নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সমাজসেবক, নারীনেত্রী অধ্যাপক মাহফুজা খানম মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
পরিবারের সদস্যরা জানান, মাহফুজা খানম সকালে শরীরচর্চার জন্য বাসা থেকে বের হন। পথে অসুস্থ বোধ করলে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন খেলাঘরের চেয়ারম্যান মাহফুজা খানমের মৃত্যুতে কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের ফেসবুক পেজে আজ বিকেলে জানানো হয়, আগামীকাল বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন ও রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনার দেওয়া হবে মাহফুজা খানমকে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা হবে। এর আগে আজ বাদ আসর তাঁর প্রথম জানাজা তেজগাঁও কলেজ ছাত্রাবাস মসজিদে (ইন্দিরা রোডের বাসভবনের পাশে) অনুষ্ঠিত হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মাহফুজা খানমের ছেলে আইনজীবী মাহবুব শফিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আগামীকাল সকাল ১০টায় শহীদ মিনার এবং ১১টায় ডাকসুতে নেওয়া হবে মাহফুজা খানমের মরদেহ। এরপর জানাজা শেষে আজিমপুর কররস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।’
মাহফুজা খানম ১৯৪৬ সালের ১৪ এপ্রিল কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৬-৬৭ ডাকসু নির্বাচনে ছাত্র ইউনিয়নের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি ভিপি নির্বাচিত হন। এখন পর্যন্ত ডাকসুর একমাত্র নারী ভিপি তিনি।
মাহফুজা খানম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৯৬৬ সালে স্নাতক ও পরের বছর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ১৯৬৮ সালে লন্ডনের সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি পেলেও রাজনৈতিক কারণে তখন তাঁকে পাসপোর্ট দেয়নি পাকিস্তান সরকার।
কর্মজীবনে তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দীর্ঘদিন বিভিন্ন সরকারি কলেজে শিক্ষকতায় নিযুক্ত থাকা অধ্যাপক মাহফুজা খানম এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্যও ছিলেন।
মাহফুজা খানম ১৯৬৯ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি প্রখ্যাত আইনজীবী ও সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদকে বিয়ে করেন। তাঁদের ঘরে দুই ছেলে ও এক মেয়েসন্তান রয়েছেন। শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২০২১ সালে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদক লাভ করেন তিনি।
মাহফুজা খানমের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। সংস্থার চেয়ারপারসন জেড আই খান পান্না স্বাক্ষরিত শোকবার্তায় বলা হয়, নারী শিক্ষা ও নারী ক্ষমতায়নে তাঁর (মাহফুজা খানমের) অবদান অতুলনীয়। তিনি মুক্তিযুদ্ধের প্রজ্বলিত চেতনায় ভরপুর ছিলেন, যা তাঁর জীবন ও কর্মে পরিলক্ষিত হয়েছে। তিনি মানবাধিকার, নারী ক্ষমতায়ন ও সমাজ উন্নয়নে কাজ করা বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গেও নিবিড়ভাবে যুক্ত ছিলেন। তাঁর ত্যাগ, কর্ম ও ব্যক্তিত্ব দেশের শিক্ষার উন্নয়ন ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে থাকবে। তাঁর মৃত্যুতে জাতি একজন শিক্ষাবিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সমাজসেবককে হারিয়েছে।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সমাজসেবক, নারীনেত্রী অধ্যাপক মাহফুজা খানম মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
পরিবারের সদস্যরা জানান, মাহফুজা খানম সকালে শরীরচর্চার জন্য বাসা থেকে বের হন। পথে অসুস্থ বোধ করলে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন খেলাঘরের চেয়ারম্যান মাহফুজা খানমের মৃত্যুতে কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের ফেসবুক পেজে আজ বিকেলে জানানো হয়, আগামীকাল বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন ও রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনার দেওয়া হবে মাহফুজা খানমকে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা হবে। এর আগে আজ বাদ আসর তাঁর প্রথম জানাজা তেজগাঁও কলেজ ছাত্রাবাস মসজিদে (ইন্দিরা রোডের বাসভবনের পাশে) অনুষ্ঠিত হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মাহফুজা খানমের ছেলে আইনজীবী মাহবুব শফিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আগামীকাল সকাল ১০টায় শহীদ মিনার এবং ১১টায় ডাকসুতে নেওয়া হবে মাহফুজা খানমের মরদেহ। এরপর জানাজা শেষে আজিমপুর কররস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।’
মাহফুজা খানম ১৯৪৬ সালের ১৪ এপ্রিল কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৬-৬৭ ডাকসু নির্বাচনে ছাত্র ইউনিয়নের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি ভিপি নির্বাচিত হন। এখন পর্যন্ত ডাকসুর একমাত্র নারী ভিপি তিনি।
মাহফুজা খানম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৯৬৬ সালে স্নাতক ও পরের বছর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ১৯৬৮ সালে লন্ডনের সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি পেলেও রাজনৈতিক কারণে তখন তাঁকে পাসপোর্ট দেয়নি পাকিস্তান সরকার।
কর্মজীবনে তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দীর্ঘদিন বিভিন্ন সরকারি কলেজে শিক্ষকতায় নিযুক্ত থাকা অধ্যাপক মাহফুজা খানম এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্যও ছিলেন।
মাহফুজা খানম ১৯৬৯ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি প্রখ্যাত আইনজীবী ও সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদকে বিয়ে করেন। তাঁদের ঘরে দুই ছেলে ও এক মেয়েসন্তান রয়েছেন। শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২০২১ সালে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদক লাভ করেন তিনি।
মাহফুজা খানমের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। সংস্থার চেয়ারপারসন জেড আই খান পান্না স্বাক্ষরিত শোকবার্তায় বলা হয়, নারী শিক্ষা ও নারী ক্ষমতায়নে তাঁর (মাহফুজা খানমের) অবদান অতুলনীয়। তিনি মুক্তিযুদ্ধের প্রজ্বলিত চেতনায় ভরপুর ছিলেন, যা তাঁর জীবন ও কর্মে পরিলক্ষিত হয়েছে। তিনি মানবাধিকার, নারী ক্ষমতায়ন ও সমাজ উন্নয়নে কাজ করা বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গেও নিবিড়ভাবে যুক্ত ছিলেন। তাঁর ত্যাগ, কর্ম ও ব্যক্তিত্ব দেশের শিক্ষার উন্নয়ন ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে থাকবে। তাঁর মৃত্যুতে জাতি একজন শিক্ষাবিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সমাজসেবককে হারিয়েছে।
২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ক্রিস্ট্রুন মজল ফ্রস্টাডোত্তির। ৩৬ বছর বয়সে তিনি আইসল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এদিকে নিজের দেশ থেকে নির্বাসিত হয়ে দেশে ফিরে দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন নামিবিয়ার সাবেক
৩ দিন আগেআমি এইচএসসি পরীক্ষার্থী। আমার বাবা-মা প্রায় চার বছর ধরে আলাদা থাকছেন। বাবা একাধিক নারীতে আসক্ত ছিলেন। সে কারণে মাকে মারধর করতেন। শেষমেশ মা বাড়ি ছেড়ে চলে আসেন। এর পর থেকে বাবা আমার খরচ দেওয়া বন্ধ করে দেন। তবে কখনো কখনো পারিবারিক চাপের কারণে কিছু দেন, আবার বন্ধ করে দেন।
৩ দিন আগেতার কোনো সাম্রাজ্য নেই, রাজপ্রাসাদ নেই। কখনো স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটারি ল্যাট্রিন বানানো, কখনো বিশুদ্ধ পানির প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি, কখনো ইভ টিজিং, বাল্যবিবাহ, যৌতুক প্রথা বন্ধসহ বিভিন্ন বিষয়ে সতর্কতা গড়ে তোলাতেই তার আগ্রহ বেশি। মেয়েটির নাম মীনা। আমরা জানি না মীনার বয়স কত, তার বাড়ি কোথায়। কোথায় সেই
৩ দিন আগেদক্ষিণ আফ্রিকার সমাজকর্মী, রাজনীতিবিদ ও বর্ণবাদবিরোধী সংগ্রামের নেত্রী উইনি ম্যান্ডেলা। তিনি ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবৈষম্যবিরোধী সংগ্রামের এক কিংবদন্তি চরিত্র। তিনি নেলসন ম্যান্ডেলার দ্বিতীয় স্ত্রী। যখন ম্যান্ডেলা প্রায় ২৭ বছর কারাবন্দী ছিলেন, তখন উইনি বাইরে থেকে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
৩ দিন আগে