সম্পাদকীয়
সন্জীদা খাতুনের তখন শরণার্থী দশা। মুক্তিযুদ্ধের সময় শান্তিনিকেতনে পেয়েছিলেন রিসার্চ ফেলোশিপ। তিন ছেলেমেয়ে নিয়ে তখন সেখানে বাস করছেন।
মাসে পেতেন পাঁচ শ টাকা। সেই টাকায় টিকে থাকা ছিল কষ্টের। আশি টাকা দিতে হতো বাড়ি ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল কুড়ি টাকা। চারজনের খাবার খরচের কথা ভাবলে আর কিছু করার উপায় ছিল না। ছাত্রদের কিচেন থেকে দুটি ‘মিল’ এনে খাওয়া হতো। বাড়ির উত্তর-পূর্ব সীমানা ঘেঁষে ময়লা ফেলার যে গর্তটা ছিল,তাতে বেশ কিছু ভাত ফেলে দেওয়া হতো।
কারণ, তরকারির অভাবে শুধু সাদা ভাত খাওয়া যেত না। যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন, ওই বাড়ির মালিক একদিন এসে অবস্থা দেখে বুঝে গেলেন ব্যাপারটা।
তখন থেকে তিনি কখনো বাড়ির বাগানের করলা, কিংবা বাজার থেকে একটা ফুলকপি বা দুটো শিম কাপড়ের আড়ালে লুকিয়ে দিয়ে যেতেন। সেটাই কেরোসিন স্টোভে আবার রান্না করতে হতো। এ কাজ করতে গেলে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠত।
পুজোর ছুটিতে কিচেনের রান্না বন্ধ থাকায় পুরো রান্নাই বাড়িতে করা শুরু হলো। তাতে সন্তানদের তৃপ্ত মুখ দেখে এরপর থেকে বাড়ির রান্নাই বহাল রইল।
১৯৭১ সালের অক্টোবর মাসে শোনা গেল যুদ্ধের সমাপ্তি অত্যাসন্ন, পৃথিবীর নতুন এক দেশের জন্ম আসন্ন, এক প্রতিবেশী-কন্যা আবদার জানাল, ‘স্বাধীনতা আসছে, মিষ্টি খাওয়াতে হবে কিন্তু!’
শুনে মুখ শুকিয়ে গেল সন্জীদা খাতুনের। হাতের যে অবস্থা, তাতে মিষ্টি খাওয়াবেন কী করে! আতপ চাল আধভাঙা করে, তাই দিয়ে ঝরঝরে ভাত রেঁধে জর্দার রং দিয়ে জ্বাল দেওয়া চিনির রসে ফেলে শুকিয়ে নিয়ে তৈরি করেছিলেন গোবিন্দভোগ। ছোট আকারের গুলি বানিয়েছিলেন। বিজয়ের দিন যারা এসেছিল, তাদের হাতে তা তুলে দিয়েছিলেন।
সূত্র: সন্জীদা খাতুন, স্বাধীনতার অভিযাত্রা, পৃষ্ঠা ১৫৭-১৫৯
সন্জীদা খাতুনের তখন শরণার্থী দশা। মুক্তিযুদ্ধের সময় শান্তিনিকেতনে পেয়েছিলেন রিসার্চ ফেলোশিপ। তিন ছেলেমেয়ে নিয়ে তখন সেখানে বাস করছেন।
মাসে পেতেন পাঁচ শ টাকা। সেই টাকায় টিকে থাকা ছিল কষ্টের। আশি টাকা দিতে হতো বাড়ি ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল কুড়ি টাকা। চারজনের খাবার খরচের কথা ভাবলে আর কিছু করার উপায় ছিল না। ছাত্রদের কিচেন থেকে দুটি ‘মিল’ এনে খাওয়া হতো। বাড়ির উত্তর-পূর্ব সীমানা ঘেঁষে ময়লা ফেলার যে গর্তটা ছিল,তাতে বেশ কিছু ভাত ফেলে দেওয়া হতো।
কারণ, তরকারির অভাবে শুধু সাদা ভাত খাওয়া যেত না। যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন, ওই বাড়ির মালিক একদিন এসে অবস্থা দেখে বুঝে গেলেন ব্যাপারটা।
তখন থেকে তিনি কখনো বাড়ির বাগানের করলা, কিংবা বাজার থেকে একটা ফুলকপি বা দুটো শিম কাপড়ের আড়ালে লুকিয়ে দিয়ে যেতেন। সেটাই কেরোসিন স্টোভে আবার রান্না করতে হতো। এ কাজ করতে গেলে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠত।
পুজোর ছুটিতে কিচেনের রান্না বন্ধ থাকায় পুরো রান্নাই বাড়িতে করা শুরু হলো। তাতে সন্তানদের তৃপ্ত মুখ দেখে এরপর থেকে বাড়ির রান্নাই বহাল রইল।
১৯৭১ সালের অক্টোবর মাসে শোনা গেল যুদ্ধের সমাপ্তি অত্যাসন্ন, পৃথিবীর নতুন এক দেশের জন্ম আসন্ন, এক প্রতিবেশী-কন্যা আবদার জানাল, ‘স্বাধীনতা আসছে, মিষ্টি খাওয়াতে হবে কিন্তু!’
শুনে মুখ শুকিয়ে গেল সন্জীদা খাতুনের। হাতের যে অবস্থা, তাতে মিষ্টি খাওয়াবেন কী করে! আতপ চাল আধভাঙা করে, তাই দিয়ে ঝরঝরে ভাত রেঁধে জর্দার রং দিয়ে জ্বাল দেওয়া চিনির রসে ফেলে শুকিয়ে নিয়ে তৈরি করেছিলেন গোবিন্দভোগ। ছোট আকারের গুলি বানিয়েছিলেন। বিজয়ের দিন যারা এসেছিল, তাদের হাতে তা তুলে দিয়েছিলেন।
সূত্র: সন্জীদা খাতুন, স্বাধীনতার অভিযাত্রা, পৃষ্ঠা ১৫৭-১৫৯
বিশ্বখ্যাত ইংরেজি ভাষার অভিধান কেমব্রিজ ডিকশনারিতে এ বছর যুক্ত হয়েছে ৬ হাজারের বেশি নতুন শব্দ। যার বেশির ভাগই জেন-জি’দের। এসব শব্দের মধ্যে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবহৃত স্ল্যাং বা অমার্জিত শব্দ যেমন ‘স্কিবিডি’, ‘ট্র্যাডওয়াইফ’, ‘ব্রোলিগার্কি’ এবং ‘ডেলুলু’ রয়েছে।
১ দিন আগেগত বছরের ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনীতির ময়দান বেশ টানটান। সংস্কার আর নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। নেই দম ফেলার দুদণ্ড ফুরসত। কোনো কোনো উপদেষ্টাকে ভোররাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দেশের সর্বকনিষ্ঠ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও।
৫ দিন আগেযতীন স্যারকে নিয়ে কথা বলতে বসলে মনে হয়, কথাগুলো শুধু লেখা নয়—এ যেন হৃদয়ের ভেতরের কিছু টুকরো তুলে ধরা। দুপুরে হঠাৎ এক সুহৃদ ফোন করে বলল, ‘শুনেছ? যতীন স্যার নেই!’—মুহূর্তেই আমার বুক কেঁপে উঠল। মনে হলো, জীবনের এক অমূল্য আশ্রয় হঠাৎ হারিয়ে ফেলেছি।
৬ দিন আগেএকটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
৮ দিন আগে