ফিচার ডেস্ক
আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনোস আইরেসের রাস্তায় জরো হয়েছে হাজারও মানুষ। কারো প্লাকার্ডে লেখা, "এটা ছিল নারকো-ফেমিসাইড!", কেউ লিখেছে "আমাদের জীবন ফেলে দেওয়ার মতো নয়!" দেশটিতে সম্প্রতি একজন কিশোরী ও ২ জন তরুণী নৃশংসভাবে হত্যা, নির্যাতন শিকার হয়েছেন। সেই দৃশ্য সামাজিক মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারের ঘটনা দেশজুড়ে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। হত্যার শিকার হয়েছেন ১৫ বছর বয়সী লারা গুতিরেজ ও ২০ বছর বয়সী দুই তরুণী মোরেনা ভার্দি ও ব্রেন্ডা দেল কাস্তিয়ো। এই মর্মান্তিক 'নারকো-ফেমিসাইড' বা মাদকচক্র-সম্পর্কিত নারীহত্যার প্রতিবাদে বুয়েনোস আইরেসের রাস্তায় নেমে এসেছেন হাজারো মানুষ। তারা দাবি জানাচ্ছেন দ্রুত ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য।
এই ঘটনাটিকে "নারকো-ফেমিসাইড" বলা হচ্ছে। এই পরিভাষাটি তুলে ধরে যে কীভাবে মাদকচক্রগুলো নারীদের বিরুদ্ধে চরম সহিংসতার ঘটনা ঘটাচ্ছে। আর এই ঘটনার মধ্যে নির্যাতন এবং প্রকাশ্যে প্রদর্শন অন্তর্ভুক্ত থাকে। এই অপরাধকারীরা তাদের কর্মকান্ডের মধ্যে দিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে বা তাদের নৃশংস বিধি কার্যকর করার বিষয়টি প্রকাশ করে থাকে।
যে নৃশংসতা আর্জেন্টিনাকে স্তম্ভিত করেছে
গত ১৯ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ হওয়ার পাঁচ দিন পর বুয়েনোস আইরেসের উপকণ্ঠে একটি বাড়ির উঠোনে মোরেনা, ব্রেন্ডা এবং লারার মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায়। এখানে মোরেনা ও ব্রেন্ডা সম্পর্কে চাচাতো বোন। পুলিশের ধারণা, একটি মাদক পাচারকারী চক্র এই জঘন্য অপরাধের জন্য দায়ী। তদন্তকারীরা ধারণা করছেন, মাদকচক্রের 'কোড' বা নিয়ম লঙ্ঘনের শাস্তি হিসেবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন ওই চক্রের কাছ থেকে অল্প পরিমাণ মাদক চুরি করেছিলেন বলেও ধারণা করছে পুলিশ। বুয়েনোস আইরেস প্রদেশের নিরাপত্তা মন্ত্রী জাভিয়ের আলোনসো বলেছেন, এটি ছিল একটি সতর্কবার্তা যে আমার মাদক চুরি করবে, তার এই পরিণতি হবে।" একটি ভুয়া পার্টি প্রলোভন দেখিয়ে ভুক্তভোগীদের একটি সাদা পিকআপ ট্রাকে করে ওই বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এটি ছিল আন্তর্জাতিক মাদকচক্রের পাতা একটি ফাঁদ।
ডিজিটাল নৃশংসতার ভয়াবহতা
এই ঘটনার সবচেয়ে ভয়ঙ্কর দিক হলো অপরাধীরা নির্যাতনের দৃশ্যটি একটি ব্যক্তিগত ইনস্টাগ্রাম গ্রুপে সরাসরি সম্প্রচার করেছিল। এই দৃশ্যটি প্রায় ৪৫ জন দেখেছিল বলে দাবি করেন পুলিশ কর্মকর্তারা। যদিও ইনস্টাগ্রামের মূল সংস্থা মেটা প্ল্যাটফর্মে লাইভস্ট্রিম হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। তবে তারা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে তদন্তে সহযোগিতা করছে। দেশটির একটি ফেমিসাইড পর্যবেক্ষণ গোষ্ঠীর মতে, প্রতি ৩৬ ঘণ্টায় একজন নারী পুরুষের হাতে নিহত হন। চলমান এই সংকটের মধ্যে বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে ফৌজদারি আইন থেকে ফেমিসাইড' ধারাটি বাদ দেওয়ার প্রস্তাবনা দেশজুড়ে নারীবাদী আন্দোলনকে আরও উস্কে দিয়েছে।
ফুঁসে ওঠেছে প্রতিবাদ ধ্বনি
গত শনিবার নিহতদের পরিবারের সদস্য, বন্ধু-বান্ধব এবং হাজার হাজার প্রতিবাদকারী ন্যায়বিচারের দাবিতে পার্লামেন্টের দিকে মিছিল করেন। নৃশংস নির্যাতনের কারণে মেয়ের দেহ শনাক্ত করতে না পারার যন্ত্রণা প্রকাশ করেন ব্রেন্ডার বাবা লিওনেল দেল কাস্তিয়ো। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "নারীদের আগের চেয়ে আরও বেশি সুরক্ষিত রাখতে হবে।" ২০ বছর বয়সী দুই বোনের দাদু আন্তোনিও দেল কাস্তিয়ো কান্নাইয় ভেঙ্গে পড়েন। এই হত্যাকারীদের 'রক্তপিপাসু' বলে অভিহিত করেন তিনি। বলেন, "তারা যা করেছে, পশুর সাথেও তা করা যায় না।" এই ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটল যখন আর্জেন্টিনায় নারী-হত্যার হার উদ্বেগজনক।
তদন্তের বর্তমান অবস্থা
আর্জেন্টিনার জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী প্যাট্রিসিয়া বুলরিচ-এর তথ্য অনুযায়ী, গত শুক্রবার পর্যন্ত পাঁচজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও দুজন নারী। এদের মধ্যে একজন গাড়ি দিয়ে লজিস্টিক সহায়তা করার অভিযোগে বলিভিয়ার সীমান্ত শহর ভিলাজনে ধরা পড়েছে। তবে চক্রের মূল অভিযুক্ত, ২০ বছর বয়সী পেরুর এক নাগরিক। তাকে পুলিশ লিটল জে নামে চিহ্নিত করেছে। সে এখনও পলাতক রয়েছে এবং তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এই ট্রিপল ফেমিসাইড আর্জেন্টিনার সমাজের গভীরে থাকা মাদকচক্রের বিস্তার এবং জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতার ভয়াবহতাকে নতুন করে সামনে এনেছে। বিষয়টি জাতির বিবেককে নাড়িয়ে দিয়েছে।
সূত্রঃ বিবিসি
আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনোস আইরেসের রাস্তায় জরো হয়েছে হাজারও মানুষ। কারো প্লাকার্ডে লেখা, "এটা ছিল নারকো-ফেমিসাইড!", কেউ লিখেছে "আমাদের জীবন ফেলে দেওয়ার মতো নয়!" দেশটিতে সম্প্রতি একজন কিশোরী ও ২ জন তরুণী নৃশংসভাবে হত্যা, নির্যাতন শিকার হয়েছেন। সেই দৃশ্য সামাজিক মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারের ঘটনা দেশজুড়ে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। হত্যার শিকার হয়েছেন ১৫ বছর বয়সী লারা গুতিরেজ ও ২০ বছর বয়সী দুই তরুণী মোরেনা ভার্দি ও ব্রেন্ডা দেল কাস্তিয়ো। এই মর্মান্তিক 'নারকো-ফেমিসাইড' বা মাদকচক্র-সম্পর্কিত নারীহত্যার প্রতিবাদে বুয়েনোস আইরেসের রাস্তায় নেমে এসেছেন হাজারো মানুষ। তারা দাবি জানাচ্ছেন দ্রুত ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য।
এই ঘটনাটিকে "নারকো-ফেমিসাইড" বলা হচ্ছে। এই পরিভাষাটি তুলে ধরে যে কীভাবে মাদকচক্রগুলো নারীদের বিরুদ্ধে চরম সহিংসতার ঘটনা ঘটাচ্ছে। আর এই ঘটনার মধ্যে নির্যাতন এবং প্রকাশ্যে প্রদর্শন অন্তর্ভুক্ত থাকে। এই অপরাধকারীরা তাদের কর্মকান্ডের মধ্যে দিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে বা তাদের নৃশংস বিধি কার্যকর করার বিষয়টি প্রকাশ করে থাকে।
যে নৃশংসতা আর্জেন্টিনাকে স্তম্ভিত করেছে
গত ১৯ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ হওয়ার পাঁচ দিন পর বুয়েনোস আইরেসের উপকণ্ঠে একটি বাড়ির উঠোনে মোরেনা, ব্রেন্ডা এবং লারার মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায়। এখানে মোরেনা ও ব্রেন্ডা সম্পর্কে চাচাতো বোন। পুলিশের ধারণা, একটি মাদক পাচারকারী চক্র এই জঘন্য অপরাধের জন্য দায়ী। তদন্তকারীরা ধারণা করছেন, মাদকচক্রের 'কোড' বা নিয়ম লঙ্ঘনের শাস্তি হিসেবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন ওই চক্রের কাছ থেকে অল্প পরিমাণ মাদক চুরি করেছিলেন বলেও ধারণা করছে পুলিশ। বুয়েনোস আইরেস প্রদেশের নিরাপত্তা মন্ত্রী জাভিয়ের আলোনসো বলেছেন, এটি ছিল একটি সতর্কবার্তা যে আমার মাদক চুরি করবে, তার এই পরিণতি হবে।" একটি ভুয়া পার্টি প্রলোভন দেখিয়ে ভুক্তভোগীদের একটি সাদা পিকআপ ট্রাকে করে ওই বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এটি ছিল আন্তর্জাতিক মাদকচক্রের পাতা একটি ফাঁদ।
ডিজিটাল নৃশংসতার ভয়াবহতা
এই ঘটনার সবচেয়ে ভয়ঙ্কর দিক হলো অপরাধীরা নির্যাতনের দৃশ্যটি একটি ব্যক্তিগত ইনস্টাগ্রাম গ্রুপে সরাসরি সম্প্রচার করেছিল। এই দৃশ্যটি প্রায় ৪৫ জন দেখেছিল বলে দাবি করেন পুলিশ কর্মকর্তারা। যদিও ইনস্টাগ্রামের মূল সংস্থা মেটা প্ল্যাটফর্মে লাইভস্ট্রিম হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। তবে তারা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে তদন্তে সহযোগিতা করছে। দেশটির একটি ফেমিসাইড পর্যবেক্ষণ গোষ্ঠীর মতে, প্রতি ৩৬ ঘণ্টায় একজন নারী পুরুষের হাতে নিহত হন। চলমান এই সংকটের মধ্যে বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে ফৌজদারি আইন থেকে ফেমিসাইড' ধারাটি বাদ দেওয়ার প্রস্তাবনা দেশজুড়ে নারীবাদী আন্দোলনকে আরও উস্কে দিয়েছে।
ফুঁসে ওঠেছে প্রতিবাদ ধ্বনি
গত শনিবার নিহতদের পরিবারের সদস্য, বন্ধু-বান্ধব এবং হাজার হাজার প্রতিবাদকারী ন্যায়বিচারের দাবিতে পার্লামেন্টের দিকে মিছিল করেন। নৃশংস নির্যাতনের কারণে মেয়ের দেহ শনাক্ত করতে না পারার যন্ত্রণা প্রকাশ করেন ব্রেন্ডার বাবা লিওনেল দেল কাস্তিয়ো। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "নারীদের আগের চেয়ে আরও বেশি সুরক্ষিত রাখতে হবে।" ২০ বছর বয়সী দুই বোনের দাদু আন্তোনিও দেল কাস্তিয়ো কান্নাইয় ভেঙ্গে পড়েন। এই হত্যাকারীদের 'রক্তপিপাসু' বলে অভিহিত করেন তিনি। বলেন, "তারা যা করেছে, পশুর সাথেও তা করা যায় না।" এই ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটল যখন আর্জেন্টিনায় নারী-হত্যার হার উদ্বেগজনক।
তদন্তের বর্তমান অবস্থা
আর্জেন্টিনার জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী প্যাট্রিসিয়া বুলরিচ-এর তথ্য অনুযায়ী, গত শুক্রবার পর্যন্ত পাঁচজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও দুজন নারী। এদের মধ্যে একজন গাড়ি দিয়ে লজিস্টিক সহায়তা করার অভিযোগে বলিভিয়ার সীমান্ত শহর ভিলাজনে ধরা পড়েছে। তবে চক্রের মূল অভিযুক্ত, ২০ বছর বয়সী পেরুর এক নাগরিক। তাকে পুলিশ লিটল জে নামে চিহ্নিত করেছে। সে এখনও পলাতক রয়েছে এবং তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এই ট্রিপল ফেমিসাইড আর্জেন্টিনার সমাজের গভীরে থাকা মাদকচক্রের বিস্তার এবং জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতার ভয়াবহতাকে নতুন করে সামনে এনেছে। বিষয়টি জাতির বিবেককে নাড়িয়ে দিয়েছে।
সূত্রঃ বিবিসি
২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ক্রিস্ট্রুন মজল ফ্রস্টাডোত্তির। ৩৬ বছর বয়সে তিনি আইসল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এদিকে নিজের দেশ থেকে নির্বাসিত হয়ে দেশে ফিরে দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন নামিবিয়ার সাবেক
৪ দিন আগেআমি এইচএসসি পরীক্ষার্থী। আমার বাবা-মা প্রায় চার বছর ধরে আলাদা থাকছেন। বাবা একাধিক নারীতে আসক্ত ছিলেন। সে কারণে মাকে মারধর করতেন। শেষমেশ মা বাড়ি ছেড়ে চলে আসেন। এর পর থেকে বাবা আমার খরচ দেওয়া বন্ধ করে দেন। তবে কখনো কখনো পারিবারিক চাপের কারণে কিছু দেন, আবার বন্ধ করে দেন।
৪ দিন আগেতার কোনো সাম্রাজ্য নেই, রাজপ্রাসাদ নেই। কখনো স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটারি ল্যাট্রিন বানানো, কখনো বিশুদ্ধ পানির প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি, কখনো ইভ টিজিং, বাল্যবিবাহ, যৌতুক প্রথা বন্ধসহ বিভিন্ন বিষয়ে সতর্কতা গড়ে তোলাতেই তার আগ্রহ বেশি। মেয়েটির নাম মীনা। আমরা জানি না মীনার বয়স কত, তার বাড়ি কোথায়। কোথায় সেই
৪ দিন আগেদক্ষিণ আফ্রিকার সমাজকর্মী, রাজনীতিবিদ ও বর্ণবাদবিরোধী সংগ্রামের নেত্রী উইনি ম্যান্ডেলা। তিনি ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবৈষম্যবিরোধী সংগ্রামের এক কিংবদন্তি চরিত্র। তিনি নেলসন ম্যান্ডেলার দ্বিতীয় স্ত্রী। যখন ম্যান্ডেলা প্রায় ২৭ বছর কারাবন্দী ছিলেন, তখন উইনি বাইরে থেকে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
৪ দিন আগে