Ajker Patrika

মায়ের জন্য দিবস, মায়ের হচ্ছে কই

কাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মা দিবসের প্রতিপাদ্য একই। ১১ মে পালন হতে যাওয়া মা দিবস ব্যক্তিবিশেষে একেকজনের কাছে একেক রকম অর্থ বহন করবে। অনেকের জন্য সেটি হবে ভালোবাসা, উষ্ণতা ও উদ্‌যাপনের দিন। আবার কারও জন্য সেটি উপহার ও ফুলের মাধ্যমে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের একটি সুযোগ। কিন্তু পৃথিবীর অনেক দেশের মানুষ কোনো দিবস পালন করার মতো অবস্থায় নেই। তাদের জীবনে নেমে আসা অন্ধকার ঢেকে দিয়েছে তাদের বেঁচে থাকার ইচ্ছাটাই। তেমন দেশগুলোর মধ্যে ফিলিস্তিন অন্যতম।

গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার ৯ মাস পর্যন্ত সেখানে ৫০ হাজার শিশুর জন্ম হয়েছে বলে জানা গেছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই গণহত্যা থেমে থেমে চলছে এখন পর্যন্ত। মানুষ মারার অত্যাধুনিক যন্ত্রগুলো না থামলেও থেমে যায় জীবন। বেঁচে থাকা মানুষগুলোর জীবন চলছে খুঁড়িয়ে। সেসব লোকের জীবনে নেই কোনো আড়ম্বর, কোনো দিবস কিংবা উৎসব। একটি দিন বেঁচে থাকাটাই তাদের কাছে সবকিছু।

মা দিবসের উদ্দেশ্য মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। এটি একটি বিশেষ দিন, যখন সন্তানেরা মাকে বিশেষভাবে সম্মান ও ভালোবাসা জানায়। গাজা কিংবা ফিলিস্তিনের মতো জায়গাগুলোতে হাজার হাজার মা শূন্য হাতে বসে মৃত্যুর দিন গুনছেন। হাজার হাজার শিশুর কান্না থেমে গেছে মায়ের মৃত্যুশোকে। অনেক মা তাঁর সন্তানকে দেখাতে পারেননি দুনিয়ার আলো। অনেকে নিজের নাড়িছেঁড়া সন্তানকে পৃথিবীর বুকে নিয়ে এসেছেন, যারা মিসাইলের আলো দেখে বড় হচ্ছে প্রতিনিয়ত মৃত্যুর আশঙ্কা মাথায় নিয়ে।

আফগানিস্তানের বদাখশানের কুরান ও মুন্জান জেলায় যখন একজন নারীর প্রসববেদনা তীব্র হয়, তখন কোনো অ্যাম্বুলেন্স সেখানে উপস্থিত হয় না। তাঁদের পাশে থাকে কেবল পরিবারের সদস্য এবং গ্রামের একজন বয়স্ক অভিজ্ঞ ধাই।

এই ভয় একজন জীবিত মাকে তিল তিল করে মেরে ফেলে ফিলিস্তিন কিংবা গাজার মাটিতে।

এবার বলি এমন এক দেশের কথা, যেখানে নারীর অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাচ্ছে দিনে দিনে। যেখানে নারীর জন্ম সত্যিই আজন্ম পাপ। দেশটির নাম আফগানিস্তান। সে দেশে আজও সন্তান প্রসব এক নারীর জীবনে আনন্দের নয়, বরং আতঙ্কের অভিজ্ঞতা হয়ে দাঁড়ায়। আফগানিস্তানের বদাখশানের কুরান ও মুন্জান জেলায় যখন একজন নারীর প্রসববেদনা তীব্র হয়, তখন কোনো অ্যাম্বুলেন্স সেখানে উপস্থিত হয় না। তাঁদের পাশে থাকে কেবল পরিবারের সদস্য এবং গ্রামের একজন বয়স্ক অভিজ্ঞ ধাই। তাঁদের এই অবস্থার দায় একা তালেবান সরকারের নয়। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, তালেবান শাসন বা আগের সরকারের আমলেও কেউ এই মানুষগুলোকে নিয়ে ভাবেনি। তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁরা শুধু প্রার্থনা আর লাশ দাফন করতে পারেন। মা বা শিশুর মৃত্যু সেখানে স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে গেছে। এমন জায়গাগুলোতে অন্তঃসত্ত্বা নারী একেবারে জীবনের দ্বারপ্রান্তে উপস্থিত হলে নেওয়া হয় হাসপাতালে। যে পথে তাঁকে নেওয়া হয়, তার অবস্থাও শোচনীয়। প্রসবকালীন ঝুঁকির কথা উল্লেখ করলেও পরিবার সেদিকে কোনো নজর দেয় না। অথচ বেঁচে থাকলে সেই সন্তানের সব দেখভাল ও কাজের দায়ভার নিতে হয় তাঁর মাকে। সে বেলা একচুলও ছাড় দেয় না কেউ।

সূত্র: রুখসানা মিডিয়া, সেভ দ্য চিলড্রেন

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

অপারেশন সিন্দুর ঘিরে আলোচিত কে এই কর্নেল সোফিয়া কুরেশি

পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে ‘প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের’ নির্দেশ

কাশ্মীরে বিধ্বস্ত বিমানের অংশবিশেষ ফরাসি কোম্পানির তৈরি, হতে পারে রাফাল

সীমান্তে সাদা পতাকা উড়িয়ে আত্মসমর্পণের ইঙ্গিত দিয়েছে ভারত: পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী

পাকিস্তানে হামলায় ‘লোইটারিং মিউনিশনস’ ব্যবহারের দাবি ভারতের, এটি কীভাবে কাজ করে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত