সম্পাদকীয়
ছবি আঁকার প্রতি আকর্ষণ ছিল দিলারা হাশেমের। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন ইংরেজি বিভাগে। অসাধারণ সব শিক্ষককে অবশ্য পেয়েছিলেন সেখানে। বিভাগীয় প্রধান হিসেবে শুরুতে পেয়েছিলেন ড. টার্নারকে। বিলেত থেকে দেশে ফিরে বিভাগে যোগ দিয়েছিলেন ড. সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন। ছিলেন ড. খান সারওয়ার মুরশিদ, সৈয়দ আলী আশরাফ, জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা। আরও পরে পেয়েছেন মুনীর চৌধুরী, নাদিরা বেগম প্রমুখকে। পড়াশোনা চলছিল ভালোই।
কিন্তু ভালোবাসা তো ছবি আঁকার প্রতি। সে কথা জানতেন সহপাঠী হোসনে আরা ভিনা। একবার চামেলি হাউসে ছবি আঁকছেন দিলারা হাশেম, সেই আঁকাআঁকি দেখছেন ভিনা। একসময় ভিনা বললেন, ‘শোন, আমাদের কামরুল ভাই একটা অ্যামেচার চিত্র প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করেছেন। তোর ছবিগুলো দে।’
কামরুল ভাই যে বিখ্যাত শিল্পী কামরুল হাসান, সেটা বুঝতে পেরে খুবই রোমাঞ্চিত হলেন দিলারা। ভিনা বললেন, ‘তুই তো খুব ভালো ছবি আঁকিস। দিয়েই দেখ না কী হয়। চাস তো তোকে তাঁর কাছে নিয়ে যেতে পারি। আমি তাঁকে চিনি।’
মহা উৎসাহে ছবি নিয়ে দুজনে রওনা হলেন কামরুল হাসানের সঙ্গে দেখা করতে। নবাবপুর রোডের একটা শ্রীহীন বাড়ির দোতলায় বসে ছবি আঁকতেন কামরুল হাসান। আসবাব বলতে সস্তা তক্তপোশ আর আলনা। মেঝেতে অসংখ্য আঁকা ছবি। দিলারার ছবিগুলো খুঁটিয়ে দেখলেন কামরুল। রং প্রয়োগের ব্যাপারে কিছু পরামর্শ দিলেন। তারপর বললেন, ‘তোমাকে একটা বদ বুদ্ধি দেব। চলে এসো আর্ট কলেজে। অনেক শেখার আছে। তোমার ট্যালেন্ট আছে। ইংরেজি সাহিত্য তুমি নিজেও পড়ে নিতে পারবে।’
তাঁর কথায় রোমাঞ্চ অনুভব করেছিলেন দিলারা হাশেম, কিন্তু সাহস হয়নি। সেই প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীকালে দিলারা হাশেম যখন সাহিত্যিক হিসেবে দাঁড়িয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তাঁর লেখা ‘আমলকীর মৌ’-এর প্রচ্ছদটা এঁকে দিয়েছিলেন কামরুল হাসান।
সূত্র: দিলারা হাশেম, শতরূপা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পৃষ্ঠা ৯৫-৯৭
ছবি আঁকার প্রতি আকর্ষণ ছিল দিলারা হাশেমের। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন ইংরেজি বিভাগে। অসাধারণ সব শিক্ষককে অবশ্য পেয়েছিলেন সেখানে। বিভাগীয় প্রধান হিসেবে শুরুতে পেয়েছিলেন ড. টার্নারকে। বিলেত থেকে দেশে ফিরে বিভাগে যোগ দিয়েছিলেন ড. সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন। ছিলেন ড. খান সারওয়ার মুরশিদ, সৈয়দ আলী আশরাফ, জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা। আরও পরে পেয়েছেন মুনীর চৌধুরী, নাদিরা বেগম প্রমুখকে। পড়াশোনা চলছিল ভালোই।
কিন্তু ভালোবাসা তো ছবি আঁকার প্রতি। সে কথা জানতেন সহপাঠী হোসনে আরা ভিনা। একবার চামেলি হাউসে ছবি আঁকছেন দিলারা হাশেম, সেই আঁকাআঁকি দেখছেন ভিনা। একসময় ভিনা বললেন, ‘শোন, আমাদের কামরুল ভাই একটা অ্যামেচার চিত্র প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করেছেন। তোর ছবিগুলো দে।’
কামরুল ভাই যে বিখ্যাত শিল্পী কামরুল হাসান, সেটা বুঝতে পেরে খুবই রোমাঞ্চিত হলেন দিলারা। ভিনা বললেন, ‘তুই তো খুব ভালো ছবি আঁকিস। দিয়েই দেখ না কী হয়। চাস তো তোকে তাঁর কাছে নিয়ে যেতে পারি। আমি তাঁকে চিনি।’
মহা উৎসাহে ছবি নিয়ে দুজনে রওনা হলেন কামরুল হাসানের সঙ্গে দেখা করতে। নবাবপুর রোডের একটা শ্রীহীন বাড়ির দোতলায় বসে ছবি আঁকতেন কামরুল হাসান। আসবাব বলতে সস্তা তক্তপোশ আর আলনা। মেঝেতে অসংখ্য আঁকা ছবি। দিলারার ছবিগুলো খুঁটিয়ে দেখলেন কামরুল। রং প্রয়োগের ব্যাপারে কিছু পরামর্শ দিলেন। তারপর বললেন, ‘তোমাকে একটা বদ বুদ্ধি দেব। চলে এসো আর্ট কলেজে। অনেক শেখার আছে। তোমার ট্যালেন্ট আছে। ইংরেজি সাহিত্য তুমি নিজেও পড়ে নিতে পারবে।’
তাঁর কথায় রোমাঞ্চ অনুভব করেছিলেন দিলারা হাশেম, কিন্তু সাহস হয়নি। সেই প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীকালে দিলারা হাশেম যখন সাহিত্যিক হিসেবে দাঁড়িয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তাঁর লেখা ‘আমলকীর মৌ’-এর প্রচ্ছদটা এঁকে দিয়েছিলেন কামরুল হাসান।
সূত্র: দিলারা হাশেম, শতরূপা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পৃষ্ঠা ৯৫-৯৭
ধানমন্ডি লেকে এক যুগ আগেও যারা আড্ডা দিতে যেতেন, নিশ্চয়ই তাঁদের নজর এড়ায়নি লালরঙা জাহাজ বাড়িটি। ১৯৯৩-৯৪ সালে ব্যবসায়ী এ কে এম আনোয়ারুল হক চৌধুরী ধানমন্ডির ৫/এ এলাকায় একটি বাড়ি নির্মাণ করেন। বাড়িটির নাম তিনি দিয়েছিলেন ‘চিশতিয়া প্যালেস’। ১৯৯৬ সালে সাধারণের চলাচলের জন্য ঢাকা সিটি করপোরেশন রাস্তা...
৩ দিন আগেআর্মেনীয় জমিদার আরাতুন ১৮২৫ সালের দিকে ঢাকার ফরাশগঞ্জের শ্যামপুরে একটি দ্বিতল বাড়ি নির্মাণ করে নাম দিয়েছিলেন ‘আরাতুন হাউস’। এর ১০ বছর পর ১৮৩৫ সালের দিকে তিনি বাড়িটি বিক্রি করে দেন ঢাকার বিখ্যাত ব্যবসায়ী রূপলাল দাসের কাছে। নতুন মালিক বাড়িটির নতুন নাম দেন ‘রূপলাল হাউস’।
৯ দিন আগেবোঝাই যাচ্ছে ছবিটি একটি নাপিতের দোকানের। এ-ও বুঝতে অসুবিধা হয় না যে এটি ব্রিটিশ আমলে তোলা একটি ছবি। কেননা, দোকানের নামটি স্পষ্ট করে ইংরেজিতে লেখা—‘হানিফ বারবার নম্বর ফিফটি নাইন, হেয়ারকাটার অল হেয়ারি থিংস হিয়ার গট’। আর দোকানটির তালাবদ্ধ প্রবেশদ্বারের পাশের দেয়ালে ঝুলছে কতক পরচুলা, যেগুলোর কোনোটির...
১০ দিন আগেআজকের পত্রিকার পাঠক ফোরাম পাঠকবন্ধুর প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী শুক্রবার (২ মে) বনশ্রীতে পত্রিকাটির প্রধান কার্যালয়ে উদ্যাপিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন শাখার বন্ধুরা অংশ নেন।
১০ দিন আগে