অরণ্য সৌরভ, ঢাকা
পিরোজপুরে জন্ম হলেও বাবার চাকরির সুবাদে ছোটবেলা কাটিয়েছেন ভোলায়। কুমিল্লায় আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে যেতেন। সেখানে প্রথম খাদি কাপড় দেখেন তিনি। দেখেই ভালো লেগে যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ইচ্ছে জাগে খাদি কাপড় দিয়ে পোশাক তৈরির। কিন্তু পড়াশোনার ব্যস্ততায় ইচ্ছেটা বেশি দূর এগোতে পারেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাট চুকিয়ে দুই বছর চাকরি করেন তিনি। কিন্তু অফিসের কাজে নতুনত্ব না থাকায় সেখানেও আরাম পাচ্ছিলেন না। তাই চাকরি ছেড়ে পুরোনো ইচ্ছেকে প্রাধান্য দিয়ে খাদির পোশাক তৈরি ও নকশা শুরু করেন। তারপর সেগুলো অনলাইনে বিক্রি করতে থাকেন। খাদি কাপড়ের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা থেকে পেজের নাম রাখেন ‘খাদি’।
এ গল্পটি ফাতেমা তুজ জোহরা নুভিয়ার। তিনি ‘খাদি’ নামে ব্যাপক জনপ্রিয় অনলাইনভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী ও নকশাকার। নুভিয়া বলেন, ‘কোনো কাজ শুরু করা অনেক চ্যালেঞ্জের বিষয়। উদ্যোক্তা হওয়ার পথটা অনেক পরিশ্রমের। খাদি কাপড়ের প্রতি ভালোবাসার জায়গা থেকে এ কাজ শুরু করেছি।’
ফাতেমা মণিপুর হাইস্কুল ও বিসিআইসি কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের পাট চুকিয়ে আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থাপত্য বিষয়ে স্নাতকোত্তর শেষ করেন। চাকরি করে জমানো এবং বাবার থেকে অল্প কিছু টাকা নিয়ে ২০১৮ সালের শেষ দিকে মাত্র ১৫ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করেন খাদির উদ্যোগ। এরপর তাঁকে আর থেমে থাকতে হয়নি। খাদির লভ্যাংশ থেকেই এখন চলছে নিত্যনতুন কাজ।
একজন নারী যখন চাকরি ছেড়ে ব্যবসা শুরু করেন, তখন তাঁকে শুনতে হয় অনেক ধরনের কথা। এই পরিস্থিতিতে বেশি প্রয়োজন আত্মবিশ্বাস ধরে রাখা। ফাতেমা তুজ জোহরা নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানিয়েছেন উদ্যোক্তা হওয়ার মূল সূত্র। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে কাজের পরিবেশ এখনো নারীবান্ধব বা নিরাপদ হয়ে ওঠেনি। তাই নারীদের বিভিন্ন সময় মোকাবিলা করতে হয় অনেক কিছু।
অনলাইনভিত্তিক উদ্যোগ বলেই বিনা পরিশ্রমে ঘরে বসে সবকিছু হয়ে যায় না। এর পেছনে যে ব্যাপক পরিশ্রম আছে, সেটা বুঝতে হবে।’
খাদির টিমে বর্তমানে ৩০ জন কাজ করছেন। তবে ব্যবসার কাঁচামাল সংগ্রহ, মান নিয়ন্ত্রণ ও নকশার কাজ ফাতেমা নিজেই করেন। তিনি লোকজ শিল্প, ফুল, পশুপাখির মোটিফ, সত্যজিৎ রায়ের বিভিন্ন চরিত্র, যেমন প্রফেসর শঙ্কু, গুপী গাইন বাঘা বাইন ও সন্দেশ পত্রিকার কম্পোজিশনের নকশা কাপড়ে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেন। খাদির মূল পণ্য শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, শাল, কুর্তি ইত্যাদি পোশাক। এর পাশাপাশি এ বছর থেকে প্রতিষ্ঠানটি ক্রেতাদের জন্য তৈরি করছে নোটবুক, গয়না, ব্যাগ, হোম ডেকোরের জিনিসপত্র।
স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন ফাতেমা তুজ জোহরা। তিনি খাদির কাজের পরিধি বাড়ানোর পাশাপাশি দেশীয় পণ্য নিয়ে আরও নতুন নতুন কাজ করতে চান। পাশাপাশি নিজের প্রতিষ্ঠানে আরও অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করাও তাঁর বড় স্বপ্ন।
পিরোজপুরে জন্ম হলেও বাবার চাকরির সুবাদে ছোটবেলা কাটিয়েছেন ভোলায়। কুমিল্লায় আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে যেতেন। সেখানে প্রথম খাদি কাপড় দেখেন তিনি। দেখেই ভালো লেগে যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ইচ্ছে জাগে খাদি কাপড় দিয়ে পোশাক তৈরির। কিন্তু পড়াশোনার ব্যস্ততায় ইচ্ছেটা বেশি দূর এগোতে পারেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাট চুকিয়ে দুই বছর চাকরি করেন তিনি। কিন্তু অফিসের কাজে নতুনত্ব না থাকায় সেখানেও আরাম পাচ্ছিলেন না। তাই চাকরি ছেড়ে পুরোনো ইচ্ছেকে প্রাধান্য দিয়ে খাদির পোশাক তৈরি ও নকশা শুরু করেন। তারপর সেগুলো অনলাইনে বিক্রি করতে থাকেন। খাদি কাপড়ের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা থেকে পেজের নাম রাখেন ‘খাদি’।
এ গল্পটি ফাতেমা তুজ জোহরা নুভিয়ার। তিনি ‘খাদি’ নামে ব্যাপক জনপ্রিয় অনলাইনভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী ও নকশাকার। নুভিয়া বলেন, ‘কোনো কাজ শুরু করা অনেক চ্যালেঞ্জের বিষয়। উদ্যোক্তা হওয়ার পথটা অনেক পরিশ্রমের। খাদি কাপড়ের প্রতি ভালোবাসার জায়গা থেকে এ কাজ শুরু করেছি।’
ফাতেমা মণিপুর হাইস্কুল ও বিসিআইসি কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের পাট চুকিয়ে আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থাপত্য বিষয়ে স্নাতকোত্তর শেষ করেন। চাকরি করে জমানো এবং বাবার থেকে অল্প কিছু টাকা নিয়ে ২০১৮ সালের শেষ দিকে মাত্র ১৫ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করেন খাদির উদ্যোগ। এরপর তাঁকে আর থেমে থাকতে হয়নি। খাদির লভ্যাংশ থেকেই এখন চলছে নিত্যনতুন কাজ।
একজন নারী যখন চাকরি ছেড়ে ব্যবসা শুরু করেন, তখন তাঁকে শুনতে হয় অনেক ধরনের কথা। এই পরিস্থিতিতে বেশি প্রয়োজন আত্মবিশ্বাস ধরে রাখা। ফাতেমা তুজ জোহরা নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানিয়েছেন উদ্যোক্তা হওয়ার মূল সূত্র। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে কাজের পরিবেশ এখনো নারীবান্ধব বা নিরাপদ হয়ে ওঠেনি। তাই নারীদের বিভিন্ন সময় মোকাবিলা করতে হয় অনেক কিছু।
অনলাইনভিত্তিক উদ্যোগ বলেই বিনা পরিশ্রমে ঘরে বসে সবকিছু হয়ে যায় না। এর পেছনে যে ব্যাপক পরিশ্রম আছে, সেটা বুঝতে হবে।’
খাদির টিমে বর্তমানে ৩০ জন কাজ করছেন। তবে ব্যবসার কাঁচামাল সংগ্রহ, মান নিয়ন্ত্রণ ও নকশার কাজ ফাতেমা নিজেই করেন। তিনি লোকজ শিল্প, ফুল, পশুপাখির মোটিফ, সত্যজিৎ রায়ের বিভিন্ন চরিত্র, যেমন প্রফেসর শঙ্কু, গুপী গাইন বাঘা বাইন ও সন্দেশ পত্রিকার কম্পোজিশনের নকশা কাপড়ে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেন। খাদির মূল পণ্য শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, শাল, কুর্তি ইত্যাদি পোশাক। এর পাশাপাশি এ বছর থেকে প্রতিষ্ঠানটি ক্রেতাদের জন্য তৈরি করছে নোটবুক, গয়না, ব্যাগ, হোম ডেকোরের জিনিসপত্র।
স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন ফাতেমা তুজ জোহরা। তিনি খাদির কাজের পরিধি বাড়ানোর পাশাপাশি দেশীয় পণ্য নিয়ে আরও নতুন নতুন কাজ করতে চান। পাশাপাশি নিজের প্রতিষ্ঠানে আরও অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করাও তাঁর বড় স্বপ্ন।
বান্দরবানের থানচিতে ৫ মে সকালে পাহাড়ের জুমখেতে ধান রোপণ করতে গিয়েছিলেন এক খেয়াং নারী। দুপুরে বাড়ি ফিরে ভাত খাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তিনি আর ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা বিকেলে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে নির্মাণাধীন থানচি-রেমাক্রি-লেইক্রি সড়কের পাশের একটি নালায় তাঁর লাশ খুঁজে
২ দিন আগেবাকি দুনিয়ার কাছে নাম না জানা কাবুলের এক সরু গলির ভেতর অখ্যাত এক স্কুলে সংগোপনে হয়ে গেল দুই দিনের এক প্রদর্শনী। কাবুল শুনেই বুঝতে পারছেন, সেখানে এসব প্রদর্শনী সরকারিভাবে নিষিদ্ধ। কিন্তু সেটি হয়ে গেল।
২ দিন আগেআমার মামারা মায়ের সম্পত্তি দিচ্ছেন না। দিই-দিচ্ছি করে ঘোরাচ্ছেন অনেক বছর ধরে। এই কাজ কীভাবে করা সম্ভব? মায়ের নামে জমি খারিজ করতে গেলে মামাদের এনআইডি লাগবে। কীভাবে সেটা বের করতে পারি?
২ দিন আগেশিশুরা ভালোভাবে তখন শেখে, যখন তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি সেগুলোকে তাদের নিজস্ব ধারণার মাধ্যমে বুঝতে দেওয়া হয়। নিজস্ব ধারণা এবং আগ্রহ বিকাশের সুযোগ দেওয়া হলে শিশুরা কেবল জ্ঞান অর্জন করবে না, বরং সেই জ্ঞানকে ব্যবহার করাও শিখবে। এই পদ্ধতিতে শিক্ষা দেওয়ার জন্য ১৯১৫ সালে নিউইয়র্ক সিটিতে একটি স্কুল খোলা হয়।
২ দিন আগে