বেশির ভাগ সময় সাফল্যের গল্পটাই সামনে আসে। এর পেছনে যে বিশাল শারীরিক ও মানসিক শ্রম আর কষ্ট থাকে, সে কথা ভুলে যায় সবাই। ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফলে কৃষি ক্যাডার পদে সরকারি কর্ম কমিশন সারমিন সুলতানা রিমাকে নিয়োগের সুপারিশ করেছে। এই সাফল্যের গল্পের আড়ালে ঢাকা পড়ে গেছে তাঁর শ্রম আর কষ্টের গল্প। না, রিমার তাতে আফসোস নেই। সেই সব কষ্ট আর শ্রমের কারণেই এত দূর আসা। কিন্তু পেছনে ফিরে তাকালে সেগুলো ভেসে ওঠে মনের পর্দায়।
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম ও রাবেয়া সুলতানার তিন সন্তানের মধ্যে বড় রিমা। ছোট থেকে মেধাবী রিমা পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিলেন। এসএসসি ও এইচএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পেয়েছেন এ প্লাস। এরপর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৮ সালে কৃষি অনুষদে স্নাতকে প্রথম শ্রেণিতে ১১তম হন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০২০ সালে উদ্যানতত্ত্বে স্নাতকোত্তরে প্রথম শ্রেণিতে চতুর্থ স্থান অর্জন করেন। শুধু তা-ই নয়, রিমা উচ্চশিক্ষায় গবেষণার জন্য ২০১৯ সালে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে বঙ্গবন্ধু জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপের জন্য মনোনীত হন। স্নাতক পর্যায়ে পড়াকালে তিনি ডিইএন অ্যাওয়ার্ড পান। তাঁর এসব প্রাতিষ্ঠানিক সাফল্য মুগ্ধ করবে যে কাউকে। কিন্তু কষ্টগুলো? হ্যাঁ, সেগুলোও তাঁর জীবনেরই অংশ, এই সাফল্যের পেছনের গল্প।
বাবা ডিপ্লোমা প্রকৌশলী হিসেবে চাকরি করতেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। রিমা যখন স্নাতক তৃতীয় বর্ষে পড়েন, তখন হঠাৎ বাবা রবিউল ইসলামের চাকরি চলে যায়। ফলে পুরো পরিবার বেশ খানিক অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়ে। এমন সময়েও তাঁর মা-বাবা অভয় ও অনুপ্রেরণা দিয়ে যান ভালো লেখাপড়ার। অর্থনৈতিক সে সমস্যা শিগগিরই কাটেনি। এর মধ্যেই পুরো পরিবারকে চলতে হয়েছে। চালাতে হয়েছে লেখাপড়া। সে বড় আশ্চর্য দিন কেটেছে তাঁদের!
২০২১ সালে রিমার বিয়ে হয় যশোর শহরের ব্যবসায়ী মামুনুর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে। বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার প্রস্তুতিকালে তিনি গর্ভবতী ছিলেন। এরপর তিনি মা হন। সন্তান প্রসবের ২৮ দিনের মাথায় তিনি বসেন বিসিএস পরীক্ষায়। সন্তান গর্ভে নিয়ে পরীক্ষার প্রস্তুতি, প্রসবের ধকল কাটিয়ে ওঠার আগে বিসিএসের মতো একটি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসার জন্য শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা সবার থাকে না। কিন্তু রিমা সেটা করে দেখিয়েছেন। সেসব কষ্ট এখন শুধুই স্মৃতি।
বেশির ভাগ সময় সাফল্যের গল্পটাই সামনে আসে। এর পেছনে যে বিশাল শারীরিক ও মানসিক শ্রম আর কষ্ট থাকে, সে কথা ভুলে যায় সবাই। ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফলে কৃষি ক্যাডার পদে সরকারি কর্ম কমিশন সারমিন সুলতানা রিমাকে নিয়োগের সুপারিশ করেছে। এই সাফল্যের গল্পের আড়ালে ঢাকা পড়ে গেছে তাঁর শ্রম আর কষ্টের গল্প। না, রিমার তাতে আফসোস নেই। সেই সব কষ্ট আর শ্রমের কারণেই এত দূর আসা। কিন্তু পেছনে ফিরে তাকালে সেগুলো ভেসে ওঠে মনের পর্দায়।
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম ও রাবেয়া সুলতানার তিন সন্তানের মধ্যে বড় রিমা। ছোট থেকে মেধাবী রিমা পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিলেন। এসএসসি ও এইচএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পেয়েছেন এ প্লাস। এরপর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৮ সালে কৃষি অনুষদে স্নাতকে প্রথম শ্রেণিতে ১১তম হন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০২০ সালে উদ্যানতত্ত্বে স্নাতকোত্তরে প্রথম শ্রেণিতে চতুর্থ স্থান অর্জন করেন। শুধু তা-ই নয়, রিমা উচ্চশিক্ষায় গবেষণার জন্য ২০১৯ সালে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে বঙ্গবন্ধু জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপের জন্য মনোনীত হন। স্নাতক পর্যায়ে পড়াকালে তিনি ডিইএন অ্যাওয়ার্ড পান। তাঁর এসব প্রাতিষ্ঠানিক সাফল্য মুগ্ধ করবে যে কাউকে। কিন্তু কষ্টগুলো? হ্যাঁ, সেগুলোও তাঁর জীবনেরই অংশ, এই সাফল্যের পেছনের গল্প।
বাবা ডিপ্লোমা প্রকৌশলী হিসেবে চাকরি করতেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। রিমা যখন স্নাতক তৃতীয় বর্ষে পড়েন, তখন হঠাৎ বাবা রবিউল ইসলামের চাকরি চলে যায়। ফলে পুরো পরিবার বেশ খানিক অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়ে। এমন সময়েও তাঁর মা-বাবা অভয় ও অনুপ্রেরণা দিয়ে যান ভালো লেখাপড়ার। অর্থনৈতিক সে সমস্যা শিগগিরই কাটেনি। এর মধ্যেই পুরো পরিবারকে চলতে হয়েছে। চালাতে হয়েছে লেখাপড়া। সে বড় আশ্চর্য দিন কেটেছে তাঁদের!
২০২১ সালে রিমার বিয়ে হয় যশোর শহরের ব্যবসায়ী মামুনুর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে। বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার প্রস্তুতিকালে তিনি গর্ভবতী ছিলেন। এরপর তিনি মা হন। সন্তান প্রসবের ২৮ দিনের মাথায় তিনি বসেন বিসিএস পরীক্ষায়। সন্তান গর্ভে নিয়ে পরীক্ষার প্রস্তুতি, প্রসবের ধকল কাটিয়ে ওঠার আগে বিসিএসের মতো একটি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসার জন্য শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা সবার থাকে না। কিন্তু রিমা সেটা করে দেখিয়েছেন। সেসব কষ্ট এখন শুধুই স্মৃতি।
মানুষ স্বপ্নবাজ প্রাণী। যুদ্ধ ও সংঘাতময় পৃথিবীতে ভিটে চ্যুত মানুষও স্বপ্ন দেখে। এই স্বার্থ আর সংঘাতময় পৃথিবীতে মানুষ তার জীবনের চেয়েও বড়। নইলে বেঁচে থাকে কীভাবে! বিশ্ব শরণার্থী দিবসে তেমনি কিছু নারীর গল্প রইল, যাঁরা উদ্বাস্তু জীবনেও স্বপ্ন দেখেছেন জীবনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার।
২ দিন আগেকারও কোলে শিশুসন্তান, কেউ অন্তঃসত্ত্বা, কারও হাতে স্যালাইনের ক্যানুলা। চাকরি বাঁচাতে এই অবস্থায় ২১ দিন ধরে রাস্তায় আন্দোলন করছেন তাঁরা। করবেন নাই-বা কেন, তাঁদের কেউ সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি, কারও বেতনের টাকায় চলছে পরিবারের অসুস্থ সদস্যের চিকিৎসা; কেউ আবার বেতনের টাকায় সন্তানের জন্য...
৪ দিন আগেযুদ্ধের কারণে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তা, নিরাপত্তাহীনতা এবং দৈনন্দিন আতঙ্ক ইসরায়েলি নারীদের গভীরভাবে আচ্ছন্ন করে ফেলেছে। ইসরায়েলি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনে এমন তথ্যের আভাস পাওয়া গেছে।
৪ দিন আগেঅনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়ার সময় মাত্র ২০ হাজার টাকায় বোরকার ব্যবসা শুরু করেন। ডিজাইন, কাপড় সংগ্রহ, ডেলিভারি—সবই এক হাতে সামলাতেন তিনি। বর্তমানে ঢাকায় তাঁর দুটি শোরুম রয়েছে। বিনিয়োগের পরিমাণ বহু আগেই কয়েক কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। আমেরিকা, কানাডা, জাপান, সৌদি আরব, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে...
৪ দিন আগে