিদপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বরিশাল যাওয়ার পথে জল-জঙ্গলপূর্ণ একটি স্থানে এসে উপস্থিত হন। এরপর পদ্মার শাখা আড়িয়াল খাঁ নদের দক্ষিণ তীরে নিজের আস্তানা গড়ে তোলেন।
১৯ দিন আগেলালমনিরহাটের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস মৌজায় মজদের আড়া নামে একটি পতিত জঙ্গল ছিল। স্থানীয় ভাষায় ‘আড়া’ মানে জঙ্গলময় স্থান। ১৯৮৫ সালে স্থানীয়রা আড়াটি পরিষ্কার করে চাষাবাদের উদ্যোগ নেয়। ওই সময় মাটি খুঁড়ে সমতল করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে ফুলেল নকশার প্রচুর প্রাচীন ইট।
২৩ দিন আগে