সম্পাদকীয়
...সাধারণ মানুষের অসীম দুঃখ-দুর্দশা আর বুর্জোয়া শাসকশ্রেণির অন্তর্গত কুৎসিত ক্ষমতালিপ্সা ও প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনীতি উচ্ছেদ করার নির্মম কর্মকাণ্ড দেখার পর, যেকোনো পরিণত কিশোর কোনো না কোনো প্রগতিশীল বামপন্থী রাজনৈতিক ভাবাদর্শের প্রতি আকৃষ্ট হবে—সমসাময়িক কালে সেটাই নিতান্ত স্বাভাবিক ছিল। আমিও চিন্তা-চেতনায় বাঁ দিকে ঝুঁকে পড়লাম। কেনই-বা নয়। সারা দেশে, এমনকি সারা পৃথিবীতে একটি শোষণ-নিপীড়নহীন সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা পাবে, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সব মানুষ আপন আপন অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে আপন প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পাবে, নিত্যদিনের জীবনযাপনের ভার বইয়ে ন্যুব্জ হয়ে পড়া ‘ব্যক্তি’ মানুষগুলো সমাজ ও রাষ্ট্রের উদ্দীপ্ত সহযোগিতায় জীবনের ভার লাঘব করে সৃষ্টিশীল জীবনযাপনের সুযোগ লাভ করবে—বামপন্থী ভাবাদর্শপ্রসূত এইসব রাজনৈতিক স্বপ্ন দিয়ে উদ্বুদ্ধ না হওয়ার তো কোনো কারণ ছিল না।
তবে আমার ক্ষেত্রে প্রগতিশীল বামপন্থী রাজনৈতিক ভাবাদর্শে আকৃষ্ট হওয়ার নির্ধারণী প্রণোদনা আসে যতটা না প্রায়োগিক রাজনীতির ক্লেদাক্ত ও কুৎসিত রূপ দেখার অভিজ্ঞতা থেকে, তার চেয়ে বেশি বরং নিজস্ব পঠন-পাঠনজাত বুদ্ধিবৃত্তিক উপলব্ধি থেকে। বৈশ্বিক রাজনীতির সামান্য পাঠ, দেশি-বিদেশি চিরায়ত সাহিত্যে খানিকটা বিচরণ, আর রাজনৈতিক দর্শনের কিঞ্চিৎ অধ্যয়ন আমার ভেতর একধরনের প্রাথমিক উপলব্ধি জাগ্রত করেছিল যে, শাসক-বুর্জোয়া তার রাজনীতির দৃশ্যমান কুৎসিত রূপ লুকিয়ে শেষ পর্যন্ত একটা কৃত্রিম সুশীল অবয়ব দিতে সক্ষম হলেও, যা পৃথিবীর বহু দেশে বেশ খানিকটা সম্ভব হয়েছে, সে রাজনীতি সমাজের সকল শ্রেণির গণতান্ত্রিক মুক্তি নিশ্চিত করতে অন্তর্গতভাবেই অক্ষম।
এটা ছিল আমার তাত্ত্বিক উপলব্ধি। ফলে বুর্জোয়া রাজনীতির বিপরীতে প্রগতিশীল বাম ধারার রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট হওয়া এবং তা বাস্তবায়নে সক্রিয় হওয়া আমার জন্য যেন অনিবার্য হয়ে উঠেছিল।
... আমার বিশ্বাস জন্মেছিল যে, যা কালক্রমে অন্তত নিজের কাছে অভ্রান্ত প্রমাণ হয়েছে, ভিন্ন ইতিহাসের ধারায় বিকশিত ভিন্ন কোনো দেশের বিপ্লবী মডেল অনুকরণ করে, কিংবা ভিন্ন কোনো দেশের রাজনৈতিক প্রেসক্রিপশন অনুসরণ করে, অন্য দেশে কোনো সফল বিপ্লব হতে পারে না। ফলে বাম ধারার প্রগতিশীল রাজনৈতিক ভাবাদর্শের প্রতি আকৃষ্ট থেকেও আমি বিবদমান মস্কো কিংবা পিকিংপন্থী শিবিরে ভিড়ে যাওয়ার কোনো আগ্রহ বোধ করিনি।
সূত্র: কথকতা, নূরুল কবীর, পৃষ্ঠা-২৫
...সাধারণ মানুষের অসীম দুঃখ-দুর্দশা আর বুর্জোয়া শাসকশ্রেণির অন্তর্গত কুৎসিত ক্ষমতালিপ্সা ও প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনীতি উচ্ছেদ করার নির্মম কর্মকাণ্ড দেখার পর, যেকোনো পরিণত কিশোর কোনো না কোনো প্রগতিশীল বামপন্থী রাজনৈতিক ভাবাদর্শের প্রতি আকৃষ্ট হবে—সমসাময়িক কালে সেটাই নিতান্ত স্বাভাবিক ছিল। আমিও চিন্তা-চেতনায় বাঁ দিকে ঝুঁকে পড়লাম। কেনই-বা নয়। সারা দেশে, এমনকি সারা পৃথিবীতে একটি শোষণ-নিপীড়নহীন সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা পাবে, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সব মানুষ আপন আপন অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে আপন প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পাবে, নিত্যদিনের জীবনযাপনের ভার বইয়ে ন্যুব্জ হয়ে পড়া ‘ব্যক্তি’ মানুষগুলো সমাজ ও রাষ্ট্রের উদ্দীপ্ত সহযোগিতায় জীবনের ভার লাঘব করে সৃষ্টিশীল জীবনযাপনের সুযোগ লাভ করবে—বামপন্থী ভাবাদর্শপ্রসূত এইসব রাজনৈতিক স্বপ্ন দিয়ে উদ্বুদ্ধ না হওয়ার তো কোনো কারণ ছিল না।
তবে আমার ক্ষেত্রে প্রগতিশীল বামপন্থী রাজনৈতিক ভাবাদর্শে আকৃষ্ট হওয়ার নির্ধারণী প্রণোদনা আসে যতটা না প্রায়োগিক রাজনীতির ক্লেদাক্ত ও কুৎসিত রূপ দেখার অভিজ্ঞতা থেকে, তার চেয়ে বেশি বরং নিজস্ব পঠন-পাঠনজাত বুদ্ধিবৃত্তিক উপলব্ধি থেকে। বৈশ্বিক রাজনীতির সামান্য পাঠ, দেশি-বিদেশি চিরায়ত সাহিত্যে খানিকটা বিচরণ, আর রাজনৈতিক দর্শনের কিঞ্চিৎ অধ্যয়ন আমার ভেতর একধরনের প্রাথমিক উপলব্ধি জাগ্রত করেছিল যে, শাসক-বুর্জোয়া তার রাজনীতির দৃশ্যমান কুৎসিত রূপ লুকিয়ে শেষ পর্যন্ত একটা কৃত্রিম সুশীল অবয়ব দিতে সক্ষম হলেও, যা পৃথিবীর বহু দেশে বেশ খানিকটা সম্ভব হয়েছে, সে রাজনীতি সমাজের সকল শ্রেণির গণতান্ত্রিক মুক্তি নিশ্চিত করতে অন্তর্গতভাবেই অক্ষম।
এটা ছিল আমার তাত্ত্বিক উপলব্ধি। ফলে বুর্জোয়া রাজনীতির বিপরীতে প্রগতিশীল বাম ধারার রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট হওয়া এবং তা বাস্তবায়নে সক্রিয় হওয়া আমার জন্য যেন অনিবার্য হয়ে উঠেছিল।
... আমার বিশ্বাস জন্মেছিল যে, যা কালক্রমে অন্তত নিজের কাছে অভ্রান্ত প্রমাণ হয়েছে, ভিন্ন ইতিহাসের ধারায় বিকশিত ভিন্ন কোনো দেশের বিপ্লবী মডেল অনুকরণ করে, কিংবা ভিন্ন কোনো দেশের রাজনৈতিক প্রেসক্রিপশন অনুসরণ করে, অন্য দেশে কোনো সফল বিপ্লব হতে পারে না। ফলে বাম ধারার প্রগতিশীল রাজনৈতিক ভাবাদর্শের প্রতি আকৃষ্ট থেকেও আমি বিবদমান মস্কো কিংবা পিকিংপন্থী শিবিরে ভিড়ে যাওয়ার কোনো আগ্রহ বোধ করিনি।
সূত্র: কথকতা, নূরুল কবীর, পৃষ্ঠা-২৫
আমাদের এলাকায় ভাষা আন্দোলনের ধাক্কাটা তীব্রভাবে লাগলো। ভাষা আন্দোলনের একজন নেতা হলেন প্রিন্সিপাল কাশেম।... তারপরে ধরো এই কমিউনিস্ট আন্দোলন, আমাদের ওখানে তখন বড় বড় নেতা যেমন আহসাব উদ্দীন সাহেব, ওখানে মিটিং করতে আসতেন। সুধাংশু বিমল দত্তের বাড়ি আমাদের বাড়ি থেকে দু’মাইল তিন মাইল দূরে।
১ দিন আগেএটি একটি প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর, যা গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে অবস্থিত। এথেন্সের অ্যাক্রোপোলিস এলাকার প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে পাওয়া নিদর্শনগুলো নিয়েই এটি গড়ে উঠেছে। এই জাদুঘরটি নির্মিত হয়েছে অ্যাক্রোপোলিস শিলা এবং তার চারপাশের ঢাল থেকে সংগৃহীত প্রতিটি নিদর্শন সংরক্ষণের জন্য।
২ দিন আগে১৮৬২ সালের ২০ মে ওয়ারশে ন্যাশনাল মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথমে ‘মিউজিয়াম অব ফাইন আর্টস, ওয়ারশ’ নামে। ১৯১৬ সালে এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘ন্যাশনাল মিউজিয়াম, ওয়ারশ’। বর্তমানে সংগ্রহ রাখা আছে জেরুজালেম অ্যাভিনিউয়ে, স্থপতি তাদেউশ তোলভিনস্কির নকশায় নির্মিত ভবনে। নতুন ভবনটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন...
৭ দিন আগেহ্যাঁ, আমি ভেবেচিন্তেই ফিরে এলাম। ফিরে যে আসব, সে চিন্তা আমার সব সময়ই ছিল। [বিদেশে] থাকবার ইচ্ছা আমার কখনোই ছিল না। ওটা তো আমার কাজের জায়গা না। তা ছাড়া, আগেই বলেছি, বাচ্চাদের স্কুল নিয়ে আমার নানা রকম চিন্তা ছিল। বাচ্চাদের এবং গ্রামের সাধারণ মানুষের এসথেটিক সেন্স ডেভেলপ করবে, এ রকম একটা...
৮ দিন আগে