সম্পাদকীয়
বাবাই এক দিন তাঁর বন্ধু শান্তি বসুকে দিয়ে ছেলে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়কে পাঠালেন এইচএমভির নামকরা সুরকার শৈলেশ দত্তগুপ্তের কাছে। অনেকেই তখন তাঁর সুরে রেকর্ড করছে। শান্তি বসু অনুরোধ করলেন শৈলেশকে, ‘শৈলেশবাবু, দেখুন তো ছেলেটাকে টেস্ট করে। গায় ভালো।’
হারমোনিয়াম টেনে নিয়ে সন্তোষ সেনগুপ্তের গাওয়া ‘যদিও দূরে থাক, তবু যে ভুলি নাকো’ গানটি করলেন হেমন্ত। গানের অর্ধেকটা গেয়েছেন, এ সময় হাত তুলে তাঁকে থামিয়ে দিলেন শৈলেশবাবু। হেমন্ত বুঝলেন, পরীক্ষায় ফেল। কিন্তু শৈলেশবাবুর পরের প্রশ্নটা ছিল আশাজাগানিয়া। ‘উঠছ কোথায়? একটু বোসো, আজই একটা গান তুলে নাও। আরে হাঁ করে দেখছ কী? ১০ দিনের মধ্যে রেকর্ড করতে হবে।’
এর আগে বহু জায়গায় সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে গেছেন হেমন্ত। ‘এ গলা রেকর্ডের জন্য নয়’ বলে ফিরিয়ে দিয়েছে অনেকে। আর এখানে পুরো গান না শুনেই শৈলেশবাবু রায় দিয়ে দিলেন! বললেন, ‘মানুষ চিনতে যদিও-বা আমার ভুল হয়, মানুষের প্রতিভা বুঝতে আমার কখনো ভুল হয় না।’
নরেশ্বর ভট্টাচার্যের লেখা দুটো গান গাইলেন হেমন্ত। ১০ দিনের মাথায় রেকর্ড হয়ে গেল। ১৫ দিনের মাথায় রেকর্ড বের হলো। পেলেন ২০ টাকা।
হেমন্ত শৈলেশবাবুর কাছে সময়মতো যেতে পারতেন না। একটু দেরি হয়ে যেত। শৈলেশবাবু এক দিন বললেন, ‘এত দেরি হয় কেন আসতে?’
‘বাড়ির আর্থিক অবস্থা খুবই নাজুক। ট্রামে আসার সংগতি নেই। তাই হেঁটে আসা।’
শৈলেশবাবু হেমন্তের কাছ থেকে সে কথা শুনে বুঝলেন বাড়ির অবস্থা। বললেন, ‘এখন থেকে আমার কাছ থেকে ট্রাম ভাড়া নিয়ে নিস!’
একটা হারমোনিয়াম কেনার শখ ছিল। কিন্তু কুড়ি টাকায় হারমোনিয়াম হয় না। মাস দুই পর যখন হেমন্তের দ্বিতীয় রেকর্ডটি বের হলো, তখন পেলেন আরও কুড়ি টাকা। বাবা এবার হারমোনিয়াম কিনে দিলেন এই টাকা দিয়ে। জার্মান রিডের সেই হারমোনিয়ামটা খুব কাজে দিয়েছিল দীর্ঘদিন।
সূত্র: হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, আনন্দধারা, পৃষ্ঠা: ২৫-৩০
বাবাই এক দিন তাঁর বন্ধু শান্তি বসুকে দিয়ে ছেলে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়কে পাঠালেন এইচএমভির নামকরা সুরকার শৈলেশ দত্তগুপ্তের কাছে। অনেকেই তখন তাঁর সুরে রেকর্ড করছে। শান্তি বসু অনুরোধ করলেন শৈলেশকে, ‘শৈলেশবাবু, দেখুন তো ছেলেটাকে টেস্ট করে। গায় ভালো।’
হারমোনিয়াম টেনে নিয়ে সন্তোষ সেনগুপ্তের গাওয়া ‘যদিও দূরে থাক, তবু যে ভুলি নাকো’ গানটি করলেন হেমন্ত। গানের অর্ধেকটা গেয়েছেন, এ সময় হাত তুলে তাঁকে থামিয়ে দিলেন শৈলেশবাবু। হেমন্ত বুঝলেন, পরীক্ষায় ফেল। কিন্তু শৈলেশবাবুর পরের প্রশ্নটা ছিল আশাজাগানিয়া। ‘উঠছ কোথায়? একটু বোসো, আজই একটা গান তুলে নাও। আরে হাঁ করে দেখছ কী? ১০ দিনের মধ্যে রেকর্ড করতে হবে।’
এর আগে বহু জায়গায় সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে গেছেন হেমন্ত। ‘এ গলা রেকর্ডের জন্য নয়’ বলে ফিরিয়ে দিয়েছে অনেকে। আর এখানে পুরো গান না শুনেই শৈলেশবাবু রায় দিয়ে দিলেন! বললেন, ‘মানুষ চিনতে যদিও-বা আমার ভুল হয়, মানুষের প্রতিভা বুঝতে আমার কখনো ভুল হয় না।’
নরেশ্বর ভট্টাচার্যের লেখা দুটো গান গাইলেন হেমন্ত। ১০ দিনের মাথায় রেকর্ড হয়ে গেল। ১৫ দিনের মাথায় রেকর্ড বের হলো। পেলেন ২০ টাকা।
হেমন্ত শৈলেশবাবুর কাছে সময়মতো যেতে পারতেন না। একটু দেরি হয়ে যেত। শৈলেশবাবু এক দিন বললেন, ‘এত দেরি হয় কেন আসতে?’
‘বাড়ির আর্থিক অবস্থা খুবই নাজুক। ট্রামে আসার সংগতি নেই। তাই হেঁটে আসা।’
শৈলেশবাবু হেমন্তের কাছ থেকে সে কথা শুনে বুঝলেন বাড়ির অবস্থা। বললেন, ‘এখন থেকে আমার কাছ থেকে ট্রাম ভাড়া নিয়ে নিস!’
একটা হারমোনিয়াম কেনার শখ ছিল। কিন্তু কুড়ি টাকায় হারমোনিয়াম হয় না। মাস দুই পর যখন হেমন্তের দ্বিতীয় রেকর্ডটি বের হলো, তখন পেলেন আরও কুড়ি টাকা। বাবা এবার হারমোনিয়াম কিনে দিলেন এই টাকা দিয়ে। জার্মান রিডের সেই হারমোনিয়ামটা খুব কাজে দিয়েছিল দীর্ঘদিন।
সূত্র: হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, আনন্দধারা, পৃষ্ঠা: ২৫-৩০
একটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
১ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানে অবস্থিত মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টকে বলা হয় দেশটির বৃহত্তম শিল্প জাদুঘর। আর বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম। সংক্ষেপে জাদুঘরটি ‘দ্য মেট’ নামেও পরিচিত। ১৫৫ বছর পুরোনো এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭০ সালে।
৬ দিন আগেবাংলা বর্ষার দ্বিতীয় মাস শ্রাবণ। বাতাসে আর্দ্রতা, আকাশে ঘনঘোর মেঘ, আর রিমঝিম শব্দে প্রকৃতির নীরব সংগীত। এই শ্রাবণেই, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ তারিখ, আমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি, বিশ্বকবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই থেকে ২২ শ্রাবণ বাঙালির জন্য শুধু এক প্রাকৃতিক ঋতুর উপলব্ধি নয়—এ এক স্মরণ,
৭ দিন আগেযুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামটি বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক ইতিহাসভিত্তিক জাদুঘর। এটি উদ্বোধন করা হয় ১৮৮১ সালে। ১৭৫৩ সালের দিকে বিজ্ঞানী স্যার হ্যান্স স্লোয়েনের সংগ্রহ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় ব্রিটিশ মিউজিয়ামের। ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম ছিল ব্রিটিশ মিউজিয়ামেরই অংশ।
৭ দিন আগে