সম্পাদকীয়
শফিকুল ইসলাম চান্দ (চান মিয়া) ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী। তিনি ছিলেন সাহসী পরোপকারী ও বিপ্লবী চেতনার মানুষ। ১৯৭১ সালে ছিলেন টগবগে যুবক। স্বপ্ন দেখতেন আমাদের প্রিয় জন্মভূমিকে পাকিস্তানিদের হাত থেকে মুক্ত করতে হবে। সে সময় তৎকালীন পাকিস্তান রেডিওতে তিনি চাকরি করতেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাকিস্তানিদের অন্যায় জুলুম, বঞ্চনা ও নিগৃহীতের প্রতিবাদ করেছেন। মুক্তিকামী মানুষের পাশে থেকে সাহস জুগিয়েছেন। তিনি তাঁর গাড়িতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাতায়াতের সুযোগ করে দিতেন। মাঝেমধ্যে গোপনে তাঁর গাড়িতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে খাবার, অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং উত্তরাঞ্চলের গেরিলা যোদ্ধাদের চিঠি পৌঁছে দিতেন।
এসব কারণে নীতিমান, সৃজনশীল ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব চান মিয়া পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকারদের চক্ষুশূল হয়ে ওঠেন। ফলে তাঁকে হত্যার ছক তৈরি করে স্বাধীনতাবিরোধী ও পাকিস্তানি বাহিনী। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে ১৪ আগস্ট রংপুর শহরের সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চার তীর্থ স্থান হিসেবে পরিচিত টাউন হল চত্বরে একটি মঞ্চনাটকের মহড়ায় অংশ নেন তিনি। সেখান থেকে স্থানীয় কয়েকজন রাজাকারের সহযোগিতায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাঁকে অস্ত্রের মুখে দুই হাত পিছমোড়া করে কালো কাপড়ে চোখ বেঁধে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করে তারা।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ রংপুর জেলা কমান্ড ও রংপুর মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে। রংপুর জেলা প্রশাসনের শহীদদের নামের তালিকায়ও তাঁর নাম লিপিবদ্ধ আছে (ক্রমিক নম্বর-১৫)। রংপুর সিটি করপোরেশন শহরের সাতগাড়া মিস্ত্রিপাড়ার একটি সড়কের নামকরণ করেছে শহীদ চান্দ-বাফাত সরণি। রংপুর জেলা প্রশাসন থেকে প্রকাশিত ‘রংপুর জেলার ইতিহাস’-বইয়েও তাঁর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
২০১৭ সালে বাংলাদেশ বেতার রংপুর কেন্দ্রের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকায় রংপুর বেতারের সেরা ব্যক্তিত্ব হিসেবে তাঁর ভূমিকা তুলে ধরা হয়েছে।
শফিকুল ইসলাম চান্দ (চান মিয়া) ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী। তিনি ছিলেন সাহসী পরোপকারী ও বিপ্লবী চেতনার মানুষ। ১৯৭১ সালে ছিলেন টগবগে যুবক। স্বপ্ন দেখতেন আমাদের প্রিয় জন্মভূমিকে পাকিস্তানিদের হাত থেকে মুক্ত করতে হবে। সে সময় তৎকালীন পাকিস্তান রেডিওতে তিনি চাকরি করতেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাকিস্তানিদের অন্যায় জুলুম, বঞ্চনা ও নিগৃহীতের প্রতিবাদ করেছেন। মুক্তিকামী মানুষের পাশে থেকে সাহস জুগিয়েছেন। তিনি তাঁর গাড়িতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাতায়াতের সুযোগ করে দিতেন। মাঝেমধ্যে গোপনে তাঁর গাড়িতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে খাবার, অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং উত্তরাঞ্চলের গেরিলা যোদ্ধাদের চিঠি পৌঁছে দিতেন।
এসব কারণে নীতিমান, সৃজনশীল ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব চান মিয়া পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকারদের চক্ষুশূল হয়ে ওঠেন। ফলে তাঁকে হত্যার ছক তৈরি করে স্বাধীনতাবিরোধী ও পাকিস্তানি বাহিনী। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে ১৪ আগস্ট রংপুর শহরের সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চার তীর্থ স্থান হিসেবে পরিচিত টাউন হল চত্বরে একটি মঞ্চনাটকের মহড়ায় অংশ নেন তিনি। সেখান থেকে স্থানীয় কয়েকজন রাজাকারের সহযোগিতায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাঁকে অস্ত্রের মুখে দুই হাত পিছমোড়া করে কালো কাপড়ে চোখ বেঁধে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করে তারা।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ রংপুর জেলা কমান্ড ও রংপুর মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে। রংপুর জেলা প্রশাসনের শহীদদের নামের তালিকায়ও তাঁর নাম লিপিবদ্ধ আছে (ক্রমিক নম্বর-১৫)। রংপুর সিটি করপোরেশন শহরের সাতগাড়া মিস্ত্রিপাড়ার একটি সড়কের নামকরণ করেছে শহীদ চান্দ-বাফাত সরণি। রংপুর জেলা প্রশাসন থেকে প্রকাশিত ‘রংপুর জেলার ইতিহাস’-বইয়েও তাঁর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
২০১৭ সালে বাংলাদেশ বেতার রংপুর কেন্দ্রের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকায় রংপুর বেতারের সেরা ব্যক্তিত্ব হিসেবে তাঁর ভূমিকা তুলে ধরা হয়েছে।
একটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
১ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানে অবস্থিত মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টকে বলা হয় দেশটির বৃহত্তম শিল্প জাদুঘর। আর বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম। সংক্ষেপে জাদুঘরটি ‘দ্য মেট’ নামেও পরিচিত। ১৫৫ বছর পুরোনো এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭০ সালে।
৬ দিন আগেবাংলা বর্ষার দ্বিতীয় মাস শ্রাবণ। বাতাসে আর্দ্রতা, আকাশে ঘনঘোর মেঘ, আর রিমঝিম শব্দে প্রকৃতির নীরব সংগীত। এই শ্রাবণেই, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ তারিখ, আমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি, বিশ্বকবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই থেকে ২২ শ্রাবণ বাঙালির জন্য শুধু এক প্রাকৃতিক ঋতুর উপলব্ধি নয়—এ এক স্মরণ,
৬ দিন আগেযুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামটি বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক ইতিহাসভিত্তিক জাদুঘর। এটি উদ্বোধন করা হয় ১৮৮১ সালে। ১৭৫৩ সালের দিকে বিজ্ঞানী স্যার হ্যান্স স্লোয়েনের সংগ্রহ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় ব্রিটিশ মিউজিয়ামের। ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম ছিল ব্রিটিশ মিউজিয়ামেরই অংশ।
৭ দিন আগে