Ajker Patrika

সৌদি দুই বোনের পচনশীল স্যানিটারি প্যাড রপ্তানি হচ্ছে আরবজুড়ে

আপডেট : ০৪ আগস্ট ২০২৩, ১৪: ৪৯
সৌদি দুই বোনের পচনশীল স্যানিটারি প্যাড রপ্তানি হচ্ছে আরবজুড়ে

সৌদি আরবের বাজারে প্রথম নারীদের জন্য প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি স্বাস্থ্যসম্মত ও পচনশীল স্যানিটারি প্যাড এসেছে। অর্থাৎ ব্যবহারের পর এই প্যাড ফেলে দিলে তা মাটির সঙ্গে মিশে যাবে, পরিবেশের ক্ষতি করবে না। এই উদ্ভাবনের কৃতিত্ব সৌদি দুই বোন নোরা ও যোউদ অ্যালোরনির। তাঁরা নিজেরা কোম্পানি খুলে এই পণ্য তৈরি করেছেন। আরব নিউজের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  

নোরা অ্যালোরনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রে থাকার সময় তাঁরা দুই বোন গবেষণা করে দেখেন, অন্যগুলোর তুলনায় বায়োডিগ্রেডেবল বা পচনশীল স্যানিটারি প্যাড নারীদের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ইতিবাচক। সৌদি আরবের বাজারে নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পরিবেশবান্ধব পণ্যের অভাব রয়েছে।

ওমেন এনভায়রনমেন্টাল নেটওয়ার্কের মতে, সেনিটারি প্যাড মাত্র একবার ব্যবহারযোগ্য হওয়ায় এই জিনিস থেকে বিশ্বজুড়ে প্রায় ২ লাখ টন বর্জ্য তৈরি হয়। এক্ষেত্রে পচনশীল প্যাড বড় সমাধান হতে পারে। সৌদি দুই বোনের তৈরি এই প্যাডে কোনো প্লাস্টিক নেই, মোড়কসহ পুরোটাই পচনশলী উপকরণ দিয়ে তৈরি। পরীক্ষামূলক ব্যবহারে দেখা গেছে, প্যাডটি অন্যান্য সাধারণ প্যাডের চেয়ে বেশি শোষণক্ষমতা সম্পন্ন।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন বলছে, কৃত্রিম স্যানিটারি প্যাড ব্যবহারের ফলে নারীদের মাসিক অনিয়মিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এ ছাড়া বিষাক্ত ও ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ যেমন—মিথাইলিন ক্লোরাইড, টলুইন ও জাইলিনের সংস্পর্শে নারীর প্রজনন স্বাস্থ্যে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।

পচনশীল এই প্যাডে প্রাকৃতিক উপায়ে সংগৃহীত তুলা ব্যবহার করা হয়েছে, যা ক্লোরিন ব্লিচিং, কীটনাশক, সুগন্ধিমুক্ত। খাদ্যে ব্যবহারের উপযোগী আঠা এবং অত্যাধিক শোষণক্ষমতাসম্পন্ন পলিমার ব্যবহার করা হয়েছে। নোরা ও যোউদের তৈরি এই প্যাড ২১৫ ঘণ্টায় মাটিতে মিশে যাবে।

এই প্যাড তৈরির জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন কোম্পানির দ্বারস্থ হয়েছিলেন, কিন্তু কাঙ্ক্ষিত সাড়া না পেয়ে দুই বোন নিজেরাই পণ্যটি তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। বেশ কয়েক মাস ধরে চেষ্টার ফলে তাঁরা তা তৈরি করতে সক্ষম হন। পণ্যটি উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলোতে রপ্তানি হচ্ছে।

এই সেনিটারি প্যাড নিয়ে নোরা বলেন, ‘জৈব বনাম অজৈব প্যাডের পার্থক্য নিয়ে সচেতনতা বাড়ছে। বেশিসংখ্যক নারী পরিবর্তনের দিকে ঝুঁকতে শুরু করছেন। আমরা ভালো প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি। আমি মনে করি, এটা আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত