সম্পাদকীয়
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম মারা গিয়েছিলেন ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট। ১০টা ১০ মিনিটে তিনি যখন মারা যান, তখন তাঁর শয্যাপাশে ছিলেন ড. রফিকুল ইসলাম। সময়টা জানা হয়ে গেল এ কারণে যে, ডা. নুরুল ইসলাম কবির ইন্তেকালের সময়টি লিপিবদ্ধ করে রাখতে বলেছিলেন রফিকুল ইসলামকে।
এরপর রফিকুল ইসলাম চিকিৎসক নুরুল ইসলামের পরামর্শেই রেডিও আর টেলিভিশনে জানিয়েছিলেন কবির মৃত্যুসংবাদ। কবিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে কীভাবে মানুষের ঢল নেমেছিল, সে কথা সে সময় ঢাকায় উপস্থিত মানুষমাত্রেই জানেন।
রেডিও আর টেলিভিশন কবির মৃত্যুসংবাদ প্রচার করে তাদের নিয়মিত অনুষ্ঠান বাদ রেখে কোরআন তিলাওয়াত প্রচার করতে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ প্রাঙ্গণে কবির দাফনের পর রফিকুল ইসলাম বাড়ি ফিরলেন সন্ধ্যায়। বাড়ি পৌঁছেই পেলেন মুস্তাফা মনোয়ারের ফোন। নজরুলকে নিয়ে একটা বিশেষ অনুষ্ঠানের কথা ভাবা হয়েছে টেলিভিশনে। সেই অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করবেন রফিকুল ইসলাম। টেলিভিশন ভবনে যাওয়ার পর রফিকুল ইসলাম বুঝলেন, এ বড় কঠিন কাজ। ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে নজরুলকে নিয়ে বলতে থাকবেন তিনি, আর এই ফাঁকে শিল্পী ও আলোচকেরা আসবেন একের পর এক, মুস্তাফা মনোয়ার তাঁদের ঢুকিয়ে দেবেন স্টুডিওতে। তাঁরা গান গেয়ে বা কথা বলে বেরিয়ে যাবেন, রফিকুল ইসলাম আবার কথা বলবেন।
সেই অনুষ্ঠানে এসে কথা বলেছিলেন শামসুর রাহমান, আনিসুজ্জামান, মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান প্রমুখ। সব শিল্পীই গেয়েছিলেন একটি করে গান, শুধু ফিরোজা বেগম গেয়েছিলেন দুটি গান। যাঁরা সেদিন গান করেছেন বা কবিতা পাঠ করেছেন, তাঁদের চোখ ছিল অশ্রুসজল। আবেগে আপ্লুত হয়ে তাঁরা অংশ নিয়েছিলেন সে অনুষ্ঠানে। অধিবেশনের শেষ পর্যন্ত চলেছিল সে অনুষ্ঠান। গোলাম মুস্তাফা আবৃত্তি করতে গিয়ে প্রচণ্ড আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন। ফেরদৌসী রহমান গেয়েছিলেন ‘ফুলের জলসায় নীরব কেন কবি’।
সূত্র: রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ টেলিভিশনের ২৫ বছর, পৃষ্ঠা ৪৭-৪৮
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম মারা গিয়েছিলেন ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট। ১০টা ১০ মিনিটে তিনি যখন মারা যান, তখন তাঁর শয্যাপাশে ছিলেন ড. রফিকুল ইসলাম। সময়টা জানা হয়ে গেল এ কারণে যে, ডা. নুরুল ইসলাম কবির ইন্তেকালের সময়টি লিপিবদ্ধ করে রাখতে বলেছিলেন রফিকুল ইসলামকে।
এরপর রফিকুল ইসলাম চিকিৎসক নুরুল ইসলামের পরামর্শেই রেডিও আর টেলিভিশনে জানিয়েছিলেন কবির মৃত্যুসংবাদ। কবিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে কীভাবে মানুষের ঢল নেমেছিল, সে কথা সে সময় ঢাকায় উপস্থিত মানুষমাত্রেই জানেন।
রেডিও আর টেলিভিশন কবির মৃত্যুসংবাদ প্রচার করে তাদের নিয়মিত অনুষ্ঠান বাদ রেখে কোরআন তিলাওয়াত প্রচার করতে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ প্রাঙ্গণে কবির দাফনের পর রফিকুল ইসলাম বাড়ি ফিরলেন সন্ধ্যায়। বাড়ি পৌঁছেই পেলেন মুস্তাফা মনোয়ারের ফোন। নজরুলকে নিয়ে একটা বিশেষ অনুষ্ঠানের কথা ভাবা হয়েছে টেলিভিশনে। সেই অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করবেন রফিকুল ইসলাম। টেলিভিশন ভবনে যাওয়ার পর রফিকুল ইসলাম বুঝলেন, এ বড় কঠিন কাজ। ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে নজরুলকে নিয়ে বলতে থাকবেন তিনি, আর এই ফাঁকে শিল্পী ও আলোচকেরা আসবেন একের পর এক, মুস্তাফা মনোয়ার তাঁদের ঢুকিয়ে দেবেন স্টুডিওতে। তাঁরা গান গেয়ে বা কথা বলে বেরিয়ে যাবেন, রফিকুল ইসলাম আবার কথা বলবেন।
সেই অনুষ্ঠানে এসে কথা বলেছিলেন শামসুর রাহমান, আনিসুজ্জামান, মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান প্রমুখ। সব শিল্পীই গেয়েছিলেন একটি করে গান, শুধু ফিরোজা বেগম গেয়েছিলেন দুটি গান। যাঁরা সেদিন গান করেছেন বা কবিতা পাঠ করেছেন, তাঁদের চোখ ছিল অশ্রুসজল। আবেগে আপ্লুত হয়ে তাঁরা অংশ নিয়েছিলেন সে অনুষ্ঠানে। অধিবেশনের শেষ পর্যন্ত চলেছিল সে অনুষ্ঠান। গোলাম মুস্তাফা আবৃত্তি করতে গিয়ে প্রচণ্ড আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন। ফেরদৌসী রহমান গেয়েছিলেন ‘ফুলের জলসায় নীরব কেন কবি’।
সূত্র: রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ টেলিভিশনের ২৫ বছর, পৃষ্ঠা ৪৭-৪৮
বিশ্বখ্যাত ইংরেজি ভাষার অভিধান কেমব্রিজ ডিকশনারিতে এ বছর যুক্ত হয়েছে ৬ হাজারের বেশি নতুন শব্দ। যার বেশির ভাগই জেন-জি’দের। এসব শব্দের মধ্যে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবহৃত স্ল্যাং বা অমার্জিত শব্দ যেমন ‘স্কিবিডি’, ‘ট্র্যাডওয়াইফ’, ‘ব্রোলিগার্কি’ এবং ‘ডেলুলু’ রয়েছে।
১ দিন আগেগত বছরের ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনীতির ময়দান বেশ টানটান। সংস্কার আর নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। নেই দম ফেলার দুদণ্ড ফুরসত। কোনো কোনো উপদেষ্টাকে ভোররাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দেশের সর্বকনিষ্ঠ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও।
৫ দিন আগেযতীন স্যারকে নিয়ে কথা বলতে বসলে মনে হয়, কথাগুলো শুধু লেখা নয়—এ যেন হৃদয়ের ভেতরের কিছু টুকরো তুলে ধরা। দুপুরে হঠাৎ এক সুহৃদ ফোন করে বলল, ‘শুনেছ? যতীন স্যার নেই!’—মুহূর্তেই আমার বুক কেঁপে উঠল। মনে হলো, জীবনের এক অমূল্য আশ্রয় হঠাৎ হারিয়ে ফেলেছি।
৬ দিন আগেএকটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
৮ দিন আগে