ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন
আমরা তিন বোন। বড় বোনের বিয়ে হয়েছে। আমার মাস্টার্স শেষ হয়েছে। ছোট বোন নবম শ্রেণিতে পড়ে। বাবা মারা গেছেন ১৩ বছর আগে। তখন থেকে ভাড়া বাসায় থাকি। চাচারা আমাদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়। মা অনেক কষ্ট করে বড় করেছেন। এখন মায়ের বয়স হয়েছে। তিনি অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। আমি দেশের বাইরে পড়তে যেতে চাই। ছোট বোনের লেখাপড়া বাকি। আমরা চাইলেও আমাদের বাবার বাড়িতে যেতে পারছি না। বাবার নামের জমিজমা থেকে কোনো ফসলও আমাদের দেওয়া হয় না। জমি কিংবা বাড়ির জন্য কীভাবে আমরা আইনি সহায়তা পেতে পারি?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, সাভার, ঢাকা
আপনার মৃত বাবার সম্পত্তিতে আপনার মা ও আপনাদের তিন বোনের অধিকার আছে। আমাদের দেশে একজন পূর্ণ বয়স্ক মুসলিম নারী—তিনি বিবাহিত হোন বা না হোন, সম্পদের মালিক হতে পারেন। মালিকানা হস্তান্তরও করতে পারেন। তাঁর মাতা-পিতার পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে ন্যায়সংগত অধিকার রয়েছে। উত্তরাধিকারে নারীর অধিকারের কথা সুস্পষ্টভাবে ধর্মীয় বিধানেও বলা আছে। যদি কোনো নারীর ভাই না থাকে, তাহলে তিনি (একা হলে) পিতার ত্যাজ্য সমুদয় সম্পত্তির অর্ধেক পাবেন। আর যদি তাঁরা দুই বোন বা ততোধিক হন এবং কোনো ভাই না থাকে, তাহলে তাঁরা পিতা/মাতার সমুদয় সম্পত্তির দুই-তৃতীয়াংশ পাবেন।
স্বামীর পরিত্যক্ত সম্পত্তিতেও রয়েছে নারীর অধিকার। ইসলামে স্বামীর সম্পত্তিতে স্ত্রীর অধিকার খুব মজবুতভাবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। যদি কারও স্বামীর মৃত্যু হয়, আর স্বামীর কোনো সন্তান না থাকে, তাহলে স্বামীর সমুদয় সম্পত্তির এক-চতুর্থাংশ পাবেন স্ত্রী। আর যদি স্বামীর সন্তান থাকে, তাহলে স্ত্রী পাবেন মোট সম্পদের ৮ ভাগের ১ ভাগ।
এ ক্ষেত্রে আপনার মা পাবেন ৮ ভাগের ১ ভাগ। তিন বোন ও আপনার মায়ের পর মৃত বাবার বাকি সম্পত্তি পাবেন আপনার চাচা ও ফুফুরা। দাদি বেঁচে থাকলে তিনিও পাবেন।
এখানে উল্লেখ্য, ইসলামে পরিবারের পুরুষ সদস্যদের যেমন সম্পত্তির অধিকার দেওয়া হয়েছে, তেমনি দায়িত্বও। কোনো ভাইয়ের যখন পুত্রসন্তান থাকে না, তখন ‘মৃত ব্যক্তির’ ভাইয়ের ‘মৃত ব্যক্তির সম্পত্তিতে’ যেমন অধিকার দেওয়া হয়েছে, তেমনই মৃত ব্যক্তির নাবালক সন্তানদের ভরণপোষণের এবং কন্যাসন্তানদের বিয়েশাদির খরচের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে।
আপনার চাচাদের প্রথমে উকিল নোটিশ পাঠাতে পারেন। অথবা আপস বণ্টন করে নিতে পারেন। এতে কাজ না হলে নিম্ন আদালতে মামলা করতে হবে।
পরামর্শ দিয়েছেন, ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন, অ্যাডভোকেট বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
আমরা তিন বোন। বড় বোনের বিয়ে হয়েছে। আমার মাস্টার্স শেষ হয়েছে। ছোট বোন নবম শ্রেণিতে পড়ে। বাবা মারা গেছেন ১৩ বছর আগে। তখন থেকে ভাড়া বাসায় থাকি। চাচারা আমাদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়। মা অনেক কষ্ট করে বড় করেছেন। এখন মায়ের বয়স হয়েছে। তিনি অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। আমি দেশের বাইরে পড়তে যেতে চাই। ছোট বোনের লেখাপড়া বাকি। আমরা চাইলেও আমাদের বাবার বাড়িতে যেতে পারছি না। বাবার নামের জমিজমা থেকে কোনো ফসলও আমাদের দেওয়া হয় না। জমি কিংবা বাড়ির জন্য কীভাবে আমরা আইনি সহায়তা পেতে পারি?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, সাভার, ঢাকা
আপনার মৃত বাবার সম্পত্তিতে আপনার মা ও আপনাদের তিন বোনের অধিকার আছে। আমাদের দেশে একজন পূর্ণ বয়স্ক মুসলিম নারী—তিনি বিবাহিত হোন বা না হোন, সম্পদের মালিক হতে পারেন। মালিকানা হস্তান্তরও করতে পারেন। তাঁর মাতা-পিতার পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে ন্যায়সংগত অধিকার রয়েছে। উত্তরাধিকারে নারীর অধিকারের কথা সুস্পষ্টভাবে ধর্মীয় বিধানেও বলা আছে। যদি কোনো নারীর ভাই না থাকে, তাহলে তিনি (একা হলে) পিতার ত্যাজ্য সমুদয় সম্পত্তির অর্ধেক পাবেন। আর যদি তাঁরা দুই বোন বা ততোধিক হন এবং কোনো ভাই না থাকে, তাহলে তাঁরা পিতা/মাতার সমুদয় সম্পত্তির দুই-তৃতীয়াংশ পাবেন।
স্বামীর পরিত্যক্ত সম্পত্তিতেও রয়েছে নারীর অধিকার। ইসলামে স্বামীর সম্পত্তিতে স্ত্রীর অধিকার খুব মজবুতভাবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। যদি কারও স্বামীর মৃত্যু হয়, আর স্বামীর কোনো সন্তান না থাকে, তাহলে স্বামীর সমুদয় সম্পত্তির এক-চতুর্থাংশ পাবেন স্ত্রী। আর যদি স্বামীর সন্তান থাকে, তাহলে স্ত্রী পাবেন মোট সম্পদের ৮ ভাগের ১ ভাগ।
এ ক্ষেত্রে আপনার মা পাবেন ৮ ভাগের ১ ভাগ। তিন বোন ও আপনার মায়ের পর মৃত বাবার বাকি সম্পত্তি পাবেন আপনার চাচা ও ফুফুরা। দাদি বেঁচে থাকলে তিনিও পাবেন।
এখানে উল্লেখ্য, ইসলামে পরিবারের পুরুষ সদস্যদের যেমন সম্পত্তির অধিকার দেওয়া হয়েছে, তেমনি দায়িত্বও। কোনো ভাইয়ের যখন পুত্রসন্তান থাকে না, তখন ‘মৃত ব্যক্তির’ ভাইয়ের ‘মৃত ব্যক্তির সম্পত্তিতে’ যেমন অধিকার দেওয়া হয়েছে, তেমনই মৃত ব্যক্তির নাবালক সন্তানদের ভরণপোষণের এবং কন্যাসন্তানদের বিয়েশাদির খরচের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে।
আপনার চাচাদের প্রথমে উকিল নোটিশ পাঠাতে পারেন। অথবা আপস বণ্টন করে নিতে পারেন। এতে কাজ না হলে নিম্ন আদালতে মামলা করতে হবে।
পরামর্শ দিয়েছেন, ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন, অ্যাডভোকেট বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
মানুষ স্বপ্নবাজ প্রাণী। যুদ্ধ ও সংঘাতময় পৃথিবীতে ভিটে চ্যুত মানুষও স্বপ্ন দেখে। এই স্বার্থ আর সংঘাতময় পৃথিবীতে মানুষ তার জীবনের চেয়েও বড়। নইলে বেঁচে থাকে কীভাবে! বিশ্ব শরণার্থী দিবসে তেমনি কিছু নারীর গল্প রইল, যাঁরা উদ্বাস্তু জীবনেও স্বপ্ন দেখেছেন জীবনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার।
২ দিন আগেকারও কোলে শিশুসন্তান, কেউ অন্তঃসত্ত্বা, কারও হাতে স্যালাইনের ক্যানুলা। চাকরি বাঁচাতে এই অবস্থায় ২১ দিন ধরে রাস্তায় আন্দোলন করছেন তাঁরা। করবেন নাই-বা কেন, তাঁদের কেউ সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি, কারও বেতনের টাকায় চলছে পরিবারের অসুস্থ সদস্যের চিকিৎসা; কেউ আবার বেতনের টাকায় সন্তানের জন্য...
৪ দিন আগেযুদ্ধের কারণে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তা, নিরাপত্তাহীনতা এবং দৈনন্দিন আতঙ্ক ইসরায়েলি নারীদের গভীরভাবে আচ্ছন্ন করে ফেলেছে। ইসরায়েলি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনে এমন তথ্যের আভাস পাওয়া গেছে।
৪ দিন আগেঅনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়ার সময় মাত্র ২০ হাজার টাকায় বোরকার ব্যবসা শুরু করেন। ডিজাইন, কাপড় সংগ্রহ, ডেলিভারি—সবই এক হাতে সামলাতেন তিনি। বর্তমানে ঢাকায় তাঁর দুটি শোরুম রয়েছে। বিনিয়োগের পরিমাণ বহু আগেই কয়েক কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। আমেরিকা, কানাডা, জাপান, সৌদি আরব, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে...
৪ দিন আগে