সম্পাদকীয়
প্রমথ চৌধুরী জন্মেছিলেন জমিদার পরিবারে। পৈতৃক নিবাস পাবনা হলেও বাবা দুর্গাদাস চৌধুরীর কর্মক্ষেত্র ছিল যশোর। যশোরেই ১৮৬৮ সালের ৭ আগস্ট প্রমথ চৌধুরীর জন্ম। প্রমথ চৌধুরী পড়েছেন সেন্ট জেভিয়ার্সে। এরপর প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে দর্শনে বিএ অনার্স আর ইংরেজিতে এমএ করেন। দুটি পরীক্ষায়ই তিনি প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হন। এরপর আইন পড়তে যান ইংল্যান্ডে। ‘বার অ্যাট ল’ হয়ে ফিরে আসেন দেশে। আইন ব্যবসা শুরু করেন কলকাতা হাইকোর্টে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাতিজি ইন্দিরা দেবীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।
আইন ব্যবসায়ী হিসেবে নয়, সাহিত্যিক হিসেবেই নাম করেন প্রমথ চৌধুরী। ফরাসি ও ইংরেজি সাহিত্যে তাঁর দখল ছিল। ‘বীরবল’ ছদ্মনামে বহু লেখা লিখেছেন। বিদ্রূপাত্মক লেখায় তিনি ছিলেন পারদর্শী। সাধুরীতি বাদ দিয়ে চলিতরীতিতে লেখার পথপ্রদর্শক তিনি। ভারতী পত্রিকায় ‘হালখাতা’ নামে যে লেখাটি তিনি লিখেছিলেন ১৯০২ সালে, সেটিই চলিত ভাষার আদি নিদর্শন। মাসিক সাহিত্য পত্রিকা ‘সবুজপত্র’ সম্পাদনা করে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন। চলার পথে রবীন্দ্রনাথকে সব সময় পাশে পেয়েছেন। ‘সবুজপত্র’ ঘিরে চলিত ভাষায় একদল সাহিত্যিককেও পাশে পেয়েছেন প্রমথ চৌধুরী। রবীন্দ্রনাথের চলতি ভাষায় লেখা উপন্যাস ‘শেষের কবিতা’ ছাপা হয় এই সবুজপত্রেই।
তাঁর বাংলা গদ্য অসাধারণ, তবে ছোটগল্প আর কবিতাও লিখেছেন তিনি। আর প্রাবন্ধিক হিসেবে তো তাঁর পরিচিতির কথা নতুন করে বলার নয়। বাংলা কাব্যে ইতালীয় সনেটের প্রবর্তক প্রমথ চৌধুরী।
প্রমথ চৌধুরী বলেছিলেন, ‘ভাষা মানুষের মুখ থেকে কলমের মুখে আসে, কলমের মুখ থেকে মানুষের মুখে নয়।’ এই বাক্যটি নিয়ে অনেকেই ভেবেছেন। ব্যাকরণ থেকে ভাষার সৃষ্টি হয় না; বরং মানুষের মুখের ভাষাই মুখ্য। তাকে কেন্দ্র করেই লেখ্য ভাষা। আর সমস্তটাকে বিশ্লেষণ করেই হয় ব্যাকরণ।
প্রকৃত অর্থেই প্রমথ চৌধুরী ছিলেন একজন ভাষাশিল্পী। তাঁর রসাত্মক ও স্যাটায়ারধর্মী রচনাগুলো এখনো আধুনিক রচনা হিসেবে দৃশ্যমান হয়ে আছে।
প্রমথ চৌধুরী জন্মেছিলেন জমিদার পরিবারে। পৈতৃক নিবাস পাবনা হলেও বাবা দুর্গাদাস চৌধুরীর কর্মক্ষেত্র ছিল যশোর। যশোরেই ১৮৬৮ সালের ৭ আগস্ট প্রমথ চৌধুরীর জন্ম। প্রমথ চৌধুরী পড়েছেন সেন্ট জেভিয়ার্সে। এরপর প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে দর্শনে বিএ অনার্স আর ইংরেজিতে এমএ করেন। দুটি পরীক্ষায়ই তিনি প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হন। এরপর আইন পড়তে যান ইংল্যান্ডে। ‘বার অ্যাট ল’ হয়ে ফিরে আসেন দেশে। আইন ব্যবসা শুরু করেন কলকাতা হাইকোর্টে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাতিজি ইন্দিরা দেবীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।
আইন ব্যবসায়ী হিসেবে নয়, সাহিত্যিক হিসেবেই নাম করেন প্রমথ চৌধুরী। ফরাসি ও ইংরেজি সাহিত্যে তাঁর দখল ছিল। ‘বীরবল’ ছদ্মনামে বহু লেখা লিখেছেন। বিদ্রূপাত্মক লেখায় তিনি ছিলেন পারদর্শী। সাধুরীতি বাদ দিয়ে চলিতরীতিতে লেখার পথপ্রদর্শক তিনি। ভারতী পত্রিকায় ‘হালখাতা’ নামে যে লেখাটি তিনি লিখেছিলেন ১৯০২ সালে, সেটিই চলিত ভাষার আদি নিদর্শন। মাসিক সাহিত্য পত্রিকা ‘সবুজপত্র’ সম্পাদনা করে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন। চলার পথে রবীন্দ্রনাথকে সব সময় পাশে পেয়েছেন। ‘সবুজপত্র’ ঘিরে চলিত ভাষায় একদল সাহিত্যিককেও পাশে পেয়েছেন প্রমথ চৌধুরী। রবীন্দ্রনাথের চলতি ভাষায় লেখা উপন্যাস ‘শেষের কবিতা’ ছাপা হয় এই সবুজপত্রেই।
তাঁর বাংলা গদ্য অসাধারণ, তবে ছোটগল্প আর কবিতাও লিখেছেন তিনি। আর প্রাবন্ধিক হিসেবে তো তাঁর পরিচিতির কথা নতুন করে বলার নয়। বাংলা কাব্যে ইতালীয় সনেটের প্রবর্তক প্রমথ চৌধুরী।
প্রমথ চৌধুরী বলেছিলেন, ‘ভাষা মানুষের মুখ থেকে কলমের মুখে আসে, কলমের মুখ থেকে মানুষের মুখে নয়।’ এই বাক্যটি নিয়ে অনেকেই ভেবেছেন। ব্যাকরণ থেকে ভাষার সৃষ্টি হয় না; বরং মানুষের মুখের ভাষাই মুখ্য। তাকে কেন্দ্র করেই লেখ্য ভাষা। আর সমস্তটাকে বিশ্লেষণ করেই হয় ব্যাকরণ।
প্রকৃত অর্থেই প্রমথ চৌধুরী ছিলেন একজন ভাষাশিল্পী। তাঁর রসাত্মক ও স্যাটায়ারধর্মী রচনাগুলো এখনো আধুনিক রচনা হিসেবে দৃশ্যমান হয়ে আছে।
বাংলাদেশের অ্যাংলিংকান সম্প্রদায় উপাসনার জন্য নির্মাণ করেছিল সেন্ট থমাস ক্যাথেড্রাল চার্চ। ১৮১৯ সালে শেষ হয় এর নির্মাণকাজ। ঢাকা কারাগারের কয়েদিরা নাকি এটির নির্মাণে শ্রম দিয়েছিল। কলকাতার বিশপ রেজিনাল্ড হেবার ১৮২৪ সালের ১০ জুলাই ঢাকায় এসে উদ্বোধন করেন লক্ষ্মীবাজারে অবস্থিত এই গির্জাটির।
২০ ঘণ্টা আগেআজ বিশ্ব নৃত্য দিবস। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকোর সহযোগী সংস্থা আন্তর্জাতিক থিয়েটার ইনস্টিটিউট-আইটিআই ১৯৮২ সালে ২৯ এপ্রিলকে বিশ্ব নৃত্য দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। মূলত নৃত্যশিল্পের বিকাশ ও বিশ্বব্যাপী নৃত্যপ্রেমীদের একত্রিত করাই এই দিবসের মূল উদ্দেশ্য। ২৯ এপ্রিল আধুনিক
১ দিন আগেদুপুরের খাবারের বিরতির পর তাঁরা আবার কাজ শুরু করেন। সন্ধ্যা ৭টায় কাজ শেষ হলে সিপির চীনা ও আইরিশ শ্রমিকেরা এক দিনে ১০ মাইল ৫৬ ফুট (১৬.১১১ কিলোমিটার) রেলপথ বসানোর অনন্য রেকর্ড গড়েন।
২ দিন আগেআলীর এই সিদ্ধান্তে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। কেউ কেউ আলীর অবস্থানের প্রশংসা করেন, আবার কেউ কেউ তাঁকে আখ্যায়িত করেন বিশ্বাসঘাতক। তাঁকে বক্সিং রিংয়ে নিষিদ্ধ করা হয়, কেড়ে নেওয়া হয় অর্জিত শিরোপা। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনে ফেডারেল সরকারের বিচার বিভাগ।
২ দিন আগে